পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম

পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গুজব নয়,সত্যের সন্ধানে……

রাত তখন ২টা ৩৫। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস  #গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মনিটরিং কক্ষে নিস্তব্ধতা। কেবল কম্পিউটা...
26/05/2025

রাত তখন ২টা ৩৫। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টমস #গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মনিটরিং কক্ষে নিস্তব্ধতা। কেবল কম্পিউটারের স্ক্রিনে জ্বলজ্বলে ফুটে ওঠা সিসিটিভি ফুটেজ আর ক্লিক ক্লিক শব্দ। সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ রাজিবুল হাসান টানা আট ঘণ্টা ডিউটির পরেও চোখের পাতা ফেলতে পারছেন না। ক’দিন ধরেই একটি গোপন তথ্য মাথার ভেতর ঘুরছে—একটি সংঘবদ্ধ আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারী চক্র আজ রাতেই একটি বড় চালান আনবে।

তথ্যটা এসেছিলো একটি অজ্ঞাত উৎস থেকে। মোবাইলে আসা একটি এনক্রিপ্টেড বার্তা—“EK-582, কালো ট্রলি, মাঝবয়সী পুরুষ, সোনালী ছায়ার নিচে অন্ধকারের বিস্তার।” বার্তাটার শেষ লাইনটা যেন ধাঁধার মতো। কিন্তু রাজিবুল জানেন, এসব তথ্য সহজে আসে না, আর এলেও হেলাফেলা করা যায় না।

EK-582 ফ্লাইটটি অবতরণ করলো ঠিক ৩টা ০৫ মিনিটে। ইমিগ্রেশন পার হওয়া যাত্রীদের চোখ দিয়ে স্ক্যান করছিলেন রাজিবুল নিজে। হঠাৎ করেই নজরে এলো এক মধ্যবয়সী ভদ্রলোক। খুব সাধারণ পোশাক, চোখে ক্লান্তি, তবুও হাঁটার ভঙ্গিতে যেন কিছু চাপা উত্তেজনা। কালো ট্রলিটা টানতে টানতে সে এগিয়ে যাচ্ছে।

মনিটরে চোখ রেখে রাজিবুল সঙ্গে সঙ্গেই নির্দেশ দিলেন, “ওই ট্রলিটা স্ক্যান করাও, হাফিজ। মনোযোগ দিও নিচের বেস চেম্বারে।”

স্ক্যানার রুমে বসা হাফিজ দ্রুত স্ক্যান করলো। স্ক্রিনে দেখা গেল ট্রলির নিচে ঘন এবং ভারী ধাতব বস্তু। অসমান আকৃতি। ব্যাগটি সাইডে নিয়ে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। রাজিবুলও রওনা দিলেন।

ভদ্রলোককে জিজ্ঞেস করা হলো, “আপনার ব্যাগে কি আছে, বলতে পারেন?”

সে থতমত খেয়ে গেল। মুখে জড়তা। “না মানে... জামাকাপড়... কিছু উপহার...”—তার গলায় কাঁপন। ব্যাগের নিচের চেম্বার কেটে বের করা হলো তিনটি মোটা সোনার বার, প্রত্যেকটি প্রায় ৭০০ গ্রাম। সঙ্গে কিছু হিরে বসানো গয়না। সব মিলিয়ে প্রায় ২ কেজি।

অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেল, তাকে এই ব্যাগটি কুয়ালালামপুর এয়ারপোর্টে এক ব্যক্তি দিয়েছিলো, ঢাকায় একজন তাকে ফোন দিয়ে অ্যাড্রেস জানিয়ে দেবে। ওই ব্যক্তির নাম জানে না, কেবল একটা কোড—“সানশেড 71”।

“সানশেড 71”—এই শব্দটা মাথায় আটকে গেল রাজিবুলের। তিনি জানেন, আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে এটি একটি ছদ্ম কোডনেম, যেটি পূর্ব এশিয়ার একটি মাফিয়া গ্রুপ ব্যবহার করে। এদের সঙ্গে কাজ করে কিছু আন্তর্জাতিক হ্যান্ডলার, আর স্থানীয় সাহায্যকারী। আগেও একবার এই কোড আসে, কিন্তু সে বার সব প্রমাণ ঘোলাটে ছিল।

রাজিবুল সিদ্ধান্ত নিলেন, এবার আর শুধু বাহককে ধরে থেমে যাবেন না। পুরো জাল ভেদ করতে হবে। তিনি পরদিনই যোগাযোগ করলেন বাংলাদেশ পুলিশের ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (CID)-এর বিশেষ ইউনিটের সঙ্গে। সহকারী পুলিশ সুপার তানজিনা সিদ্দিকা তাঁর সহায়তায় এগিয়ে এলেন।

তানজিনার কাছে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের ডেটা ছিলো। তিনি নিশ্চিত করলেন, “সানশেড 71” মূলত মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও হংকং-ভিত্তিক একটি চোরাচালান গ্রুপের কোড। তারা সাধারণত হিউম্যান কুরিয়ার ব্যবহার করে, আর মোবাইলের ভয়েস মেসেজের মাধ্যমে কমিউনিকেশন চালায়। বাংলাদেশেও তাদের পক্ষে কাজ করছে এমন কেউ—কিন্তু তিনি কে?

তদন্তে ধীরে ধীরে একটি নতুন দিক খুলে যায়। রাজিবুল জানতে পারেন, গত তিন মাসে একই ফ্লাইট EK-582 দিয়ে ৬ বার সন্দেহজনক যাত্রী এসেছেন যাদের সবাই একই হোটেলে থেকেছেন—পুরনো ঢাকার গোপন একটি হোটেল, যার মালিক এক সাবেক বিমানবালা।

তদন্তে সেই হোটেলে গিয়ে পাওয়া গেল আরও অবাক করা তথ্য—প্রতিটি যাত্রীর ছবি তুলেছিলেন একজন ‘স্থানীয় গাইড’, যার নাম মাহফুজ। সে নিজেকে পর্যটকদের সাহায্যকারী বললেও, তার ফোনে পাওয়া গেল কয়েক ডজন এনক্রিপ্টেড বার্তা, যার বেশিরভাগই সেই অচেনা কোডে লেখা। তার একটিতে লেখা ছিল: “শুক্রবার, ৩ টা, ট্রলি ছায়ার নিচে, ALPHA-SHADOW।”

ALPHA-SHADOW শব্দটি আন্তর্জাতিক অপরাধ গোয়েন্দা ইউনিটকে সতর্ক করলো। কারণ এটি একটি বিশেষ মার্কিন তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছিলো—যেখানে বলা হয়েছিল, এশিয়ার কিছু রাষ্ট্রে মার্কিন ডলার ও সোনা চোরাচালানে এই কোড ব্যবহার করে একটি চক্র, যারা মূলত একটি আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার ভেতরের দুর্নীতিপরায়ণ সদস্যদের সাহায্যে পরিচালিত।

এবার তদন্তের থিমই পাল্টে যায়। এখানে শুধু চোরাচালান নয়, রয়েছে বড় ধরনের গোপন এজেন্ডা—অর্থনীতিকে অস্থিতিশীল করা, অবৈধ মুদ্রা প্রবাহ তৈরি করা এবং বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে একধরনের হুমকির দেশ হিসেবে দাঁড় করানো।

রাজিবুল বুঝলেন, এটি কেবল বিমানবন্দর পর্যায়ে থেমে থাকবে না। তাই তিনি ও তানজিনা একটি ‘ডিকয় অপারেশন’ পরিকল্পনা করেন। এইবার তারা নিজেরাই তৈরি করলেন একটি কৃত্রিম ব্যাগ, যাতে রাখা ছিলো একটি GPS ট্র্যাকার ও শব্দগ্রাহী চিপ।

ঠিক নির্ধারিত সময়ে সেই ‘চালান’ বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যায়। সেটি ধীরে ধীরে গন্তব্যে পৌঁছায়—চট্টগ্রামের এক পাহাড়ি অঞ্চলে। সেখান থেকে সিগন্যাল যায় সীমান্তের খুব কাছের একটি খামারবাড়িতে।

সেখানে রাতের আঁধারে অভিযান চালানো হয়। ধরা পড়ে আরও তিনজন বিদেশি নাগরিক—এবার চাইনিজ এবং থাই। তাদের ড্রোন, রেডিও কমিউনিকেশন সেট, এবং ভুয়া পাসপোর্ট সহ আটক করা হয়। সেখানে আরও পাওয়া যায় এক অদ্ভুত ম্যাপ, যেখানে বাংলাদেশের ভেতরের কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল ‘হট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা।

তদন্তকারীরা বুঝতে পারলেন, এটি শুধু চোরাচালান নয়—এটি একটি অর্থনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি। একইসঙ্গে তারা মাদক ও অস্ত্র পাচারেরও পরিকল্পনা করছিল।

এরপর এক জার্মান NGO-এর আড়ালে ঢাকায় কাজ করা এক বিদেশির সন্ধান পাওয়া গেল, যিনি দারিদ্র্য দূরীকরণের নামে ভুয়া জরিপ চালিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতেন। তার ল্যাপটপ থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণে উঠে আসে সেকেন্ডারি চ্যানেল—নতুন একটি প্ল্যান্ট বসানোর নামে বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় এক গোপন ডিপো নির্মাণের কাজ চলছিল।

সব প্রমাণ একত্রিত করে রাজিবুল, তানজিনা ও একটি বিশেষ টাস্কফোর্স নিয়ে শেষবারের মতো অভিযান পরিচালনা করেন সেই গুদামে। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ২৫ কেজির মতো স্বর্ণ, মিথ্যা নামের অধীনে রেজিস্টার করা কয়েকশ ফেক কোম্পানির দলিল, এবং সবচেয়ে অবাক করা জিনিস—একটি “গোল্ডেন ম্যাসেঞ্জার” নামের সফটওয়্যারের সার্ভার, যা দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক আর্থিক তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা করছিল।

এর মধ্যেই রাজিবুলের হাতে আসে আরেকটি হুমকি—এইবার একটি চিঠি, হাতে লেখা, তাতে শুধু লেখা:

“তুমি জানো না তুমি কাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছ। পরবর্তী ছায়া, তোমার ছায়াতেই নেমে আসবে।”

চিঠির নিচে ইংরেজিতে লেখা—“Echo-37”। এটি একটি র‍্যাডিও সিগন্যাল কোড, যা মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ডে ব্যবহৃত হয়—অর্থাৎ পরবর্তী অপারেশন কেউ শুরু করছে। আর এটা যে থেমে যাবে না, সেটাও স্পষ্ট।

তবুও, রাজিবুল থামেননি। তথ্য সংরক্ষণ, সাক্ষ্য সংগ্রহ, এবং আন্তঃরাষ্ট্রীয় যোগাযোগ—সবই চালিয়ে গেলেন তিনি ও তাঁর টিম।

এই গোটা অভিযানটির কোড নাম রাখা হয়েছিল—“অপারেশন সোনালী ছায়া”।

সাংবাদিকরা যখন রাজিবুল হাসানকে জিজ্ঞেস করলো, “এই ঝুঁকি কেন নিলেন? আপনি তো শুধু একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা।”

তিনি হেসে বলেছিলেন, “আমি কেবল আমার কর্তব্য করেছি। এ দেশের প্রতিটি সোনার কণা যেন বৈধভাবে আসে, সেটাই তো চেয়েছি।”

তানজিনা পাশে দাঁড়িয়ে বললেন, “সাহস থাকলেই ছায়া ভেদ করে আলো আনা যায়।”

এভাবেই একটি অদৃশ্য চক্র, একটি গোপন কোড, এবং কয়েকটি সাহসী মানুষের ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগে—একটি বড় আন্তর্জাতিক অপরাধচক্র ভেঙে যায়। আর একটি বাক্য চিরতরে স্মরণীয় হয়ে থাকে:

“সোনালী ছায়া যতই গাঢ় হোক, সত্যের আলো একদিন তা ছিন্ন করবেই।”

উৎসর্গ :- প্রিয় সহকর্মী Rajibul Hasan Raziv ভাই কে ।

কার্টিসি : সাব্বির আহমেদ

নিজের জনপ্রিয়তা বুঝতে পেরে কাজী নজরুল ইসলাম ভাবলেন, এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন!নির্বাচনটি ছিলো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক প...
26/05/2025

নিজের জনপ্রিয়তা বুঝতে পেরে কাজী নজরুল ইসলাম ভাবলেন, এবার তিনি নির্বাচনে অংশ নিবেন!

নির্বাচনটি ছিলো কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপক পরিষদের নির্বাচন। এর আগে তিনি বিভিন্ন প্রার্থীর হয়ে নির্বাচনী জনসভায় অংশ নেন। জনসভায় গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে প্রার্থীর পক্ষে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন।
নজরুল লক্ষ্য করেন, তিনি যখন স্টেজে উঠেন, তখন সবাই তার জন্য তালি দেয়, উচ্ছ্বসিত হয়। প্রার্থীর জন্যও মানুষ এতোটা আগ্রহ দেখায় না, যতোটা দেখায় তার জন্য।

এটা ভেবে তার মনে হলো তিনি তো প্রার্থীদের চেয়েও জনপ্রিয়! আর কতো এভাবে অন্যের হয়ে ভোট চাইবেন? তিনি নিজেই দাঁড়িয়ে গেলেন।

সমগ্র ঢাকা বিভাগে মুসলমানদের জন্য সংরক্ষিত আসন ছিলো দুটো। দুই আসনে মোট প্রার্থী ছিলেন পাঁচজন। পাঁচজনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত দুজন হবেন নির্বাচিত।

পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজনই ছিলেন বড়ো বড়ো জমিদার। বরিশালের জমিদার ইসলাইল হোসেন চৌধুরী, ময়মনসিংহের জমিদার আব্দুল হালিম গজনভি এবং ঢাকার নবাব পরিবারের খাজা আবদুল করিম। বাকি দুজন হলেন- মফিজউদ্দিন আহমদ ও কাজী নজরুল ইসলাম।

নির্বাচনে লড়াই করার জন্য নজরুলের পকেটে ছিলো বিধানচন্দ্র রায়ের দেয়া মাত্র ৩০০ টাকা। অন্যদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বাকি তিনজন জমিদার!

এখানে, নজরুলের সেই সময়কার আর্থিক অবস্থা উল্লেখ করলে 'দুখু মিয়ার' তৎকালীন পকেটের অবস্থা বুঝতে সুবিধা হবে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কয়েক মাস পূর্বে তার দ্বিতীয় পুত্রের জন্ম হয়। পুত্রের জন্ম সংবাদ পেয়ে নজরুল তার প্রকাশক বজ্রবিহারী বর্মণকে চিঠি লিখে ২৫ টাকা পাঠাতে বলেন। তিনি জানিয়ে দেন, টাকাটা তার খুব দরকার, ধার করে হলেও যেনো টাকা পাঠানো হয়।

অভাব-অনটনের সেই সময় লিখেন তার বিখ্যাত কবিতা 'দারিদ্র‍্য'। কবিতার শেষাংশে কবি উল্লেখ করেন তার অভুক্ত পুত্রের ক্ষুধার জ্বালা। কবির ভাষায়:

"সহসা চমকি’ উঠি! হায় মোর শিশু
জাগিয়া কাঁদিছ ঘরে, খাওনি ক’ কিছু
কালি হ’তে সারাদিন তাপস নিষ্ঠুর,
কাঁদ’ মোর ঘরে নিত্য তুমি ক্ষুধাতুর!
পারি নাই বাছা মোর, হে প্রিয় আমার,
দুই বিন্দু দুগ্ধ দিতে!-মোর অধিকার
আনন্দের নাহি নাহি! দারিদ্র্য অসহ
পুত্র হ’য়ে জায়া হয়ে কাঁদে অহরহ
আমার দুয়ার ধরি! কে বাজাবে বাঁশি?
কোথা পাব আনন্দিত সুন্দরের হাসি?"

এর ঠিক কয়েক মাস পর কবি নির্বাচনের ক্যান্ডিডেট! তৎকালীন সময়ে সবাই ভোটার হতে পারতো না। মোটামুটি স্বচ্ছল ব্যক্তিরাই ভোটার হতে পারতেন। কারণ, ভোটার হবার জন্য নূন্যতম বাৎসরিক কর দিতে হতো। নজরুল সেই সময়ে যাদের কাছে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই ভোটার ছিলেন না।

সমগ্র ঢাকা বিভাগে মোট ভোটার ছিলো মাত্র ১৮,১১৬ (আঠারো হাজার একশো ষোলো) জন।

কাজী নজরুল ইসলামের দরকার ভোট। স্পেসিফিকলি বললে মুসলিমদের ভোট। অথচ 'বিদ্রোহী' কবিতা সহ আরো কয়েকটি কবিতা, গানের জন্য তিনি মুসলিম সমাজে সমালোচিত। অনেকেই তাকে 'কাফের' ফতোয়া দিয়েছেন।

'লেখক নজরুল' পাবলিক সেন্টিমেন্টকে তোয়াক্কা না করলেও এবার 'প্রার্থী নজরুল' পাবলিক সেন্টিমেন্টকে গুরুত্ব দেন। তিনি চলে যান ফরিদপুরের নামকরা পীর বাদশাহ মিয়ার কাছে। বাদশাহ মিয়াকে অনুরোধ করেন তার পক্ষে যেনো একটি ফতোয়া লিখে দেন, যাতে মানুষ তাকে ভোট দেয়।

পহেলা নভেম্বর বাদশাহ মিয়া একটি কাগজে কাজী নজরুল ইসলামের পক্ষে ফতোয়া লিখে দেন- ভোটাররা যেনো কাজী নজরুল ইসলামকে ভোট দেয়!

কাজী নজরুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারণায় সঙ্গ দেন পল্লীকবি জসীমউদদীন। বাংলা সাহিত্যের দুই শ্রেষ্ঠ কবি নামলেন নির্বাচনী প্রচারণায়। কাজী নজরুল ইসলাম জসীমউদদীনকে বুঝালেন, "ঢাকায় আমি শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট পাবো, ফরিদপুরে তোমার এলাকায় কয়েকটা ভোট পেলেই কেল্লা ফতে; আমি জিতে যাবো!"

দুই কবি মানুষের বাড়ি বাড়ি যেতেন নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে। মানুষ চা অফার করতো। আর নজরুলের নীতি ছিলো- "চায়ে কোনো 'না' নেই।" নির্বাচনী প্রচারণায় কাজী নজরুল ইসলাম একদিন ৭২ কাপ চা খান!

জনসমর্থন আদায়ে দুজন ফরিদপুরের তমিজউদদীন খানের বাড়ি যান। সেখানে একজন বলে উঠলো, আপনি তো 'কাফের', আপনাকে ভোট দেবো কেনো? তখন নজরুল একটা একটা করে তার কবিতাগুলো আবৃত্তি করেন। যখনই 'মোহররম' কবিতাটি আবৃত্তি করেন, তখন সেই অভিযোগকারী কেঁদে দেয়!

নির্বাচনের দিন জসীমউদদীন নজরুলকে একটি কৌশল বলেন- "আপনি একটি ভোটকেন্দ্রে বসে থাকুন। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবার সময় আপনাকে দেখতে পাবে। আপনার কথা মনে পড়বে, আপনাকে ভোট দেবে।"

নজরুল কবির কথামতো ঠিকই ভোটকেন্দ্রে বসে পড়লেন।

যেই কবি আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছিলেন ঢাকায় ৯৯ ভাগ ভোট পাবেন, নির্বাচনের ফলাফল দেখে সেই কবির চোখ কপালে উঠে।

নির্বাচনের ফলাফল ছিলো:
১. ইসমাইল হোসেন খান চৌধুরী ৬০৬১ ভোট পেয়ে বিজয়ী।
২. আব্দুল হালিম গজনভি ৫৭৬৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী।
৩. আব্দুল করিম ২০৪৩ ভোট পেয়ে পরাজিত।
৪. কাজী নজরুল ইসলাম ১০৬২ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত।
৫. মৌলভী মফিজউদ্দীন আহমদ ৫২০ ভোট পেয়ে জামানত বাজেয়াপ্ত।

আকাশচুম্বী জনপ্রিয় কবির নির্বাচনে জয়ী হওয়া যে আকাশকুসুম চিন্তা ছিলো, সেটা বুঝতে কাজী নজরুল ইসলামকে একবার নির্বাচন করতে হয়। এরপর নজরুল দ্বিতীয়বার আর এই ভুল করেননি। তবে, নজরুলের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন বাংলার আরেক কবি নির্মলেন্দু গুণ।

১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্মলেন্দু গুণ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন চান। আওয়ামিলীগ থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিশেবে নেত্রকোণা-বারহাট্টা আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। তার নির্বাচনী প্রতীক ছিলো বেশ বিচিত্র- কুমির। সাক্ষাৎকারে তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি কেনো কুমির প্রতীক নেন? এটার পেছনে কি কবির কোনো উদ্দেশ্য আছে?

নির্মলেন্দু গুণ জানান- "আমি নিজে অত্যন্ত নিরীহ মানুষ। তার উপর স্বতন্ত্র প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমাকে করুণার দৃষ্টিতে দেখুক এমন কোনো নিরীহ প্রতীক বেছে নেয়াটা বোকামী হবে ভেবেই আমি এই প্রতীক বেছে নিয়েছি। আপনারা সবাই জানেন যে কুমির সমীহ আদায় করার মতো প্রাণী। জলের রাজা এবং প্রয়োজনে স্থলেও উঠে আসতে পারে। সুতরাং...।"

কাজী নজরুল ইসলাম তার নির্বাচনের সময় পাশে পেয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কবি জসীমউদদীনকে। তেমনি নির্মলেন্দু গুণও নির্বাচনের সময় পাশে পান বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে। দুজনই ছিলেন একই এলাকার। নির্মলেন্দু গুণের নির্বাচনের জামানতের টাকা দেন হুমায়ূন আহমেদ।

কাজী নজরুল ইসলামের মতো নির্মলেন্দু গুণও নির্বাচনে পরাজিত হোন, এমনকি জামানত হারান। নির্মলেন্দু গুণ ভোট পান ১২৪৯ টি।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সম্ভবত কোনো বিখ্যাত কবি কোনো নির্বাচনে জিতেননি। তবে, রাষ্ট্রপ্রধান হবার পর কবি হবার ঘটনা আছে!

জেনারেল এরশাদ ৯ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন। সেই সময় প্রতিদিন পত্রিকার প্রথম পাতার তার লেখা কবিতা প্রকাশিত হতো। এমন কবিভাগ্য পৃথিবীর ইতিহাসে অন্য কোনো কবির (!) ছিলো কি-না বলা মুশকিল!

------

|| রাজনীতির মাঠে কাজী নজরুল ||
- আরিফুল ইসলাম
১৮ ডিসেম্বর ২০২১

যত স্বাক্ষর তত ঘুষ। ধরুন আমেরিকার ৫টা পোর্ট কল করবেন। প্রথম পোর্টে পৌছানোর ১৫ মিনিটে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, কোয়ারেন্টাইন সব...
24/05/2025

যত স্বাক্ষর তত ঘুষ। ধরুন আমেরিকার ৫টা পোর্ট কল করবেন। প্রথম পোর্টে পৌছানোর ১৫ মিনিটে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, কোয়ারেন্টাইন সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে। এরপরে অন্য কোন পোর্টে আর কেউ আসবে না। আমেরিকা থেকে প্রায়ই সাইন অফ করি। কোন দিন কেউ লাগেজ চেক করতে আসে নাই। শুধু গেটে ভিজিটর লিস্টে নাম থাকতে হবে আর অন লাইনে জাহাজ আসার আগেই কারো অন করবে আর অফ করবে তা জানাতে হবে। বাংলাদেশে একবার সাইন অফ করেছিলাম ৬ঘন্টা কাস্টমস এর চেকিং রুমে বসে ছিলাম। বাকিটা আর নাই বলি। বিএসসিতে যারা চাকরি করেছে তারা চাইলে বিস্তারিত কমেন্টে জানাতে পারেন। একটা জাহাজে কি আসবে বা যাবে তা খুব সহজেই জানা যায়। কারন যারা ইম্পোটার তারা আগেই ডিক্লেয়ার করে, ব্যাংকের এলসি থাকে, যে পোর্টে লোড হবে সেই পোর্টের বিএল থাকে। ১৭ জনের কাছে ক্লিয়ারেন্স নেয়ার দরকার নাই। পৃথিবীর হাতেগোনা কয়েকটা দেশে এইসব হয়ব।এই যেমন ইন্ডিয়া, নাইজেরিয়া আফ্রিকার কিছু দেশ। এবং সবচেয়ে মজার বিষয় এই যে ১৭জন সাইন নেয় তারা ১/২ জন ছাড়া কেউ জাহাজে যায় না। এমনকি যে পাকিস্তানে আপনাদের এলার্জি তারাও এখন এজেন্ট দিয়ে সব ক্লিয়ার করায়। আমরা স্বাধীনতা চাই। ঘুষ খাবার স্বাধীনতা। বিশ্বের সবচেয়ে বিপদজনক পোর্টের নাম লিখে সার্চ দেন চিটাগং পোর্ট পাবেন টপ লিস্টে।

কার্টেসি # Sagor Mahmud

 #অ্যাপল সম্প্রতি চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট আলিবাবার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, চীনে বিক্রি হওয়া আইফোনে স্থানীয়ভাবে নির্মিত ...
19/05/2025

#অ্যাপল সম্প্রতি চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট আলিবাবার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে, চীনে বিক্রি হওয়া আইফোনে স্থানীয়ভাবে নির্মিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ফিচার যুক্ত করার জন্য। বাইরে থেকে দেখলে এটা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত মনে হতে পারে, যেহেতু #চীন সরকার পশ্চিমা AI সেবাগুলোর ওপর বিধিনিষেধ দিয়েছে, অ্যাপল বাধ্য হয়ে চীনের নিজস্ব মডেল ব্যবহার করছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের ভেতরে লুকিয়ে আছে এক গভীর আন্তর্জাতিক রাজনীতির কাহিনি, যেখানে প্রযুক্তি শুধু পণ্য নয়, শক্তি, নিয়ন্ত্রণ এবং ভবিষ্যতের দখল নিয়ে চলা লড়াইয়ের এক নতুন যুদ্ধক্ষেত্র।

আমেরিকার আইনপ্রণেতা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এই চুক্তি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দল থেকেই অভিযোগ এসেছে যে অ্যাপল হয়তো চীনা সামরিক বাহিনী ও সরকারের নজরদারিমূলক ক্ষমতা আরও শক্তিশালী করছে। গ্লোবাল প্রযুক্তির ইতিহাসে এই প্রথমবার, অ্যাপলের মতো কোম্পানি একটি বিদেশি রাষ্ট্রের তথ্য নিয়ন্ত্রণ নীতিকে মেনে তাদের পণ্য চালু করছে, যেখানে সেই রাষ্ট্র তথ্যকে ব্যবহার করে নাগরিকদের অভ্যন্তরীণ জগৎকেও নিয়ন্ত্রণ করে। চীনা মডেল কেবল প্রযুক্তিগত সমাধান নয় বরং একটি আদর্শ, যেখানে ব্যক্তির স্বাধীনতা নয়, রাষ্ট্রের নজরদারি প্রথম।

এই চুক্তি শুধু মার্কেট শেয়ারের কারণে নয়। অ্যাপল চীনে টিকে থাকার জন্য বাধ্য হয়েছে আলিবাবার AI মডেল ‘Qwen’ ব্যবহারে, কারণ চীন সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, বিদেশি AI মডেল ব্যবহার চলবে না। তাই এখন, আইফোনের ভেতরেই চীনা সেন্সরশিপ ‘লেয়ার’ যুক্ত হচ্ছে, যা ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর কেমন হবে, কী বলা যাবে আর কী বলা যাবে না তা নির্ধারণ করবে।

এই জায়গাটায় দাঁড়িয়ে আমরা বুঝতে পারি, এটা কেবল ব্যবসা নয়, এটা প্রযুক্তিগত জাতীয়তাবাদ (technonationalism)। AI এখন আর নিরপেক্ষ কোনো গণনা মেশিন নয়। এটা একটি রাষ্ট্রের মতাদর্শ, মূল্যবোধ এবং কর্তৃত্ব প্রয়োগের মাধ্যম। অ্যাপল যখন আলিবাবার সঙ্গে একত্র হয়, তখন তারা কেবল সফটওয়্যার নয়, সেই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক নীতিমালাও তাদের পণ্যে অন্তর্ভুক্ত করছে।গবেষক লিসা পার্কস এই ব্যাপারটাকে দেখেন Infrastructural Imperialism হিসাবে। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি প্রযুক্তি সরবরাহ করে, তারাই অনেক সময় পর্দার আড়ালে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করে। যদি আমরা ধরে নিই যে প্রযুক্তি নিরপেক্ষ, তাহলে আমরা ভুল করব। আলিবাবার AI শুধু তথ্য বিশ্লেষণ করছে না, বরং নাগরিকদের ভাবনা কোন দিকে যাবে, সেটাও ‘ফিল্টার’ করে দিচ্ছে। অ্যাপল যখন চীনা সেন্সরশিপকে নিজেদের ডিভাইসে বসায়, তখন তাদের ‘privacy-first’ নীতি আর কার্যকর থাকে না, তারা এক ধরনের রাজনৈতিক মঞ্চে রূপান্তরিত হয়, যেখান থেকে কোনো নির্দিষ্ট আদর্শ প্রচার করা হয়। আফ্রিকান দার্শনিক আচিল মেম্বে যেভাবে necropolitics ধারণা দিয়েছেন, যেখানে রাষ্ট্র ঠিক করে কে বাঁচবে, কে হারিয়ে যাবে, ঠিক সেইরকম AI-ও এখন ঠিক করছে কে কথা বলার সুযোগ পাবে, কে ‘visible’ হবে আর কে ‘invisible’। চীনা AI সেটাই করছে, যার কথা রাষ্ট্রপন্থী নয়, সে প্রশ্নই করবে না, করলে উত্তরও পাবে না। এর ভেতরেই তৈরি হচ্ছে এক নতুন বৈষম্য, এইবার তা কোডের মাধ্যমে, অ্যালগরিদমের মাধ্যমে।

এই আলোচনা আরও গভীর হবে যদি আমরা জেমস সি. স্কটের ‘legibility’ ধারণা ব্যবহার করি। আধুনিক রাষ্ট্র চায় তার নাগরিকদের সহজে বুঝতে, তাদের জীবনযাত্রা যেন সহজ ফর্মুলায় অনুবাদযোগ্য হয়। AI সেই কাজটাই করে, মানুষের অভিজ্ঞতা, ভাষা, সংস্কৃতি সবকিছু গুটিয়ে নিয়ে পরিণত করে পূর্বনির্ধারিত শ্রেণীবিন্যাসে। চীনে এটা রাষ্ট্র করছে, আমেরিকায় সেটা করছে বাজার। অথচ দুটি ক্ষেত্রেই স্থানীয় জনগণের জটিলতা, বৈচিত্র্য, আঞ্চলিক জ্ঞান হারিয়ে যাচ্ছে। যাই হোক, এই আলাপ তুলে রাখি আরেক দিনের জন্য।

এখন প্রশ্ন আসে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর কী করণীয়। বাংলাদেশও তার AI পলিসি তৈরি করছে। কৃষি, স্বাস্থ্য, প্রশাসনে AI ব্যবহারের পরিকল্পনা হচ্ছে। কিন্তু এই প্রযুক্তিগুলো আমরা কোথা থেকে নিচ্ছি, কার ডেটায় ট্রেন করা মডেল ব্যবহার করছি, সেগুলোর রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক প্রভাব কী, এই প্রশ্নগুলো তেমনভাবে উঠছে না। পশ্চিমা AI কোম্পানিগুলো আমাদের ভাষা বোঝে না, সংস্কৃতি বোঝে না। চীনা AI হয়তো স্থানীয়করণ করে, কিন্তু তার ভেতরে থাকে সেন্সরশিপ আর নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব। তাহলে আমরা কোনটা বেছে নিচ্ছি, আর এই বেছে নেওয়া কি স্বাধীনভাবে হচ্ছে, নাকি আমরা নিরুপায়।

বাংলাদেশের জন্য এখন শুধু ‘ডিজিটাল উন্নয়ন’ নয়, এটা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, একটি নৈতিক প্রশ্ন, এবং একটি #ভবিষ্যৎ নির্মাণের সুযোগ। আমরা চাইলে একটি ‘সার্বভৌম AI’ কাঠামো তৈরি করতে পারি, যেখানে স্থানীয় ভাষা, জ্ঞান, সংস্কৃতি এবং জনগণের অধিকারকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। এজন্য দরকার নিজের মতো করে প্রযুক্তি তৈরি করা, গবেষণায় বিনিয়োগ, এবং এমন নীতি গড়া যা বাইরের কোম্পানিকে শর্তবদ্ধ করতে পারে। না হলে AI আমাদের উন্নয়ন ঘটাবে না, আমাদের ব্যাখ্যা করবে এমনভাবে, যা আমরা নিজেরাও চিনতে পারব না।

এই সময়ে দাঁড়িয়ে, বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী দেশগুলোও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে লড়ছে। তাহলে আমাদের মতো দেশগুলোর তো আরও বেশি সাহসী হতে হবে, নিজেদের ভবিষ্যৎ অন্যদের হাতে তুলে না দিয়ে, নিজেরাই সেই কোড লিখে ফেলতে হবে। এখনই সময়, নইলে ভবিষ্যৎ আর আমাদের থাকছে না, থাকছে শুধু অন্যদের বানানো ভবিষ্যতের ভেতর একরকম অস্তিত্ব।

সংগ্রহীত

সতর্কতা :   #ভারত এবং  #পাকিস্তান দুটিই পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশ। তাই যদি কোনো কারণে পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় এব...
10/05/2025

সতর্কতা :
#ভারত এবং #পাকিস্তান দুটিই পরমাণু শক্তিসম্পন্ন দেশ। তাই যদি কোনো কারণে পরমাণু যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং পাকিস্তান পরমাণু বোমা ব্যবহার করে, তাহলে আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কিন্তু রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায় কী? চলুন জেনে নিই।

#রেডিয়েশনের #বীভৎসতা
*********************
পরমাণু বোমার বিস্ফোরণের সময় প্রচণ্ড তাপ এবং পারমানবিক শক্তি নির্গত হয়, কিন্তু এরপর যে রেডিয়েশন ছড়িয়ে পড়ে, তা অনেক বেশি ক্ষতিকর। এই রেডিয়েশন কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যায় এবং মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে মারাত্মক ক্ষতি করে। এটি ক্যানসার, ত্বকের রোগ এবং অন্যান্য মারাত্মক অসুখের কারণ হতে পারে। হিরোশিমা ও নাগাসাকির ঘটনায় দেখা গেছে, বিস্ফোরণের চেয়ে রেডিয়েশন এর কারণে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

#রেডিয়েশন থেকে বাঁচার উপায়
💥💥💥💥💥💥💥💥💥💥
যদি কোনো দেশ #পরমাণু হামলা করে, তাহলে বাঁচার জন্য খুব কম সময় হাতে থাকে। তাই দ্রুত এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপায় দেওয়া হল:

1) নিরাপদ আশ্রয়ে যান:
বিস্ফোরণের পর রেডিয়েশন খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই দূরে পালানোর চেষ্টা না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কোনো বন্ধ ঘরে বা বাড়ির ভেতরে আশ্রয় নিন। বেসমেন্ট বা কংক্রিটের দেয়ালওয়ালা ঘর সবচেয়ে নিরাপদ।

2)পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা বাইরে যাবেন না: রেডিয়েশন এর মাত্রা প্রথম ২৪ ঘণ্টা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই এই সময় বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন।

3)পরনের কাপড় খুলে ফেলুন: আপনি যে কাপড় পরে আছেন, তাতে রেডিয়েশন লেগে থাকতে পারে। তাই দ্রুত কাপড় খুলে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে বন্ধ করে দিন। এই ব্যাগ মানুষ বা পশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।

4)ভালো করে স্নান করুন:
সাবান দিয়ে ভালো করে স্নান করুন। তবে শরীর খুব জোরে ঘষবেন না। চোখ, নাক এবং কানপরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে নিন।

5)পানীয় জল ও খাবার সুরক্ষিত রাখুন:
যে খাবার বা জল বাইরে খোলা ছিল, তা ব্যবহার করবেন না। বন্ধ বোতলের পানীয় জল বা প্যাকেটজাত খাবার গ্রহণ করুন।

ভারত ও পাকিস্তান এর মধ্যে বর্তমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা দরকার। 'অপারেশন সিন্দুর' এর মাধ্যমে ভারত দেখিয়েছে যে, তারা #সন্ত্রাসের নামে কঠোর হঠকারী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। তবে যদি কোনো কারণে পরমাণু হামলার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে আমাদের

৭ বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজানের একটি পুকুর থেকে ভেসে ওঠে কম্বল। পুকুরে এমন মোটা কম্বল কে ফেলবে? আশেপাশের বাড়ির প্রতিবেশীর...
08/05/2025

৭ বছর আগে চট্টগ্রামের রাউজানের একটি পুকুর থেকে ভেসে ওঠে কম্বল। পুকুরে এমন মোটা কম্বল কে ফেলবে? আশেপাশের বাড়ির প্রতিবেশীরা একে অপরের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। কম্বলের রহস্য কী?

কিছু প্রতিবেশীর সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে জানায়, ডুবুরিকে জানায়। পুলিশ ডুবুরির সাহায্যে পুকুর থেকে অর্ধগলিত এক লা*শ উদ্ধার করে। কোনভাবেই লা*শের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। আশেপাশের বাড়ি বা এলাকার কেউ মিসিং হয়নি সহসাই। তাহলে এই লা*শ কার?

২০১৭ সালের একটা বিকেল। ঘরে ঢুকেই কেমন একটা সুঘ্রাণ পাচ্ছিল দুই কন্যা। মা'কে জিজ্ঞেস করতে থাকে কিসের ঘ্রাণ এটা। মা তেমন একটা গা করেন না।

পুরো ঘটনাটা বুঝতে যেতে হবে আরও কয়েকদিন পেছনে।

২০১৭ সালের জুন মাস। বর্ষার মৌসুমে চট্টগ্রামে নিজের ঘর থেকে বের হয়ে যায় নাছিমা আক্তারের ছেলে। তারপর বাড়িতে আর ফেরে না। বিদেশ ভুইয়ে স্বামীকেও জানান না, ছেলে নিখোঁজ হবার কথা। ঘটনাচক্রে সেসময়ই দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নাছিমা আক্তারের স্বামী নাজিম। তিনি কাউকে কিছু না বলে সারপ্রাইজ দিতে হুট করেই হাজির হন স্ত্রী নাছিমা আক্তারের সামনে। কিন্তু সেকি! সারপ্রাইজ হবার বদলে বিরক্তই হন স্ত্রী নাছিমা।

স্বামী নাজিম কারণ বুঝতে পারে না। কিছু একটা বেখাপ্পা লাগে তার। বিষয়টা ধরতে পারেন দ্রুতই। তার ছেলে কোথায়?

স্ত্রী নাছিমা আক্তার স্বীকার করেন ছেলে নিখোঁজ হয়েছে বেশ অনেকদিন হলো, অনেক খোঁজাখুজি করেও পাননি। সাথে এও স্বীকার করেন এই বিষয়টা স্বামী নাজিমকে জানাতে চাননি। কিন্তু এত বড় ঘটনা কীভাবে চাপিয়ে রাখল নাছিমা?

সন্তান নিখোঁজের ঘটনা ক্রমেই রূপ নেয় দাম্পত্য কলহে। নাজিমের কেন যেন কিছুই ভালো ঠেকে না। প্রতিদিন রাতেই ঝগড়া হতে থাকে নাছিমার সঙ্গে। নাছিমা যেন সহ্যই করতে পারে না নাজিমকে। এই চলমান দাম্পত্য জটিলতার পূর্ণাঙ্গ ফলাফল আসে ২০১৭ সালের ১৮ই আগস্ট।

সেদিন ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্ত্রী নাছিমাকে চ*ড় মারে নাজিম। সঙ্গে সঙ্গেই ক্রোধে জ্বলে ওঠে নাছিমা। ধাক্কা দিয়ে দরজার কাছে ফেলে দেয় নাজিমকে। দরজার কানায় লেগে মাথার হাড় সঙ্গে সঙ্গে ভেঙে যায় নাজিমের। প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ শুরু হয়। নাছিমা স্থির হয়ে এই দৃশ্য দেখে। একসময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিথর হয়ে আসে নাজিমের দেহ। কিছুদিন আগেই স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দিতে আসা নাজিম নিজের ঘরের মেঝেতে ম*রদেহ হয়ে শুয়ে থাকে।

নাজিম যেহেতু কাউকে জানিয়ে আসেনি, তিনি যে বাংলাদেশে আছে এই বিষয়ে পাসপোর্ট ছাড়া কোন প্রমাণ এই পৃথিবীতে ছিল না। নাছিমা সঙ্গে সঙ্গে ঘরে গিয়ে ড্রয়ার থেকে পাসপোর্ট বের করে উনুনের উপর ছেড়ে দেয়। কয়েক মুহুর্তেই জ্বলে ভস্ম হয়ে যায় সদ্য মৃত্যুবরণ করা নাজিমের বাংলাদেশে থাকার একমাত্র প্রমাণ।

ঠাণ্ডা মাথায় আলমারী থেকে কম্বল বের করে নাছিমা। স্বামী নাজিমের ম*রদেহ কম্বল দিয়ে পেচিয়ে স্টোররুমে রাখে। তীব্র সুঘ্রাণের পারফিউম একে একে ছড়িয়ে দেয় স্টোররুমে। এত বেশি পারফিউম ব্যবহার তিনি করেছিলেন যে, পুরো বাড়ি ঘ্রাণে ম ম করছিল।

২০১৭ সালের আগস্ট মাসের বিকেল। ঘরে ঢুকেই কেমন একটা সুঘ্রাণ পাচ্ছিল দুই কন্যা। মা'কে জিজ্ঞেস করতে থাকে কিসের ঘ্রাণ এটা। মা তেমন একটা গা করেন না। দুই কন্যাকে জানান, বাবা হুট করেই বিদেশ চলে গেছেন।

সাতদিন স্টোররুমে পরে থাকে নাজিমের মরদেহ। প্রতিদিন নিয়ম করে পারফিউম আর আতর দিয়ে স্টোররুম ভরিয়ে ফেলতেন তিনি। কোন ক্রমেই পচা লা*শের গন্ধ বাইরে আসেনি। সাতদিন পর কম্বল টেনে ঘর থেকে বের করে পাশেই পুকুরে ফেলে দেন। নাজিম নামের একজনের পরিচয় পৃথিবী থেকে হারিয়ে যায়।

কিছুদিন পরই পুকুর থেকে ভেসে ওঠে কম্বল। পুলিশ ডুবুরি দিয়ে উদ্ধার করে অর্ধ গলিত লা*শ। পরিচয়হীন এই লা*শ নিয়ে বিপাকে পরে পুলিশ। বেশ কিছুদিন পুলিশ তদন্ত করেও সুরাহা করতে পারে না। তাই দুই বছরের মাথায় নিয়ম অনুযায়ী কেসটি চলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির কাছে। সূত্রহীন এই কেসে সিআইডির সন্দেহ হয় নাছিমা আক্তারের পরিবার নিয়ে।

কেন সাত বছর পেরিয়ে গেলেও নাছিমা আক্তারের স্বামী একবারের জন্যও ফিরল না বাংলাদেশে। জুলাই অভ্যুত্থানে আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন প্রতিবাদ করে সেখানকার সরকারের জনরোষের স্বীকার হয়েছিলেন, ছাড়াও পেয়েছেন। নাছিমা আক্তারের স্বামী নাজিম তবে কোথায় গেল?

ঘটনার প্রায় সাত বছর পর নাছিমা আক্তার ও তার দেবরকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে নিজের স্বামী নাজিমকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে নাছিমা আক্তার।

গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে সাত বছর আগের সূত্রহীন এই মা*র্ডার কেসের সমাধান প্রকাশ করেছে সিআইডি। সেসময় আটককৃত নাছিমা আক্তারকেও প্রথমবারের মতো সামনে আনা হয়।
#চট্টগ্রাম #ভয়ংকর

বাংলাদেশে পাসপোর্ট ফি আপডেট (২০২৫) 👇🟢 ৪৮ পৃষ্ঠা – ৫ বছর মেয়াদ▪️ নিয়মিত: ৪,০২৫ টাকা▪️ জরুরি: ৬,৩২৫ টাকা▪️ অতীব জরুরি: ৮,৬...
30/04/2025

বাংলাদেশে পাসপোর্ট ফি আপডেট (২০২৫) 👇

🟢 ৪৮ পৃষ্ঠা – ৫ বছর মেয়াদ
▪️ নিয়মিত: ৪,০২৫ টাকা
▪️ জরুরি: ৬,৩২৫ টাকা
▪️ অতীব জরুরি: ৮,৬২৫ টাকা

🟢 ৪৮ পৃষ্ঠা – ১০ বছর মেয়াদ
▪️ নিয়মিত: ৫,৭৫০ টাকা
▪️ জরুরি: ৮,০৫০ টাকা
▪️ অতীব জরুরি: ১০,৩৫০ টাকা

🟢 ৬৪ পৃষ্ঠা – ৫ বছর মেয়াদ
▪️ নিয়মিত: ৬,৩২৫ টাকা
▪️ জরুরি: ৮,৬২৫ টাকা
▪️ অতীব জরুরি: ১২,০৭৫ টাকা

🟢 ৬৪ পৃষ্ঠা – ১০ বছর মেয়াদ
▪️ নিয়মিত: ৮,০৫০ টাকা
▪️ জরুরি: ১০,৩৫০ টাকা
▪️ অতীব জরুরি: ১৩,৮০০ টাকা

#পাসপোর্টফি #বাংলাদেশপাসপোর্ট #জরুরিতথ্য

যারা ১৮ বছরের কমবয়সীদের  #শিশু ভাবেন, তাদের জন্য এই পোষ্ট। আজকালকার পোলাপাইন ১৪/১৫ বছরেই পুরো গ্যাং হয়ে যায়। “রাহাত—ম...
30/04/2025

যারা ১৮ বছরের কমবয়সীদের #শিশু ভাবেন, তাদের জন্য এই পোষ্ট। আজকালকার পোলাপাইন ১৪/১৫ বছরেই পুরো গ্যাং হয়ে যায়।

“রাহাত—মাত্র ১২ বছর বয়সী এক কিশোর। সানোয়ারা ইসলাম বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। প্রায় এক মাস আগে বন্ধুদের সঙ্গে একটি ছোটখাটো ঝগড়ার ঘটনা ঘটে। তখন তার মা নিজে গিয়ে বিষয়টি মীমাংসা করে এসেছিলেন। সবাই ভেবেছিল, ঘটনা সেখানেই শেষ।

কিন্তু বাস্তবতা ছিল আরও #ভয়ংকর। গতকাল, একই স্কুলের ১৩/১৪ জন বন্ধু বেড়ানোর কথা বলে রাহাতকে ডেকে নিয়ে যায় হামিদচরে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে নি′র্ম′ম′ভাবে তাকে হ/ত্যা করে তারা।

রাতভর খোঁজাখুঁজির পর সকালে উদ্ধার করা হয় রাহাতের নি′থ′র দেহ।

একটি ছোট ঝগড়া, একগুচ্ছ শিশুমনের অন্ধ প্রতিশোধ, আর চিরদিনের জন্য নিভে যাওয়া এক সম্ভাবনাময় জীবন।

এই ঘটনা শুধু রাহাতের পরিবারের জন্য নয়, আমাদের সমাজের জন্যও এক গভীর প্রশ্ন রেখে যায়—কোথায় যাচ্ছে আমাদের শিশু-কিশোররা? কোথায় তাদের চিন্তা ও নৈতিকতা?

#চট্টগ্রাম

২০১০ সালের নভেম্বর মাসে হঠাৎ করেই এক টাকার লাল কয়েন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অজানা ও অদ্ভুত কারণেই হু হু করে বাড়তে শুরু...
30/04/2025

২০১০ সালের নভেম্বর মাসে হঠাৎ করেই এক টাকার লাল কয়েন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। অজানা ও অদ্ভুত কারণেই হু হু করে বাড়তে শুরু করে এক টাকার সোনালি কয়েনের দাম। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, এ ধাতব মুদ্রাটি বিক্রি হতে শুরু করে ৫০-২০০ টাকায়।

সারা দেশে বহু সংঘবদ্ধ চক্র এক টাকার সোনালি কয়েন কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ফলে স্থানীয় দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এক টাকার সোনালি কয়েনের চরম সঙ্কট দেখা দেয়। যে যেভাবে সম্ভব এক টাকার লাল কয়েন সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও মাজারের দানবাক্স খুলে সংগ্রহ করা হয় এ কয়েন।

মাটির ব্যাংক ভেঙে খুঁজতে শুরু করে কোথায় আছে লাল কয়েন। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধ সবাই যে যার মতো ফোনে ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে সোনালি কয়েন সংগ্রহ করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে। রিকশাওয়ালা ও দোকানিরা ২০-৩০ টাকার ভাড়া কিংবা সওদার পরিবর্তে দাবি করেন এক টাকার লালচে কয়েন। কে বা কারা কী কারণে এ কয়েন সংগ্রহ করছে তা বলতে পারছে না কেউ। তবুও দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে লাল কয়েনের কারিশমা। প্রশাসনও লাল কয়েন দৌরাত্ম্য রুখতে অসহায়! রহস্যের জট খোলার আগেই হাট-বাজার থেকে এক টাকার লাল কয়েন গায়েব। যারা লাল কয়েন বিক্রি করছেন তারাও জানেন না লাল কায়েনের মূল্য কত।

লাল কয়েনের ক্রেতারাও জানেন না এ কয়েন সংগ্রহ করে তারা কোথায় বিক্রি করবেন। কয়েন নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হওয়ার আগে চিলে কান নেয়ার গল্পের মতো করে রটে যায় সারা দেশে। কানাঘুষা চলতে থাকে, লাল কয়েন দিয়ে স্বর্ণে ভেজাল দেয়া হয়। ফলে স্বর্ণের খাদ হিসেবে লাল কয়েনের চাহিদা তুঙ্গে। তাই মুনাফার লোভে লোকজন যে যেভাবে পারে লাল কয়েন সংগ্রহ করতে শুরু করে দেয়। আর এভাবেই লাল কয়েন সারা দেশে আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়। কিন্তু পুরো ব্যাপারটি ছিল মিথ্যা এবং যারা উচ্চমূল্যে লাল কয়েন সংগ্রহ করেছেন তাদের কেউই তা অন্যত্র বিক্রি করতে পারেননি।

-সংগৃহিত

যারা প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে চান,তাদের জান্য গুরুত্বপূর্ণ Ai ভিডিও  টুলস।৩০টি ফ্রি AI ভিডিও টুল! ভিডিও এডিটিং না জান...
30/04/2025

যারা প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং করতে চান,তাদের জান্য গুরুত্বপূর্ণ Ai ভিডিও টুলস।
৩০টি ফ্রি AI ভিডিও টুল! ভিডিও এডিটিং না জানলেও এখন আপনি নিজেই বানাতে পারবেন প্রফেশনাল ভিডিও!

আপনি কি ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা অন্য কোনো প্ল্যাটফর্মে ভিডিও বানান? ভিডিও এডিটিং শেখা না থাকলেও এখন ৩০টি ফ্রি AI টুল দিয়ে আপনি নিজেই বানাতে পারবেন চমৎকার প্রফেশনাল ভিডিও!

চলুন জেনে নেই কোন টুল কী কাজে লাগে:

১) Pictory – শুধু লিখে দিলেই ভিডিও বানিয়ে দেয়, ভয়েসসহ।
২) Lumen5 – ব্লগ বা আর্টিকেল থেকে অটো ভিডিও তৈরি করে।
৩) Runway ML – ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ, ভিডিও রিস্টোর, স্মার্ট কাটসহ আরও অনেক কিছু।
৪) Synthesia – AI স্পিকার দিয়ে যেকোনো ভাষায় ভিডিও তৈরি।
৫) InVideo – টেমপ্লেট দিয়ে সহজে মার্কেটিং ভিডিও বানানো যায়।
৬) Descript – টেক্সট দিয়ে ভিডিও এডিট করা যায়, ভয়েসও এডিট করা যায়।
৭) Veed.io – অনলাইন ভিডিও এডিটিং, সাবটাইটেল অটো যুক্ত করে।
৮) Flexclip – সহজ ইন্টারফেসে স্লাইড ভিডিও, টেক্সট ও অডিও যুক্ত করার সুযোগ।
৯) CapCut (AI) – স্মার্ট কাট, রিমুভাল, এফেক্টসসহ অসাধারণ টুলস।
১০) Magisto – অটো ভিডিও তৈরি করে AI দিয়ে।
১১) Wisecut – ভিডিও থেকে নিরবতা কেটে সাবটাইটেল যুক্ত করে।
১২) Animoto – ফটো থেকে ভিডিও বানায় প্রফেশনাল লুকে।
১৩) Steve.ai – স্ক্রিপ্ট দিলেই ভিডিও তৈরি করে কার্টুন বা লাইভ অ্যাকশন ফর্মে।
১৪) Kaiber – ছবি ও ভিডিও থেকে সিনেমাটিক এফেক্টস যুক্ত করে।
১৫) DeepBrain – ফেস ও ভয়েস দিয়ে প্রেজেন্টেশন ভিডিও তৈরি।
১৬) Heygen – বাস্তবধর্মী ভিডিও তৈরি করে মুখে ভাষা বদলে।
১৭) Rephrase.ai – ভিডিওতে কাস্টমাইজড AI মুখ ব্যবহার করে।
১৮) Synthesys – রিয়েলিস্টিক ভয়েসওভার ও মুখ নিয়ে ভিডিও তৈরি করে।
১৯) Elai.io – প্রোডাক্ট ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন বানাতে ভালো।
২০) Clipchamp – উইন্ডোজ ইউজারদের জন্য সহজ ভিডিও এডিটিং টুল।
২১) Powtoon – অ্যানিমেটেড প্রেজেন্টেশন ও ভিডিওর জন্য বিখ্যাত।
২২) Tome – ভিজ্যুয়াল ও ইনফোগ্রাফিক ভিডিওর জন্য আদর্শ।
২৩) Designs.ai Videomaker – সহজে প্রোমো ভিডিও বানানো যায়।
২৪) Murf.ai – ভয়েসওভার দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে সহায়ক।
২৫) Wave.video – সোশ্যাল মিডিয়ার ভিডিও মার্কেটিংয়ের জন্য দারুণ।
২৬) Veed Studio – ফিচার-সমৃদ্ধ ভিডিও এডিটিং প্ল্যাটফর্ম।
২৭) AutoDraw + Video – হাতে আঁকা ছবিকে ভিডিওতে রূপান্তর করে।
২৮) Kapwing – ভিডিও কাট, সাবটাইটেল, ট্রান্সলেশন—সব এক জায়গায়।
২৯) Canva Video Editor – প্রেজেন্টেশন ও রিল টাইপ ভিডিও বানানো যায় সহজে।
৩০) Remove.bg + Canva – ছবি ও ব্যাকগ্রাউন্ড রিমুভ করে ভিডিওতে যুক্ত করতে সহজ টুলস।

এইসব টুল ব্যবহার করে আপনি নিজের কনটেন্টকে এক লেভেল ওপরে নিয়ে যেতে পারবেন—একেবারেই ফ্রি!

#বাংলায়ভিডিওএডিট #ভিডিওবানান #ডিজিটালবাংলাদেশ

"আগামীকাল আপনি মা'রা যাবেন — এটা জানতে পারলে আপনি কি করবেন?", একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল এরকম।  প্রার্থী জবাব দিল, বে...
28/04/2025

"আগামীকাল আপনি মা'রা যাবেন — এটা জানতে পারলে আপনি কি করবেন?", একটা ভাইভা বোর্ডের প্রশ্ন ছিল এরকম।

প্রার্থী জবাব দিল, বেছে বেছে আমার শ"ত্রুদের সাথে সাক্ষাৎ করব।

উত্তর শুনে ভাইভা বোর্ডের সদস্যরা তো অবাক। একজন জানতে চাইলেন, কেন? আপনি এমনটা কেন করবেন?

জবাবে প্রার্থী বলল, যারা আমার আপনজন, তাদের ওপর আর মায়া বাড়ানোর মানে হয় না - তাতে তাদের আর আমার ক"ষ্টই বাড়বে। এর বদলে আমার প্রতি যাদের রাগ, তাদের সাথে একটু ভালো ব্যবহার করলে শেষ সময়ে তারাও হয়তো আমার জন্য দোয়া আর আশীর্বাদ করবে।

ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ।

আপনার সব কাজ যেন নিজের জন্য না হয়! কিছু কাজ শ"ত্রুর কথা ভেবেও করুন, তাতে আখেরে আপনারই লাভ। যে লোকটা আপনার বানান ভুল ধরে, সে আপনার লেখার প্রশংসাকারীর চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। তার ভ"য়ে সঠিক বানান লিখুন, আপনার লেখার মান বেড়ে যাবে।

প্রতিটা অর্জনের চেষ্টার পেছনে শ"ত্রু থাকলে সেটা দ্রুত পাওয়া যায়। শ"ত্রুদের সম্পর্কে সতর্ক থাকুন, কিন্তু তাদেরকে ঘৃ'ণা করবেন না। একটা মানুষ যখন আপনাকে গা'লি দেয়, তখন সে আপনার কাছ থেকেও একটা পা'ল্টা গা'লি শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকে। আপনি গা"লি দিয়ে দিলেন তো শেষ; ব্যাপারটা চূড়ান্ত নোং রামি হয়ে গেল আর তার উদ্দেশ্য সফল হল। আর যদি গা"লির জবাবে হাসিমুখে তাকে 'শুভকামনা' জানান, সে আপনাকে নতুন করে আবিষ্কার করবে। কাউকে তর্কে হারানো মানেই জয়ী হওয়া নয়, কখনো কখনো অন্যের যুক্তি মেনে নেওয়াই প্রকৃত বিজয়।

আমি যখন কিছু লিখি, তখন 'সহমত' কমেন্ট দেখলে খুশি হই। তবে কেউ যৌক্তিকভাবে দ্বিমত দিলেও অখুশি হই না। সমালোচকদের ভালোবাসুন; দিন শেষে তারা আপনাকে নিয়ে ভাবতে বসে যাবে — এটা পরীক্ষিত সত্য। মনে রাখবেন প্রত্যেক শত্রুই আপনার জন্য এক একটা সতর্ক বার্তা। আর সতর্কতা সফলতার জন্য প্রচন্ড দরকারি! কেউ অমুকের ভাতিজা বলে পাওয়ার দেখালে, আপনি নিজেকে তমুকের ভাগ্নে হিসেবে পরিচয় না দিয়ে লোকটাকে সালাম দিয়ে চলে আসুন। এতে আপনি ছোট হবেন না; বরং বড় হবেন।

ভালো থাকুক চারপাশের মানুষগুলো। ভালোবাসার, ঘৃণার, কাছের, দূরের, সবাই।

Address

Chittagong
4000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share