Abu Taher Patwary

Abu Taher Patwary I am an enthusiastic, self-motivated, reliable, responsible and deserve Islamic through. I want to continue my life style with holy Quran. "সূরা মুহাম্মদ:২৪
(4)

"তারা কি কুরআন সম্প‌র্কে গভীর চিন্তা ক‌রে না?
না তাদের অন্তর তাল‌িবদ্ধ?

16/08/2025

সূর সম্রাট মশিউর রহমানের কন্ঠে ইসলামী সংগীত
" হলদে ডানার সেই পাখিটি"

18/07/2025

রাসুলﷺ বলেছেন..
"তোমরা আল্লাহর কাছে চাইলে জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে, কেননা এটাই হলো সবচেয়ে উত্তম ও সর্বোচ্চ জান্নাত"
আলহামদুলিল্লাহ

__[সহীহ বুখারী : ২৭৯০]

16/07/2025

দুআ করার আদব

দুআ হচ্ছে অস্ত্রের মতো। তবে অস্ত্র হলেই চলবে না, সেটার ধারও থাকতে হবে। তদ্রুপ দুআ কেবল করলেই চলবে না, সেটা নিয়ম-মাফিক হতে হবে। যে দুআতে অন্তর এবং মুখের মিল না থাকে, সে দুআ ফলপ্রসূ হয় না। কেবল আদবহীন বুলি আওড়িয়ে গেলে তা কবুল না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন আমরা দেখব দুআর ক্ষেত্রে কী কী আদব বজায় রাখতে হয়।

ইখলাস তথা একনিষ্ঠতা

[২১] ইখলাসের সাথে দুআ করা প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন,

فَادْعُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ وَلَوْ كَرِهَ الْكَفِرُونَ )

কাজেই, আল্লাহকে ডাকো তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে, যদিও কাফিররা এটা অপছন্দ করে। [২৯।

আল্লাহর ওপর আস্থা রাখা

[২২] আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, নবি বলেছেন, 'কবুল হওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আল্লাহর কাছে তোমরা দুআ করো। জেনে রাখো, আল্লাহ তাআলা অমনোযোগী ও অসাড় মনের দুআ কবুল করেন না।' [৮]

বিনীতভাবে দুআ করা

[২৩] বিনয়ের সাথে, সওয়াবের আশায় দুআ করতে হবে। এ ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেন,
مِنَ الْغَفِلِينَ )

তুমি মনে মনে আপন রবকে স্মরণ করো সকাল-সাঁঝে, অনুনয়-বিনয় করে, ভীতি সহকারে এবং অনুচ্চ স্বরে। আর গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না।।।

একাগ্রতা নিয়ে দুআ করা

[২৪] আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, 'তোমাদের কেউ এমনটা বলবে না যে, হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে ক্ষমা করুন। হে আল্লাহ! আপনার ইচ্ছে হলে আমাকে দয়া করুন। বরং একাগ্রতা নিয়ে দুআ করবে। কারণ আল্লাহকে কেউ বাধ্য করতে পারে না।'০০]

দুআর শুরুতে যা পড়তে হবে

[২৫] ফাদালা ইবনু উবাইদ বলেন, জনৈক ব্যক্তি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা আর নবি-এর ওপর দরুদ না পড়েই দুআ শুরু করেছে শুনে রাসূল বললেন, 'সে তাড়াহুড়া করেছে।' তারপর ওই ব্যক্তিকে ডেকে তিনি বললেন, 'তোমাদের কেউ যখন দুআ করে, সে যেন প্রথমে আল্লাহর প্রশংসা এবং নবির ওপর দরুদ পড়ে।'[*]

[২৬] আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ বলেন, আমি নামাজ আদায় করছিলাম। আবু বকর, উমর এবং আল্লাহর রাসূল তখন সেখানে ছিলেন। নামাজ শেষে আমি বসে প্রথমে আল্লাহর গুণকীর্তন করলাম এবং রাসূল -এর ওপর দরুদ পাঠ করলাম। এরপর আমার নিজের জন্য দুআ করলাম। এই সময় রাসূল বললেন, 'চাও, তোমাকে দেওয়া হবে। চাও, তোমাকে দেওয়া হবে।'৪৫

সকল অবস্থায় দুআ করা

[২৭] আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, 'কেউ যদি এটা পছন্দ করে যে দুঃখ এবং বিপদের সময়ে তার দুআ আল্লাহ কবুল করবেন, তবে সে যেন সুখের সময় বেশি বেশি দুআ করে।'***।

অভিশাপ না দেওয়া

[২৮] জাবির থেকে বর্ণিত আছে, এক সফরে রাসূলুল্লাহ-এর সাথে থাকা অবস্থায় জনৈক ব্যক্তি নিজের উটকে অভিশাপ দিল। এটা জানতে পেরে রাসূল সে ব্যক্তিকে বললেন, 'উটটি থেকে নেমে যাও। অভিশপ্ত উটটি নিয়ে আমাদের সাথে তুমি থাকতে পারবে না। তোমরা নিজেদের ওপর বদদুআ কোরো না, নিজেদের সন্তানদের প্রতি বদদুআ কোরো না, এমনকি নিজের ধন-সম্পদের ওপরও না। এটা যেন না হয় যে, এমন মুহূর্তে তোমরা বদদুআ করছো যখন আল্লাহর কাছে কিছু চাওয়া হলে তা দিয়ে দেওয়া হয়।'

মৃদু শব্দে দুআ করা

[২৯] আবু মূসা আশআরী বলেন, এক সফরে আমরা রাসূলুল্লাহ-এর সাথে ছিলাম। কোনো উপত্যকায় আরোহণ করলে আমরা তাকবির এবং তাহলিল বলতাম। আমাদের আওয়াজ বেশি জোরে হয়ে যাচ্ছে দেখে নবি বললেন, 'হে লোকসকল! নিজেদের প্রতি দয়া করো। তোমরা তো বধির বা দূরবর্তী কোনো সত্তাকে ডাকছো না। বরং তিনি তোমাদের সঙ্গেই আছেন। তিনি তো শ্রবণকারী, অতি-নিকটবর্তী।'

কাকুতি-মিনতি করা

বিনয় এবং নম্রতার সাথে কাতরসুরে আল্লাহর কাছে মিনতি জানানো উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন,
তোমরা বিনীতভাবে এবং চুপিসারে নিজেদের প্রতিপালককে ডাকো। তিনি সীমালংঘনকারীদের পছন্দ করেন না।।।

ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম বলা

[৩০] রবীআ ইবনু আমির বলেন, নবি-কে আমি এ কথা বলতে শুনেছি,

يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ

হে গৌরব ও মহত্ত্বের অধিকারী

(দুআতে এটা) বলা তোমরা অপরিহার্য করে নাও।'

ওসিলা দিয়ে দুআ করা

ওসিলা অর্থ নৈকট্য, আনুগত্য এবং কোনো কিছুর কাছে নিয়ে যাওয়া মাধ্যম। রাগিব আসবাহানি লিখেছেন, আল্লাহ তাআলার কাছে ওসিলা গ্রহণের সারকথা হলো ইলম এবং ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্যের রাস্তা অবলম্বন করা এবং শরীয়তের বিধি-বিধান মেনে চলা। যেসব ওসিলা দিয়ে দুআ করা যায়:



ক) আল্লাহ তাআলার ওসিলা: তাঁর কোনো নাম বা গুণের ওসিলা

দিয়ে কিছু চাওয়া। এই ব্যাপারে অসংখ্য হাদীস রয়েছে।

[৩১] বুরাইদা আসলামি করতে শুনলেন, বলেন, নবি জনৈক ব্যক্তিকে এ দুআ

[৩৬] সূরা আরাফ, ৭: ৫৫

[৩৭] আলমুসতাদরাক লিল হাকিম, হাদীস নং: ১৮৩৬, সহীহ

[৩৮] মুফরাদাতু গারীবি আলফাযিল কুরআন, পৃষ্ঠা নং: ৮৭১

[৩৩] সুনানুত তিরমিজি, হাদীস নং: ৩৩৮২, হাসান

[৩৪] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ৩০০৯, সহীহ

[৩৫] সহীহুল বুখারি, হাদীস নং: ২৯৯২, সহীহ

[২৯] সূরা আরাফ, ৭: ২০৫

[৩০] সহীহুল বুখারি, হাদীস নং: ৬৩৩৯, সহীহ

[৩১] সুনানু আবী দাউদ, হাদীস নং: ১৪৮১, হাসান

[৩২] সুনানুত তিরমিজি, হাদীস নং: ৫৯৩, হাসান

[২৭] সূরা মুমিন, ৪০: ১৪

[২৮] সুনানুত তিরমিজি, হাদীস নং: ৩৪৭৯, হাসান

16/07/2025

প্রয়োজন আপনি সমাধান করে দিন। এরপর তুমি নিজের প্রয়োজন উল্লেখ করবে।' লোকটি সে অনুযায়ী আমল করে খলিফার দরবারে আসতেই তিনি সম্মানের সাথে তার প্রতি মনোযোগী হলেন। এমনকি তার প্রয়োজনও মিটিয়ে দিলেন।**)

ইসমে আজম দিয়ে দুআ করা

[৩৪] আনাস ইবনু মালিক বলেন, রাসূলুল্লাহ-এর সাথে আমি বসা ছিলাম। তখন এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছিল। রুকু-সিজদা এবং তাশাহহুদের পর সে দুআ করে। যাতে সে বলছিল,

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْمَنَّانُ، بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ، يَا ذَا الْجَلَالِ وَالإِكْرَامِ، يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ ، إِنِّي أَسْأَلُكَ

হে আল্লাহ! আপনার কাছে আমি চাইছি। সমস্ত প্রশংসা আপনারই, আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। আপনি মহান দাতা, আসমান এবং জমিনের অস্তিত্ব দানকারী। হে গৌরব ও মহত্ত্বের অধিকারী! হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আপনার কাছে আমার প্রার্থনা।

নবি তখন সাহাবিদের বললেন, 'বলতে পারো সে কীসের মাধ্যমে দুআ করল?' সাহাবিরা বললেন, 'আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভালো জানেন।' নবি বললেন, 'যে সত্তার হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ! সে তো আল্লাহর ইসমে আজম (মহান নাম) দিয়ে দুআ করেছে-যার মাধ্যমে দুআ করা হলে তিনি কবুল করেন। আর যার ওসিলা দিয়ে কোনো কিছু চাওয়া হলে সেটা তিনি প্রদান করেন। '৪)

৩১ নম্বর দুআটিও ইসমে আজম। সেটি ধরে দুআ করলেও, দুআ কবুল হবে ইন-শা-আল্লাহ।

[৪৩] আল মুজামুস সগীর, হাদীস নং: ৫০৮, সহীহ

[

৪৪] সুনানুন নাসাঈ, হাদীস নং: ১৩০০; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ১২২২৮; সহীহ ইবনু

15/07/2025

দুআর গুরুত্ব ও ফজিলত

দুআর গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে অসংখ্য হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আমরা এখন কয়েকটি হাদীস দেখার চেষ্টা করব।

[২] নুমান ইবনু বাশীর ইবাদত।'[] থেকে বর্ণিত, নবি বলেছেন, 'দুআই প্রকৃত

[৩] আয়িশা বলেন, নবি বলেছেন, 'তাকদিরে যা লেখা আছে তা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। এসে গেছে এবং আসেনি, এমন বিপদের ক্ষেত্রে দুআ কাজে আসে।'[৭]

[৪] আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, নবি বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছেযে চায় না, তার প্রতি তিনি অসন্তুষ্ট

হন।'।৮।সনাত

[৫] সালমান ফারিসি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, 'তোমাদের প্রতিপালক লজ্জাশীল দয়াবান। কোনো বান্দা হাত উঠিয়ে দুআ করলে তার হাত শূন্য অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে তিনি লজ্জাবোধ করেন।'১৯

বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেকেই [৬] আনাস বলেন, রাসূলুল্লাহ যেন প্রতিপালকের কাছে তার সকল প্রয়োজনের ব্যাপারে সাহায্য চায়। এমনকি যখন তার জুতার ফিতা ছিঁড়ে যায়, সে সময়ও যেন তাঁর কাছেই চায়। [১০]

[৭] আয়িশা বলেন, তোমরা সবকিছুই আল্লাহর কাছে চাইবে। এমনকি জুতার ফিতা (ছিঁড়ে গেলে)ও আল্লাহর কাছে চাইবে। কারণ আল্লাহ ব্যবস্থা না করলে জুতার ফিতাও মিলবে না। [৯]

হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, [৮] আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ কেউ যদি অভাব-অনটনে পড়ে মানুষের কাছে বলে বেড়ায়, তাহলে তার অভাব-অনটন দূর হবে না। আর যদি অভাব-অনটনে পড়ে তা আল্লাহর নিকট পেশ করে, তবে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা তাকে অতি দ্রুত অথবা বিলম্বে রিযিক প্রদান করেন।"।১৯২৯

[৯] আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ বলেছেন, সবচেয়ে অক্ষম ব্যক্তি সে, যে দুআ করতেও অক্ষম। আর সবচেয়ে কৃপণ ব্যক্তি সে, যে সালাম দিতেও কৃপণতা করে। [১০]
[৪] আবু হুরায়রা থেকে বর্ণিত, নবি বলেন, 'নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে

[৫] সহীহ মুসলিম, হাদীস নং: ২৫৭৭, সহীহ

[৬] মুসান্নাফু ইবনি আবী শাইবা, হাদীস নং: ২৯১৬৭; সুনানু আবী দাউদ, হাদীস নং: ১৪৭৯, সহীহ

[৭] আল মুসতাদরাক আলাস সহীহাইন, হাদীস নং: ১৮১৩, সহীহ
[১০] আল্লাহ তাআলা বলেন,

[৮] সুনানুত তিরমিজি, হাদীস নং: ৩৩৭৩, হাসান

[৯] সুনানু আবী দাউদ, হাদীস নং: ১৪৮৮, সহীহ

[১০] সুনানুত তিরমিজি, হাদীস নং: ৩৯৭৩, সহীহ ইবনু হিব্বান, হাদীস নং: ৩/১৪৮; মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১৫০; সহীহ

[১১] আবু ইয়ালা মাওলিসী, আল-মুসনাদ, হাদীস নং: ৪৫৬০; মাজমাউয যাওয়াইদ: ১০/১৫০;

সহীহ

[১২] সুনানুত তিরমিজি, হাদীস নং: ২৩২৬; আলবানি, সিলসিলা সহীহাহ: ২৭৮৭; সহীহ

[১৩] তাবারানি, আল-মুজামুল আওসাত: ২/৪২, মাজমাউয যাওয়াইদ: ১০/১৪৬-১৪৭, সহীহ

15/07/2025

সময়ের সদ্ব্যবহার!

১: সময় আল্লাহ তা‘আলার অনেক বড় একটি নেয়ামত। নেয়ামত মানে কী? আল্লাহ তা‘আলা আমার উপকারের জন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, সবই নেয়ামত। নেয়ামত শব্দের অর্থ: অনুগ্রহ, দান।

২: পুরো কুরআন কারীমে নেয়ামত শব্দটি নানা আকৃতিতে প্রায় ১৪০বার ব্যবহৃত হয়েছে। সূরা ফাতিহার আয়াতটা আমরা সবাই জানি। নামাযের প্রতি রাকাতে আয়াতটা তেলাওয়াত করি,

صِرَ ٰ⁠طَ ٱلَّذِینَ أَنۡعَمۡتَ عَلَیۡهِمۡ

ইয়া আল্লাহ, আমাকে......

-এক মিনিটে আমি কী কী আমল করতে পারি?

*** আমরা সারাদিনে নানা ব্যস্ততায় ফরয নামায ছাড়া বাড়তি কোনও তেমন কোন সময় পাই না। অল্প সময়ে বেশি আমল করার কোনও সহজ পদ্ধতি আছে?

= অবশ্যই আছে। আমরা চাইলে, এক মিনিটেও অনেক বড় বড় আমল করে ফেলতে পারি। যেমন:

(১) এক মিনিটে আমরা মনে মনে সূরা ফাতিহা ৩ বার পড়ে ফেলতে পারি। একবার সূরা ফাতিহা পড়লে ৬০০ টিরও বেশি নেকি পাওয়া যায়। তিনবারে ১৮০০ এর বেশি নেকি অর্জন হয়ে যাবে, এবং সেটা এক মিনিটেই।

(২) এক মিনিটে আপনি সূরা ইখলাস মনে মনে ২০ বার পড়তে পারি। এই সূরা একবার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পড়ার সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এ হিশেবে ২০ বার সূরাতুল ইখলাস পাঠ করার অর্থ হলো:

= ৭ বার কুরআন খতম করার সমতুল্য। যদি এ সূরাটি প্রতিদিন এক মিনিটে ২০ বার করে পাঠ করি, মাসে ৬০০ বার পাঠ করা হবে, বছরে হবে ৭২০০ বার।

ফলাফল: ২৪০০ বার সম্পূর্ণ কুরআন কারীম পড়ার সমতুল্য।

(৩) এক মিনিটে আমি কুরআন কারীমের এক পৃষ্ঠা তিলওয়াত করতে পারি।

(৪) এক মিনিটে আমি কুরআন কারীমের ছোট একটি আয়াত মুখস্থ করতে পারি।

(৫) এক মিনিটে আমি নিম্নোক্ত দু‘আটা ২০ বার পড়তে পারি:

لَا إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

= এই দু‘আ পড়লে, ইসমাঈল (আঃ) এর বংশের ৮ জন দাসকে মুক্ত করার সমান সওয়াব।

(৬) এক মিনিটে আমি

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِه

এই দু‘আটা ১০০ বার পড়তে পারি। এই দোয়াটি ১০০ বার পড়লে, সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়; যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়।

(৭) এক মিনিটে আমি

سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ،

سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيمِ

= এ দুটি দু‘আ ৫০ বার পড়তে পারি। এ দুটি এমন বাক্য যা পড়তে খুব সহজ; আমলের পাল্লাতে অনেক ভারী হবে; রহমানের নিকটে অতি প্রিয়।

(৮) নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:

-“সুব্হানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আক্বার পাঠ করা, যা কিছুর ওপর সূর্য উদিত হয়েছে সে-সবকিছু থেকে আমার কাছে অধিক প্রিয়।” [মুসলিম শরীফ (২৬৯৫)]

= আমি চাইলে, এক মিনিটে বাক্যগুলো ১৮ বারের বেশি পড়তে পারি। এ বাক্যগুলো আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয়। এগুলো সর্বোত্তম কথা এবং আমলের পাল্লাতে এগুলোর ওজন অনেক বেশি হবে।

(৯) আমি চাইলে

لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ

= এই দু‘আটা এক মিনিটে ৪০ বারের বেশি পড়তে পারি। এ বাক্যটির সওয়াব হবে, জান্নাতের জন্য সঞ্চিত এক অমূল্য রতœ; একই ভাবে এটি কষ্টসাধ্য দায়িত্ব বহন ও কঠিন কাজসমূহ আঞ্জাম দেয়ার ক্ষেত্রে এক মহৌষধ।

(১০) এক মিনিটে আমি চাইলে প্রায় ৫০ বার

لاَ إِلَهَ إِلاَّ الله

পড়তে পারি। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ বাক্য ও তাওহীদের বাণী। এটি কালিমায়ে তাইয়্যেবা (উত্তম বাণী) ও সুদৃঢ় বাক্য। যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে এই বাক্য সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

(১১) এক মিনিটে আমি চাইলে

سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَى نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ، وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ

দোয়াটি ১৫ বারের বেশি পড়তে পারি। সাধারণ তাসবীহ ও যিকিরের চেয়ে এ বাক্যগুলো পাঠ করার সওয়াব অনেকগুণ বেশি।

(১২) এক মিনিটে আপনি আল্লাহর কাছে ১০০ বারের বেশি ইসতিগফার করতে পারি, অর্থাৎ (أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ) পড়তে পারি। এর ফজিলত আপনার অজানা নয়। এটা ক্ষমাপ্রাপ্তি ও জান্নাতে প্রবেশের উপায়। এটি সুখময় জীবন, শক্তি বৃদ্ধি, বিপদ-আপদ রোধ, সকল কাজ সহজীকরণ, বৃষ্টি বর্ষণ, সম্পদ ও সন্তানের বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যম।

(১৩) এক মিনিটে আপনি সংক্ষেপে কিছু কথা বলতে পারি, যা দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা হয়ত এমন কোনও কল্যাণের পথ খুলে দিবেন যা আমি ভাবতেও পারিনি।

(১৪) এক মিনিটে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর ৫০ বার দরূদ পাঠ করতে পারি। শুধু “সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম” বাক্যটাই পড়তে পারি। এর প্রতিদানে আল্লাহ আমার ওপর ৫০০ বার সালাত (রহমত) পাঠাবেন। কারণ একবার দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ ১০ বার এর প্রতিদান দেন।

(১৫) এক মিনিটে আমার মন আল্লাহর কৃতজ্ঞতা, তাঁর ভালবাসা, তাঁর ভয়, তাঁর প্রতি আশা এবং তাঁর প্রেমে উদ্বেল হয়ে উঠতে পারে। এর মাধ্যমে আমি উবূদিয়্যাহ্ (আল্লাহর দাসত্ব)-এর স্তরসমূহ অতিক্রম করতে পারবো; হতে পারে সে সময় আমি হয়ত বিছানায় শুয়ে আছি, অথবা কোন পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছি।

(১৬) এক মিনিটে আমি সহজবোধ্য উপকারী কোনো বইয়ের দুই পৃষ্ঠার বেশি পড়তে পারি।

(১৭) এক মিনিটের টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে আমি ‘সিলাতুর রাহেম’ বা আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার আমল পালন করতে পারি।

(১৮) এক মিনিটে আমি দুই হাত তুলে ব্যাপক অর্থবোধক দু‘আগুলো হতে পছন্দসই কোন দু‘আ করতে পারেন।

(১৯) এক মিনিটে আমি কয়েকজন ব্যক্তিকে সালাম দিতে পারি ও তাদের সাথে মুসাফাহা করতে পারি।

(২০) এক মিনিটে আমি কোন ব্যক্তিকে একটি মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করতে পারি।

(২১) এক মিনিটে আমি একটি ভাল কাজের আদেশ করতে পারি।

(২২) এক মিনিটে আমি একজন ভাইকে নসিহত করতে পারি।

(২৩) এক মিনিটে আমি একজন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মানুষকে সান্ত্বনা দিতে পারি।

(২৪) এক মিনিটে আমি পথ থেকে ক্ষতিকর কোন বস্তু অপসারণ করতে পারি।

(২৫) এই এক মিনিটের সদ্ব্যবহার অবহেলায় কাটানো বাকি সময়গুলোর সদ্ব্যবহার করার অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করতে পারে।

ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন:

-“যখন ঘুমন্ত লোকেরা ঘুমিয়ে থাকে, তখন আমি আমার চোখের অশ্রু ফেলি এবং শ্রেষ্ঠ কবিতার একটি চরণ বারবার আওড়াতে থাকি।

= “কোন জ্ঞান অর্জন ছাড়া রাতগুলো কেটে যাবে এবং আমার জীবন থেকে হিসেব করা হবে- এটি কি সময়ের অপব্যয় নয়? ”

*** আমার ইখলাস (একনিষ্ঠতা) ও আল্লাহর নজরদারির অনুভূতির ভিত্তিতে আমার প্রতিদান বাড়বে, আমার নেকীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

*** এই আমলগুলোর বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই আমাকে তেমন কিছু করতে হবে না। এগুলোর জন্য আমার পবিত্রতার প্রয়োজন নেই, ক্লান্তি বা কায়িক শ্রম নেই। আমি এই আমলগুলো করতে পারি, যখন আমি পায়ে হেঁটে চলছি, অথবা গাড়িতে চড়ে কোথাও যাচ্ছি অথবা শুয়ে আছি অথবা দাঁড়িয়ে আছি অথবা বসে আছি অথবা কারও জন্য অপেক্ষা করছ।

*** একইভাবে এ আমলগুলো সুখী হওয়ার উপকরণ, আত্মপ্রশান্তির মাধ্যম, চিন্তা ও দুঃশ্চিন্তা দূর করার উপায়। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমাদের নবীর প্রতি আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক।

-শায়েখ আতিক উল্লাহ হাফি.

14/07/2025

যখন কোন ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য দু'আ করে, তখন ফিরিশতাগণ বলেন, "আমীন, তোমার জন্যও অনুরূপ হবে"।💚

সুনান আবু দাউদ ১৫৩৪

14/07/2025

‘যখনই তোমার অন্তর গাফেল হয়ে ওঠে এবং তোমার নফস (আত্মা) দুনিয়ার জীবনে হারিয়ে যায়, তখন কবরস্থানের দিকে যাও এবং চিন্তা করো তাদের কথা, যারা গতকাল তোমার মতই দুনিয়ায় চলাফেরা করতো।’
—শায়খ ইবনু উসাইমিন (রাহিমাহুল্লাহ)
[শারহু রিয়াদিস সলিহিন: ৩/৪৭৩]

04/07/2025

➡️রাসূলে কারীম ( সা.) বলেছেনঃ

"যে ব্যাক্তি ভালো কাজের পরিকল্পনা করলো কিন্তু বাস্তবে সে ঐ কাজ করতে পারলো না, তবুও সেই ব্যাক্তির জন্য সাওয়াব লিখা হবে।"

[সহীহ্ মুসলিম - ৩৫৪]

04/07/2025

রাসুল (সা.) বলেন, ‘দিবসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো জুমার দিন এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত’ (ইবনে মাজাহ : ১০৮৪)।

হাদিসে জুমার দিনের ১৭টি সুন্নাত পাওয়া উল্লেখ করা হয়েছে। নিম্নে তা তুলে ধরা হলো—
১. গোসল করা, (বুখারি)।
২. মিসওয়াক করা, (ইবনে মাজাহ : ১০৯৮)।
৩. উত্তম পোশাক পরিধান করা, (ইবনে মাজাহ : ১০৯৭,)।
৪. সুগন্ধি ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮০)।
৫. মসজিদে প্রবেশের পর অন্য মুসল্লিদের ফাঁক করে বা গায়ের ওপর দিয়ে টপকে সামনের দিকে না যাওয়া, (বুখারি : ৯১০)।
৬. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে বসার চেষ্টা না করা, (বুখারি : ৯১১)।
৭. সালাতের জন্য কোনো একটা জায়গাকে নির্দিষ্ট করে না রাখা, যেখানে যখন জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই সালাত আদায় করা, (আবু দাউদ : ৮৬২)।
৮. নির্ধারিত নামাজ আদায় করা। এমনকি ফরজ সালাতের আগে ও পরে দুই-চার রাকাত করে নফল সালাত আদায় করা, (বুখারি : ৯৩০)।
৯. গায়ে তেল ব্যবহার করা, (বুখারি : ৮৮৩)।
১০. হেঁটে মসজিদে গমন করা, (মুসলিম : ১৪০০)।
১১. মসজিদে যাওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ, রসুন না খাওয়া ও ধূমপান না করা (বুখারি : ৮৫৩)।
১২. ঘুমের ভাব বা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলে বসার জায়গা পরিবর্তন করে বসা, (আবু দাউদ : ১১১৯)।
১৩. ইমামের খুতবা দেওয়া অবস্থায় দুই হাঁটু উঠিয়ে না বসা, (আবু দাউদ : ১১১০, ইবনে মাজাহ : ১১৩৪)।
১৪. খুতবার সময় ইমামের কাছাকাছি বসা, (আবু দাউদ : ১১০৮)।
১৫. এতটুকু জোরে আওয়াজ করে কোনো কিছু না পড়া বা তিলাওয়াত না করা, যাতে অন্যের সালাত ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মনোযোগে বিঘ্ন ঘটে (আবু দাউদ : ১৩৩২)।
১৬. ইমামের খুতবার জন্য বের হওয়া থেকে সালাত শেষ করা পর্যন্ত নীরবতা অবলম্বন করা। তবে কেউ কথা বলতে দেখলে তাকে চুপ করতে বা বারণ করতেও হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে (আবু দাউদ : ১১১২)।
১৭. বেশি বেশি প্রার্থনা (দুআ) করা, (বুখারি : ৯৩৫)।

03/07/2025

ধৈর্য তা নয়, যে আপনি কতক্ষণ অপেক্ষা করতে পারেন। বরং আপনি অপেক্ষা করার সময় কতটা ভালো আচরণ করেন, ৷ সেটাই ধৈর্য্য।

01/07/2025

যখন কিছু চাও, তখন আল্লাহর কাছে চাও। যখন সাহায্য চাও, আল্লাহর কাছেই চাও।
📚 জামি‘ আত-তিরমিযী, হাদীস: ২৫১৬ | সহীহ

আল্লাহর উপর ভরসা রাখা মানেই কেবল বসে থাকা নয়, বরং যথাযথ চেষ্টা ও পরিকল্পনার সাথে অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস রাখা যে ফলাফল একমাত্র আল্লাহর হাতে। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণকারী।

আল্লাহ সহজ করুন আপনার এই পথ চলাটাকে,, বিশ্বাস রাখুন আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখুন ঈমানহারা হবেন না,, হতাশা শয়তানের প্রথম ধাপ তাই হতাশকে নিজের ভিতর অন্তর্ভুক্ত হতে দিবেন না ইনশাআল্লাহ

Address

Chandpur
Chandpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Abu Taher Patwary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share