বিচিত্র জীবনের রঙ

বিচিত্র  জীবনের রঙ Life Is Meaningless Without Experience, This page will show you various kind of natural view and natural sight.

15/07/2025

গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের মিশ্রণ - ০১

(১) বাংলাদেশের মানচিত্র প্রথম আঁকেন - মেজর জেমস রেনেল।

(২) যখন সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে চাঁদ অবস্থান করে তখন 'সূর্যগ্রহণ' হয়।

(৩) 'বোরো' ধানে বেশী সেচের প্রয়োজন হয়।

(৪) খারাপ বীজ 'লবণের দ্রবণে ভেসে থাকে'।

(৫) বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ - ২০টি।

(৬) বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার সাথে মিল রয়েছে - জাপান ও পালাউ।

(৭) বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিট এর ডিজাইনার ছিলেন - বিমান মল্লিক।

(৮) সমুদ্রকে নীল দেখানোর কারণ হল আপতিত সূর্যরশ্মির - বিক্ষেপণ।

(৯) লালবাগের কেল্লা স্থাপন করেন - শায়েস্তা খান।

(১০) বর্ণালীর প্রান্তীয় বর্ণ হচ্ছে - বেগুনী ও লাল।

সমাপ্ত

বিঃদ্রঃ শেয়ার করে নিজের টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন।

বাংলাদেশে হাই রেঞ্জের প-তি-তা ভার্সিটির। অর্থাৎ বাংলাদেশের এলিট শ্রেণীতে সবচেয়ে চড়া মূল্যে বাসায় আনতে হয় ভার্সিটির সুন্দ...
14/07/2025

বাংলাদেশে হাই রেঞ্জের প-তি-তা ভার্সিটির।
অর্থাৎ বাংলাদেশের এলিট শ্রেণীতে সবচেয়ে চড়া মূল্যে বাসায় আনতে হয় ভার্সিটির সুন্দরী মেয়েদের।

বিশেষ করে ভার্সিটির শিক্ষক,ব্যাংকার,ব্যবসায়ী,নেতা ইত্যাদি ধরণের ক্যাটাগরির মানুষের প্রথম পছন্দ ভার্সিটির মেয়ে।

একেকজন এর রেট ১০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা হতে পারে৷।
বিশেষ করে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মেয়েদের চাহিদা বেশি।

আমি যখন ভার্সিটিতে পড়ি। তখন আমাদের ভার্সিটির একটা লোকেশনে এসব কার্যকলাপ ছিলো।
ভার্সিটির মেয়েরা এসব করে এগুলা অনেকে বিশ্বাস ই করবে না।

কিন্তু আপনারা জানলে অবাক হবেন যে অভিজাত শ্রেনীর মানুষরা এখন ভার্সিটির মেয়ে ছাড়া ভোগ করে না।

আর সাধারণ আবাসিক হোটেল ত লেবার,ড্রাইভার, দিনমজুরদের।

একটা ভার্সিটির মেয়ে যদি মাসে ৩/৪ লাখ টাকা আর্ন করে। সে কিভাবে টাকার লোভ সামলাবে।
চট্টগ্রামে হালিশহরে একটা পতি-তালয়ের সন্ধান পেয়েছি।
যা ভার্সিটির মেয়েদের দ্বারা পরিচালিত।

আর তাদের সেবা গুলো ভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে।
যেমন নির্দিষ্ট পতি'তা কে ২/৪ দিনের জন্য কন্টাক্ট করে কক্সবাজার বা নিজেদের বাসায় নিয়ে যায়।

বেশিরভাগ কক্সবাজারে নিয়ে যায় সবাই।
কক্সবাজারে ট্রেন সেবা চালু হয়েছে।
এটার একটা হিডেন ম্যাসেজ আছে।

এই দেশটা কে সমূলে ধ্বংস করতে কক্সবাজারের বিকল্প নাই।
ট্যুরিস্ট স্পট গুলো সহজলভ্য করা মানে। আর্থিক ব্যানিফেশিয়াল এর পাশাপাশি অবাধ যৌনতা দিয়ে দেশ কে ডুবিয়ে দেওয়া।

কক্সবাজারে অধিকাংশ যায় এসব হোটেলে প্রাইভেট এনজয় করার জন্য৷
আর ঢাকার কথা কি বলব।

ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো অবস্থা ভয়াবহ।
ঢাকা এখন স্মার্ট পতি-তা নগর৷

- সংগৃহীত

14/07/2025

যদি কেউ আমাকে বলতো, "আমাকে একটামাত্র নসিহত কর"। তাহলে আমি তাকে বলতাম: "দুনিয়াদার সব সঙ্গ ত্যাগ করে দ্বীনদার একজন সঙ্গী গ্রহণ কর"।

কেননা, যদি আমি তাকে একটি আমল করার নসিহত করতাম তাহলে সে হয়তো ওই একটি আমলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। বাকি আমল গুলো হয়তো করা হতো না বা পাপ থেকেও হয়তো ফিরে আসা হতো না।

কিন্তু একজন দ্বীনদার সঙ্গী পাওয়া মানে একের ভিতর সব পাওয়ার মতো একটা ব্যাপার। একজন দ্বীনদার সঙ্গী আপনাকে ভালো আমল করতে যেমন সাহায্য করবে তেমনি পাপ থেকে ও দূরে রাখার চেষ্টা করবে।

যে আপনাকে জান্নাতের পথ দেখাবে।যার সাথে বসে কথা বললে আপনার ইলম বৃদ্ধি পাবে, দুনিয়াবি সব চিন্তা ঘুচে যাবে মনে পড়বে শুধু আল্লাহ ও আখিরাতর কথা।

যখন আপনি দুঃখে বা কষ্টে থাকবেন, তখন দুনিয়াদার বন্ধু হয়তো বলবে "বন্ধু, সিগারেট ধরা,গান শোন বা মুভি দেখ"। কিন্তু একজন দ্বীনদার সঙ্গী বা বন্ধু তখন আপনাকে স্মরণ করিয়ে দেবে আল্লাহর বাণী: "নিশ্চয়ই কষ্টের পর রয়েছে স্বস্তি।"

এমন একজন সঙ্গী পাওয়া মানে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় স্থানেই লাভবান হওয়া।
©

13/07/2025

স্টকহোম ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে দেখি, আমার সহপাঠীরা বাসায় গিয়ে তেমন পড়ে না।

ইউনিভার্সিটি শেষে দেখতাম ওরা পার্টিতে চলে যায়। যতো কঠিন পরীক্ষাই হোক, ওরা উইকেন্ডে আনন্দ বাদ দিয়ে, পরীক্ষার জন‍্য পড়তে চায় না।

আমার কাছে বিষয়টা প্রথম প্রথম অদ্ভুত লাগতো। যেহেতু, আমি বাংলাদেশের কালচারে বড়ো হওয়া।

আমার সহপাঠীদের জিজ্ঞেস করলাম, তোমরা বাসায় গিয়ে তেমন স্টাডি করো না? ওরা উল্টো আমাকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলো বাসায় গিয়ে যদি পড়ি, তাহলে স্কুলে (ইউনিভার্সিটি) আসি কেন? এখানে তো পড়তেই আসি!

ভাবলাম, কথায় তো যুক্তি আছে। আমাকে বললো, তুমি যদি স্কুলেই ৭-৮ ঘন্টা কাটাও, এটা তো পড়াশুনার জন‍্যই। তাইলে আবার বাসায় গিয়ে কখন পড়বে? কেন পড়বে?

আমি চিন্তা করলাম আমাদেরকে এভাবে কখনো বলেনি কেন? এভাবে ভাবতে শেখায়নি কেন?

স্কুল থেকে বিশ্ববিদ‍্যালয় পর্যন্ত উল্টো আমাদেরকে বলা হয়েছে পড়ো। সারাদিন পড়ো। দুনিয়ার কোন কিছু চিন্তা না করে শুধু পড়ো। আদা-জল খেয়ে পড়ো। ঘুম, খাওয়া আর বাথরুম ছাড়া শুধু পড়ো। ভোর বেলায় উঠে পড়ো—তখন মাথা ঠাণ্ডা থাকে। গভীর রাতে পড়ো। পড়তে পড়তে গায়ের জামা-কাপড়ের কথাও ভুলে যাও।

১২-১৪ ঘন্টা পড়া, আর পরীক্ষার সময় ৬-৭ টা লুজ পেপার নেয়া হলো আমাদের স্ট‍্যান্ডার্ডে একটা পড়ুয়া স্টুডেন্টের লক্ষ‍ণ!

যাই হোক, পরে আরো গভীরভাবে জেনে দেখলাম, ওরা তো ছোটবেলা থেকেই এই চর্চায় বড়ো হয়। স্কুলে যায় পড়তে। শিখতে। স্কুলে বসেই শিখে। ফলে কলেজ-বিশ্ববিদ‍্যালয়েও একই চর্চার ধারাবাহিকতা থাকে। কেউ কেউ যে একটু বেশি পড়ুয়া হয় না, তা না। কিন্তু গড় চিত্রটা এমনই। বিদ‍্যাপীঠে তো পড়তেই যায়, তাহলে বাসায় এসে কেন আদা-জল খেয়ে পড়বে?

এখন আমার ছেলেকে দিয়ে বুঝি। কোন প্রাইভেট নাই। বাসায় এসে পড়ার চাপ নাই। এমনকি হোম ওয়ার্কও তেমন দেয় না। যদিও, আমি ওকে বাসায় মাঝে মাঝে কিছুটা শিখাই।

আমি ওর ক্লাস টিচারকে জিজ্ঞেস করলাম ওদেরকে প্রতিদিন হোম ওয়ার্ক দাও না কেন? টিচার বললো, বোর্ড থেকে নিষেধ আছে। বাচ্চারা যেনো বাসায় গিয়ে পড়ার চাপে আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে অর্থাৎ “বার্ন আউট” না হয়, সেজন‍্য। সে নিজেই বললো, স্কুলে তো ওরা শিখতেই আসে। এখানেই যদি না শিখে তাইলে স্কুলের দরকারটা কি? It defeats the purpose!

মনে মনে বলি শালার পড়াশুনা এরাই করলো! প্রাইভেটের দৌঁড়াদৌঁড়ি নাই। বইয়ের বোঝা ভর্তি চাপ নাই। হোম ওয়ার্কের তীব্র প‍্যারা নাই। বাসায় কেউ বলে না পড়তে বসো। আবার এরাই দুনিয়ার সব আবিষ্কার-উদ্ভাবন করে বসে থাকে।

আর আমরা বীজতলা ঠিক না করে, বীজতলার দোষ না দিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম শুধু পড়েই গেলাম! এভাবে পড়েই যাবো। গোড়ার গলদটুকু কখনোই সমাধান করবো না।

©

পায়রা বন্দর নির্মান করতে গিয়ে পনেরো হাজার টাকা কোটি খরচ হয়েছে তারপরেও সেখানে ভিড়তে পারছে না বিদেশী জাহাজ। কারণ, নদীর গভী...
11/07/2025

পায়রা বন্দর নির্মান করতে গিয়ে পনেরো হাজার টাকা কোটি খরচ হয়েছে তারপরেও সেখানে ভিড়তে পারছে না বিদেশী জাহাজ। কারণ, নদীর গভীরতা ৬ মিটার। বড় জাহাজ আসতে নদীকে গভীর হতে হবে ১০ মিটার।
তো বানালি কেন? আর বানালাই যদি এখন সমাধান কী?

সমাধান হিসেবে বলল নদী খনন করতে হবে। এর জন্য তীব্র ডলার সংকটের মাঝেও ছয় হাজার কোটি টাকা রিজার্ভ থেকে খরচ করে ড্রেজিং করা হলো। বিশাল এই খরচের পরেও একটি জাহাজ ভিড়তে আসলো না।
কেন আসলো না? কারণ তখন জেটি নির্মাণ বাকই ছিল। ছোট জেটিতে বড় জাহাজ আসবে না। এবার জেটি নির্মাণ করা শুরু হলো যতক্ষণে জেটি নির্মাণ কাজ শেষ হলো ততক্ষণে আবার নদীতে পলি পড়ে গভীরতা নেমে আসলো ৬ মিটারে।

অর্থাৎ, আগে যেই ছয় হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছিল তা একেবারে জলে গেছে। পরিপূর্ণ অপচয়। আপনি টাকা খরচ করেছেন জাহাজ আনতে। কিন্তু নদী আগের মতন হয়ে গেছে। এখন আবার খুঁড়তে হবে। এর মাঝে একটি জাহাজও আসে নাই।

এবারে বোঝা গেছে আমি কেন সরকারী উন্নয়নের তথা কর, ভ্যাট ও শুল্ক বিরোধী? সত্যি কথা বলতে ইসলামের মডেল হচ্ছে প্রাইভেট উদ্যোগের। সেখানে সরকার কিছু করবে না ব্যক্তি করবে এবং সরকার কর ভ্যাট নিবে না।

কারণ একজন ব্যক্তি তার কষ্ট করে অর্জিত ৫০ টাকা পানি ফেললেও আফসোস করে। তাই সে বহু চিন্তা করে টাকা খরচ করে। এভাবে টাকার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং কর + ভ্যাটের জুলুম থেকে জাতি মুক্তি পায়। এভাবে পণ্য মূল্য থাকে কম এবং ব্যবসা করার অবারিত সুযোগ উন্মুক্ত হয়। আর অপচয় নেমে আসে প্রায় শূন্যে।

এই বিষয়গুলো না বুঝে যতই রাজনীতি বা পরিশ্রম করেন দৃশ্যত ফলাফল পাবেন না আপনার কষ্টের। বিষয়টি আপনার প্রিয় ব্যক্তিকে পারলে বুঝিয়েন। না পারলে অন্ত্যন্ত এই লেখাটা পৌঁছে দিয়েন। আমি নিজেই সহ্য করতে পারছি না এত বড় অপচয়। সমাধান বেসরকারীকরণ। আর কোন রাস্তা নেই।

© মোহাইমিন পাটোয়ারী

11/07/2025

পুরান ঢাকার ভিডিওটা দেখলাম। অসহ্য রকমের মোচড় দিয়ে উঠলো শরীরটা। কিভাবে সম্ভব? মানুষটা তখনও বেঁচে ছিলো। তবুও একের পর এক বিশাল আকৃতির পাথর মে//রে বুনো উল্লাস করছে কিছু মানুষ(?)।

এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পারছি এই কাজের সাথে জড়িত ব্যাক্তি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং সে চকবাজার থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলো (সূত্র-যুগান্তর)। তার বিরুদ্ধে এলাকার ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে চাদা নেয়ার অভিযোগ আছে আর এই চাদা না দেয়াকে কেন্দ্র করেই মূলত এইভাবে মধ্যযুগীয় কায়দায় একজন মানুষকে হ//ত্যা করলো।

এইযে পোস্ট দিলাম, এখন দেখবেন যারে মা/রা হইসে তার ১৪ গুস্টির কোনো একটা দোষ খুঁজে বাইর করা হবে এবং এই নৃশংস হ//ত্যাকে জাস্টিফাই করা হবে।

ধীক্কার এসব জালিমদের প্রতি।



©

সকালে দেশের নামকরা একটা ব্যাংকে রেমিট্যান্স গ্রহন করতে গেলাম। প্রথমে আমাকে যেতে হলো সার্ভিস ডেস্কে। সেখানে যে ভদ্রলোক কা...
11/07/2025

সকালে দেশের নামকরা একটা ব্যাংকে রেমিট্যান্স গ্রহন করতে গেলাম।

প্রথমে আমাকে যেতে হলো সার্ভিস ডেস্কে। সেখানে যে ভদ্রলোক কাজ করলেন, তিনি পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে আধা ঘন্টার ওপর সময় নিলেন। এমন না যে, তিনি অলসতা করছিলেন। তিনি আসলে এর মাঝে অনেক কাজ করছিলেন। কিছু ফর্ম পূরণ করছিলেন, ফোনে কিছু ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলছিলেন এবং অনেক অনেক হিসাব করছিলেন।

এরপর আসলাম ক্যাশ কাউন্টারে। এখানে লাগলো আরও প্রায় ২৫ মিনিট। কারণ ৬টি কাউন্টারের মধ্যে মাত্র ২টিতে সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে। এমন না যে, বাকীরা নেই বা বসে গান শুনছেন। তারাও কাজ করছেন, ফম পূরণ করছেন, ফোনে ক্লায়েন্টের সাথে কথা বলছেন।
ব্যাংক বা ব্রাঞ্চের নাম বললাম না। তাতে কিছু যায় আসে না।

আপনারও নিশ্চয়ই এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে? ব্যাংকের নাম শীতলক্ষা হোক বা ব্রহ্মপূত্র; এই অভিজ্ঞতা আপনাদের সকলেরই হওয়ার কথা যে- ক্যাশ কাউন্টার বা সাভিস ডেস্কের সংখ্যা যাই হোক, তারা প্রত্যক্ষ কাস্টমার সামলানোর সময় পাচ্ছে না। গ্রাহক বসিয়ে রেখে তারা কীসব যেন করতে থাকেন। ৭-৮টা কাউন্টারের মধ্যে দেখা যায় বড় জোর ৩-৪টাতে এক্টিভলি কাজ হয়।

কেনো এমন হয়? কেনো এই মানুষগুলো তাদের মূল কাজ রেখে অন্যসব কাজে ব্যস্ত থাকেন? কী করেন তারা?

আসেন আপনাদের একটা গোপন কথা বলে দেই। এই মানুষগুলো আসলে ২৪ ঘন্টা একটা ভয়ানক টার্গেট বা কেপিআইয়ের পেছনে ছোটেন।

খুবই বিচিত্রভাবে আমাদের দেশের সব বেসরকারী ব্যাংকের কমীদের সকলের জব ডেসক্রিপশনে গত কয়েক বছর ধরে ঋণ প্রদান, এফডিআর সংগ্রহ, ডিপিএস সংগ্রহ, একাউন্ট বাড়ানো, ক্রেডিট কার্ড প্রদানের কাজ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আপনি ফ্রন্ট ডেস্কে কাজ করেন বা সাভিস ডেস্কে; এসব টার্গেট আপনাকে নিতেই হবে। আপনার জেডির সাথে মিলুক আর নাই মিলুক; আপনাকে এসব সেলসের কাজ করতেই হবে। আপনার কেপিআইয়ের বেশ উল্লেখযোগ্য একটা মার্ক বরাদ্ধ থাকবে এসব টাগেট পূরণের ওপর। এগুলো করতে না পারলে হয়তো ইমিডিয়েট কারো চাকরি যাবে না; তবে প্রমোশন বা ইনক্রিমেন্ট কার্যত থমকে যাবে। প্রমোশনের সম্ভাবনাই থাকবে না।

কেউ যে প্রমোশনের মায়া ছেড়ে এসব অবাস্তব টাগেটকে এড়িয়ে থাকবেন, তারও উপায় নেই। ম্যানেজার চামড়া তুলে ফেলবে। নইলে তার ব্রাঞ্চের টার্গেট পূরণ হবে না। তখন অন্য কেউ আবার তার চামড়া তুলে ফেলবে। ফলে চান আর নাই চান, এই নারকীয় প্রতিযোগিতায় আপনাকে নামতেই হবে।

এবার আপনি ক্যাশ কাউন্টারে বসে থাকা সদ্য স্নাতক তরুন ব্যাংকারের জায়গায় একবার নিজেকে ভাবেন। সে প্রায় বিসিএসের মতো কঠিন পরীক্ষা দিয়ে, ট্রেনিং নিয়ে এই চেয়ারে এসে বসেছে। এই নগরে তার কোনো ক্লায়েন্ট লিড নাই, সে কোনো ব্যবসায়ী-চাকরিজীবিকে চেনে না। সে শুধু তার কাজটা পারে। কিন্তু তাকে ২৪ ঘন্টা আসলে ভাবতে হচ্ছে ওই টাগেট পূরণ নিয়ে- কিভাবে আরেকটা লোন করানো যাবে, কিভাবে আরেকটা ক্রেডিট কার্ড সেল করা যাবে। সামনে বসা গ্রাহককে ইতস্তত করে সে একটা এফডিআর করতে বলতে চায়; কিন্তু তাতে গ্রাহক খেপে গেলে চাকরিটাই চলে যাবে। সে তখন শেষ বিকেলে ম্যানেজারের ভযঙ্কর মুখটা মনে করে কাঁপতে থাকে।

ফলে সে কখনো বিভিন্ন অনিশ্চিত জায়গায় ফোন দেয়, কখনো কারো ফর্ম পূরন করে গ্রাহক বানানোর চেষ্টা করে, কখনো সিনিয়রের টেবিলে গিয়ে একটা লিডের জন্য দাড়িয়ে থাকে। তার আসল কাজ, গ্রাহককে সেবা দেওয়া; সেটা পড়েই থাকে।
এভাবেই আমাদের তরুনদের বিচিত্র সব কেপিআইতে আটকে ফেলে করপোরেট দুনিয়া। আর আমরা আশা করি, এই দেশের ক্লায়েন্ট সার্ভিস মানসম্পন্ন হবে একদিন!

হায় কেপিআই!

©Debbrata Mukherjee

10/07/2025

বেকাররা হচ্ছে এই দেশে ব্যাবসার অন্যতম লাভজনক প্রোডাক্ট।

সরকারি চাকুরী? নিয়োগ হবে ৫ টা, এপ্লাই করে ২ লাখ, এপ্লাই ফি ৩০০! কোটি কোটি টাকার বানিজ্য। দেখা যায় অনেক সময় গোপনে টাকা পয়সার বিনিময়ে নিয়োগ অলরেডি ফাইনাল। তারপরেও ফরমালিটি মেনটেইন করতে সার্কুলার দেয়৷ বছরে কোটি কোটি টাকা পরিক্ষা ফি পকেটে ভরে।

প্রাইভেট জব? অমুক বড় ভাই, তমুক বড় ভাই! সিভি নিয়ে ঘুরায়। শেষমেশ দেখা যায় কিছু চা পানি নাস্তার টাকা না দিলে চাকুরী হচ্ছে না। এইচ আর ডিপার্টমেন্ট, নিজেদের পরিচিত সিভিগুলো বেছে নিবে, চা নাস্তার খরচ দিলেই হয়ে যাবে চাকুরী।

ভাবছেন ফেয়ার নিয়োগে চাকুরী করবেন, এপ্লাই করবেন কই? বিডি জবস? তারাও সিস্টেম করেছে সাবস্ক্রাইব করতে হবে, মাসে মাসে টাকা দিবেন, তা না হলে সিভি ভিউ হবে না। কখনো কখনো তারা নিজেরাই ফেইক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে, আপনাকে আকর্ষন করার জন্য। ১০০ এপ্লাই করবেন, ভিউ হবে ২ টা, কেউ ডাকবেও না।

মেয়ে হয়েছেন? দেখতে শুনতে আকর্ষনীয় নয়? ফাইন। সিভি দিয়ে বিমান বানিয়ে আকাশে উড়িয়ে দেন, আপনার চাকুরী হবে না।

আবার দেখতে শুনতে আকর্ষনীয় হলে আরও বিপদ, শুয়া শুয়ির অফার চলবে, সরাসরি অথবা আকারে ইঙ্গিতে, না শুলে চাকুরী নাই।

অমুক তমুককে টাকা দিবেন, বলবে দুবাই পাঠাবে, ইতালি পাঠাবে, তারপর জাহাজের তেলের ড্রামে করে পাড়ী দিবেন মৃত্যুর উদ্দেশ্যে!

রাস্তাঘাটে জরুরি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, গেলে দেখবেন, একদম চাকুরী হাতে নিয়ে বসে আছে। আজকেই প্রায় জয়েন করিয়ে ফেলে। শুধু একটাই শর্ত! ট্রেনিং বাবদ কিছু টাকা দিতে হবে, টাকা দিবেন,অমুক দিনে বিসমিল্লাহ বলে জয়েন করতে যাবেন, গিয়ে দেখবেন আর অফিস ই নাই।

সবাই জানে সে বেকার,তার একটা চাকুরী লাগবেই লাগবে,না খেয়ে মরছে, এখন যা চাইবে তাই দিবে। এই যে মানুষগুলো জীবন যুদ্ধ করছে,একটু খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্য হন্নে হয়ে শুন্য পকেটে ঘুরছে, এই মানুষগুলোর বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে যে ব্ল্যাক মেইলিং অথবা টাউট বিজনেস করে যাচ্ছেন, আপনারা কি আদৌ ভালো আছেন এই পাপের টাকায়?

©

মা ও চাচার পরকিয়া দেখে ফেলায় আপন মা ফুলের মতো শিশু বাচ্চাকে মেরে মসজিদে রেখে আসে। এবং বিনা দোষে মসজিদের ইমাম ও আরেক মাওল...
10/07/2025

মা ও চাচার পরকিয়া দেখে ফেলায় আপন মা ফুলের মতো শিশু বাচ্চাকে মেরে মসজিদে রেখে আসে। এবং বিনা দোষে মসজিদের ইমাম ও আরেক মাওলানাকে গ্রেফতার করা হয়৷ সেই ছবি সকল মিডিয়ায় প্রচার করা হয়৷

এরকম বিনা অপরাধে কত আলেম কত ইমাম ও মুয়াজ্জিন হেনস্থার শিকার হয়েছেন তার হিসেব নেই৷
মাদ্রাসার শিক্ষকদের উপর বলাৎকারের যে অভিযোগ আমরা মিডিয়ায় দেখি তার বেশিরভাগ বানোয়াট হয়ে থাকে। হয়তো হুজুর শিক্ষার্থীকে বকা দিয়েছেন বা বেত দিয়ে মেরেছেন অথবা অন্য শিক্ষকের ইন্ধন এসব ক্ষেত্রে পাওয়া যায়৷

চাঁদপুরের রহিমা নগরের এক হিফজ শিক্ষকের কথা সবাই জানেন। তাকে মেরে চুল কেটে থানায় সোপর্দ করা হয়৷ কিন্তু পরে সিসি ক্যামেরায় দেখা যায় এরকম কিছু নেই। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় পুরোটাই বানোয়াট ।

ক মাস আগে কচুয়ায় এরকম এক মুহতামিমকে ধ র্ষণ মামলায় গ্রেফতার করা হয়৷ পরে দেখা যায় যেদিন ঘটনা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় সেদিন মুহতামিম সাহেব মাদ্রাসায় আসেননি। তদন্তের পর তাকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়ে যান৷ কিন্তু ততদিন চারমাস ফাও জেল খাটতে হয়েছে তাকে।
আমরা শিশু হত্যার এবং ইমামকে ফাসানোর বিচার চাই।

- সাইমুম সাদী

🧠 ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও ৩-প্রশ্নের নিয়ম: কথার আগে ভাবুন, নয়তো সমস্যা নিজেই এসে দরজায় কড়া নাড়বে!🎬 সম্প্রতি অভিনেতা জাহিদ...
10/07/2025

🧠 ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও ৩-প্রশ্নের নিয়ম: কথার আগে ভাবুন, নয়তো সমস্যা নিজেই এসে দরজায় কড়া নাড়বে!

🎬 সম্প্রতি অভিনেতা জাহিদ হাসান ও শাকিব খানকে ঘিরে এক আলোচনার ঝড় বয়ে গেছে।

এক সাক্ষাৎকারে জাহিদ হাসান বলেন—
“শাকিব খানের নামের আগে ‘মেগা স্টার’ শব্দটি আমার কানে লাগে।”

এই মন্তব্যকে অনেকেই কটাক্ষ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ায় ক্ষোভ, জন্ম নেয় অকারণ বিতর্ক।
কিন্তু এরপরই জাহিদ হাসান ব্যাখ্যা ও অনুশোচনা প্রকাশ করে বলেন—

“আমি আসলে বোঝাতে চেয়েছিলাম, যারা নিজের নামেই বড় হয়ে গেছেন, তাদের জন্য আলাদা বিশেষণ দরকার হয় না—যেমন টম ক্রুজ, শাহরুখ খান, ম্যারাডোনা।

আমি কাউকে ছোট করতে চাইনি। বরং ভুলভাবে কথাটা উপস্থাপিত হওয়ায় মানুষ কষ্ট পেয়েছে, এটা বুঝি। তাদের আবেগকে আমি শ্রদ্ধা করি।”

🧩 এটাই হয় যখন আবেগ থাকে, কিন্তু আবেগজ্ঞান (Emotional Intelligence) ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না।

তাই এমন পরিস্থিতি এড়াতে শিখে ফেলুন এক শক্তিশালী সূত্র:

🌟 EQ নিয়ম: ৩-প্রশ্নের সূত্র

কোনো কিছু বলার আগে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন:
1️⃣ এটা কি বলা দরকার?
2️⃣ এটা কি আমার বলা দরকার?
3️⃣ এটা কি এখনই বলা দরকার?

এই সূত্রটি—
✅ আপনাকে অনেক অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা থেকে বাঁচাবে
✅ আপনার কথার মান বাড়াবে
✅ এবং আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলবে

📌 উদাহরণ
– কেউ ফেসবুকে উসকানিমূলক কিছু লিখল… আপনি কমেন্ট করবেন?
– কোনো কঠিন সত্য বলার আছে… বলবেন আজই, না একটু পরে বলবেন?
– রাগের মাথায় কিছু বলতে গিয়েও চুপ থেকে আপনি হয়তো ভবিষ্যতের একটা সম্পর্ক বাঁচিয়ে ফেলতে পারেন।

🧘‍♀️ EI মানে শুধু আবেগ বোঝা নয়, বরং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো।
এই ৩-প্রশ্নের নিয়মটি আপনাকে বিবেকবান, নম্র এবং প্রভাবশালী করে তুলবে—চাকরি হোক, সম্পর্ক হোক কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য।

াংলা #৩প্রশ্নেরনিয়ম

◆একটি শিক্ষামূলক গল্প ◆একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে ...
09/07/2025

◆একটি শিক্ষামূলক গল্প ◆

একটি মেয়ে বিবাহিত জীবনে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলো এবং তার স্বামীকে হত্যা করতে চাচ্ছিলো। একদিন সকালে সে তার মায়ের কাছে দৌড়ে গিয়ে বললো- “আমি আমার স্বামীকে নিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি, আমি আর তার বাজে কথা সমর্থন করতে পারছি না। আমি তাকে হত্যা করতে চাই, তবে আমি ভয়‌ও পাচ্ছি যে দেশের আইন আমাকে দায়ী করবে। তুমি কি দয়া করে এ বিষয়ে সাহায্য করতে পারো, মা?”

মা উত্তর দিলেন- “হ্যাঁ, আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি। তবে তার আগে কয়েকটি কাজ আছে যা তোমাকে করতে হবে।”

মেয়ে জিজ্ঞাসা করলো- “কি কাজ মা? আমি তাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যে কোনো কাজ করতে প্রস্তুত আছি।”

মা বললেন- “ঠিক আছে, তাহলে শোনো:-

১. তোমাকে প্রথমেই তার সাথে শান্তি স্থাপন করতে হবে, যাতে সে মারা যাওয়ার পর কেউ তোমাকে সন্দেহ করতে না পারে।

২. তার কাছে তরুণ এবং আকর্ষণীয়া দেখাবার জন্য তোমাকে সুন্দর করে সেজে থাকতে হবে।

৩. ভালো করে যত্ন নিতে হবে এবং তার প্রতি সদয় ও কৃতজ্ঞ হতে হবে।

৪. তোমাকে হিংসা কমিয়ে ধৈর্য ধরতে হবে; বেশি মনোযোগী হতে হবে, আরও শ্রদ্ধাশীল এবং বাধ্য হতে হবে।

৫. প্রয়োজনে নিজের টাকা তার জন্য ব্যয় করবে এবং রাগ করা যাবে না, এমনকি সে যদি তোমাকে কিছু দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তবুও।

৬. তার সাথে উচ্চস্বরে কথা বলা যাবে না, সবসময় শান্তি এবং ভালবাসা বজায় রাখতে হবে। যাতে সে মারা গেলেও তোমাকে কেউ সন্দেহ করতে না পারে।

৭. তার কোন চাওয়া পাওয়া অপূর্ণ রাখবে না। সে যেভাবে পছন্দ করে সেভাবে চলবে এবং তার পছন্দের খাবার বানিয়ে দিবে।”

এরপর মা জিজ্ঞাসা করলেন, “তুমি কি এগুলো সব করতে পারবে?”

মেয়ে জবাব দিল, “হ্যা, আমি পারবো।”

মা বললেন, “ঠিক আছে, তাহলে এই পাউডারটা নিয়ে যাও এবং প্রতিদিন তার খাবারের সাথে খানিকটা করে মিশিয়ে দিবে; এটাই ধীরে ধীরে তাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যাবে।”

৩০ দিন পর মেয়েটি তার মায়ের কাছে ফিরে এসে অত্যন্ত দুঃখের সুরে মিনতি করে বললো “মা, এখন আর স্বামীকে হত্যার কোনও ইচ্ছা আমার নেই। আমি এখন তাকে ভালোবাসতে পেরেছি কারণ সে পুরোপুরি বদলে গেছে। সে এখন আমার কল্পনার চেয়েও খুব ভালো স্বামী। এখন তাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে আমি কী করতে পারি? আমাকে সাহায্য কর!”

মা উত্তরে বললেন- “ভয়ের কিছু নেই, তুমি চিন্তা করো না। ঐদিন আমি যে পাউডার তোমাকে দিয়েছিলাম তা ছিলো হলুদের গুঁড়া। যা কখনই তার মৃত্যুর কারণ হবে না। সত্যি কথা বলতে কি- তুমি নিজেই ছিলে এমন একটি বিষ যা ধীরে ধীরে তোমার স্বামীকে উত্তেজিত এবং হতাশাগ্রস্থ করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিলো।”

শিক্ষা:- সর্বপ্রথম নিজের ভুল বা দোষগুলো চিহ্নিত করে সংশোধন করা।

সংগৃহীত

☣️ ব্ল্যাক ম্যাজিকইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো...
09/07/2025

☣️ ব্ল্যাক ম্যাজিক

ইক্বরা টিভি। সরাসরি ফোনালাপের অনুষ্ঠান চলছে। উপস্থাপনায় আছেন শায়খ আব্দুল্লাহ শাহাদাত। এক মহিলা কল করলো।📳

-আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
-শায়খ! আমি অনেক বড় গুনাহ করে ফেলেছি। আল্লাহ তা'আলা কি আমাকে ক্ষমা করবেন?❓
-কেনো ক্ষমা করবেন না, অবশ্যই ক্ষমা করবেন। নিশ্চই তিনি অতি ক্ষমাশীল অতি দয়ালু।
আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, (আপনি বলে দিন, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর বাড়াবাড়ি করেছো! আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করে দেন। নিশ্চয় তিনি পরম ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু(যুমারঃ ৫৩)।

- কিন্তু আমার গুনাহটা অনেক বড় আর গুরুতর। আল্লাহ কিছুতেই আমাকে ক্ষমা করবেন না।

- না বোন! আপনি এমনটা ভাববেন না। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,
(নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করাকে ক্ষমা করেন না। এছাড়া আর (সব) পাপ তিনি যাক ইচ্ছা ক্ষমা করে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে শিরক করে সে ঘোরতর ভ্রান্তিতে পতিত হয়। (নিসাঃ১১৬)

-আমি সাত-সাতবার হজ করেছি। কিন্তু এ পর্যন্ত একবারও 🕋কা'বাঘর নিজ চোখে দেখতে পাইনি।

শায়খঃ ইয়াল্লাহ! ইয়া রাব!

মহিলাঃ আমি হেরেমে প্রবেশ করার পর তাওয়াফ কারীদেরকে দেখি, কিন্তু কা'বাঘর দেখতে পাই না। এমনকি একজন আমার হাত ধরে কা'বা শরী ছুঁইয়েও দেখিয়েছি। আমি হাত দিয়ে কা'বা🕋 ধরতে পেরেছি। কিন্তু কা'বা আমার সামনে দৃশ্যমান হয়নি।

শায়খঃ তাহলে তো দেখা যাচ্ছে আপনার পাপটা সত্যিই গুরুতর। বলুনতো কি এমন পাপ করেছেন? নিশ্চিত হয়ে বলুন, যাতে আমার বুঝতে সুবিধা নয়।

মহিলাঃ আমি অশ্লীল কাজে লিপ্ত ছিলাম। বিয়ের পরও অনেকবার হয়েছে। আমি ঠিক বলতে পারছি না, কোন পাপের কারনে আমার এই অবস্থা হয়েছে।

শায়খঃ অসম্ভব! এটা ছাড়াও অন্য কোনো পাপ আছে। শুধু অশ্লীলতার জন্য এমনটা ঘটতে পারে না। আপনি ভেঙে বলুন। আপনি কী করেছেন?

মহিলাঃ সত্যি কথা বলতে কি, আমি একজন নার্স। আমার গোপনে সম্পর্ক ছিলো একদল ব্ল্যাকম্যাজিক☣️ (কালোজাদু) চর্চাকারীদের সাথে। তারা নানাভাবে জাদুচর্চা করতো। তারা শবসাধনা করতো।

জাদুকরের শিখিয়ে দেয়া নিয়মানুযায়ী, হাসপাতালের হিমাগারে চুরি করে প্রবেশ করতাম। শবগুলো মুখে 'বিশেষ কাজ" করে মুখগুলো সেলাই করে দিতাম। শবগুলোকে এই অবস্থাতেই দাফন করা হতো। এই ন্যাক্কারজনক কাজ অসংখ্যবার করেছি।

শায়খঃ এমন কাজ কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। জাদুবিদ্যা তো শিরক।
নিশ্চয়ই শিরক বড় পাপ (লুকমানঃ১৩)

দুই সপ্তাহ পরে, ইক্বরা অনুষ্ঠানে একটা ফোন আসলো।

-আসসালামু আলাইকুম
- ওয়া 'আলাইকুমুস সালাম।
- হ্যালো শায়খ! দু' সপ্তাহ আগে একজন মহিলা ফোন করেছিলেন, আমি তার সন্তান।

শায়খঃ জি, বাবা! চিনতে পেরেছি। বলো কি খবর।

ছেলেঃ শায়খ! আমার আম্মু ইন্তিকাল করেছেন। তার মৃত্যুটা স্বাভাবিকভাবেই হয়েছে। কিন্তু দাফনের সময় এমন একটা ঘটনা ঘটেছে, আমরা কেউ ধারণাও করতে পারি নি এমনটা কখনো ঘটতে পারে।

শায়খঃ কী ঘটনা? ❓

ছেলেঃ জানাযার পর আমরা কবরস্থানে গেলাম। ⚰️লাশ কবরে নামাতে গিয়েই বিপত্তি বাঁধলো। আমরা কবরে নামলেই কবরটা সংকুচিত হয়ে আসে। লাশ বের করলে কবরটা আবার ঠিক হয়ে যায়। আবার লাশ নামালে কবরটা সংকুচিত হয়ে যায়। এমনকি আমাদের পক্ষে ভেতরে দাঁড়ানোও অসম্ভবত হয়ে দাড়িয়েছিলো। এ ঘটনা দেখে, সাথে যারা ছিলো ভয়ে পারলিয়ে গেলো। তারা বললো, তোমার মা হয়তো এমন কোনও কাজ করেছে যে, কবর তাকে গ্রহণ করতে চাচ্ছে না। আমি বসে বসে😪 কাঁদতে লাগলাম। এমন সময় দেখলাম একজন বৃদ্ধ লোক আসলে। তার পোশাক ছিলো অত্যন্ত উজ্জ্বল আর শুভ্র। দেখলেই মন ভালো হয়ে যায় এমন একজন মানুষ। তাকে দেখেই আমার মনে হলো, আমার আমনে এজন ফিরিশতা দাঁড়িয়ে আছেন। বিশেষ করে তার সাথে কথা বলে বিশ্বাসটা আরও বদ্ধমূল হলো। তিনি বললেন,

তোমার আম্মুকে যেভাবে আছে রেখে চলে যাও। পেছনে ফিরে তাকাবে না। আমি কোনও কথা না বলে চলে আসলাম। কিছুদূর আসার পর আমি আর কৌতূহল দমন করতে পারলাম না। আমার মায়ের কী হলো সেটা না দেখে বাড়ি যেতে মন টানছিলো না। পেছন ফিরে তাকালাম। দেখলাম, আকাশ থেকে প্রকাণ্ড এক অগ্নিগোলক💥 ছুটে আসলো। চোখের নিমিষেই আম্মার লাশটাকে পুড়িয়ে ছাই করে দিলো। খাটিয়াসহ⚰️ পুড়ে ছাই হয়ে গেলো।

আগুনের🔥 উত্তাপ এত প্রবল ছিল যে, এতদূর থেকেও আমার মুখটা ঝলসে গেল। শুধু দুচোখ অক্ষত রইলো।

আমি চিন্তিত হয়ে গেলাম, আমার চেহারা কেনো ঝলসে গেলো? আল্লাহ কি আমার প্রতি নারাজ?❓

শায়খঃ প্রিয় বৎস! সম্ভবত আল্লাহ তা'আল মায়ের পাপ থেকে তোমাকে পবিত্র করতে চেয়েছেন। তুমি তো তোমার মায়ের হারাম উপার্জনেই বড় হয়েছো। আল্লাহকে ভয় করো। তাঁর কাছেই ক্ষমা চাও। আল্লাহ আ'আলা তোমার জন্য যা দিয়েছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকো।

[যারা☣️ যাদুকর/কবিরাজ/কুফরী হুজুরদের কাছে যান তারা নিজেদের পরিনতি সম্পর্কে সচেতন হোন। তওবা করে ফিরে আসুন। মৃত্যু অতি সন্নিকটে।]

Atik Ullah হাফিযাহুল্লাহ।

Address

Chandpur
3600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বিচিত্র জীবনের রঙ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share