Hey You

Hey You "Congratulations "

 #ক্রাশ_ডাক্তার_বউ  [সারজীন] :5সারা ওদের খাইয়ে দিতে শুরু করে। রোদ আর রোদ্রি ঘুরতে গিয়ে কি কি করবে ওসব বলছে তা শুনে সবা...
06/06/2025

#ক্রাশ_ডাক্তার_বউ
[সারজীন]
:5
সারা ওদের খাইয়ে দিতে শুরু করে। রোদ আর রোদ্রি ঘুরতে গিয়ে কি কি করবে ওসব বলছে তা শুনে সবাই হাসতে হাসতে শেষ।
রোদ্রি : ডেডা আজ আমালে আতক্রিম তিনে দিবে?
মাহিন : না আজ তোদের একটা মজার খাবার খাওয়াবো!
রোদ : তি থাবার ডেডা?
মাহিন : এখন বলা যাবে না সারপ্রাইজ!( ভাব নিয়ে )
রোদ্রি : আমালেও না?
মাহিন : না তোকেও না। ( ভাব নিয়ে )
রোদ্রি : নাগবে না তুমার থারপ্রাইজ!( মুখ ভেংচি দিয়ে )
রোদ্রির কথা শুনে সবাই হা হা করে হেসে দেয়।
হসপিটালে
সারার বাড়ির সবাই অনেক চেষ্টা করেছে হসপিটাল থেকে ওর এড্রেস নেওয়ার জন্য কিন্তু সারা হসপিটালে বলে গেছে ওর এড্রেস যেনো কাউকে না দেওয়া হয়।
আরফিন : কি রে আরাফ পেলি আপুর এড্রেস?
আরাফ : না আপু। আমার মনে হয় হসপিটালে সবাই কে তার এড্রেস দিতে বারন করে গেছে।
জারা : এখন আর আপুর এড্রেস খুঁজে কি হবে তাকে তার দুনিয়া শান্তিতে থাকতে দাও।( চোখ মুখ শক্ত করে )
নিশাত : আর কত কথা শুনাবি আমাকে? আমি তো না বুঝে ওকে.....
জারা : মাম্মা তুমি আপুর মা পুরো দুনিয়া আপুকে ভুল বুঝলেও তুমি কি করে ভুল‌ বুঝতে পারো? তুমি জানো না তোমার মেয়ে কেমন?
আরফিন : থাক এসব কথা এখন!
ঝুমুর : কিন্তু সারা সাথে ছেলেটা কে ছিলো? সারা কি বিয়ে করেছে?
আরফিন : এই তোমাদের এক দোষ সত্যি না জেনে নিজের মন ঘোরা কথা তৈরি করা।আর যদি বিয়ে করেও থাকে তাহলে বা কি? সারাজীবন মানুষ তো আর একবারে কাঁটায় না।যাই হোক আমি এখন এসব বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।জারা তুই আমার ভার্সিটিতে যাবি? তাহলে চল আমার আর এখানে থাকতে ভালো লাগছে না।
জারা : হ্যা চল আপু আমিও যাবো তোর সাথে!
আরফিন আর জারা কারো উত্তরের অপেক্ষা না করে ভার্সিটির জন্য বের হয়ে যায়।
খান বাড়ি
ব্রেকফাস্ট টেবিলে সবাই চুপচাপ খাবার খাচ্ছে কেউ কোনো কথা বলছে না।নিলিমা হঠাৎ করে মাহির কে বলে উঠে।
মামনি : মাহির আমি তোর কাছে কিছু চাইবো দিবি তুই?
মাহির : এমন করে বলছো কেনো মামনি! বলো না তোমার কি চাই?
মামনি : আমি চাই আমার বাড়ির লক্ষী আবার বাড়ি ফিরে আসুক। আমার নাতি নাতনি এই খান বাড়ি মাথায় করে রাখুক।পারবি তুই আমার চাওয়া পূর্ণ করতে?
মাহির ভাবনায় পড়ে গেলো সারা কি কখনো ওকে ক্ষমা করবে?ক্ষমা করলেও কখনো ওর জীবনে ফিরে আসবে? নানান প্রশ্ন ওর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
মাহির : মামনি ও কি.....( আর বলতে না দিয়ে )
মামনি : তুই পারবি কি না তাই বল?
মাহির চোখ বন্ধ করে ছোট একটা নিঃশ্বাস ফেলে বলে।
মাহির : কথা দিলাম মামনি ওকে আবার আমার জীবনের ফিরিয়ে আনবো। তোমার বাড়ি আবার আনন্দ উৎসবে ভরে উঠবে।( বলে উঠে চলে যায় )
মাহিরের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে নিলিমা আর শোহান স্থির নিঃশ্বাস ফেলে শোহান নিলিমা কে বলে।
বাবাই : চিন্তা করো না। তোমার ছেলে কখনো কথার খেলাপ করে নি। এবার আমাদের দুঃখের অবসান ঘটবে।
মামনি : তাই যেনো হয়।
এদিকে সারা রা সকাল থেকে অনেক জায়গায় ঘুরা ঘুরি করে। রোদ আর রোদ্রি আজ খুব খুশি। সারা বললো আজ অনেক ঘুরা ঘুরি করেছে রোদ রোদ্রি কে নিয়ে এবার বাড়ি যাওয়া দরকার। মাহিন বলে।
মাহিন : আপু ওদের আগে সারপ্রাইজ দিয়ে নি তারপর না যাবো!
সারা : তুই আবার কি সারপ্রাইজ দিবি?( ভ্রু কুঁচকে বললো )
মাহিন : চল না এত কথা বলছিস কেনো?
সারা আর কোনো কথা বলে না। কিছুক্ষণ পর গাড়ি গিয়ে ফুসকার দোকানের সামনে থামে। মাহিন ওদের গাড়ি থেকে নামতে বলে ও নেমে পড়ে। সারা বাচ্চাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে চারপাশে তাকিয়ে বলে।
সারা : এখানে কেনো আনলি?
মাহিন : কেনো আবার আমার রোদ আর রোদ্রি প্রথম বার বাংলাদেশে এসেছে ওদের যদি বাংলাদেশের বিখ্যাত ফুসকা না খাওয়াই তাহলে ওরা এটা মিস করবে।
সারা : হা হা হা তাই নাকি?( হেসে দিয়ে )
রোদ : মাম্মা ফুকা তি?
সারা : ফুকা না বাবা ফুসকা খুব মজার একটা খাবার।
রোদ : অহহহ....
রোদ্রি : ডেডা এই তুমার থারপ্রাইজ?( চোখ ছোট ছোট করে )
মাহিন : হ্যা মামনি। জানো ছেলেরা না কি তেমন ফুসকা খায় না কিন্তু আমি আর আমার এক বন্ধু কম্পিটিশন দিয়ে ফুসকা খেতাম।
সারা : এত বক বক না করে ফুসকা অর্ডার কর।আর পিচ্চি দুটো টায় ঝাল ছাড়া।
মাহিন : তোরা চেয়ার গুলোতে বস আমি অর্ডার করে আসছি।
মাহিন ফুসকা অর্ডার করতে চলে যায়। সারা রোদ আর রোদ্রি কে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। রোদ আর রোদ্রি তো কথার ঝুড়ি খুলে বসেছে। মাহিন ওদের পাশে বসে বলে ফুসকা দিতে দেরি হবে। সারা বসে থাকতে ভালো লাগছে না বলে উঠে আশেপাশে হাঁটা শুরু করে। মাহিনদের থেকে অনেকটা দূরে এগিয়ে এসেছে তা সারা খেয়াল করে নি। সারা আশেপাশের প্রকৃতি দেখতে ব্যস্ত। একটা গাড়ি এসে সারার পাশে থামে সারা সেদিন না তাকিয়ে পাশ কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে থাকে।কেউ একজন পিছন থেকে দৌড়ে সামনে এসে সারা কে জড়িয়ে ধরে। এতে সারা খানিকটা অবাক হয়ে তাকে নিজের থেকে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে।
সারা : কে আপনি? আমাকে এইভাবে জড়িয়ে ধরেছে কেনো?
- কুত্তি আর একটা কথা বলবি তো থাবরাইয়া তোর দাঁত ফেলে দিমু।
সারা সামনের মানুষটাকে দেখে জড়িয়ে ধরে বলে।
সারা : মিথিলা .....
মিথিলা : এই তুই আমারে ছার তোর সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই। ( সারা কে ছাড়াতে ছাড়াতে বলে )
সারা : মিথু জানু সোনা আমার রাগ করিস না। আমি তোকে সব বলবো!
মিথিলা : এখন জানু সোনা। কোথায় ছিলি এতদিন? আমার কথা মনে পড়েনি তোর?এই এত বছরের বন্ধুত্ব আমাদের?( কাঁদো কাঁদো হয়ে )
সারা : তখন পরিস্থিতি এমন ছিলো আমি কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তুই আর রাজ এখানে ছিলিস না। তোদের দুই ফ্যামিলির টুরে গেছিলো। আমি আর কিছু না ভেবে দেশ ছেড়ে চলে যাই।
মিথিলা : আমি আর রাজ প্রথমে মনে করেছি প্রেগন্যান্সির করানে তুই বাড়িতে আছিস আর তোর ফোনও বন্ধ ছিলো।পরে একদিন রাজ আর আমি শপিং থেকে ফেরার পথে মাহির ভাইয়ার সাথে দেখা তাকে তোর কথা জিজ্ঞেস করলে বলে সে জানে না।পরে রাজ জোর করায় সব বলে দেয় তোর সাথে ঠিক কি কি হয়েছে‌।পরে আমি আর রাজ ওখান থেকে রেগে চলে আসি তোকে অনেক জায়গায় খোঁজ করছি আমরা কিন্তু কোথাও পাইনি।ঐ ঘটনার এক বছর পর তোর দুই ফ্যামিলির আসে আমার আর রাজের কাছে আমরা তোর কোনো খবর জানি কি না। তখন রাজ ওদের বলে ও জানলেও কখনো ওদের বলবে না।
সারা : ওসব কথা ছাড়। এখন বল তুই আর রাজ বিয়ে করেছিস?
মিথিলা : না রে।
সারা : কেনো তোরা দুজন দুজনকে সেই কলেজ লাইফ থেকে ভালোবাসিস তাহলে?
মিথিলা : আর বলিস না শয়তানটার কথা। শয়তানি ছাড়া আর কিছু পারে না।হারামিটা আরো এক বছর পর বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি বলেছি এক মাসের মধ্যে বিয়ে না করলে আমি আমার পাশের বাড়ির ছেলের সাথে পালিয়ে যাবো।তাই সে বিয়ে করতে রাজি হয়েছে। পনের দিন পর বিয়ে। তুই তো জানিস আমার স্বপ্ন ছিলো ডেস্টিনেশন ওয়েডিং করার তাই আমার স্বপ্ন পূরন করতে কক্সবাজার ডেস্টিনেশন ওয়েডিং প্লান করা হয়েছে। শোন আমি কোনো কথা শুনতে চাই না তুই কাল আমার সাথে কক্সবাজার যাবি।আর রাজ তোকে দেখে পাগল হয়ে যাবে।
সারা : তাই বলে কালকেই?( চিন্তিত হয়ে )
মিথিলা : শাকচুন্নী তোকে তো আমি..... এই এক মিনিট এক মিনিট তোর আর আমার বেবি কই?( ভ্রু কুঁচকে )
সারা : জানু বেবি নয় বেবিস।( মুচকি হেসে )
মিথিলা : মানে?( অবাক হয়ে )
সারা : আমার টুইট বাচ্চা হাদি কোথাকার!
মিথিলা : ও মাই গড সারু। কোথায় ওরা?( খুব খুশি হয়ে। )
সারা : চুন্নী শোন ওদের সামনে আবার আমাকে পচানো শুরু করে দিস না।
মিথিলা : না না ওদের কি বলতে পারি ওদের মা কত বড় কুত্তি।( মিটমিট করে হেসে )
সারা : তুই কি বললি?( রেগে তাকালো )
মিথিলা : কিছু না জানু তোর প্রশংসা করলাম। এখন চল।( সারার হাত ধরে হাঁটা দেয় )

To be continue...🍁

নীল_রক্ত #পর্ব_৫_৬_৭ #সিজন_১লেখক_নীল_মাহামুদশুনশান রাস্তায় রিতু আবার বের হলো রাস্তায় এখন আর মানুষ চলাচল নেই বললেই চলে,ইব...
06/06/2025

নীল_রক্ত
#পর্ব_৫_৬_৭
#সিজন_১
লেখক_নীল_মাহামুদ

শুনশান রাস্তায় রিতু আবার বের হলো রাস্তায় এখন আর মানুষ চলাচল নেই বললেই চলে,
ইবু স্যার টা জানি কেমন আসলো না কেনো,
বলতে বলতেই সামনে এসে পড়ে ইবু স্যার,
ইবু- কেমন আছো?
রিতু-মনে মনে কেমন আছো মারাইয়ো না একটু আগে বিপদে পড়ছিলাম,

ইবু- কি ব্যাপার কথা বলছো না কেনো,

রিতু- জি ভালো, আপনি?

ইবু- হুম ভালো,হঠাৎ এই এলাকায় কেনো, কোন ইনফরমেশন দরকার নাকি?

রিতু - তা তো দরকারি কিন্ত খুব জরুরি,

ইবু- ওহ আচ্ছা তা কি এত জরুরি আমাকে বলা যাবে,

রিতু- বললে নিতে পারবেন তো,

ইবু- আচ্ছা হাটি আর কথা বলি,হুম বলো,

রিতু- সব খোলে বলল,

ইবু মাথায় হাত দিয়ে OmG আচ্ছা চল দেখা যাক কি হয়,
দুজন কথা বলতে বলতে নাইট ক্লাবের ভিতর ঢুকলাম,
এখানে কম বেশি সব অপরাধী আসে আবার সাধারণ মানুষও আসে,
এখানে পুলিশ আসতে ভয় পায়,
এই এলাকা খুবই বিপদজনক কখন কি হয় বলা যায় না,
এই পুরো এলাকা একজন নিয়ন্ত্রণ করে,
ভিতরে ঢুকে নীলের ছবি দেখাইলাম অনেকজন কে কিন্ত কেউ চিনে না,
হতাশ মনে বের হয়ে পড়ে দুজনেই,
রিতু ইবু স্যার কে বলল,চলেন থানায় যাই নীলের সাথে দেখা করে আসি,
রিতু থানায় গেলো রাত তখন ১০টা বাজে থানায় গিয়ে দেখলো নীল বসে আছে জেলের ভিতর দেয়াল হেলান দিয়ে,
রিতু তখন ইবু স্যার কে বললেন উনিই আমার বর,

তখন ইবু স্যার রিতুর কানে কানে বলল তুমি যা ভাবছো তা না এই হাদারাম,

নীল কে হাদারাম রিতু ইবু স্যারের দিকে আড় চোখে তাকায়,
ইবু স্যার তা বুঝতে পেরে , সরি সরি আসলে এ কি করে কোন ক্রিমিনাল হয় দেখতেই কি বলবো আবার রাগ করবে,

রিতু-হুম সেটা আমিও ভাবছি কি করে সম্ভব,

নীল রিতু কে দেখে এগিয়ে আসলো, আর মায়া ভরা দৃষ্টি দিয়ে বলল,আমার না অনেক ক্ষুধা লাগছে খাবার আনছেন,

তখন রিতু নীলের মায়ার কাছে হার মেনে বিপাকে পড়ে যায় কারণ খাবার আনে নাই,
রিতু বলল,তুমি জাস্ট ৫মিনিট ওয়েট করো আমি খাবার নিয়ে আসছে,

ইবু কে রেখেই থানা থেকে বের হয়ে যায়, ইবু পিছন পিছন ডাকতে থাকে রিতু ভুলেই গেছে যে ইবু স্যার আছে,
রিতু ইবুর ডাক শুনে দাঁড়ায়,
ইবু- আমাকে রেখে কোথাই যাচ্চো,

রিতু - ও স্যার সরি খেওয়াল ছিলো না,আমাকে খাবার আনতে নীলের জন্য,
এনে দিতে পারবেন,

ইবু স্যার মুচকি হেসে, তুমি যা আজ পর্যন্ত বলছো তা কোন দিন শুনি নি করি নি এমন হয়েছে তুমি এখানে অপেক্ষা করো আমি নিয়ে আসছি,

রিতু ইবু স্যারের কথা শুনে দাঁড়ালো রিতু জানে রাত যতই হোক ইবু স্যার হতাশ করবে না,

থানার বাহিরে রিতু দাঁড়িয়ে আছে পাশেই দাঁড়িয়ে আছে একজন কনস্টেবল বয়স্ক করে,

রিতু- চাচা ভালো আছেন?

চাচা ডাক শুনে উনি উত্তর দিলেন আলহামদুলিল্লাহ মা ভালো আছি,আপনি ভালো আছেন।

রিতু-বেশি ভালো নেই, চাচা

--কেনো মা কি হয়েছে,
-থানায় আমার স্বামী,
-কে ঐ নীল রক্ত যার,
--হুম,
-আচ্ছা মা আপনাদের বিয়ে হয়েছে কত বছর,
রিতু তখন হাত দেখিয়ে বলল,এই যে দেখেন এখনো মেহেদীর রং উঠে নাই,
বলতে গেলে বাসর ঘর থেকে ধরে নিয়ে আসছে,

--কিন্ত মা, তাহলে বাচ্চা টা কার।

--কিসের বাচ্চা মানে কার,
-ঐ নীলের সাথে দেখা করতে আসে,
--কি বলেন চাচা,
-আমি নিজের চোখে দেখছি বাবা বলে ডাকছিলো,

রিতু কথা টা শুনে অবাক হয়ে যায় মানে বিশ্বাস করতে পারছে না,
নীলের মেয়ে আসবে কোথা থেকে, পিচ্ছি একটা ছেলে,

এমন সময় ইবু চলে আসলো কলা আর পাউরুটি ছাড়া আর কিছুই পেলো না,

রিতু নিয়ে নীল কে দিলো নীল খাচ্ছে এর মধ্যে রিতু জিজ্ঞেস করলো থানায় কোন বাচ্চা আসছিলো,

নীল খেতে হুম আসছিলো তো,বাচ্চা টা অনেক কিউট কিন্ত ওর বাবা অনেক পচা খুন করে নাকি জেলে আসছে,

রিতু তখন মনে আবার বিশ্বাস ফিরে পেলো,
হয়তো কনস্টেবল চাচার দেখার ভুল নীল তো তা বলল,
নীলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে থানা থেকে বের হলো,
ইবু রিতু কে বাসা পর্যন্ত পৌঁছে দিলো,
বাসায় গিয়ে রিতু ভেজা জামা কাপড় চেন্স করতে যাবে জামার হাতায় নীল কিছু একটা দেখতে পেলো,
রিতু নীল রং টা আঙুল দিয়ে এনে নাকের কাছে ধরলো,
রক্তের গন্ধ আসছে,
তখন রিতুর মাথায় টনক করে একমাত্র নীলের রক্তই তো নীল।
আর হোটেলের যে কালো পোশাক পড়া লোকটা ছিলো সেই তো রিতুর কব্জির উপরে ধরে সরিয়ে ছেলেটির বুকে লাথি মেরে ছিলো,
তার মানে ঐটা নীল।

তখন রিতু আবার ইবু কে ফোন দেয়,
ফোন করে বলে,ইবু স্যার আমার দশজন অফিসার লাগবে,
ইবু- কেনো?

রিতু- শুধু একজন কে ধমকাবো,পারলে আপনিও চলে আসেন,
ইবু স্যার ডিবি পুলিশ উচ্চু পদে আছেন,
রিতু আবার রিং কোট গায়ে চাপিয়ে বের হলো কারণ বাহিরে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে,

রাত তখন ২টা বাজে সেই হোটেলে গেলো,বৃষ্টি থাকায় সেদিন তেমন কোন কাস্টমার ছিলো না,
এই সুযোগ টা তখন রিতু কাজে লাগায়,
রিতু একটা পিস্তল নিয়ে হোটেল মালিকের মাথায় ধরে বলে,
প্রায় ৮টার দিকে এখানে একজন মারা যায় লাথি মেরে বুকের ছাতি ভেঙে যাওয়ার ফলে কিন্ত যে লাথি মেরেছিলো সে কে,
সত্যি না বললে একদম মাথার খুলি উড়িয়ে দিবো,

--আপা আপা শুনেন,আমি উনাকে দেখি নাই,উনি তো মুখে মাস্ক পড়া ছিলো,

-তাহলে ঐ ছেলেগুলো বস বস বলছিলো কেনো,কি দেখে বস বস বলল,
--উনার চোখ নীল উজ্জ্বল ছিলো, আর উনি আমাদের বস,উনার চেহারা আজ পর্যন্ত কেউ দেখেনি,আর উনার রাগ হলে চোখ নীল হয়ে যায়,

রিতু- উনি যে প্লেটে খাচ্ছিলো সেটা আমার চাই আর কাটা চামচ,

-আপা প্লেট টা নিতে পারবেন কিন্ত চামচ টা বাকিয়ে বলের মতো করে ফেলছে,আর নীল রং লেগে আছে,,

রিতু- কই কই সেটা আমার লাগবে এখনই দে,

হোটেল মালিক চামচ দিলো রিতু ইবু স্যার কে বলল স্যার এটা নিশ্চয়ই যে বাকিয়েছে চামচ এর কাটা গুলো তার হাতে ক্ষত তৈরি করেছে,,

ইবু- হুম তা তো অবশ্যই।

রিতু- এবার স্যার থানায় চলেন,

ইবু- এত রাতে যাওয়া যাবে না তোমার,

রিতু প্লেট আর চামচ নিয়ে বাসায় গেলো নিজের কাছে রেখে দিলো,
সকাল হতেই রিতু সেগুলো ফরেনসিকে নিয়ে গেলো,
সেখান থেকে আবার সোজা থানায়,
রিতুর মাথায় অনেক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে,
কিন্ত গিয়ে দেখলো নীল নেই,একদম ফাঁকা,
কনস্টেবল বলল আসামি পালিয়েছে শেষ রাতে,
এবার রিতুর সন্দেহ ঠিক হল,

#পর্ব_৬
,
নীল পালিয়েছে রিতুর মাথা ঠিক নেই,
কারণ নীল এমন ছেলে তা রিতু কল্পনাও করতে পারে নাই,
রিতুর লাইফটাই বরবাদ হয়ে গেলো বলতে মানুষ বলবে দেখো এই মেয়ের আগে একটি বিয়ে হয়েছিলো,
কিন্ত রিতুর মনে জেদ চাপলো নীল কে তা জেনে ছাড়বে,
তাই নীলের বাড়ি চলল সেখান থেকে সব কিছু গুছিয়ে নিজের বাবার বাড়ি যাবে সেখানে ২দিন থেকে থানার কাছে একটা বাসা নিবে,
নীলের বাসায় গেলো কিন্ত দরজা টা খোলা যেখানে রিতু তালা ঝুলিয়ে গিয়েছিল,
রিতু আস্তে করে ভিতরে ঢুকলো এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখলো তারপর শোবার ঘরে গেলো দেখলো নীল শুয়ে আছে,
নীল কে দেখে রিতু অবাক হয়ে গেলো তারপর নীল কে ডাকলো।

-এই এই নীল এই নীল।
-হ্যাঁ হ্যাঁ কে কে? (ভয় পেয়ে)
নীল চোখ খোলে তাকিয়ে দেখলো রিতু
-ওহ আপনি।
-হুম আমি কিন্ত তুমি থানা থেকে পালিয়েছো কেনো।

-এই আপনাকে কে বলল, আমি থানা থেকে পালিয়েছি,
-আমি নিজে থানায় গিয়েছিলাম,
-আপনি ভালো করে জানেন, আমাকে ছেড়ে দিয়েছে,
রিতু থানায় ফোন দিলো ওসি কে আর নীলের নাম বললেন, ওসি বলল নীল কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে,

রিতু যেনো দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বাঁচলো,
বাসায় দাদু না থাকায় নীল জিজ্ঞেস করলো,
নীল-আচ্ছা দাদু কই?
রিতুর চোখ গুলো তখন বড় বড় হয়ে গেলো এখন নীল কে কি উত্তর দিবে,

রিতু-......... চুপ।

নীল- কি হল বলছেন না কেনো দাদু কই?

রিতু-....... চুপ করেই আছে?

নীল- দাদু কই? কথা কানে যাচ্ছে না?(ধমক দিয়ে)

রিতু- চমকে যায় নীলের ধমক খেয়ে।

রিতু-আসলে দাদু কে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না,তোমাকে যেদিন জেলে যাও তারপর দিন থেকে,

নীল- কি? দাদু কে পাওয়া যাচ্ছে না,

রিতু - হুম।

নীল- আমাকে বলেন নাই কেনো,

রিতু- এখন রিতু পড়ে যায় বিপাকে কি বলবে,তাই রিতু বলল,

রিতু- বলি নাই এটা আমার ভুল হয়েছে,

নীল- ভুল হয়েছে নাকি আমার দাদু কে খুন করে গুম করে ফেলছেন,

রিতু- কি সব বাজে কথা বলছো আমি কেনো খুন করতে যাবো,

নীল- সম্পত্তির লোভে?

রিতু- হোয়াট?

নীল- ইয়েস বিকস,আমি জেলে দাদু গুম এই বিশাল সম্পত্তির মালিক কে থাকে তাহলে? ইউ?
তারপর আপনার পছন্দ মতো কোন ছেলে কে বিয়ে,
নীলের কথা ধরতে গেলে সত্যি,

রিতু- নীল দেখো আমি এমন টা করি নাই, তুমি আমাকে ভুল বুঝছো,

নীল- না, আমি ভুল বুঝছি না,আপনি চাইলেই আমাকে জেল থেকে বের করতে পারতেন,
কিন্ত আপনি তা করেন নাই,
নিজের ক্ষমতায় জেল থেকে বের হয়েছি,আর রাতের মধ্যে আমার দাদু কে চাই না হলে মামলা করতে বাধ্য হবো,

রিতু নীল যা মনে করেছিলো নীল তেমন না,আর নীল কে বলতেও পারছে ন,যে আমি তোমাকে সন্দেহ করেছিলাম
তুমি এই তুমি সেই,
তাহলে আরো বিপদে পড়ে যাবে রিতু,

উপায় না বুঝে রিতু মাথা ঘুরে পড়ে গেলো কিন্ত এটা একটা রিতুর অভিনয় ছিলো,যাতে নীলের কাছে কোন কৈফিয়ত না দিতে হয়,
নীল রিতু কে ধরে বেডে শুইয়ে দিয়ে কালো লম্বা চাদর মুরি দিয়ে বের হলো রিতু তখন আড় চোখে সব দেখছিলো,
সব থেকে বড় একটা আশ্চর্য কথা হল রুমের ভিতর একটা গোপন কক্ষ আছে যা রিতু জানে না কিন্ত আজ তা জানতে পেরেছে,
রিতু মনে মনে ঠিক করলো নীল একবার বের হোক তারপর দেখা যাক,

নীল বের হওয়ার সাথে সাথে রিতু উঠে দরজা লক করে গোপন কক্ষে যেতে চায় কিন্ত সেখানে কোন দরজা বা যাওয়ার কোন রাস্তা খোঁজে পেলো না,
কিন্ত কিছুক্ষণ আগেই দিব্যি দরজা দেখতে পেলো,
এখন রিতুর মাথা সত্যি সত্যি ঘুরছে,

ভেবে কিছু পাচ্ছে না থো মেরে বসে আছে রিতু,
দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেলো কিন্ত নীলের কোন খবর নেই,
রিতু এটা বুঝে গেছে নীল কোন সাধারণ মানুষ না,
রাত ১১টা ১৯ মিনিটে একটা কল আসে নীলের বিপদ,হসপিটালে আছে নীল।
অজানা এক অনুভূতির টানে রিতু ছোটে গেলো হসপিটালে সেখানে গিয়ে অবাক কান্ড পিচ্ছি একটা মেয়ে নীল কে রক্ত দিচ্ছে সব চেয়ে অবাক করা কথা হল মেয়েটির রক্তও নীল,
পিচ্ছি মেয়েটির বয়স আনুমানিক ৫-৬ বছর,
আর যিনি ডক্টর মনে হচ্ছে না উনি এই হসপিটালের দেখতে কেমন জানি ইয়া বড় বড় গোঁফ,
হঠাৎ একটা ব্যাগ চোখে পড়লো মনে হচ্ছে বাঘের চামড়া দিয়ে বানানো,
নার্স গুলো কোন কথা বলছে না হা করে তাকিয়ে আছে,
নীলের শরীরে যে রক্ত যাচ্ছে মনে হচ্ছে নীল রং যাচ্ছে,
রক্তের ব্যাগ দেখে মনে হচ্ছে নীল রং এর ডিব্বা ঝুলিয়ে রাখছে,
রক্ত দেওয়া শেষ হল, নীলের শরীরে
রিতু কিছু বলতে যাবে।
ডাক্তার বলল হুসসস চুপ।
নীলের শরীরে জায়গায় জায়গায় আঁচড়ের দাগ মনে হচ্ছে হিংস্র কোন জানোয়ার এর থাবা,
হঠাৎ রিতুর ওয়াশরুম চাপ হলো তাই সে উঠে ওয়াশরুমে গেলো কিন্ত ফিরে এসে যা দেখলো তা দেখে চোখ কপালে উঠে গেলো,


#পর্ব_৭
,
রিতু এসে দেখলো পিচ্ছি মেয়েটি গায়েব আর সেই অদ্ভুত ডক্টরটিও নেই,
নীল সুস্থ হয়ে বসে আছে বেডে কি অদ্ভুত ব্যাপার,
রিতুর মনে হচ্ছে আমি কি ভুল দেখছি
এতক্ষণ, নাকি টাইম ট্রাবল করছি,
কোন টা কিছুই বুঝতে পারছি না,
রিতু ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নিরব
দর্শকের মতো বসে আছে,
কিছু বলছে না,
অবুঝ শিশুর মতো বসে আছে রিতু মুখে কোন কথা নাই,
নীল আবার শুয়ে পড়লো।
রিতু নীলের দিকে তাকিয়ে আছে
কি কিউট ছেলে,
নীল কে দেখেই যে কোন মেয়ে
ক্রাশ খাবে সেখানে রিতু তো,,,,,,,?
নীলের চুল গুলো ফ্যানের বাতাসে উড়ছে,
রিতুর ইচ্ছে করছে নীলের চুল একটু স্পর্শ করতে,
কিন্ত কি ভাবে চুল গুলো ধরবে,
এমন সময় নীল বলল,যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি,

রিতু- হুম বলো,

নীল- আমার খুব মাথা ব্যথা করছে একটু হাত বুলিয়ে দিবেন,

রিতু- মনে মনে এই তো সুযোগ,
রিতু দেড়ি না করে মাথার কাছে বসে
নীলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো,
নীল মাঝে চোখ বুঝে আবার খোলে ঘুম ঘুম ভাব,
একটু পর নীল ঘুমিয়েই পড়লো,।
রিতু নীল কে রেখে হসপিটাল থেকে
বের হল,
বের হয়ে মনে হল রিতু কোন মায়াজাল থেকে বের হল,
হঠাৎ মনে হল রিতুর, নীলের কি হয়েছে
শরীরে তো এখন কোন ক্ষত নেই,
রিতুর মনে অনেক প্রশ্ন কিন্ত নীলের কাছে গেলে সব ভুলে যায়,
এই সব আর কিছুই মনে থাকে না,
রিতু রেগে আগুন হয়ে বাসার দিকে গেলো,
ফ্রেশ হয়ে ঠাস করে বিছানায় শুয়ে পড়লো,
রিতুর কাছে রুম টা কেমন নীল মন্র হচ্ছে, মনে হচ্ছে রুমের ভিতর নীল লাইট লাগানো,

রিতু পিঠের উপর ভর দিয়ে মাথা তুলে তাকালো দেয়ালের এক পাশ থেকে
নীল আলো আসছে,
রিতু দেখার জন্য লাফিয়ে উঠে বিছানা থেকে,
আসতে আসতে দেওয়ালের আলোর দিকে এক পা দু পা করে এগিয়ে যায়,
নীল আলোতে রুম টা ঝলমল করছে,
ঠিক নীল দরজার কাছে গিয়ে রিতু অজ্ঞান হয়ে যায় মানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,
যখন রিতুর জ্ঞান ফিরে তখন চোখ খোলে তার বাবা মা কে দেখতে পায়,
সবাই খাটের চার পাশে দাঁড়িয়ে আছে আর রিতু খাটে শুয়ে আছে,
কেমন সব উল্টপাল্ট লাগছে,
এটা তো নীলের ঘর বলে মনে হচ্ছে না
তাহলে আমি কই,
রিতু ভালো করে চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলো,
এটা তো রিতুদের নিজেদের বাড়ি রিতুর নিজের রুম,
দাঁড়িয়ে আছে বাবা মা বাড়ির কাজের লোক রহিমা খালা আর করিম চাচা
কিন্ত নীল নেই কোথাও,

রিতু মা কে ডেকে বলল,মা নীল কোথাই নীল কে তো দেখছি না,

রিতুর মা বাবা তখন রিতুর দিকে তাকিয়ে আছে,

রিতু মা কিছু বলবে তখন রিতুর ফোনের রিংটোন টা চেঁচিয়ে উঠলো,
ফোনের দিক তাকিয়ে দেখলো কনস্টেবল খালেক ভাই লিখা, রিতু ভাবলো এটা আবার কার নাম্বার
রিতু অবাকই হলো অচেনা অজানা একটা নাম্বার তাও সেভ করা
কিন্ত খালেক ভাই টা আবার কে?
রিসিভ করবে কি করবে না ভাবতে ভাবতে রিসিভ করে ফেলে,
রিতু কল টা রিসিভ করে কানে ফোন টা চেপে ধরলো,

রিতু- হ্যালো খালেক ভাই,

-- ম্যাডাম আপনি কোথায়?
--কেনো?আমি বাসায়।( অসংকোচ ভাব নিয়ে)
--ম্যাডাম ১০ নাম্বার স্যালের আসামি তো পালিয়েছে,
--কি......(অবাক হয়ে)দশ নাম্বার সেলের আসামি পালিয়েছে তাই আমার কি?
-কি বলেন ম্যাডাম, আপনার ডিউটির সময় পালিয়েছে আর আপনি বলছেন আপনার কি?
-বড় স্যারের কাছে তো আপনার জবাবদিহি করতে হবে তখন কি বলবেন,
রিতু কথার আগামাথা কিছুই বুঝলো বিরক্ত হয়ে ফোন টা কেটে দিলো,

রিতু ঘড়ির দিকে তাকালো দেখে বেলা ১১টা বাজে,
বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হলো আগে, তারপর রিতুর মা কে জিজ্ঞেস করলো,
মা আমি কত ঘন্টা অজ্ঞান ছিলাম,
আর নীল কোথাই দেখছি না যে নাকি হসপিটাল থেকে রিলিজ পায়নি,
মা তখন মনে রান্না করে কিছু রান্না করছিলো,
কিন্ত এই সব বলাতে মা গরম খুন্তি নিয়ে তেড়ে এসে বলল তুই এখান থেকে যাবি নাকি,

এমন রাগ দেখিয়ে বলল মনে আমি আম্মার কাছে গুপ্তধনের সন্ধান চাইছি।
আমি নিজেও বুঝলাম না এমন করলো কেন,
এত কস্ট করে পুলিশ হয়ে যদি জারিই খেতে হয় তাহলে লাভ কি আমার,
তখন পিচ্ছি ভাইটার কাছে গেলাম বাবার কাছে যেতে সাহস পাইলাম না কারণ যদি উনিও জারি দেয়,
তাই পিচ্ছি ভাই এর কাছে গেলাম পিচ্ছি বলতে ক্লাস ১০ পড়ে,
গিয়ে বললাম এই রিয়াদ তোর দুলাভাই আসছিলো কি?
উমা রিয়াদও চিল্লাইয়া উঠলো মা মা বলে আর বলল তোমার মেয়ের মাথা
গেছে,
কিন্ত আমি কিছুই বুঝলাম না,
একে একে সবার জারি খেয়ে রুমে এসে টিভি দেখতে লাগলাম দুপুর গড়িয়ে সন্ধা, আর সন্ধ্যা শেষ হয়ে রাত,
কিন্ত আমি কিছু বুঝলাম না,
সবাই এমন করছে কেনো,
রাত ১০টায় সবাই কে ডেকে বললাম তোমরা সারাদিন আমার সাথে এমন করছো কেনো,
সবাই শুধু জারি দেয়,আমি জিজ্ঞেস করছি নীল কোথায়, এমন ভাব করছো মনে হয় নীল কে চিনিই না,
ও যে তোমাদের মেয়ের জামাই তা তোমরা মনেই করছো না,
রাগ দেখিয়ে বলল কথা গুলো রিতু,

মা- তুই আমাদের সাথে ফাইজলামি শুরু করছিস,
রিতু- আমি করছি?
মা- হুম তা না হলে আমরা? এটা বলবি তো নীল টা কে?

রিতু মুখে অবাক করা হাসি এনে,মা তোমরা নীল কে চিনো না,যার সাথে আমার বিয়ে দিলে?

বাবা- রিতু তোর কি মাথা ঠিক আছে তুই কি বলছিস,আমরা তোর বিয়ে দিলাম কবে,তোকে বিয়ের কথা কথা বলতে বলতে আমাদের গলা শুকিয়ে গেছে আর তুই বলছিস,

রিতু তখন বড় ধরেন একটা সর্ট খেলো,
দৌড়ে গিয়ে রিতুর প্রতিনের লিখা ডায়েরি টা খোলে দেখলো,
আর যা দেখলো তা অবাক করার চাইতে বেশি কিছু,,,,,,,,
গতকালের ডেট দেওয়া দেখে তো আমার হাতের লিখা মনে হচ্ছে মিলিয়ে নিলাম হ্যাঁ এটা আমি কিন্ত তাহলে কি নীল নামে কেউ নেই তাহলে যার সাথে বিয়ে হল সে কে?
আর খালেক ভাই টা কে, কি হচ্ছে আমার সাথে কিছুই বুঝছি না,,,,,,
বিঃদ্রঃ আগেই বলছি সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থী আমি,আমি খুব ব্যস্ত রাতে ছাড়া ফোন হাতেই নিতে পারি না ব্যস্ততার জন্য,খুব তারাতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাবে, অনেকই অনেক কথা বলছেন ভালো,খারাপ,হাস্যকর, অনেকে বাজে কথা বলে, সে গুলো নাই বললাম আসলে ব্যবহারে বংশের পরিচয়,
আর আমার ব্যবস্থা সারাজীবন থাকবে না,

(চলবে)

  #ষষ্ঠ_পর্বসন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেছে মহেস স‍্যার মদের আড্ডায় মেতেছে আজ! সাথে মনিরাও আছে। অনার্স প্রথম বর্শে ইংরেজিতে পরপর দু...
06/06/2025


#ষষ্ঠ_পর্ব

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেছে মহেস স‍্যার মদের আড্ডায় মেতেছে আজ! সাথে মনিরাও আছে। অনার্স প্রথম বর্শে ইংরেজিতে পরপর দুইবার ফেল করে মহেস স‍্যারের নিকট নিজেকে সপে দিয়ে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হতে এসেছে! অনেক ছাত্রীই এই মহেস নামক জানোয়ারের শিকার! কেউবা স্ব-ইচ্ছায় নিজেকে সপে দিয়েছে, আবার কেউ কেউ পরিস্থিতির শিকার হয়ে।
মনিরা নিজ ইচ্ছায় এসেছে এবং স‍্যারের সাথে ভালো মুহূর্ত উপভোগ করতেছে।
উচ্চবিত্ত ফ‍্যামিলিতে বেড়ে ওঠা মনিরার! পড়াশুনার বিন্দুমাত্রও ইচ্ছা নেই, পরিবারের চাপে এতদূর আসা।
পড়াশুনা তেমন করেনা, বাপের দেওয়া টাকা দিয়ে বন্ধু বান্ধবদের সাথে আড্ডা পার্টিতেই মেতে উঠে।
রাত দেড়টার কাছাকাছি দুজনে মেতে উঠেছে রঙ্গলিলায়। নিজের যৌ*ন মনিরার ও ঝেড়ে ক্লান্ত হয়ে বিছায় শুয়ে আছে দুজন। হঠাৎই মনিরা প্রশ্ন করে বসলো, আচ্ছা স‍্যার আপনি হয়তো জানেন মিম আত্মহত্যা করেছে?
মহেস স‍্যার মদের নেশায়, নেশা ভড়া চোখ নিয়ে বললো, হ‍্যাঁ জানি তো ওই খা*নকি মরে গেছে! তো আমার কি?
মনিরা কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি সত্যিই তার সাথে কিছুই করেন নি? আমার কিন্তু তা মনে হয়না।
হাহাহা করে হেসে উঠে মহেস স‍্যার। হাত বাড়িয়ে মনিরার গাল ছুয়ে বলে, বোকা ছিলো ওই মেয়েটা আত্মরক্ষার জন‍্য প্রটেকশন ব‍্যবহার করতেই পারতো বাট করেনি! তাই তার অকাল মৃত্যু। তবে মেয়েটা বেশ মজাদার ছিলো। আমার ব‍্যবহার করা ওই একটা নারীই ভার্জিন ছিলো, সে হচ্ছে মিম।
মনিরা এসব শুনে মুসকি হেসে বললো, বোকা ছিলো মেয়েটা, তাইতো মৃত্যু সহজেই তাকে আলিঙ্গন করেছে। ওই মৃত্যুটাই আপনি মহেস স‍্যার।
মহেস স‍্যার হাহা করে হেসে উঠে মনিরাকে বলে, তুমি বড্ড স্মার্ট হাসাতেও জানো।
এভাবে লালসার প্রেমালাপে কেটে যেতে থাকে তাদের রাত্রি।

ঐতিহ্যবাহী পোড়া বাড়ি নামক স্থানে মিমের দেহটাকে গোসল করিয়ে গোবর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। যে বাড়িতে গত ৪৮ বছর ধরে কোনো মানুষের পদার্পন ঘটেনি। শুধু নিশাচরেরাই সেখানে বাস করে। জায়গাটা এতটাই ভয়ংকর যে, পশুপাখিরাও সেখানে যেতে ভয় করে।
মিমের কেপে ওঠা শরীরে এখনো নরকীয় সয়তানের দূত জায়গা করে নিতে পারেনি।
শুধুমাত্র নোংরা আবর্জনার নাপাকীয় শরীরের ভিতরেই বাস করতে পারে নরকীয় সয়তানের দূত। তাই তো তান্ত্রিক নয়ন নাপাকী ভাবে মন্ত্র চালান করতেছে।
তান্ত্রিকের রক্তলাল চোখগুলোও মিমের নির্বাক মৃত দেহটার জন‍্য অশ্রু ঝড়াচ্ছে, মায়া বাড়াচ্ছে অবাক চাহনিতে। তবে মহেস স‍্যারের কি একটু মায়া হয়নি? এটা কেমনে সম্ভব, মানুষ এতটাই পাষান হৃদয়ের!
যদি মানুষ মহেস স‍্যারের মতো এতটাই পাষান হৃদয়ের হয়ে থাকে, একটা গরীব অসহায় এতিম মেয়ের জীবন এভাবে অবহেলা লাঞ্চনা আর মিথ‍্যা অপবাদে আত্মহত্যার মতো চরম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে পারে, তাহলে মানুষ না হয়ে আমার নির্বাক পশু হওয়াই শ্রেয় ছিলো।
তবে প্রতেক ধর্মের কিতাবে উল্লেখ্য আছে, মানুষ তার কৃতকর্মের ফল দুনিয়াতে অতি শিঘ্রই ভোগ করবে।

গোবর থেকে মিমের দেহটাকে উঠিয়ে তার সাদা কাফনে কবরের একমুঠো মাটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেহটায় আবৃত করে নেয়।
গোল চক্রে আবারো মিমের দেহটা রেখে নিষিদ্ধ মন্ত্র চালান দিতে থাকে।
দূর থেকে প্রচণ্ড ঝড় বৃষ্টির শব্দের সাথে একটি ভয়ংকর চিৎকার ভেসে আসে!
"না এই কাজ তুমি করিও না, এতে তোমার সাথে মানুষও মরবে। দয়া করো, ওকে তুমি ডেকোনো, ওকে জাগিয়ে দিও না, নরকীয় পিশাচ রক্তখেকো, কাউকেই ছেড়ে দিবেনা।
তান্ত্রিক নয়নের কানে মাইকিংয়ের মতো কথাগুলো বাজতে থাকে! কথাগুলো খুব বিরক্ত লাগে তার, পাশে থাকা লতাপাতা নিজের দুই কানের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয় তবুও চিৎকারগুলো কানে এসে অসস্থি দিচ্ছে।
চোখ বুঝে হাত দিয়ে কান চেপে মন্ত্র চালান করতে থাকে, তবুও চিৎকারগুলো মন্ত্রগুলোকে ভুলিয়ে দিচ্ছে। তান্ত্রিক নয়নের মন্ত্র সহ গুলিয়ে যাচ্ছে সবকিছু, এমতাবস্থায় রাগ আর ক্ষোভে দুই কানে সুচ দিয়ে আঘাত করতে করতে কানের পর্দা ছিন্নভিন্ন করে ফেলে! রক্তের স্রোত নামে তান্ত্রিকের কান হতে। একটা মানুষ কতটা কতটা নিজের কাজের উপর মগ্ন হলে নিজের কান দুটোকেই নষ্ট করে দেয়, তান্ত্রিক নয়নকে না দেখলে হয়তো বিশ্বাস করা দায়।
এটা এটা কি শুধু কাজের প্রতি মগ্ন নাকি এর ভিতরে আরো অনেক কিছু লুকিয়ে আছে?

রক্তের স্রোত ভড়া কানে আর চিৎকার গুলো ভাসেনা! ভাসেনা দূর থেকে আসা ঝড় বৃষ্টির শব্দ। তান্ত্রিক নয়ন এবার মগ্ন হয়ে মন্ত্র পড়তে থাকে!
নিষিদ্ধ মন্ত্রটা 1300 বছর আগেই রাজা প‍্যারানামলের আমল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে! তবে গোপনে লুকিয়ে কিছু অসাধু তান্ত্রিক এটার অপব্যবহার করে যাচ্ছে।
সবার আড়ালে তান্ত্রিক নয়ন হাজারো নিষিদ্ধ মন্ত্র শিক্ষা নিয়েছে।
কখনো কোনোদিন এর অপব্যবহার করেনি! আজকেই প্রথম অবিজ্ঞতার পদার্পনে পায়া দিচ্ছে!
মন্ত্র পড়া শেষে গোল চক্রে কয়েকবার 'ফু' দিতেই হালকা বাতাস জানালা ভেদ করে ভিতরে প্রবেশ করে চারদিকে সুশীল সুলভ ঠান্ডায় পরিণিত করে। থরথর করে কেপে উঠে জমিন! বিদ‍্যুৎ চমকিয়ে উঠে! বজ্রপাত ছাদ ভেদ করে মিমের বুকে আঘাত করতেই চোখ মেলে তাকায় মিম...চলবে

waiting for next part

  #পর্ব৫মেয়েটা কড়া ছিলো রে! ভাবছিলাম ভালো ও ভদ্র মেয়ে, এখন যা দেখতেছি, ছি ছি কি নোংরা মেয়ে। পড়াশুনার নাম করে এতদিন এসব ক...
25/05/2025


#পর্ব৫
মেয়েটা কড়া ছিলো রে! ভাবছিলাম ভালো ও ভদ্র মেয়ে, এখন যা দেখতেছি, ছি ছি কি নোংরা মেয়ে। পড়াশুনার নাম করে এতদিন এসব করতেছিলো! না জানি পেটে কোন প্রেমিকের বাচ্চা। আগে বিশ্বাস করছিলাম না, শহরে গেলে মানুষ খারাপ হয়! এখন নিজের চোখে দেখা শহরে গেলে ভালো মানুষরাও খারাপ হয়। খারাপ হয় ঠিক আছে তবে প্রেগনেন্ট কেমনে হইলো হাহাহাহ।
কথাগুলো মিমের কাছে বিষের মতো লাগে! সে সিদ্ধান্ত নিলো আত্মহত্যার! মাগরিব শেষে এশার নামাজের সময় নামাজ পড়ে নিজের মনের সমস্ত অভিযোগ সৃষ্টিকর্তার নিকট বলে হালকা হয়ে নিলো।
সুন্দর মায়াময়ী পৃথিবী ছেড়ে কার স্ব-ইচ্ছায় মরে যেতে ইচ্ছে হয়? তবে কিছু কিছু মানুষ লাইফে এমন এক পর্যায় পৌছায়, বেঁচে থাকাও তাদের জ‍ন‍্য প্রানঘাতি অস্ত্র হয়ে ওঠে। পার্থক্য এই টুকু বেঁচে থাকলে তীলে তীলে কষ্ট পেয়ে মরতে হবে আর স্ব- ইচ্ছায় একবারেই।
মিম জানে আত্মহত্যা মহাপাপ! তবুও সমাজের লান্ধনায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ‍্য।

রাত কেটে সকাল হলো! পৃথিবীর সবাই আপনাকে দূরদূর করে তাড়িয়ে দিলেও মায়ের মায়া-মহব্বতের দরজা আপনার জন‍্য খোলা থাকবে। তেমনি মিমের খোঁজ নিতে তার মা মিমের রুমে এসে তাকে ডাকতে থাকে। মিমের কোনো সারা শব্দ না পেয়ে খুবই চিন্তিত হয়ে পরেন এবং আশেপাশে কয়েকজনের সাহায্য নিয়ে দরজা ভাঙতেই দেখতে পান ঘরের টিরে ঝুলছে লাল কাপড় পরিহিত মিম! ওড়না টিরে ডেঙ্গে গলার ফাঁস দিয়েছে! চোখ দুটো বড় বড় করে খোলা রেখেছে, চেনো সে ভয়ংকর ভাবে কাউকে খেয়ে ফেলার জন‍্য দেখতেছে! আর জিহ্বা প্রায় একহাত বের হয়ে গেছে, কন্ঠনালী থেকে হয়তো জিহ্বাটা ছিরে গেছে, চিপচিপ করে রক্ত পরেতেছে মেঝেতে।
খুব জোরে চিৎকার করে উঠে ধপ করে মেঝেতে পরে সেখাই মৃত্যু বরণ করেন মিমেও মা'ও।
প্রায় ঘন্টা খানিকের মধ‍্যে মিম এবং তার মায়ের করুণ মৃত্যুর খবর নেট দুনিয়া ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ বলতেছে ওদের মৃত্যুর পিছনে বড় কোনো রহস‍্য আছে, কেউ বলতেছে মেয়েটা হয়তো ভালো, মহেস স‍্যার মেয়েটাকে ব‍্যবহার করে মৃত্যু সজ্জায় নিয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ বলতেছে লজ্জা লাঞ্চনায় মেয়েটা আত্মহত্যা করতে বাধ‍্য হয়েছে, এরকম মেয়ে পৃথিবী থাকলে পৃথিবীর সকল মেয়ের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এরকম নানান মন্তব্যর ভিরে কেউ একজন মিমের মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসে তার বাড়িতে! ততক্ষণে জানাজা শেষে গ্রামবাসীরা মা ও মেয়েকে কবর দিয়ে দেয়। কবরের পানে ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ছেলেটি! সবার ভিরে সে এক রহস‍্যময়ী যুবক, মুখে খোচা খোচা দাড়ি! লম্বা লম্বা উসখো খুসকো চুল! চোখে মুখে প্রচণ্ড রাগের প্রতিচ্ছবি! সে মনে প্রানে বিশ্বাস করে মিমকে ব্লাকমেইলের মাধ‍্যমে জোর করে দিনের পর দিন ধর্ষন করেছে মহেস স‍্যার! মিমের মৃত্যুর জন‍্য মহেস স‍্যারের পাশাপাশি ভার্সিটির কিছু পোলাপান দায়ী! যারা মহেস স‍্যারের পক্ষ নিয়ে মিছিল করেছিলো।
দোয়া দরুদ পরে সবাই সবার নিজ গৃহে ফিরে যায়।
লম্বা চুলওয়ালা ছেলেটা কবরের খুব কাছে গিয়ে সবার আড়ালে একমুঠো মাটি নিয়ে যেখান থেকে চলে যায়।


রাত গভীর।
গ্রামের চারপাশে ঘন কুয়াশা, নিঃশব্দ নিস্তব্ধতা। শুধু মাঝে মাঝে শোনা যাচ্ছে ঝিঁঝিঁ পোকাদের অস্পষ্ট সুর।
একটা ছায়ামূর্তি এগিয়ে আসছে—কাঁধে কোদাল, চোখ দুটো লাল টকটকে, যেন আগুনে জ্বলছে। মুখে অদ্ভুত রাগ আর বেদনার ছাপ।

সে থামে মিমের কবরের সামনে। কিছুক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। হঠাৎ, ভয়ানক শক্তিতে কোদালের একের পর এক আঘাতে ভাঙতে থাকে কবরের মাটি। প্রতিটি কোপে চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।
একসময়, কবরের গভীরে পাওয়া যায় মিমের নিথর দেহ। ছায়ামূর্তি ঝুঁকে পড়ে, হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেয় মৃত শরীরটিকে। তার চোখের লাল রঙ তখনো ফোটে, তবে এখন সেখানে জল গড়িয়ে পড়ছে।
মিমের দেহটি কাঁধে তুলে নেয় সে। কাঁদতে কাঁদতে ধীরে ধীরে ফিরে আসে। কোদাল দিয়ে কবর আবার আগের মতো ঠিক করে।
পাশে দাঁড়ানো একটা পুরনো ভ্যানের দিকে এগোয় সে কাঁধে মৃতদেহ, হাতে কোদাল।
ভ্যানের পেছনে মিমের দেহটা শুইয়ে দিয়ে গাড়ির চাবি ঘোরায়। ভ্যানটি স্টার্ট নেয়... আর ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে অন্ধকার রাতে। গন্তব্য? অজানা। উদ্দেশ্য? আরও অজানা। তবে শীতল বাতাসে ভেসে আসে একটাই প্রশ্ন সে কি ফিরিয়ে আনতে চায় মিমকে?"

ভ্যানটা গ্রামের সীমানা ছাড়িয়ে একটা পুরনো, পরিত্যক্ত বাড়ির সামনে থামে। চাঁদের আলোয় ভাঙা জানালাগুলো যেন ফিসফিস করে কিছু বলছে। বাতাসে ভেসে আসে আগরবাতির গন্ধ, সঙ্গে হাড় হিম করা এক অজানা গুঞ্জন।

সে যার নাম কেউ জানে না, শুধু ডাকে ‘তান্ত্রিক নয়ন’—ভ্যানের দরজা খুলে মিমের নিথর দেহটাকে নামায়। বুকের মধ্যে একটুও কাঁপন নেই, শুধু চোখে সেই একই রক্তলাল দৃষ্টি।

বাড়ির ভেতরে মাটির নিচে ছোট এক গুহা আছে। সেই গুহায় সে নিয়ে যায় দেহটিকে। গুহার মাঝে গোল করে আঁকা এক ভয়ংকর তান্ত্রিক চক্র, রক্তে লেখা কিছু নিষিদ্ধ মন্ত্র।

নয়ন নিজের কাটা আঙুল থেকে রক্ত ঝরিয়ে দেয় সেই চক্রে। মুখে ফিসফিস করে পড়ে যেতে থাকে পুরনো শয়তানি ভাষার মন্ত্র:

“ইয়া মালকুল জিন্ন... ইহজুর! রুহে লা-ইন ফির আউরত-এ-মাইয়েত
গুহার বাতি দপ করে নিভে যায়। এক ঝটকায় মিমের দেহটা কেঁপে ওঠে! চোখ না খুললেও, আঙুল একটু নাড়ায়!
তান্ত্রিক নয়নের মুখে বাঁকা হাসি
“ফিরে এসেছো, মিম। তবে তুমি আর তুমি নও

তার চোখে তৃপ্তি, তবে মুখে ভয়। কারণ সে জানে মিমের দেহে এখন যা আছে, তা মিম নয়
তা এক পিশাচী আত্মা, শয়তানের দূত।
তারপর শুরু হয় অশুভ কিছু যা পুরো গ্রামের রাতকে গিলে খাবে...চলবে


#পর্ব৫

waiting for next part

 #নীল_রক্ত #সিজন_১ #পর্ব_৩_৪লেখক_নীল_মাহামুদ নীলের শরীরে নীল রক্ত, রিপোর্ট টা দেখে চমকে যায় রিতু,মানে বিশ্বাস হচ্ছে না ,...
21/05/2025

#নীল_রক্ত
#সিজন_১
#পর্ব_৩_৪
লেখক_নীল_মাহামুদ


নীলের শরীরে নীল রক্ত, রিপোর্ট টা দেখে চমকে যায় রিতু,
মানে বিশ্বাস হচ্ছে না ,
রিতু আধো হাসি দিয়ে বললেন ওসি আকবর কে, আমাকে কি বোকা মনে হয় কোন দিক থেকে,

ওসি- দেখেন মিস রিতু প্রথম যখন
নীলের শরীর থেকে নীল রক্ত বের হতে
দেখলাম তখন আমারও বোকা হয়ে গিয়ে ছিলাম।
কিন্ত ডক্টর রা এর কোন ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই,

আপনার বিশ্বাস না হলে মেরে আবার রক্ত বের করে দেখাবো,

রিতু-........ কথা টা খুব কস্টে হজম করে বললেন, না তার দরকার নেই,

ওসি- এবার আসতে পারেন মিস রিতু,

রিতু- আমি কখন যাবো আসবো সেটা আপনার বলতে হবে না,,

ওসি- আপনার তো দেখি দেমাগ কম না ইচ্ছে করলে এখনি তা মাটির সাথে,

রিতু- আচ্ছা আপনার কি ছেড়া জুতা দিয়ে মাইর খাওয়ার শখ হয়েছে নাকি নতুন জুতা দিয়ে,

ওসি আকবর রেগে দাঁড়িয়ে গেলেন, আর বললেন মুখ সামলে কথা বলুন।
না হলে ভুলে যাবো,

রিতু- আপনাকে ভুলে যেতে হবে না আপনাকে ভুলিয়ে দিবো জাস্ট ওয়েট
অ্যান্ড সি,

বলে রিতু থানা থেকে বের হয়ে গেলো,

নীল থানায় রিতু কি করবে বুঝতে পারছে না,
থানায় ফোন করে ছুটি বাতিল করলো,
রিতুর হাতে লাল টকটকে মেহেদী এখনো শুকাইনি।
আর ডিউটিতে জয়েন করতে হচ্ছে,
রিতু নীলের দাদুর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের বাড়ি গেলো,

গিয়ে আগে রিতুর বাবাকে জিজ্ঞেস করলো, বাবা তুমি আমাকে একটা কথা বলো তো,

বাবা- হুম কি?

রিতু- তুমি নীলের বাবাকে কত বছর ধরে চিনো,

বাবা- নীলের বাবা আমার ছোট বেলার বন্ধু, কিন্ত দুঃখ একটাই সেটা হল আমার বন্ধুকে শেষ বেলায় দেখতে পারলাম না,

রিতু কৌতুহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলো দেখতে পারো নাই মানে?

বাবা- দেখতে পারি নাই মানে নীল আর ওর দাদু এই এলাকায় নতুন আসছে
মাত্র ৪মাস আগে,,

রিতু- ওহ মাই গড,বাবা এই ভুল তুমি
কি ভাবে করলে,

বাবা-কেনো রে...মা আমি কি ভুল করলাম,

রিতু- তুমি চিনো না জানো না আর আমাকে বিয়ে দিয়ে দিলে,,

বাবা- নীলের বাবা আমার বন্ধু কি চিনবো জানবো,

রিতু-দেখো বাবা নীল ইন্টারে পড়ে না ওর কলেজ থেকে যা জেনেছি,
আর নীল সাধারণ কোন মানুষ নয়,

বাবা- মানে কি বলছিস তুই নীল সাধারণ না তো কি?

রিতু- নীলের ব্লাড হচ্ছে ব্লু, ব্লু ব্লাড,

বাবা-কি বলিস,

রিতু- হুম, আর আমাকে নীল সম্পর্কে জানতেই হবে, আমি আজকেই থানায় জয়েন করছি,আমি এখন থানায় যাবো,
বাই বাবা,
বলে বের হয়ে পড়লো রিতু,,,,

বাসায় বসে থাকলে তো আর নীল কে ছাড়ানো যাবে না,
চাইলেই ৫মিনিটের মধ্যে নীল কে ছাড়াতে পারি কিন্ত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আছে, তাই অসৎ পন্থায় যেতে চাই না,
কিন্ত উর্ধতন কর্মকর্তা ধরে নীলের থানায় পোস্টিং নিলো রিতু আর ওসি আকবরের ট্রান্সফার করেই যাচ্ছেন ঐ থানায়,
পরের দিন থানায় জয়েন করে রিতু
কিন্ত দূর্ভাগ্যবশত নীলের কেইস টা
নিজের হাতে নিতে পারে না ওসি আকবার এমন চাল চেলে গেছে রিতুর হাতে কেস নিতে পারছে না,
আর সেদিন থানায় গিয়ে শুনে তাকে আরও ১৫দিন পর জয়েন করতে হবে কোন এক কারনে,

রিতু আবার হতাশ হয়ে বাসায় ফিরে আসে বাড়ি বলতে শ্বশুর বাড়ি কাছে হওয়ায়,
কিন্ত দুঃখের কথা হল নীলের দাদু বাড়ি থেকে হাওয়া মানে নিখোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না,
এই বার রিতুর সন্দেহ ১০০ তে ১০০ মিলে গেলো,
এই সব নীলের সাজানো নাটক কিন্ত কোথা থেকে কি হয়েছে বুঝা যাচ্ছে না,

রিতু পুরো বাড়ি খুজতে লাগলো যদি কোন ক্লু পাওয়া যায় নীলের আসলে নীল কে কি চায়,

এমন সময় বাহিরে থেকে গুলির আওয়াজ আসে, ৬বার শ্যুট করে জানালা দিয়ে,
কিন্ত ভাগ্য ভালো রিতু তখন আলমারির পিছনে ছিলো,
তাই গুলি লাগে না,
কিন্ত না হলে খবর হয়ে যেতো রিতুর,
গুলি থামতেই রিতু নিজের নিজেরব
পিস্তল টা বের করে তাক করে একটি গুলি ছুড়তেই দুজন লোক বাইকে চেপে পালিয়ে যায়,
লোক দুটো হেলমেট পড়া ছিলো,

পরের দিন সকাল বেলা রিতু নীলের জন্য খাবার নিয়ে যায়,,

নীল কে আজ অন্য রকম লাগছে।
নীল এই প্রথম রিতুর নাম ধরে বলল,।

নীল- রিতু তুমি ঠিক আছো তো?

রিতু- হুম আমি ঠিক আছি কিন্ত...... বলতে চেয়ে রিতু আর কিছু বলল না,।
এই দিকে নীলের দাদু কে পাওয়া যাচ্ছে না সেটা নীল কে বলল না,
কারণ রিতু যেনে গেছে এ আসল নীল না,আমার সামনে জেলে যে আছে নীল
রুপে অন্য কেউ কিন্ত কে তা জানা যাবে পরের পার্টে,,,,

#পর্ব_০৪
,
থানার নতুন ইনচার্জ শামসুল হক সাহেব রিতু কে জানালেন আসামি নীল মাঝে মাঝে জেল হাজত থেকে হঠাৎ হঠাৎ গায়েব হয়ে যায়,
উনি কি অদৃশ্য হওয়ার মন্ত্র জানে নাকি,

ইনচার্জ এর কথায় রিতু একটু ভাবনার জগতে চলে যায়,
এটা কি বলল একটা মানুষ কি করে আবার অদৃশ্য হয়ে যায় নাকি আমার সাথে মজা করছে,কিন্ত একজন ওসি কেনো মজা করবে,
ওসি শামসুল হক সাহেবের ডাকে রিতু ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে,
ভাবনার জগত থেকে ফিরে একবার নীলের দিকে চোখ বুলায়,
নীলের দিকে তাকিয়ে ভাবছে এই বোকা ছেলের দ্বারা এমন কোন কিছু করা কি সম্ভব।
অতিরিক্ত ভাবনা আর কিছু মানুষের
চক্রান্তের ফাঁদে পড়ছি না তো আবার তো নীলের চার দিকে শত্রুর অভাব নেই,

নীল রিতু কে ডাকলো,

নীল- আমাকে এখান থেকে বের করবে কবে,আমার এখানে একদম ভালো লাগে না,

রিতু- খুব তারাতাড়ি বের করবো,

নীল- আচ্ছা দাদু কেমন আছে সে আসে না কেনো আমাকে দেখতে,

রিতু- একটু অসুস্থ আছেন,,,, (মিথ্যা বলল)

নীল- আচ্ছা আমি কি অপরাধ করছি যার জন্য আমাকে এখানে আটকে রাখছে আবার মারে,,

রিতু- আমি জানি না কিন্ত খুব তারাতাড়ি বের করবো তোমাকে,,,তুমি একদম টেনশন করো না,,,,।।
বলে রিতু থানা থেকে বের হলো রিতু কে বারবার একটা জিনিস ভাবিয়ে তুলেছে নীল কি ভাবে জেল থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে,
রিতু বাসায় গিয়ে টিভি ছেড়ে দেশের একটু খবর নিচ্ছিলো কিন্ত ভালো লাগছিলো না বারবার চ্যানেল চেন্স করছিলো,
একটা মুভির দৃশ্যে রিতুর চোখ টা আটকে গেলো সেটা হল একটি নেতার আলাদা একটি গোপন কক্ষ খোঁজে পায় পুলিশ যেখানে সেই নেতা তার অবৈধ কাজ কর্ম করে থাকে,
সেই রুমের তল্লাশি নিয়ে পুলিশ অনেক কিছু পায়,,,
রিতুর মাথায় তখন একটা চিন্তা আসে
এই বাড়িতে এমন আলাদা কিছু নাই তো,
সেটা ভেবে রিতু অনেক খোঁজাখোজি করে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে বসে পড়ে,।
একটু জিড়িয়ে নেওয়ার জন্য
সোফায় মাথা হেলান দিয়ে বসে আছে
রিতু, হঠাৎ ফোন টা বের করে ইবু স্যার
কে ফোন দেয়,
রিতু ভাবলো একটু অপরাধীদের আঁতুড় ঘর দিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে আসা যাক,
তাই একা বের হওয়া ঠিক হবে না,
ইবু স্যার কে নিয়ে যাওয়া যাক,
ইবু স্যার হচ্ছে রিতুর প্রেমে এক সময় দিওয়ানা ছিলো,এখন আপাতত উনি বিয়ে করে ঘর সংসার করছে,
কিন্ত ইবু স্যার ফোন টা রিসিভ করলো না,
তাই একটা মেসেজ করলো আমি অমুকখানে যাচ্ছি সময় মতো এসে পড়বেন,

তখন প্রায় সন্ধা নেমে আসছে বাহিরে
আবার বৃষ্টি হচ্ছে,
রেইনকোট গাঁয়ে চাপিয়ে বের হয়ে পড়লো রিতু,
রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে চলেছে পিচ ঢালা রাস্তায় গাড়ির হেডলাইট এর আলো পড়ে চকচক করছে
আবার কোথাও কোথাও তো পানি জমে আছে, জমে থাকা পানির উপর দিয়ে
দিয়ে গাড়ির চাকা আসে তখন রিতু কে লাফ দিয়ে সরে যেতে হয় না গায়ের উপর পানি আসবে,
আমার মনে গাড়ির ড্রাইভার গুলো ইচ্ছে করে আমাকে পানি দিচ্ছে,
হাটতে হাটতে চলে গেলো নিজের গন্তব্যে,

ভিতরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছে না এদিকে ইবু স্যার আসেনি,
এই বৃষ্টির মধ্যে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়,
পাশেই ছিলো মা রেস্তোরাঁ খাওয়ার হোটেল,
এই বৃষ্টির মধ্যে ভুনা খিচুড়ি আর ডিম
ভাজির সুগন্ধে আশেপাশে ছুড়িয়ে পড়েছে,
এমন প্রিয় খাবার রেখে কেমনে দাঁড়িয়ে থাকা যায়,
তাই রিতু লোভ সামলাতে না পেরে ভিতরে প্রবেশ করে,
কিন্ত তখন বিদ্যুৎ ছিলো না প্রতিটি টেবিলে ছিলো একটি করে মোমবাতি।
বেশ চমৎকারই লাগছিলো,
রিতু গিয়ে বসে পড়লো এক কোনের টেবিলে,আর গরম গরম প্রিয় খাবার গুলো অর্ডার করলো, কিন্ত ভয় হলো
এলাকাটি সন্ত্রাসীদের আতুড়ঘর, মনে হয় প্রতিদিন হোটেলটিতে কিছু বখাটে ছেলেপেলে বসে থাকে,আজও আছে,
এই অসময় মেয়ে মানুষ দেখে ছেলে গুলো আস্তে আস্তে রিতুর টেবিলের দিকে যেতে থাকে,
কিন্ত রিতু মন দিয়ে তার প্রিয় খাবার গুলো খাচ্ছে,,,
কিন্ত হোটেল যে কখন জনশূন্য হয়ে গেছে তা রিতু খেয়ালই করেনি,
রিতু পানির বোতল চাইতে গিয়ে তাকিয়ে দেখে কিছু ছেলে বসে আছে,
এক সাথে ছেলে গুলো কে দেখেই বুঝা যাচ্ছে নেশাপানি খায়,
কিন্ত একটু দূরেই একজন কালো পোশাক পড়া মুখ দেখা যাচ্ছে না,
কাটা চামচ দিয়ে কিছু খাচ্ছে কারণ শব্দ শুনে বুঝা যাচ্ছে,
রিতুর মনে পুরো ভয় ইবু স্যার কি এখনো আমার মেসেজ পায়নি,
ভয় হচ্ছে খুব,
এমন সময় বখাটে একটি ছেলে এসে খপ করে ধরে বলল চলো মামুনি এবার আমাদের খাওয়াবে বলে টান দিতেই।
হাতির মতো বিশাল পা দিয়ে ছেলেটির বুকে লাথি মারে,
ছেলেটি গিয়ে পড়ে বাকি বখাটেদের
সামনে তাকিয়ে দেখে বুকের হাড় গুলো পিঠের সাথে লেগে গেছে,
রিতু দেখলো পাশের টেবিলে বসা সেই লোক কিন্ত মুখ দেখা যাচ্ছে না।
লোকটি বুখাটেদের দিকে এগিয়ে যেতেই বিদ্যুৎ চলে আসে ফলে ছেলে গুলো লোকটিকে দেখে ফেলে আর বস বস বলে পায়ে পড়ে যায়,
লোকটি এক হাত উঁচু করে ৪ আঙুল
মোস্টি করে, আবার খোলে,
হোটেল এর মালিক বুঝে লাইট অফ করতে বলল,আবার অন,
লাইট অফ কিন্ত রিতু দেখতে পেলো না,
কিন্ত লাইট অন করতেই লোকটি আর নেই,,,

(চলবে)

Address

Chandpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Hey You posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Hey You:

Share