21/07/2025
আজকের ঘটনাটা কোনো দুর্ঘটনা না, এটা দুঘর্টনা হতেই পারে না।এটা একটা ভয়াবহ অবহেলার ফল।
একটা যুদ্ধবিমান কিভাবে স্কুল ও কলেজের ওপর এসে পরে?
স্কুলের ছেলেমেয়েরা তখনও ক্লাসে ছিল।একটা ছেলে কাঁদতে কাদতে বলছে,ভাই আর দশটা মিনিট পর স্কুল ছুটি হতো।দশটা মিনিট.....
একটা যুদ্ধবিমান, একটা প্রশিক্ষণের অংশ।কিন্তু শহরের ভেতর, এত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ কেন?স্কুল-কলেজ, আবাসিক এলাকা, বাজার—এই সব জায়গার ওপর দিয়ে প্রতিদিন যুদ্ধবিমান ওড়ানোটা কি স্বাভাবিক?
আজ যে শিশুরা স্কুলে গিয়েছিল,তারা জানত না, এটাই হয়তো তাদের জীবনের শেষ দিন।
পুড়ে যাওয়া মুখ, কান্নায় ভেঙে পড়া বাবা-মা, আতঙ্কে ছুটে বেড়ানো মানুষ—সব মিলে এক ভয়ংকর ট্র্যাজেডি।
আরেকটা ব্যাপার আমার মাথায় ঢুকছে না,
বাচ্চাদের আইডি কার্ডে অভিভাবকের ফোন নাম্বারই নেই।
আমি এখন পর্যন্ত ২০-২৫ টা পোস্ট দেখলাম অভিভাবক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
স্কুলের আইডি কার্ডে কেন কোনো অভিভাবকের ফোন নাম্বার থাকবে না?
দুর্ঘটনার পর অনেক শিশুর অভিভাবককে খুঁজে বের করতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যাচ্ছে।
এটা কি কোনো আধুনিক প্রতিষ্ঠানের কাছে গ্রহণযোগ্য?তাও আবার মাইলস্টোনের মতো একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে!
আর সাংবাদিকতা?
এদের মতো বাইন**,একজন মা দৌড়ে বেড়াচ্ছেন, পোড়া দেহের ভিড়ে নিজের সন্তানকে খুঁজছেন…
চেনার মতো তো কিছু নেই—চুল পুড়ে গেছে, মুখ বিকৃত হয়ে গেছে...
আর তখন আমাদের মহান সাংবাদিক প্রশ্ন করছেন,আপনার কেমন লাগছে?
কেমন লাগছে?
এটা কি একটা প্রশ্ন?এটা কেমনতর প্রশ্ন?
একজন মা তার ছেলের পোড়া মুখ খুঁজে বেড়াচ্ছে, তখন তার অনুভূতি জানাটা আপনাদের জন্য এতই জরুরি?
এটা কেমন তর সাংবাদিকতা?
এই কেমনতর ‘হিউম্যান অ্যাঙ্গেল’ কভার করা?
প্রতিটা ঘটনা,দুঘর্টনার ভিক্টিম আপনাদের কাছে শুধুই একটা কন্টেন্ট আইটেম? ভাইরাল হেডলাইন?
©