08/08/2025
শব্দের মারপেচে কৃপণতা
কোন এক এলাকার এক কোটিপতি অত্যন্ত কৃপন ছিল।নিজের প্রয়োজনেও খরচ করতো না। তার কৃপনতা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সে ভাত না খেয়ে খুদের যাউ খেত।একবার যে তার বিবিকে খুদের যাউ পাকানোর কথা বলে মেহমানদের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে লাগল।যাউ পাকানো শেষ হলে বিবি ছেলেকে পাঠালেন স্বামীকে ডাকার জন্য।ছেলে গিয়ে দেখে পিতা গণ্যমান্য লোকদের সাথে কথা বলছেন। ছেলে ভাবল,যদি আব্বাকে সরাসরি খুদের ভাত খাওয়ার কথা বলি তাহলে আব্বা লজ্জিত হবেন এবং মেহমানরাও আব্বার কৃপণতা বুঝে ফেলবে। তাই সে সাজিয়ে গুছিয়ে কবিতা আকারে পিতাকে সুন্দর করে বলল আব্বা,
চালুমনি সরকারের ছেলে খুদিমনি রায়
দেরি হওয়াতে তিনি জুরাইন নগর যায়
তাড়াতাড়ি আপনার সাথে সাক্ষাৎ করতে চায়।
কবিতাটির সারমর্ম হল,চাউলের খুদ পাকানো হয়েছে এবং উহা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে, আপনি জলদি আসুন। ছেলের কথা শুনে, পিতা বললেন,সঙ্গে কে কে আছে? অর্থাৎ খুদের যাওয়ের সাথে কি দিয়েছে?
উওরে ছেলে বললো,
সঙ্গে আছে শাকুমনি মুজুমদার, লবণি সরকার
আরো আছে অমলি কিশুর রায়।
আপনার সাথে সাক্ষাত করতে চায়।
উক্ত সারমর্ম হল,খুদের যাউয়ের সাথে শাক, লবন, আমলকি দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান যুগেও এমন কৃপণের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়, যারা দান করা তো করেই না বরং নিজের প্রয়োজনেও খরচ করে না। এ ধরনের বখিলদের উপর আল্লাহর লা'নত।