বিচিত্র জীবনের রঙ

বিচিত্র  জীবনের রঙ Life Is Meaningless Without Experience, This page will show you various kind of natural view and natural sight.

05/09/2025

একটুখানি_লজ্জায়_সব_নামাজ_রোজা_ বাতিলঃ!

আপনি সারাজীবন খুব ভালো ভাবে ইবাদত করে কাটালেন। মৃত্যুর পরে বিচার দিবসে যখন আপনার আমলনামা আপনার হাতে দিবে, তখন দেখলেন আপনার আমলনামায় কোন আমল জমা হয়নি। তখন আপনার চাইতে কপাল পোড়া আর কেউ কি থাকবে????

হ্যাঁ এমনটাই হতে পারে, যদি নিয়ম না জেনে ফরজ গোসল করেন। কারণ ফরজ গোসল সঠিক পদ্ধতিতে না করলে সারাজীবনই নাপাক অবস্থায় কাটাবেন।

বিশেষ করে আমার সমবয়সী বন্ধু সকল তোমরা লজ্জায় কোনো আলেম বা যারা জানেন তাদের কাছে কোনদিনই জানতে যাওনি। না জেনে যদি এভাবেই তোমার জীবনঘড়ি থেমে যায় কেমন হবে সেই সময়টা একটু চিন্তা করে দেখেছো কি.?

একটু লজ্জায় সারাজীবনের ইবাদত বরবাদ!!!

যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়ঃ

১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বী-র্য-পাত হলে।
২. সহ–বাসে (সহ–বাসে বী-র্য-পাত হোক আর নাই হোক)।
৩. মেয়েদের হায়েয-নিফাস শেষ হলে।
৪. ইসলাম গ্রহন করলে (নব-মুসলিম হলে)।

গোসলের ফরজ ৩ টিঃ

১. গড়গড়া সহ কুলি করা, যাতে পানি গলার হাড় পর্যন্ত পৌছে।

২. হাতে পানি নিয়ে নাকের নরম হাড় পর্যন্ত পানি পৌছানো।

৩. সমস্ত শরীর উত্তম রুপে ধৌত করা।

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়মঃ

১গোসলের নিয়ত করা, 'বিসমিল্লাহ' বলে গোসল শুরু করা। দুই হাত কবজি পর্যন্ত ধোওয়া (বুখারী ২৪৮)

২ পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে লজ্জাস্থান পরিষ্কার করা (বুখারী ২৫৭)

৩ বাম হাতটি ভালভাবে ঘষে ধুয়ে নেওয়া (বুখারী ২৬৬)

৪ নামাজের ওজুর মতো ভালভাবে পূর্ণরূপে ওজু করা। এক্ষেত্রে শুধু পা দুটো বাকি রাখলেও চলবে, যা গোসলের শেষে ধুয়ে ফেলতে হবে। (বুখারী ২৫৭, ২৫৯, ২৬৫)।

৫ মাথায় পানি ঢেলে চুলের গোড়া ভালভাবে আঙ্গুল দিয়ে ভিজানো। (বুখারী ২৫৮)।

৬ পুরো শরীরে পানি ঢালা; প্রথমে ডানে ৩বার, পরে বামে ৩বার, শেষে মাথার উপর ৩ বার (বুখারী ১৬৮)।

৭ (যেন শরীরের কোন অংশ বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজতে হবে।

নাভি, বগল ও অন্যান্য কুঁচকানো জায়গায় অবশ্যই পানি ঢালতে হবে)।

গোসলের জায়গা থেকে একটু সরে গিয়ে দুই পা ধোওয়া। (বুখারী ২৫৭)।

এটাই হচ্ছে গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি। উল্লেখ্য, এইভাবে গোসল করলে এর পরে নামায পড়তে চাইলে আলাদা করে ওযু করতে হবেনা, যদিনা গোসল করার সময় ওযু ভংগের কোনো কারণ ঘটে থাকে।

গোসলের পরে কাপড় চেঞ্জ করলে বা হাঁটুর উপরে কাপড় উঠে গেলে ওযু ভাংবেনা, এটা ওষু ভংগের কারণ না।

আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে আমল করার ও এ জ্ঞান সকলের কাছে পৌছে দেয়ার তওফিক দান করুন।

আমিন।

#ইসলামিকভিডিও #নামাজ #রোজা #ফরজগোসল #ইবাদত

©

স্ট্রোককে বলা হয় নীরব ঘাতক। হঠাৎ করেই এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্রোক হওয়ার দুই...
05/09/2025

স্ট্রোককে বলা হয় নীরব ঘাতক। হঠাৎ করেই এটি প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক ক্ষেত্রেই স্ট্রোক হওয়ার দুই মাস আগে থেকেই শরীর কিছু সতর্কবার্তা দেয়। যদি সময়মতো এই সংকেতগুলো বোঝা যায় এবং চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া যায়, তাহলে বড় ধরনের বিপদ এড়ানো সম্ভব।

আসুন জেনে নেওয়া যাক স্ট্রোকের আগাম ৬টি ইঙ্গিত -

১. বারবার মাথা ঘোরা ও ভারসাম্য হারানো
হঠাৎ মাথা ঘোরা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া বা হাঁটার সময় ভারসাম্য হারানো মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

২. হাত-পা অসাড় হয়ে যাওয়া
এক পাশের হাত বা পা হঠাৎ অসাড় হয়ে যাওয়া বা দুর্বল লাগা স্ট্রোকের সম্ভাব্য সংকেত।

৩. কথায় জড়তা ও অস্পষ্ট উচ্চারণ
হঠাৎ কথা আটকে যাওয়া বা জড়তা আসা মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়ার প্রমাণ হতে পারে।

৪. হঠাৎ দৃষ্টি ঝাপসা বা দ্বিগুণ দেখা
এক চোখ বা দুই চোখেই দৃষ্টি সমস্যা দেখা দিলে তা অবহেলা করা বিপজ্জনক।

৫. তীব্র মাথাব্যথা
কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা শুরু হলে এটি স্ট্রোকের আগাম সতর্কবার্তা হতে পারে।

৬. ক্লান্তি ও বিভ্রান্তি
শরীর অকারণে দুর্বল হয়ে পড়া, অস্বাভাবিক ক্লান্তি বা হঠাৎ স্মৃতিভ্রংশের মতো উপসর্গও স্ট্রোকের পূর্বাভাস হতে পারে।

করণীয় -
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপান ও স্থূলতা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম, ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত থাকা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি।

মনে রাখবেন,
শরীরের ছোট ছোট সংকেতই বড় বিপদ থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে। তাই লক্ষণগুলো অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

©

Appendicectomy (এপেনডিক্স) অপারেশন করতে গিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের খাদ্যনালী থেকে অসংখ্য কৃমি বের করেন মিশন হাসপাতালের ...
05/09/2025

Appendicectomy (এপেনডিক্স) অপারেশন করতে গিয়ে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের খাদ্যনালী থেকে অসংখ্য কৃমি বের করেন মিশন হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা: তানভীর আহমেদ সনেট। সাইজ ছোট নয়, যেমনটা দেখছেন এমনই, আর এগুলো কোনো AI বা অবাস্তব কিছু নয়। এদের নাম Ascaris lumbricoides, একটু কষ্ট করে গুগল করলেই বিস্তারিত জানতে পারবেন। এরা ১৪০-১৫০ টি একত্রে জমা হয়ে Intestinal obstruction পর্যন্ত করতে পারে। এমনকি একটামাত্র Ascaris lumbricoide পিত্তনালী ব্লক করে Obstructive jaundice করতে পারে। খাদ্যনালী দিয়ে উঠে এসে শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসে যেয়ে Eosinophilic pneumonia মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে।

সুতরাং, প্লিজ আপনি নিজে খান, এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যকে প্রতি ৩ থেকে ৪ মাস পর পর বাধ্যতামূলকভাবে কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়ান।

©

উড়ন্ত জ্বীন/পাখি জ্বীন (الجن الطيار) জ্বীনের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কেউ উড়ে বেড়ায় (الطيار), কেউ পানিতে বসবাস করে (الغواص), ...
04/09/2025

উড়ন্ত জ্বীন/পাখি জ্বীন (الجن الطيار)

জ্বীনের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। কেউ উড়ে বেড়ায় (الطيار), কেউ পানিতে বসবাস করে (الغواص), আবার কেউ সরীসৃপের মতো (الزواحف)। প্রতিটি প্রকারের জ্বীনকেই যাদুকররা ভিন্ন ভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে পাখি জ্বীন বিশেষভাবে পরিচিত তার গতি, প্রভাব এবং মানসিক যন্ত্রণাদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে।

🔹 আক্রান্ত করার বৈশিষ্ট্য

1. দ্রুত আসা ও যাওয়া
ত্বইয়ার জ্বীন মুহূর্তেই আক্রান্তের কাছে উপস্থিত হতে পারে এবং তেমন দ্রুত চলে যায়।

2. চারপাশে প্রভাব বিস্তার
আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার ও বন্ধুরা তার আচরণ ভুল বোঝে বা হঠাৎ রাগান্বিত হয়ে পড়ে, যদিও তারা সরাসরি আক্রান্ত নয়।

3. মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ
এটি মানসিক রোগ, অতিরিক্ত ওয়াসওয়াসাহ ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

4. যাদুকরদের কাছে দ্রুত বার্তাবাহক
হঠাৎ ক্ষতি সাধন বা অল্প সময়ে প্রভাব বিস্তারে যাদুকররা এদের ব্যবহার করে থাকে।

5. খবর আদান–প্রদান
এটি দ্রুত খবর নিয়ে যেতে সক্ষম, তবে সব ত্বইয়ার আকাশে উঠতে পারে না।

6. আড়ি পাতার ক্ষমতা
আক্রান্তের উপর নজরদারি ও গোপন কথাবার্তা শোনার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

🔹 সাধারণ উপসর্গ

ঘাড়ের হাড় বা মেরুদণ্ডে ব্যথা।
কাঁধে অতিরিক্ত চাপ (যেন কেউ বসে আছে)।
শরীর হালকা লাগা, উড়তে ইচ্ছা করা।
কানে বাঁশির মতো শব্দ বা শোঁ শোঁ আওয়াজ।
হঠাৎ শরীর গরম হয়ে যাওয়া।
বুক ও কাঁধে ব্যথা।
রুকইয়ার সময় হঠাৎ লুকিয়ে যাওয়া।
স্বপ্নে উড়তে দেখা

👉 নোট: সবার ক্ষেত্রে উপসর্গগুলো সমানভাবে প্রকাশ পায় না। কারও উপসর্গ হালকা, আবার কারও কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে।

🔹 রুকইয়ার সময়কার উপসর্গ

চোখের দ্রুত কাঁপন।

ঘাড় বৃত্তাকারে নাড়ানো।

হাত নাড়িয়ে উড়ার মতো ভঙ্গি।

🔹 উপসংহার

উড়ন্ত/পাখি জ্বীন আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কষ্টদায়ক ও ক্লান্তিকর। তবে এটিকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এটি রুকইয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়, এমনকি শরীর থেকে দূরে থাকলেও— কারণ এটি আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে বাঁধা থাকে।

©

★ ফিটকিরি ব্যবহারে রয়েছে আশ্চর্য রকমের উপকারিতা এবং একই সাথে স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও গৃহস্থালির কাজে অনন...
04/09/2025

★ ফিটকিরি ব্যবহারে রয়েছে আশ্চর্য রকমের উপকারিতা এবং একই সাথে স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, সংক্রমণ প্রতিরোধ ও গৃহস্থালির কাজে অনন্য উপকারিতা।

তো চলুন আজকে ফিটকিরির বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই

★ ত্বক ও সৌন্দর্যে ফিটকিরি

১. ব্রণ দূর করে ফিটকিরি গুড়া ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান।

২. ত্বকের ছিলা ভাব দূর করে ফিটকিরি পানি দিয়ে প্রতিদিন মুখ ধুয়ে নিন।

৩. চুলকানি কমায় ফিটকিরি পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিন।

৪. ত্বক মসৃণ করে স্নানের পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে গোসল করুন।

৫. দাড়ি কামানোর পর জীবাণুনাশক কাজ করে ফিটকিরি ব্লক ভিজিয়ে মুখে ঘষুন।

৬. পায়ের ফাটা গোড়ালি সারায় ফিটকিরি পানি দিয়ে পা ডুবিয়ে রাখুন, এরপর তেল মেখে ফেলুন।

৭. ত্বকের জ্বালা ও পোড়া কমায় আক্রান্ত স্থানে ফিটকিরি পানি লাগান।

★ ক্ষত ও সংক্রমণ প্রতিরোধে

৮. ছোট কাটা-ছেঁড়া দ্রুত সারায় ভেজা ফিটকিরি সরাসরি ক্ষতে লাগান।

৯. অতিরিক্ত ঘাম কমায় বগলে ফিটকিরি পানি লাগান।

১০. ইনফেকশন প্রতিরোধ করে ক্ষতস্থানে ফিটকিরি গুড়া ছিটিয়ে দিন।

১১. ফোড়া শুকায় গরম পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে তুলা দিয়ে লাগান।

১২. চুলকানিযুক্ত চর্মরোগ উপশম করে ফিটকিরি পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে নিন।

১৩. পায়ের ফাঙ্গাস দূর করে ফিটকিরি পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিন।

১৪. গৃহপালিত পশুর ক্ষত সারায় ক্ষতস্থানে ফিটকিরি পানি লাগান।

১৫. পানির জীবাণু নাশ করে পানিতে সামান্য ফিটকিরি দিয়ে রেখে পরিস্কার করে নিন।

১৬. পানির ময়লা পরিষ্কার করে ফিটকিরি মিশিয়ে রাখলে ময়লা নিচে জমে যাবে।

১৭. কাপড়ের দুর্গন্ধ দূর করে ধোয়ার পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে নিন।

১৮. স্নানঘরের দুর্গন্ধ কমায় ফিটকিরি পানি ছিটিয়ে দিন।

১৯. জুতা দুর্গন্ধমুক্ত করে জুতায় ফিটকিরি গুড়া ছিটিয়ে দিন রাতে।

২০. শৌচাগারের দুর্গন্ধ দূর করে ফিটকিরি পানি ছিটিয়ে দিন।

২১. বাথটবের পানি জীবাণুমুক্ত করে গোসলের পানিতে ফিটকিরি দিন।

২২. মাছ পরিষ্কার করার পর গন্ধ দূর করে ফিটকিরি পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

★ মুখ ও দাঁতের যত্নে

২৩. দাঁতের ব্যথা কমায় ফিটকিরি পানি দিয়ে কুলি করুন।

২৪. মুখের দুর্গন্ধ দূর করে ফিটকিরি পানি দিয়ে গার্গল করুন।

২৫. মাড়ির ইনফেকশন ও রক্তপাত বন্ধ করে ফিটকিরি গুলানো পানি দিয়ে কুলি করুন।

২৬. ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে অল্প পরিমাণ ফিটকিরি গুড়া পানিতে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

২৭. গলা ব্যথা ও কাশি উপশম করে হালকা গরম পানিতে ফিটকিরি মিশিয়ে গার্গল করুন।

২৮. চোখের প্রদাহ কমায় ফিটকিরি গুলানো পানি ছেঁকে ঠান্ডা করে চোখ ধুতে পারেন।

২৯. চুল পড়া কমায় ফিটকিরি পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে নিন।

৩০. ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে ফেসপ্যাকের সাথে ফিটকিরি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ত্বক ফর্সা হয়।

★ ফিটকিরি হলো সহজলভ্য কিন্তু অসাধারণ উপকারী একটি প্রাকৃতিক উপাদান। স্বাস্থ্য, সৌন্দর্য, জীবাণুনাশ, গৃহস্থালি কাজ সব ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার আপনাকে দেবে চমকপ্রদ ফলাফল।

©

আজ ১লা সেপ্টেম্বর: আমার ফাতিমা আমাতুল্লাহর ৭ বছর পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ। জন্মদিন কখনো পালন করা হয়না, তারিখটাও মনে রাখ...
04/09/2025

আজ ১লা সেপ্টেম্বর: আমার ফাতিমা আমাতুল্লাহর ৭ বছর পূর্ণ হলো, আলহামদুলিল্লাহ।

জন্মদিন কখনো পালন করা হয়না, তারিখটাও মনে রাখিনা, আলহামদুলিল্লাহ। তবে ৭ এর হিসেবটা ইচ্ছে করেই মনে রেখেছিলাম। এই দিনে মেয়েকে একটা সারপ্রাইজ গিফট দেওয়া+ তার উপর আল্লাহর দেয়া একটা দায়িত্বকে আনন্দের সাথে হ্যান্ডওভার করার জন্য।

বয়স বাড়াকে আমরা গুনাহ দিয়ে সেলিব্রেট করি, অথচ প্রত্যেক বয়সের সাথে যুক্ত হয় কিছু দায়িত্ব। ইসলামেও বাচ্চাদের বয়সের সাথে সাথে কিছু ল্যান্ডমার্ক আছে, আমাদের উচিৎ সন্তানকে শুধু ছোট বানিয়ে না রেখে নির্ধারিত বয়সে তার দায়িত্বগুলো জানানো ও সচেতন করা। আল্লাহকে ভালোবাসা ও আল্লাহর ভালোবাসা অর্জন করে 'আবদ' হিসেবে গড়ে উঠতে সাহায্য করা।

২ বছর- বাচ্চার ব্রেস্টফিড বন্ধ করার সময়।

৭ বছর- সন্তানকে সালাতের নির্দেশ দেয়া ও অভ্যস্ত করানো।

৯- মেয়ে বাচ্চাকে পর্দার অভ্যাস করানো (উলামায়ে কেরামের মত)।

১০- সন্তান সালাত না পড়লে প্রয়োজনে গায়ে হাত তোলা এবং বাচ্চার বিছানা বাবা-মায়ের বিছানা থেকে আলাদা করে দেয়া।

১১/১২ বা বালেগ/বালেগা- নামায, রোযা, পর্দাসহ প্রত্যেক ফরয আমল সন্তানের উপর ফর‍য হিসেবে নির্ধারিত হবে এবং তা পালন না করলে কবীরা গুনাহ/ ফরয তরক করার গুনাহ হবে। বাবা-মা তা পালনের নির্দেশ না দিলে তারাও অভিভাবক হিসেবে গুনাহগার হবে।

নামাযি পরিবারের বাচ্চারা তো ছোট থেকেই বাবা-মায়ের সাথে নামাযে দাঁড়ায়। তবে ৭ বছর হলে যেন আমরা সন্তানকে ৫ ওয়াক্ত সালাতে অভ্যস্ত করানো শুরু করি, এই নির্দেশটা আল্লাহর, এটাও আমরা বাচ্চাদেরকে বুঝিয়ে বলি। ৭ থেকে ১০... লম্বা একটা সময় দিয়েছেন আল্লাহ, যেন বাচ্চারা অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে, যেন ১০ বছরে গিয়ে তার গায়ে হাত না তুলতে হয়। কত চমৎকার আল্লাহর বিধান!

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেন—
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا
“তুমি তোমার পরিবারকে নামাযের নির্দেশ দাও এবং নিজেও এর উপর অবিচল থাকো।” (সূরা ত্বহা: ১৩২)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন—
مُرُوا أَوْلَادَكُمْ بِالصَّلَاةِ وَهُمْ أَبْنَاءُ سَبْعِ سِنِينَ
“তোমরা তোমাদের সন্তানদের সাত বছর বয়সে নামায পড়ার নির্দেশ দাও।” (আবু দাউদ 495, তিরমিযী 407)

একই হাদীসে রাসূল ﷺ আরও বলেছেন—
وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا وَهُمْ أَبْنَاءُ عَشْرٍ
“আর যখন তারা দশ বছর বয়সে পৌঁছাবে, তখন নামায না পড়লে তাদেরকে (শিক্ষামূলকভাবে) শাসন কর।” (আবু দাউদ 495, মুসনাদে আহমদ 6689)

🔵 কৃতজ্ঞতা স্বীকার:

- মেয়ের সালাত খিমার সেটটা হাদিয়া দিয়েছিলো Sofia Euna আপু ৩-৪ বছর আগে। এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলাম ৭ বছরে দেয়ার জন্য। জাযাকিল্লাহু খাইরান, আপু।
- সালাত ট্র‍্যাকারটি অর্ডার করেছিলাম Asmaul Husna Calligraphy পেইজ থেকে।
- নাম লেখা জায়নামাযটা এনেছিলাম বাইতুল্লাহ সফর থেকে, তাও কয়েক বছর আগে।

আল্লাহ আমাদের সন্তানদেরকে 'মুক্বিমুস স্বলাত' হিসেবে কবুল করুন।

رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي ۚ رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ

“হে আমার পালনকর্তা! আমাকে নামায কায়েমকারী বানান এবং আমার সন্তানের মধ্য থেকেও (নামায কায়েমকারী বানান)। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার দোয়া কবুল করুন।” (সূরা ইবরাহীম: ৪০)

♦️ শিশু সন্তানকে সালাতে অভ্যস্ত করানোর বিষয়ে শিবলী মেহেদী ভাইয়ের ৫ পর্বের ভিডিও সিরিজ আছে, দেখতে পারেন এখানে: https://tinyurl.com/2jjac8bt

®Nishat Tammim

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে দিনে মাত্র একটা সফট ড্রিংক খেলেই ডায়াবেটিসের রিস্ক বেড়ে যায় ২৩%। আর যারা ডায়েট বা জিরো ড্রিংক...
03/09/2025

নতুন গবেষণায় দেখা গেছে দিনে মাত্র একটা সফট ড্রিংক খেলেই ডায়াবেটিসের রিস্ক বেড়ে যায় ২৩%। আর যারা ডায়েট বা জিরো ড্রিংকস খান তাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ ৩৮%।

৩৬,৬০৮ জন মানুষের উপর ১৪ বছর ধরে করা গবেষণা এই ফলাফল দিয়েছে। (রেফারেন্স কমেন্টে)

তবে আমি আশ্চর্য হয়েছি ডায়েট ড্রিংকের ব্যাপারটা দেখে। তার মানে, চিনি এড়ানোর জন্য আপনারা যারা অন্য বিকল্প নিচ্ছেন, তাদের জন্য এটা একটি বিরাট চিন্তার বিষয়।

তবে আশার খবর হলো বাংলাদেশে একটি দল অনেক দিন ধরে প্রাকৃতিক উৎস থেকে আসা চিনির GI কমিয়ে স্বাস্থ্যকর করার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি যেরকম তৈরি হচ্ছে, তাদের সাফল্য এখন খুবই জরুরি।



©

03/09/2025

শুনো ভাই,
এসএসসি পাশ করছো? যথেষ্ট পড়াশোনা হইছে, এইবার কিছু টেকনিক্যাল স্কিল শিখো বিদেশ চলে যাও। আর যারা ইন্টারমিডিয়েট দিয়ে ফেলেছো, পড়াশোনা করার একমাত্র উদ্দেশ্য যদি টাকা ইনকাম হয় , তাহলে তুমিও দেশের বাইরে চলে যাও। ৫-৬ বছর বিদেশ করে তুমি যখন ৪০-৫০ লাখ টাকার মালিক হইবা, তখন দেশে আইসা দেখবা তোমার বন্ধু গ্রাজুয়েশন শেষ করে কুড়ি হাজার টাকা সেলারির চাকরির পেছনে ছুঁটছে।
সুতরাং পড়াশোনার অজুহাতে যত সময় নষ্ট করবা, জীবন থেকে তত পিছায়ে যাইবা।
এই দেশে যে পরিমাণ জনসংখ্যা, যত সংস্কারই হোক, বেকারত্বের হার দিন দিন বেড়েই যাবে। তবে তুমি যদি নিজের উপর ১০০% কনফিডেন্ট থাকো এবং দীর্ঘ পড়াশোনায় ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারো এবং ট্যালেন্টেড হও, এক হাজারে যে একজনের চাকরি হয় তুমি হয়তো সেইটা হতে পারবা। আর নাহলে অযথাই এই দেশে থাইকো না।

এই কথাগুলা শুধুমাত্র মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির ছেলেদের জন্য, যাদের জীবনে টাকাপয়সার দরকার আছে।

©

উচ্চ শিক্ষা যত বেড়েছে তত ডিভোর্স বেড়েছে। তার অন্যতম কারণ নারীর সিফাত নষ্ট হয়ে গেছে। এই যুগে নারীদের মাঝে বিড়াল প্রেম/পশু...
02/09/2025

উচ্চ শিক্ষা যত বেড়েছে তত ডিভোর্স বেড়েছে।
তার অন্যতম কারণ নারীর সিফাত নষ্ট হয়ে গেছে।
এই যুগে নারীদের মাঝে বিড়াল প্রেম/পশু প্রেম দেখতে পারবেন। তাছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা হতে ভার্সিটির নানা ইভেন্টে ভলেন্টিয়ার দেখতে পাবেন৷

ভার্সিটির নানা উৎসবে দেখবেন তাদের রাত জাগা টিম ওয়ার্ক। কখনো র‍্যাগ-ডের রিহার্সাল বা কখনো পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি। সব কিছুতে তারা উজার করে দিবে বেহিসাবে৷ ফ্রি মিক্সং এ ছেলে বন্ধুদের সাথে এদের মেলা খুনসুটি।

এতো কিছুর পরেও ডিভোর্স ক্যান হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে?কারণ একটা নারীরা বাহিরে সব জায়গায় ভালো কাজের প্রতিযোগী হলেও স্বামীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বী।

স্বামীর সাথে এরা জিরো টলারেন্স। বিন্দু পরিমাণ ছাড় নেই। এদের দেখবেন দুর্গন্ধযুক্ত নালায় ময়লা পরিস্কার করলেও। ঘরের হাড়ি পাতিল ধুতে গেলে এদের মনে হয় পরাধীন।

স্বামী ৪০ হাজার টাকা কামাই করে স্ত্রীর পেছনে ২০ হাজার টাকা ব্যয় করলেও স্বামীর অনুগত পাইবেন না।।আবার একই নারী ১৫/২০ হাজার টাকার জন্য বিভিন্ন সুপারশপ ও শোরুমে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে৷ বস কে প্রভু মানে। আর কাস্টমারকে আকর্ষিত করতে উজার করে দেয়৷
কথা আচরণে মনে হয় এরা দুনিয়ার সবচেয়ে মার্জিত প্রাণী।

স্বামীরা এতকিছু করলেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠে। সুপারশপ/শোরুমে বসের আনুগত্য করলেও স্বামীর অনুগত হওয়াটা তাদের কাছে পরাধীন।।

✍️আল ইন্তিফাদা

©

এই ছবিতে একটি কলা ব্যবহার করে  সহজ উপায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে X-ray, CT স্ক্যান এবং MRI কীভাবে শরীরের ভেতরের গঠন দেখান...
31/08/2025

এই ছবিতে একটি কলা ব্যবহার করে সহজ উপায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে X-ray, CT স্ক্যান এবং MRI কীভাবে শরীরের ভেতরের গঠন দেখানোর ক্ষেত্রে একে অপরের থেকে ভিন্ন।

X-ray ছবিতে শুধুমাত্র কলার বাইরের একটি সাধারণ ছায়া দেখা যায়। এটি বোঝায়, এক্স-রে মূলত হাড় বা ঘন বস্তুর গঠন দেখতে ব্যবহৃত হয়।

CT স্ক্যান ছবিতে কলার কিছু অভ্যন্তরীণ স্তর দেখা যায়, যা দেখায় এটি শরীরের ভেতরের টিস্যুর সূক্ষ্ম পার্থক্য বা রক্তপাতের মতো বিষয়ও শনাক্ত করতে পারে।

MRI ছবিতে কলার ভেতরের সূক্ষ্ম আঁশ ও টেক্সচার পর্যন্ত পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এটি বোঝায়, MRI নরম টিস্যু যেমন মাংসপেশি, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা স্নায়ুর বিস্তারিত চিত্র দেখাতে সবচেয়ে দক্ষ।

©

কাচারি ঘর বা কাছারি ঘর ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি ভবন, যা মূল বাড়ির বাইরে আলাদাভাবে তৈরি করা হতো। এটি অতিথি আপ্যা...
29/08/2025

কাচারি ঘর বা কাছারি ঘর ছিল গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি ভবন, যা মূল বাড়ির বাইরে আলাদাভাবে তৈরি করা হতো। এটি অতিথি আপ্যায়ন, পথচারী ও মুসাফিরদের থাকার জায়গা, ছাত্রদের পড়ালেখা এবং সামাজিক সাক্ষাৎপ্রার্থীদের মিলনস্থল হিসেবে ব্যবহৃত হতো।

একটি বাড়ির প্রবেশ মুখে অনেক বাহারি ঢং এ এটি নির্মিত হতো। এই কাচারী বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে থাকতো বাহারি সিঁড়ি ও নামাজের জায়গা। হারিকেন এর মত আরেকটি বিলুপ্ত ঐতিহ্য " কাচারী বাড়ি "।

©

26/08/2025

'উস্তাযাহ আমার স্মরণশক্তি অত্যাধিক দুর্বল৷ আমি কি হিফজ করতে পারব?'

ক্লাসের সবকটা কন্ঠ যেন এক ধাক্কায় চুপ হয়ে গেল। মুহূর্তের মাঝেই একটা থমথমে পরিবেশে আমরা আটকে গেলাম। এই ক'দিনের মধ্যে আমরা খুব ভালো ভাবে বুঝে গেছি যে, ফাত্বিমাহ উস্তাযাহ কোনো নেগেটিভ কথা শুনতে পছন্দ করেন না। উস্তাযাহ কে 'পারছি না' শব্দ দু'টো বলার থেকে বিরতিহীন ভাবে ২৪ ঘন্টা হিফজ রিভাইস দেওয়াও আমাদের কাছে বেশি স্বস্তির বলে মনে হয়৷ সেখানে এহেন প্রশ্ন যে উস্তাযাহ কে বেশ রাগিয়ে দিবে তা আমরা খুব ভালোই টের পাচ্ছিলাম। কয়েকজন পার্সোনাল গ্রুপে নিজেদের মনের উদ্বেগ প্রকাশ করে বলছিল, 'নাহ! বারাকাহ আজ বকা খাবেই! কেন যে এরকম নেগেটিভ কথা বলতে গেল!'

একেকটা সেকেন্ড যেন ঘন্টার মত পার হচ্ছে। আমরা উৎকন্ঠা নিয়ে উস্তাযাহ'র উত্তর শোনার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু উস্তাযাহ তখনো নিশ্চুপ৷ আমরা ধরে নিলাম 'ঝড়ের পূর্বাভাস'।

বারাকাহ মেয়েটাকে ক্লাসের সবাই খুব পছন্দ করে৷ পাকিস্তানি, কম বয়সী, এতিম একটা মেয়ে। বিশাল যৌথ পরিবারের বড় ছেলের বৌ। বিয়ের প্রায় ৮ বছর পার হতে চললো, এখনো তার কোল খালি৷ সেই সূত্র ধরে ক'মাস হলো বাড়ি বদল করে এখন ওর নতুন জায়গা হয়েছে ভাইয়ের বাড়িতে। এই নিয়ে ভাইয়ের বাড়ির লোকেরাও যে তাকে নিত্যদিন কথা শোনায় তা তার চোখ দু'টো দেখেই অনুমান করা যায়৷ প্রতিদিন টলমল দু'টো চোখ আর ক্লান্তিতে ভরা কন্ঠ নিয়ে ক্লাসে এসেই একটা হাসি নিয়ে সবাইকে সালামুন আলাইকি বলে উঠে৷ হিফজের পড়া শোনানোর পর তার উজ্জ্বল মুখ খানা দেখে মনে হয়, পৃথিবীর সবথেকে সুখী মেয়েটির নাম বুঝি বারাকাহ!

বারাকাহ শারীরিক ভাবেও বেশ অসুস্থ থাকে সবসময়। যেমন তেমন কোনো অসুখ না৷ বেশ বড় রকমের হার্টের অসুস্থতা নিয়ে ও দুনিয়াতে এসেছে। তবুও কোনো কিছু তাকে হিফজের দারস থেকে দূরে রাখতে পারে না৷ অসুস্থতার সাথে সম্পর্কের বেহাল দশা, বড় সংসারের কাজের ধকল সব কিছু সামলিয়ে কুর'আন হিফজের ভাবনা হয়তো কারো স্বপ্নেও আসবে না৷ অথচ বারাকাহ সেই স্বপ্ন ছুঁতেই আমাদের সহযাত্রী হয়ে আজ হিফজের দারসে বসে আছে!

মিনিট তিনেক পর। নিরবতা ভেঙে সবাইকে অবাক করে দিয়ে, উস্তাযাহ বারাকাহ'র প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে বেশ শান্ত কন্ঠে ফিরতি প্রশ্ন করলেন, 'বারাকাহ, তুমি কি কুর'আন হিফজ করতে ভালোবাসো?'

সবাই নিশ্চুপ৷ যেন নিঃশ্বাস নিতেও ভুলে গেছি। থমথমে পরিবেশ৷ তখনো পর্যন্ত আমরা জানি না একটু পরেই এই থমথমে পরিবশেটা রব্ব তার অশেষ দয়ায় প্রশান্তিময় করে তুলবেন!

বারাকাহ কাঁপা গলায় বললো, 'উস্তাযাহ! আমি আমার রব্বের জন্য কুর'আন হিফজ করতে ভালোবাসি৷ ওয়াল্লাহি! এই দুনিয়ায় কুর'আন হিফজ থেকে অধিক প্রিয় আমার কাছে আর কিছুই নেই৷ আমি চাই না আমার জীবনের একটা মুহূর্তও কুর'আন বিহীন কাটুক। কিন্তু...'

একটু থেমে খানিকটা দম নিয়ে বারাকাহ আবার বললো, 'কিন্তু আমার ভয় হয়। আমার দুর্বল মেধা, অসুস্থতা আর গুনাহ বুঝি আমাকে কুর'আন হিফজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়!'

উস্তাযাহ নরম গলায় বললেন, 'বান্দী তার রব্বের জন্য কুর'আন হিফজ করতে ভালোবাসে অথচ রব্ব তার বান্দীর দিলে কুর'আন ঢেলে দিবেন না এমন কি কখনো হতে পারে বারাকাহ?

ততক্ষণে ক্লাসের সবার চোখ ভিজে এসেছে৷ কান্নার আওয়াজে চারদিক ভারী হওয়ার বদলে অনেক বেশি প্রশান্তময় হয়ে উঠেছে। কারণ এই কান্না যে কুর'আনের প্রতি মুহাব্বাত থেকে আসা কান্না, এই কান্নায় মিশে আছে নিজেদের ক্ষুদ্র যোগ্যতা নিয়েও রব্বকে রাজি-খুশি করে মরিচাধরা অন্তরগুলোতে কুর'আন কে ধারণ করতে চাওয়ার আকুলতা। উস্তাযাহ'র কন্ঠেও কান্নার রেশ স্পষ্ট প্রকাশ পাচ্ছে৷ কুর'আনের প্রতি মুহাব্বাত বুঝি এমনই হয়! এক বান্দীর কুর'আনের প্রতি মুহাব্বাত রব্বের অসংখ্য বান্দীর হৃদয়ে মুহাব্বাতের ঝড় তুলে দেয়! সেই ঝড় থামাবার সাধ্যি কার আছে!

উস্তাযাহ আমাদের ব্যাচের নাম দিয়েছিলেন Golden 13। ১৩ জনের এই ছোট্ট হিফজের কাফেলায় প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু গল্প আছে। প্রত্যেকের জীবনের গল্প আলাদা, স্ট্রাগল আলাদা। এই গল্পগুলোর কোনোটাই রূপকথার মত চোখ ধাঁধানো না, চলার পথটাও খুব একটা মসৃণ না৷ কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই বিশ্বাস করতাম, আমাদের জার্নির শেষটা রূপকথার গল্পগুলোর থেকে অনেক বেশি রাজকীয় হবে৷ এই জীবনে আমরা কেউ রূপকথার সেই কাল্পনিক রাজকন্যার মত না হলেও কুর'আন হিফজ আমাদের পরের জীবনে সত্যিকারের রাজকন্যা করে তুলবে। কুর'আনের একেকটা আয়াত পড়তে পড়তে আমরা জান্নাতের একেকটা সিঁড়ি পেরোবো৷ রব্বের'র দয়ায় জান্নাতের সর্বশেষ সিঁড়ি পেরিয়ে আমরা আমাদের আসল রাজ্যে রাজকন্যার ন্যায় প্রবেশ করবো। (ইন শা আল্লাহ তা'য়ালা) কেমন হবে সেই মুহূর্তটা! রব্বের প্রতি কৃতজ্ঞতায় বারবার মাথা ঝুঁকে আসবে না? জান্নাতে তো কোনো কষ্ট থাকবে না, কান্নাও নিশ্চয়ই থাকবে না৷ সেই দিনটায় কী তবে আমাদের খুশির কান্না আসবে? দুনিয়াতে বসে কী কল্পনা করা যায় সেই মুহুর্তগুলো?

এমন মুহূর্ত পেতে রাতের পার রাত চলতো আমাদের কুর'আন নিয়ে ব্যতিব্যস্ততা।
কত রাত যে আমাদের কান্নার সাক্ষী হয়ে আছে! দিনের বেলার হাজারটা ক্লান্তি পার করে রাত্রি বেলা আমরা কুর'আন হিফজে ডুবে যেতাম। ওপাশ থেকে মেসেজের টুং টাং আওয়াজে একেকজনের পড়ার রিপোর্ট আসতো, চলতো নিচু আওয়াজে একে অপরকে সবক শোনানো৷
কত শত রাত্রি কেটে গেছে কুর'আনের মুসহাফ কোলে নিয়ে, মুসহাফে কান্নার দাগগুলো যেন রব্বের নিকট সৌভাগ্যবতীদের পাশে নিজেদের নাম লিখিয়ে নেওয়ার আর্জি জানাতো! আমাদের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা চলতো কুর'আন কে ভালোবাসার পরিমাণ নিয়ে। আমরা শিখেছিলাম, হিফজ শুধুমাত্র কুর'আন মুখস্থ করে যাওয়া না বরং কুর'আনের মুহাব্বাতে পুরোপুরি নিজেকে ডুবিয়ে ফেলা৷

হঠাৎ একদিন বারাকাহ জানালো ওর তালাক্ব হয়ে গেছে৷ আমরা যতটা না কষ্ট পেয়েছিলাম তারচেয়েও বেশি অবাক হয়েছিলাম। এমন ভালো একটা মেয়েকেও কেউ ছেড়ে চলে যায়! স্বান্তনা দিচ্ছিলাম। এত কষ্টের মধ্যেও বারাকাহ'র কন্ঠে বিন্দুমাত্র অসন্তুষ্টি ছিল না, রব্বের প্রতি কোনো অভিমান ছিল না৷ রব্বের ফায়সালায় ও পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিল৷ বারাকাহ প্রায়ই তার জীবনের মিরাক্কেল নিয়ে কথা বলতো৷ আমরা আগ্রহ নিয়ে জানতে চাইতাম, কিসের মিরাক্কেল? বারাকাহ বলতো, 'কুর'আন হিফজ আমার জন্য একটা স্বপ্নের মত। এমন একটা স্বপ্ন যাকে আমি দু'হাত বাড়িয়ে ছুঁতে যাই, কিন্তু ছোঁয়ার আগেই আমার ঘুম ভেঙে যায়। কুর'আন হিফজ করার মত উপযুক্ত মেধা, যোগ্যতা আমার নেই। আমি বড়ই অক্ষম৷ কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমার রব্ব অক্ষম নন৷ আমার রব্ব একদিন আমার জীবনে মিরাক্কেল ঘটাবেন৷ এই দুর্বল মেধা নিয়েও আমি কুর'আন হিফজ করার মর্যাদা পাব৷ সৌভাগ্যবতীদের তালিকায় নিজের নামটাও জুড়ে দিতে পারব৷ যেদিন এই মিরাক্কেলটা ঘটবে, সেদিন আমি আমার স্বপ্ন ছুঁতে পারব'

আমরা সবাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে নিলাম বারাকাহ'র জীবনে মিরাক্কেল ঘটবে৷ ঘটবেই ঘটবে। রব্বের প্রতি ছিল আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমাদের সবার বিশ্বাস কে সত্যতায় রূপ দিতেই মাত্র ৬ মাসের মধ্যে বারাকাহ কুর'আন হিফজ সম্পন্ন করে ফেললো। তার বলা সেই দুর্বল মেধা নিয়েই সে এখন পুরো কুর'আন সিনায় নিয়ে ঘুরছে! সুবহানআল্লাহ!

বারাকাহ'র বিদায়ের দিন উস্তাযাহ'র কান্না, বারাকাহ'র কান্না কে ছাপিয়ে যাচ্ছিল আমাদের সব সহপাঠীদের কান্নার আওয়াজগুলো। কি এক উৎসবমুখর দিন ছিল সেদিন! যেন মনে হচ্ছিল ঈদের দিন! এক সহপাঠী বোন তো রসিকতার সুরে বলেই উঠলো, ঈদ মুবারক! আমরাও হেসে সমস্বরে বলে উঠলাম, তাকাব্বালাল্লহু মিন্না ওয়া মিনকুম!

এরপর আর বারাকাহ'র সাথে তেমন যোগাযোগ হয়ে উঠে নি আমাদের। কেমন যেন ইচ্ছে করেই হারিয়ে গেল মেয়েটা৷ তবে এতে আমাদের কোনো অভিমান নেই। আমরা জানি, আমাদের মধ্যে বাহ্যিক দূরত্ব বাড়লেও, আমরা একে অপরের অন্তরের খুব কাছাকাছি আছি, দু'আয় আছি। এই দুনিয়াতে বারাকাহ নামের মেয়েটার সাথে আমাদের আর দেখা না হলেও, আরেকটা দুনিয়ায় রব্ব ঠিকই আমাদের মিলিয়ে দিবেন।

এরপর আরো কিছু দিন কেটে গেছে। ব্যক্তিগত কিছু কারণে আমাদের অনেকের হিফজের দারসও বদলে গেছে, বদলে গেছেন উস্তাযাহ, পেয়েছি আরো নতুন এক ঝাঁক কুর'আনের সহপাঠী৷ কিন্তু হিফজ থেমে নেই। নতুন ক্লাসের প্রথম দিনটি আমার কাছে খুবই স্মরণীয় একটা দিন ছিল।

নতুন ক্লাসে উস্তাযাহ খুব নরম সুরে সবাইকে একে একে জিজ্ঞেস করছিলেন, 'কুর'আন হিফজের মূল্য তোমাদের জীবনে ঠিক কতটুকু?'

আমার পালা এলো।
আমি ধরা গলায় বারাকাহ'র কথাগুলোই বললাম, ' #উস্তাযাহ! আমি আমার রব্বের জন্য কুর'আন হিফজ করতে ভালোবাসি৷ ওয়াল্লাহি! এই দুনিয়ায় কুর'আন হিফজ থেকে অধিক প্রিয় আমার কাছে আর কিছুই নেই৷'

এ যেন আমাদের সবার কথা!
কুর'আন হিফজের প্রত্যেকটা ছাত্রীর রূপকই যেন বারাকাহ! টের পেলাম চোখ ভিজে যাচ্ছে। দাঁত দাঁত চেপে কান্না আটকে রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলাম। আশেপাশে তাকিয়ে বুঝলাম উস্তাযাহ সহ আরো অনেকে ভেজা চোখে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন৷ আবারো খুব্ব করে অনুভব করলাম, কুর'আনের জন্য মুহাব্বাত বুঝি এমনই হয়!

Golden 13 এখন এদিক ওদিক ছড়িয়ে গেছে৷ কিন্তু আমাদের মাকসাদ এখনো একই আছে। আমরা আমাদের রব্বের প্রতি সুধারণা রাখি৷ আমাদের প্রত্যেকের জীবনে রব্ব একদিন মিরাক্কেল ঘটিয়ে দিবেন৷ ইন শা আল্লাহ একদিন আমরা পুরো কুর'আন সিনায় নিয়ে রাজকীয় ভাবে বিদায় নিব৷ অতঃপর কুর'আন তিলাওয়াত করতে করতে জান্নাতের একেকটা সিঁড়ি পেরোবো৷ ইন শা আল্লাহ তা'য়ালা। 🌿

|| Miracle
© আয়িশা মুতাদায়্যিনাত

Address

Chandpur
3600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বিচিত্র জীবনের রঙ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share