11/09/2022
ছবিটি মদিনা ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল পেজ থেকে নেওয়া
ইউনিভার্সিটির ৫৮তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠানে একজন গ্রাজুয়েট তার সন্তানকে নিয়ে অনুষ্ঠানে আসেন। বাবার কোলে শিশুর কোমল চাহনী ও পিতার হাসোজ্জ্বল মুখ কতইনা আকর্ষণীয়!
ছবির আড়ালে বাঙালি মুসলমানদের প্রতি একটি বার্তা আছে। বাঙালিরা ছাত্রাবস্থায় বিবাহকে নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে। এরা মনে করে সন্তান আগে পড়ালেখা শেষ করুক, প্রতিষ্ঠিত হোক, তারপর বিয়ে! কিন্তু পড়ালেখা শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হতে হতে সন্তান ৩০/৩৫ বছরে পৌছে যায়। ২০ বছরে বিয়ে করলে জীবনের যে উপলব্দি জন্মায় আর যৌবনের যে স্বাদ ও নিরাপত্তা অর্জিত হয়, বিলম্বে সেটি হয় না।
পক্ষান্তরে বিদেশে তাড়াতাড়ি বিয়েকে উৎসাহ ও মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখা হয়। এরা মনে করেন ‘সামর্থ থাকলে নবীজির সুন্নাহ আদায়ে বিলম্ব কেন? রিজিকের মালিক তো আল্লাহ।
এদেশের পিতামাতার দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন। সন্তান অবৈধ পথে পা বাড়ালেও কোন সমস্যা নেই, কিন্তু বিয়ে দেয়া যাবে না! তাদের আগে সার্টিফিকেট লাগবে, চাকুরি লাগবে। অথচ পিতামাতা যদি আর্থিকভাবে সক্ষম হন কিন্তু তারা সন্তানকে শিক্ষার অজুহাতে বিয়ে না দিয়ে থাকেন, তাহলে সন্তানের সকল গোনাহের জন্য তারা দায়ী থাকবেন। বিশেষত এই প্রযুক্তির নষ্টামীর যুগে কি পরিমাণ গোনাহ হয়, তা সবারই জানা আছে!
যাদের আর্থিক সামর্থ আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত একজন মেয়ে বা ছেলেকে পালন করা তেমন কিছু না। দৈনন্দিন জীবনে বড়লোকেরা যে পরিমাণ অপচয় করেন তা অনেক বেশি। কিন্তু সন্তানকে বিয়ের ক্ষেত্রেই তাদের যত তালবাহানা। বিয়ের বয়স হয়নি। চাচাতো মামাতো বড় ভায়েরা এখনো বিয়ে করেনি, ইত্যাদি।
অথচ, তাড়াতাড়ি বিয়েতে একদিকে যেমন গোনাহের পথ বন্ধ হয়, শরয়ী বিধান পালন হয়, তদ্রুপ অন্যদিকে এতে মানসিক প্রশান্তি অর্জন হয়। রিজিক বৃদ্ধি এবং ‘সন্তান লাভ’ দ্রুত হয়।
আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। সন্তানের যৌনচাহিদা মিটানোর হালাল ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে কী পরিমাণ সওয়াব পাবেন- তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাই পড়ালেখার অজুহাতে বিয়ে বন্ধ রাখা অনুচিত। তবে আর্থিক ও শারীরিক সমস্যা থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
আল্লাহ সকলকে সঠিক চিন্তা ও সচেতনতা দান করুন।
সৌজন্যে :- @নানাখী আদর্শ পাড়া যুব সংগঠন