11/06/2025
একটি মেয়ের ভালো থাকা, খারাপ থাকা—সবকিছুই অনেকটা নির্ভর করে একজন পুরুষের আচরণের ওপর…
একটা মেয়ে যখন কাউকে ভালোবাসে, তখন সে তার বুকের ভেতর লুকানো পৃথিবীটা খুলে দেয়। মনের সবটুকু বিশ্বাস, স্বপ্ন, হাসি-কান্না—সবটা সঁপে দেয় সেই একজন পুরুষের হাতে। আর সেই পুরুষেরই হাতে থাকে তার প্রতিদিনের সুখ কিংবা কান্নার চাবিকাঠি।
একজন পুরুষ চাইলে তার প্রেমিকাকে রানি করে রাখতে পারে—ভালোবাসায়, সম্মানে, যত্নে। চাইলেই সে মেয়েটির চোখে আলো এনে দিতে পারে, যার আলোয় সে নিজেই দীপ্ত হয়ে ওঠে। শুধু একটু "কেমন আছো?" বললেই মেয়েটার ভেতরে ঝলমলে একটা দিন শুরু হয়। তার ছোট ছোট আবদারগুলো গুরুত্ব পেলেই সে হয় সবচেয়ে সুখী নারী।
কিন্তু সেই একই পুরুষ চাইলে সেই মেয়েটিকে মুহূর্তেই ভেঙে ফেলতেও পারে। অবহেলার একটা কথায়, উপেক্ষার একটা দৃষ্টিতে, বারবার কথা না রাখার অভ্যাসে—সে মেয়েটির প্রাণখোলা হাসিটা ম্লান করে দিতে পারে।
একটা মেয়ে বাইরে থেকে যতই দৃঢ় হোক, তার ভেতরের আবেগটা খুব কোমল। সে সব কিছু সহ্য করতে পারে—জীবনের চাপ, পরিবারের দুঃখ, সমাজের অন্যায়—কিন্তু যে ছেলেটিকে সে ভালোবাসে, তার অবহেলা সে নিতে পারে না। সেই ছেলেটার একটা ভুল শব্দ, একটা উপেক্ষা—তার হৃদয়ে ছুরি চালানোর মতো লাগে।
যদি ছেলেটি সময় দেয়, বুঝতে চায়, পাশে থাকে—তবে মেয়েটি হয়ে ওঠে সবচেয়ে হাসিখুশি, প্রাণবন্ত মানুষ। আবার সেই ছেলেটিই যদি অবহেলা করে, খোঁজ না নেয়, অন্য নারীর দিকে তাকায়—তবে সে মেয়েটি নিঃশেষ হয়ে যায় ভেতরে ভেতরে।
তাই বলা হয়, একজন পুরুষ চাইলে তার ভালোবাসার নারীকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মেয়ে বানাতে পারে। আবার অবহেলা করে, বুঝতে না পেরে, তার জীবনটাকে করে তুলতে পারে বিষের মতো তিক্ত।
একটা মেয়ের হাসি বা কান্নার পেছনে অনেক সময় থাকে একটি মাত্র ছেলের হাত। সেই হাতটি যদি ভালোবাসায় ছুঁয়ে দেয়, তবে মেয়েটি বিকশিত হয় ফুলের মতো। আর যদি সেই হাতটি ঠেলে দেয় উপেক্ষার দিকে—তবে মেয়েটির জীবন শুকিয়ে যেতে থাকে নিঃশব্দে।