Zannatul Luba

Zannatul  Luba "হে প্রশান্ত আত্মা,
তুমি তোমার পালনকর্তার নিকট ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে।"
(সূরা ফজর - ২৭,২৮)

30/01/2025

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, কেউ যদি দাজ্জালকে পায়, সে যেন সূরা কাহাফের শুরুর অংশ পড়ে।
কিয়ামত অব্দি যতগুলো ফিতনা আসবে, হাদিসে দাজ্জালের ফিতনাকেই সবচেয়ে বড় ফিতনা বলা হয়েছে।

অর্থাৎ, পৃথিবীর কোনো ফিতনাই দাজ্জালের ফিতনার চেয়ে বড় নয়।

সূরা কাহাফ পড়লে যদি সবচেয়ে বড় ফিতনা থেকে আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখবেন, তাহলে ছোটো ফিতনাগুলো থেকে বাঁচতে কেন আমরা সেখানে ছুটে যাই না!

চারিদিকে ফিতনার হাতছানি। এমন কঠিন সময়ে আমাদের আঁকড়ে ধরতে হবে সূরা কাহাফ। ফিরে যেতে হবে কুর'আনের প্রতিটি পাতায়...
-সংগৃহীত

30/01/2025

‘ভুলে যাওয়া’ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার এক বিশেষ নেয়ামত। তিনি যদি আমাদের এই নিয়ামত না দিতেন, বেঁচে থাকাটা যে কী ভীষণ দুঃসহ হয়ে উঠত তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

প্রিয় কোন মানুষ যখন মারা যায়, প্রথম কিছুদিন আমাদের অসম্ভব খারাপ লাগে। সারাটা দুনিয়াটাকেই কেমন রঙহীন, বিস্বাদ আর বিরক্ত লাগে কিছুদিন।

কিন্তু, সময় যত গড়ায়, আমরা আস্তে আস্তে সেই শোক আর ক্ষতটা সেরে উঠি। সময়ের সাথে সাথে প্রিয় মানুষের স্মৃতিগুলোও ধূসর হতে থাকে আমাদের মানসপটে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যদি আমাদেরকে এই ‘ভুলে যাওয়ার’ ক্ষমতাটুকুনা দিতেন, ভাবুন তো কেমন হতো আমাদের জীবনটা? একবার শুধু চিন্তা করুন, আপনার মা মারা যাওয়ার দিন যে কষ্ট আপনার অনুভূত হবে, পাঁচবছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও যদি আপনার ঠিক একইরকম কষ্ট লাগে, আপনি কি আদৌ বেঁচে থাকতে পারবেন?

আবার, ভবিষ্যত না জানাও একরকম নিয়ামত।

ধরুন, আজ রাতে যদি কোনোভাবে আপনি জেনে যান যে, আপনার ফুটফুটে সন্তানটা আগামি বছরের ঠিক আজকের দিনটায় মারা যাবে, আপনার দ্বারা কি সম্ভব হবে আজ থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করে যাওয়া? আপনি কি খেতে পারবেন ঠিক মতো? ঘুমোতে পারবেন এই ভবিষ্যত জেনে নিয়ে?

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলার নির্ধারিত প্রত্যেকটা বিষয় এমনই হিকমাহপূর্ণ। তিনি যখন বান্দাকে কোনোকিছু দেন না বা জানান না, সেটা বান্দার কল্যাণের জন্যেই৷ আবার, তিনি যখন বান্দাকে কোনোকিছু ভুলিয়ে দেন, সেটাও বান্দার কল্যাণের জন্যেই।
সুবহানআল্লাহ। ©️

29/01/2025

একটি সুন্দর হাদিস!!
ধরুন কেউ আপনার সামনে গীবত করলো। আপনি যদি তাকে বাঁধা দেন, তাহলে কী লাভ?

রাসুল ﷺ বলেন,

مَنْ ذَبَّ عَنْ لَحْمِ أَخِيهِ بِالْمَغِيبَةِ كَانَ حَقًّا عَلَى اللَّهِ أَنْ
يُعْتِقَهُ مِنَ النَّارِ

যে ব্যক্তি কাউকে গীবত করা থেকে বাঁধা দিবে, ঐ ব্যক্তিকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করা আল্লাহর জন্য হক (জরুরি) হয়ে যায়। (বায়হাকি, ৭৬৪৩)

28/01/2025

⚔️ ইহকালে কোন মানুষ আল্লাহকে দেখতে পারবে নাঃ

✒️আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে প্রশ্ন করলাম, আপনি কি (মি’রাজের রাত্রে) আপনার প্রভুকে দেখেছেন? জবাবে তিনি (সা.) বললেন, তিনি তো এক বিরাট জ্যোতি বা আলো, অতএব আমি তাকে কিভাবে দেখতে পারি?
📜মিশকাতঃ ৫৬৫৯
হাদিসের মানঃ সহিহ‌ 🟩

✒️যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... মাসরূক (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ) এর মাজলিসে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। তখন তিনি বলছেন, হে আবূ আয়িশাহ। তিনটি কথা এমন, যে এর কোন একটি বলল, সে আল্লাহ সম্পর্কে ভীষণ অপবাদ দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে এ কথা বলে যে, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতিপালককে দেখেছেন, সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দিল। রাবী মাসরূক বলেন, আমি তো হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলাম, এবার সোজা হয়ে বসলাম। বললাম, হে উন্মুল মুমিনীন! থামুন। আমাকে সময় দিন, ব্যস্ত হবেন না। আল্লাহ তা’আলা কুরআনে কি বলেননিঃ “তিনি (রাসূল) তো তাকে (আল্লাহকে) স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছেন- (সূরাহ আত তাকভীর ৮১ঃ ২৩)। অন্যত্র “নিশ্চয় তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন"- (সূরাহ আন নাজম ৫৩ঃ ১৩)।
আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বলেন, আমিই এ উম্মতের প্রথম ব্যক্তি, যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেনঃ তিনি তো ছিলেন জিবরীল (আঃ)। কেবলমাত্র এ দু’বারই আমি তাকে তার আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাকে আসমান থেকে অবতরণ করতে দেখেছি। তার বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী সব স্থানটুকু৷ আয়িশাহ (রাযিঃ) আরো বলেন, তুমি শোননি? আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তার অধিগত এবং তিনি সূক্ষ্মদৰ্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত"- (সুরাহ আল আন’আম ৬ঃ ১০৩)। এরূপে তুমি কি শোননি? আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ "মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে, অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে, অথবা এমন দূত প্রেরণ ব্যতিরেকে যে তার অনুমতিক্রমে তিনি চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাময়"- (সূরাহ আশ শূরা ৪২ঃ ৫১)।
’আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আর ঐ ব্যক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “হে রাসূল! আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন, যদি তা না করেন তবে আপনি তার বার্তা প্রচারই করলেন না (সূরাহ আল মায়িদাহ ৫ঃ ৬৭)। তিনি [আয়িশাহ (রাযিঃ)] আরো বলেন, যে ব্যক্তি এ কথা বলে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর ওয়াহী ব্যতীত আগামীকাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেন, "বল, আসমান ও জমিনে আল্লাহ ব্যতীত গায়ব সম্পর্কে কেউ জানে না"
📜 সহীহ মুসলিমঃ ১৭৭
হাদিসের মানঃ সহিহ‌ 🟩



28/01/2025

ওহে আল্লাহর বান্দা!

তুমি কি সেই ব্যক্তি নও, যে বার বার আল্লাহর কাছে প্রতিজ্ঞা করেও তাওবার ওপর অটল থাকতে পারে না?

তুমি কি সেই ব্যক্তি নও, যার গুনাহগুলো সব প্রকাশ করে দেওয়া হলে সমাজের কেউ তার পাশে ঘেঁষবে না?

তুমি কি সেই ব্যক্তি নও, যার নেক আমলের ত্রুটিগুলো ধরা শুরু করলে কোনো আমলেরই আর মূল্য থাকবে না?

তুমি কি সেই ব্যক্তি নও, যার বাহ্যিক ধার্মিকতার সাথে গোপন ধার্মিকতার লেশমাত্র মিল পাওয়া যায় না?

হ্যাঁ, তুমিই সে বান্দা। তারপরও কীসের এত অহংকার? কীসের এত বড়াই? কোন যোগ্যতায় অন্যদের তুচ্ছজ্ঞান করো? অন্যের গীবত গাও?

হায়, বান্দা যদি জানতো, তাঁর রব তার প্রতি কতটা ধৈর্যশীল, শাস্তিদানের আগে কত শতবার অনুগ্রহ করে যাচ্ছেন, গুনাহের পর গুনাহ ঢেকে রাখছেন, কেউ জানার আগেই মাফ করে দিচ্ছেন, কতভাবে তাওবার সুযোগ করে দিচ্ছেন... হায়! বান্দা যদি জানতো!©️

পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন,یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَحِلُّ لَكُمْ اَنْ تَرِثُوا النِّسَآءَ كَرْ...
26/01/2025

পবিত্র কুরআন মাজীদে আল্লাহ তাআলা বলেন,

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا لَا یَحِلُّ لَكُمْ اَنْ تَرِثُوا النِّسَآءَ كَرْهًا ؕ وَ لَا تَعْضُلُوْهُنَّ لِتَذْهَبُوْا بِبَعْضِ مَاۤ اٰتَیْتُمُوْهُنَّ اِلَّاۤ اَنْ یَّاْتِیْنَ بِفَاحِشَةٍ مُّبَیِّنَةٍ ۚ وَ عَاشِرُوْهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ ۚ فَاِنْ كَرِهْتُمُوْهُنَّ فَعَسٰۤی اَنْ تَكْرَهُوْا شَیْـًٔا وَّ یَجْعَلَ اللّٰهُ فِیْهِ خَیْرًا كَثِیْرًا۝

হে মুমিনগণ! তোমাদের জন্য এটা হালাল নয় যে, তোমরা জোরপূর্বক নারীদের মালিক বনে বসবে। আর তাদেরকে এই উদ্দেশ্যে অবরুদ্ধ করে রেখ না যে, তোমরা তাদেরকে যা কিছু দিয়েছ তার কিয়দংশ আত্মসাৎ করবে। অবশ্য তারা যদি প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়, তবে ভিন্ন কথা। আর তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবন যাপন কর। তোমরা যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে এর যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে যে, তোমরা কোনো জিনিসকে অপছন্দ করছ অথচ আল্লাহ তাতে প্রভূত কল্যাণ নিহিত রেখেছেন।

সূরা আন-নিসা, আয়াত ১৯

১ বার দরুদ পড়লে - আল্লাহ তায়ালা ১০ টা রহমত দেন- ১০ টা গুনাহ মাফ করেন- ১০ টা মর্যাদা বাড়িয়ে দেন- আল্লাহর ফেরেশতারা দুয়া ক...
24/01/2025

১ বার দরুদ পড়লে
- আল্লাহ তায়ালা ১০ টা রহমত দেন
- ১০ টা গুনাহ মাফ করেন
- ১০ টা মর্যাদা বাড়িয়ে দেন
- আল্লাহর ফেরেশতারা দুয়া করেন
- আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দরুদ পৌঁছে দেওয়া হয়। পৌঁছানোর সময় আমার নাম, আমার বাবার নাম বলা হয়।
- এরপর নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে দুয়া করেন। সালাম দিলে সালামের জবাব দিয়ে দেন।

- যে বেশি বেশি দরুদ পড়বে, আল্লাহ তায়ালা তার দুনিয়ার টেনশন, মনের কষ্ট দূর করে দিবেন।

- তার দুয়া কবুল করবেন
- আখিরাতে সে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শাফায়াত পাওয়ার বেশি যোগ্যতা অর্জন করবেন।

আর কিছু বাকি আছে দুনিয়া আখিরাতে?

--- ড: খন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহিমাহুল্লাহ এর দরুদ সংক্রান্ত আলোচনা থেকে সংগৃহীত।

اللهم صل وسلم على نبينا محمد وعلى اله واصحابه
আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ ওয়া আলা আলিহী ওয়া আসহাবিহী আজমাইন।
©️

23/01/2025

দরুদ পড়ুন : اَللَّهُمَّ صَلِّ وَسَلِّمْ عَلَى نَبِيِّنَا مُحَمَّدٍ
(আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম 'আলা নাবিয়্যিনা মুহাম্মাদ)

অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রহমত ও শান্তি দান করুন।

— (সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব : ১/২৭৩)

23/01/2025

★ আল্লাহর সন্তোষ লাভের মুনাজাত
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَضَبِكَ وَالنَّارِ .
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসয়ালুকা রিদ্বোয়া-কা ওয়াল জ্বান্নাতা ওয়া আউ'-যু বিকা মিন গাদ্বাবিকা ওয়ান্ না-র।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার সন্তুষ্টি ও জান্নাত চাচ্ছি এবং তোমার অসন্তুষ্টি ও দোযখ হতে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।🖤🖤🖤

23/01/2025

আবু হুরাইরা (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিন কুরআন উপস্থিত হয়ে বলবে, হে প্রভু! ওকে (কুরআন পাঠকারীকে) অলংকৃত করুন। সুতরাং ওকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। পুনরায় কুরআন বলবে, হে প্রভু! ওকে আরো অলংকার প্রদান করুন। সুতরাং ওকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে। অতঃপর বলবে, হে প্রভু! আপনি ওর উপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। সুতরাং আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। অতঃপর তাকে বলা হবে, তুমি পাঠ করতে থাক আর মর্যাদায় উন্নীত হতে থাক। আর প্রত্যেকটি আয়াতের বিনিময়ে তার একটি করে সওয়াব বৃদ্ধি করা হবে।

(তিরমিযী ২৯১৫, হাকেম ২০২৯, দারেমী ৩৩১১, সহীহুল জামে ৮০৩০)

হুযায়ফাহ (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,নবী (সা) বলেছেন, তোমরা কোন মুনাফিক কে নেতা বলবে না। কেননা সে যখনই তোমাদের নেতা হয় ব...
22/01/2025

হুযায়ফাহ (রা) হতে বর্ণিত তিনি বলেন,নবী (সা) বলেছেন, তোমরা কোন মুনাফিক কে নেতা বলবে না। কেননা সে যখনই তোমাদের নেতা হয় বা তোমরা তাকে নেতা বানাবে, তখন তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে অসন্তুষ্ট করলে। (মিশকাতুল মাসাবিহ হা :৪৭৮০)

22/01/2025

রাতের ফযিলতপূর্ন কিছু আমল
________________________________
১. ভালোভাবে বিছানা ঝেড়ে
নেয়া । -(বুখারীঃ ৬৩২০)

২. ঘরের দরজা আল্লাহর নামে বন্ধ
করা । -(বুখারীঃ ৫৬২৩)

৩. শয়নের সময় দু'আ পাঠ করা (যেমনঃ
'আল্লাহুম্মা বিসমিকা আ'মুতু ওয়া
আহইয়া') । -(বুখারীঃ ৬৩১৪)

৪. ডান কাৎ হয়ে শোয়া । -
(বুখারীঃ৬৩১৫)

৫. নাপাক অবস্থায় ঘুমাতে হলে
শরীরের নাপাক স্থান ধুয়ে অযু করে
নেয়া । -(বুখারীঃ ২৮৮)

৬. সাধারণত সতর খুলা অবস্হায় না
শোয়া । -(তিরমিযীঃ ২৭৬৯)

৭. বিনা কারণে উপুড় হয়ে না শোয়া
। -(তিরমিযীঃ ২৭৬৮)

৮. ঘুমানোর সময় আগুনের বাতি
জ্বালিয়ে না রাখা ।
-(তিরমিযীঃ১৮১৩)

৯. দুঃস্বপ্ন দেখলে পার্শ্ব পরিবর্তন
করে শোয়া । -(মুসলিমঃ ৫৯০১)

১০. দুঃস্বপ্ন দেখলে প্রথমে বাম
দিকে তিনবার থুথু ছিটা এবং
"দুঃস্বপ্ন ও শয়তান থেকে -
হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট আশ্রয়
চাই" এভাবে তিনবার বলা । দুঃস্বপ্ন
কাউকে না বলা । -(মুসলিমঃ ৫৯০২)

(১১) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়বে, একজন ফেরেস্তা তার পাশে থেকে সারা রাত তাকে পাহারা দিবে, এবং শয়তান সারা রাত তার নিকটে যেতে পারবেনা না।

__________(বুখারি-২৩১১)।

(১২) রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেন,
যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ ২ আয়াত (আ-মানার রাসূলু–) তেলাওয়াত করবে এটা তার জন্য যথেষ্ট হবে ।

__________(বুখারি- ৪০০৮)।

(১৩) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেছেন,
রাতে (কুল ইয়া আইয়্যু হাল কা-ফিরুন) (অর্থাৎ সূরা কা-ফিরুন) পাঠ করা শির্ক থেকে মুক্তি পেতে
উপকারী হবে।

__________(সহীহ তারগীব-৬০২)।

(১৪) একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তার সাহাবাদের বললেন, তোমাদের কেউ কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন পড়তে সমর্থ হবে? এতে সকলের কাছে বিষয়টি ভারী মনে হলো। বলল, একাজ আমাদের মধ্যে কে পারবে, হে আল্লাহর রাসূল?! তিনি বললেন, সূরা ইখলাস হল এক তৃতীয়াংশ কুরআন।

__________(বুখারী- ৫০১৫)

(১৫) রাসূলুল্লাহ (সাঃ) যখন ঘুমানোর ইচ্ছা করতেন তখন তাঁর ডান হাত তাঁর গালের নীচে রাখতেন, তারপর এ দো‘য়া টি বলতেন।

ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑِﺎﺳْﻤِﻚَ ﺃَﻣُﻮﺕُ ﻭَﺃَﺣْﻴَﺎ

(আল্লাহুম্মা বিস্মিকা আমূতু ওয়া আহ্ইয়া)।

❛হে আল্লাহ্! আপনার নাম নিয়েই আমি মরছি (ঘুমাচ্ছি) এবং আপনার নাম নিয়েই জীবিত (জাগ্রত) হবো❜।

__________(বুখারি- ৬৩২৪)।

(১৬) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) হযরত আলী এবং ফতেমা (রাঃ)- কে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে এমন কিছু বলে দিবো না যা তোমাদের জন্য খাদেম অপেক্ষাও উত্তম হবে? যখন তোমরা তোমাদের বিছানায় যাবে, তখন তোমরা (৩৩) বার সুবহানাল্লাহ, (৩৩) বার আলহামদুলিল্লাহ্, এবং (৩৪) বার আল্লাহু আকবার বলবে, তা খাদেম অপেক্ষাও তোমাদের জন্য উত্তম হবে।

__________(বুখারী- ৩৭০৫)।

(১৭) প্রিয় নবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) বলেন,
যে ব্যাক্তি প্রত্যেক রাতে তাবারকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক (সূরা মূলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহিয়ান আল্লাহ্ তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবেন।

__________( এছাড়াও তিরমিজি-২৮৯০)।

➤ আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফীক দান করুক,,
আমিন। ©️

Address

Chandpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Zannatul Luba posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share