12/10/2024
বাচ্চার মায়েরা সবাই পড়বেন
আর সতর্ক থাকবেন
#সত্য_ঘটনা
চারদিন আগে আমার একজন এক্স কলিগের ঘরে দীর্ঘ সাধনার পর একজন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মদানের পর সে গত রাতে বাসায় (শ্বশুরালয়ে) পৌছায়।
শ্বাশুড়ি বাচ্চার গলা আর মাথা দেখে মন্তব্য করে - ওর তো মাথার সাথে লাগানো গলা হবে। প্রতিদিন তেল মালিশ কইরা গলা লম্বা করতে হবে।
এতে আমার কলিগ ও তার স্বামী আপত্তি জানিয়ে বলে এমন কিছু করতে ডাক্তার মানা করেছে।
এরপর তিনি ভীষন মনক্ষুন্ন হোন এবং এই ব্যাপারে আর কথা বাড়ান না।
আজ দুপুরে যখন আমার কলিগ ৪ দিনের বাচ্চাকে ঘুম পারিয়ে গোসলে যান তখন তার শ্বাশুড়ি বাচ্চাকে ঘুম থেকে তুলে বাচ্চাকে তেল মালিশ করে দেন। যা তিনি বাচ্চার মায়ের অনুমতি নিয়ে করেন নি।
আমার কলিগ গোসল থেকে ফিরে আসার পর বাচ্চাকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় ই পান।
কিন্তু বাচ্চার গায়ে হাত দেওয়ার পর টের পায় বাচ্চাটা শীতল। অর্থাৎ সে আর জীবিত নেই। সাথে গায়ে তেলের চিটচিটে ভাবটাও পান।
সে চিৎকার করে বাচ্চাকে বুকে জড়িয়ে হাসপাতালে গেলে জানা যায় শিশুটি আরো ৩০-৪৫ মিনিট আগে মারা গিয়েছে।
এক্স রে করলে জানা যায় শিশুর গলা ও ঘাড়ের একটি হাড় মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছে। এতে শিশুর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে সেখানেই মারা যায়।
এতে আমার কলিগের বুঝতে বাকী থাকে না সে গোসলে থাকার সময় আসলে কি ঘটেছিলো।
এই মুহূর্তে আমার কলিগ শোকে পাগল প্রায়।
জুবিনকে নিয়ে সেখানে একা যাওয়া সম্ভব না বলে যেতে পারছিনা।
আর সেখানে গিয়ে আমি আসলে কি করবো জানিনা।
কারণ বাচ্চাদের ব্যাপারে আমি সবসময়ই বেশি সেন্সিটিভ। কখন নিজের বেয়াদব মার্কা জিহবা দিয়ে কাকে কি বলে বসি তার কোন ঠিকানা নাই।
কারণ আমার মনে হয় এটা কোন দুর্ঘটনা হিসেবে নেওয়া উচিত না। এটা সম্পূর্ন রূপে একটি হত্যাকান্ড। যার শাস্তি আসামীর পাওয়া উচিত।
একটা বিশেষ সংখ্যক মানুষের কাছে আমি বেয়াদব কারণ বাচ্চা পালার ব্যাপারে আমি তাদের পরামর্শে কান দেই নি।
সবাইকে অনুরোধ করবো। বিশেষ করে মায়েদের।
প্লিজ বাচ্চার ব্যাপারে কোন কম্প্রোমাইজ করবেন না। হয়ে যান বেয়াদব তবুও আপনার কোল খালি না হোক।
- জাকিয়া হোসেইন তৃষা