18/06/2023
গল্প : পিচ্চি তোরে ভালোবাসি
পর্ব : ১ম
_______________/\______________
-ভাইয়া আমি তোমার ঠোঠে কিস করবো।
কথাটা শুনে আমি রীতিমতো চেয়ারে বসে থেকে থতোমতো খেয়ে পড়ে যাই।কথাটা আমার এখনো হজম হয়নি।এই মূহুর্তে রাত্রি বই পড়তে পড়তে কথাটা বললো।আমি নিজেকে সামলে উঠে চেয়ারে বসে রাত্রির দিকে ঘুরে অবাক দৃষ্টিতে তাকাই।
-কি বললি তুই??
-তুমি শুনতে পাওনি?
-না আবার বল।
-আমি বললাম আমি তোমার ঠোঠে কিস করবো।
-এসব বাজে কথা কোথা থেকে শিখেছিস বল তো??
-কেন স্কুলে আমার বান্ধবিরা বলে ঠোঠে কিসস খেলে নাকি অন্যরকম অনুভুতি পাওয়া যায় তাই তারা তাদের বয়ফ্রেন্ডকে কিস করেছে আমার তো বয়ফ্রেন্ড নেই তাই তোমার থেকে চাইলাম।
কথাটা শুনে আমি মাথায় হাত দেই।কিছু খুজে না পেয়ে কথাটা ঘুরিয়ে অন্য কথাতে নিয়ে যেতে চেষ্টা করি।
-তোর না কাল পরীক্ষা এসব বাদ দিয়ে পড়।আর একবার এসব বললে আমি ফুফুমনিকে সব বলে দিবো।
রাত্রি আর কোনো কথা না বলে চুপচাপ মন খারাপ করে পড়ায় মনোযোগ দেয়।আজ তার ইচ্ছা পূরন হলোনা।আমি ও নিজের কাজে মন দেই।
পরিচয়টা দিয়ে দিই আমি সোহান। অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি বাবা মায়ের এক মাত্র আদরের ছেলে।আর যার সাথে কথা বলছিলাম সে রাত্রি আমার ফুফাতো বোন।ক্লাস ১০ এ পড়ে কিন্ত বয়সে বড় হলেও বুদ্ধিতে একদম ছোটই আছে।যাকগে গল্পে ফেরা যাক।
রাতের খাবার খেয়ে দেয়ে শুয়ে ফোন টিপছিলাম এমন সময় আবার রাত্রি ঘরে আসলো।আমি ফোন ছেড়ে উঠে বসলাম।রাত্রি এসে আমার পাশে বসে আমার দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকিয়ে থেকে আবার উঠে চলে গেলো।আমি বোকার মতো চেয়ে থাকলাম শুধু।
-এটা কি হলো?
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলাম।কিন্তু কোনো উত্তর পেলাম না।আর মাথা না ঘামিয়ে চুপচাপ শুয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খেয়ে দেয়ে রাত্রিকে তার স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আমি কলেজে চলে গেলাম।রাত্রি ক্লাসে ঢুকতেই নীলা ওর দিকে আসে।
-কিরে একা এলি?
-না ভাইয়া দিয়ে গিয়েছে।
-হুমম জানিস আজ ও আমার বয়ফ্রেন্ডকে কিসস করেছি।
-কেমনে করলি?
-সবাই যেভাবে করে।
-আমি তো পারিনা।
-একটা বয়ফ্রেন্ড জোগাড় কর তাইলেই পারবি।
-ধূর ওসব প্রেম আমি করতে পারবো না।
-তাহলে কি করবি??
-ভাইয়াকে কিস করবো।
-সোহান ভাইয়াকে কিসস করবি??
-হ্যা।
-উনি যা রাগি মানুষ সাবধানে থাকিস।
-হুমম প্রচুর ভয় করে আমার কিন্তু আমি কিস করেই ছাড়বো দেখিস তোক এসে বলবো।
-আচ্ছা বলিস।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসে বসে রনির সাথে আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় রাহা এসে আমার পাশে বসে ন্যাকা কান্না জুড়ে দিলো।আমি আর রনি অবাক হয়ে রাহাকে থামালাম।
-কিরে কান্না করস কিল্লায়??
-আমার ৩৭ নাম্বার বয়ফ্রেন্ড আমারে ছ্যাকা দিয়ে চলে গেছে।
রাহার কথা শুনে বেচারা রনি তো জ্ঞান হারিয়ে বসে আছে।মাঝখানে আমি এখন কাকে সামলাবো।কোনো মতে রাহাকে শান্ত করিয়ে একটু পানি এনে রনির মুখে মারতেই রনি লাফিয়ে উঠে একটু আশেপাশে তাকিয়ে রাহার পা ধরে সালাম করে নেয়।
-কুত্তা আমারে সালাম কেন করলি??
-আমারে মাফ কইরা দে মা আমি তোরে চিনবার পারি নাই।
-কেন?
-তুই যতো নাম্বার বয়ফ্রেন্ড বানাইছোস আমি ওতো নাম্বার অংকেও পাইনাই।
-তবেরে দাড়া তুই।
রনিরে তাড়া করলো রাহা আমি চুপচাপ বসে হাসছি। এমন সময় রনি ঘুরে ফিরে আমার দিকে দৌড়ে আসে পিছে রাহাও থাকে।রাহা দৌড়াতে দৌড়াতে আমার কাছে আসতেই হোচট খেয়ে আমার গায়ের উপর পড়ে যায়।রাহা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে আমিও রাহার দিকে তাকিয়ে আছি রাহাও অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।এমন সময় রনি সাইড থেকে একটু গলা ছেড়ে কাশি দিতেই দুজন ঠিক হয়ে উঠে বসি।রাহা তো রনিকে গালি দিতে দিতে চলে যায় আমি ক্লাসের দিকে যেতে থাকি রনির রাথে।
-মাম্মা ভালোই তো।
-কি?
-সেই মানাবে।
-খবরদার না যা ভাবছিস মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবি কিন্তু।
-হুমম।
কলেজ শেষ করে বাসায় এসে টিভি দেখছিলাম এমন সময় দেখি আম্মুর সাথে রাত্রি এলো।আমি বসে বসে ইংলিশ গান গুলো দেখছিলাম।এমন সময় রাত্রি এসে আমার পাশে বসলো।আমি একটু নড়েচড়ে বসলাম কেননা ওর হাব ভাব আমার ঠিক লাগছে না একদমি।আমি টিভি দেখে আড়চোখে ওর দিকে তাকিয়ে দেখি ও আমার ঠোঠের দিকে তাকিয়ে আছে।আমি আবার টিভিতে মনোযোগ দিলাম।হঠাৎ ইংলরেজি গানে একটা কিস এর সিন আসতেই রাত্রি আরো মনোযোগ দিয়ে দেখতে লাগলো।আমি তাড়াহুড়ো করে উঠে টিভি বন্ধ করে রুমে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুমিয়ে আছি এমন সময় মনে হলো কেউ আমার পেটে বসে আমার ঠোঠ দুটো নিজের দখলে নিয়ে নিয়েছে।আমার বুঝতে বাকি রইলো না কে এটা।চোখ খুলতেই আম্মু চলে এলো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
চলবে???
খারাপ হলে বলবেন॥ আর দিবো না॥
২য় পর্ব খুব তারাতারি আসবে ॥ পরের পর্বগুলো আগে পেতে, আইডিতে ফলো করে রাখবেন ॥ ধন্যবাদ॥