02/11/2022
আমি আমার সন্তানকে অভাব শেখাবো না কখনও।
শৈশব মানুষের জীবনে একবারই আসে।
শৈশবের অতৃপ্ত আকাঙ্ক্ষা পরিনত বয়সে সব পেয়েও মেটেনা,সে কিছুতেই মেটার নয়।
হ্যা,তাকে আমি অভাব চেনাবো।
তাকে অভাব শেখাতে গিয়ে খুব কাংখিত কিছু হতে বঞ্চিত করতে চাইনা, যার আকাঙ্ক্ষা বড় হবার পর আর থাকবে না।
ছোট বেলায় খুব ইচ্ছা ছিল একটা কলমের, যাতে ৪ টা কালার আছে। আব্বু পেনটা কিনে হাতে দেবার পর যতটা আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলাম, তার ছিটেফোঁটা আনন্দও কি পেতাম বড় হবার পর নিজের টাকায় সেটা কিনলে?
কিছু কিছু জিনিস পাবার আকাঙ্ক্ষা শুধু শৈশবেই থাকে।বড় হবার পর সেটা পাবার আগ্রহ,পাবার পর উচ্ছ্বাস আনন্দ সবই ফিঁকে হয়ে যায়।
অভাব বড়ই খারাপ,খুবই কষ্টের।অভাব শেখাতে গিয়ে সন্তানকে সবকিছু হতে বঞ্চিত করাটা যেমন অবিচার, ঠিক তেমনি অভাবের কষ্ট না বুঝতে দেবার জন্য সন্তানকে মাটিতে হাটতে না শেখানোটাও অন্যায়।
আমার সন্তান নতুন খেলনা চায়, খেলনার দাম নিয়ে তার মাথাব্যথা নেই।তাকে ১০০০ টাকার খেলনা আড়ং থেকে না কিনে ১০০ টাকার খেলনা ফুটপাত থেকে কিনে দিলেই সে খুশি।সে জানে সে খেলনা পাবে, সাথে এটাও জানে তার মা খেলনার জন্য প্রয়োজনের বেশি দিতে ও পারবে না।
আমার সন্তান জানে তার মা তাকে জামা জুতা সবই কিনে দেবে,কিন্তু তা দামী ব্রান্ডের হবে না। হয়তো কোনো ব্রান্ডেরই হবেনা।
আমার সন্তানকে শেখাবো ১০০০০ টাকার ঘড়ি আর ২০০ টাকার ঘড়িতে সময়টা একই দেখা যায়।
সে অভাবকে চিনবে, অভাবীদের প্রতি সমব্যথী হবে। কিন্তু অভাব শেখাতে গিয়ে তার শৈশবের স্বাভাবিক চাহিদাগুলো কখনোই অপূর্ণ রাখবো না।
ইন শা আল্লাহ