01/12/2025
১৪ বছর পর নিজ এলাকায়
গণসংযোগে ফিরছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ
চকরিয়া এক্সপ্রেস:
দীর্ঘ ১৪ বছর পর নিজ নির্বাচনী এলাকায় কক্সবাজার-১ চকরিয়া-পেকুয়া আসনে গণসংযোগে ফিরছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি এনামুল হক জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২ ডিসেম্বর হতে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চকরিয়া-পেকুয়ার সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করতে যাচ্ছেন তিনি। তিনি জাতীয় পর্যায়ে দলের সাংগঠনিক কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে মাঝে মধ্যে নিজ গ্রামে আসলেও নির্বাচনে নিজ দলের মনোনয়ন পাওয়ার পর এটিই সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাচন কেন্দ্রীক সফর।
জানা যায়, তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগে অংশগ্রহণ করবার লক্ষ্যে আজ ঢাকা থেকে বিমান যোগে কক্সবাজার বিমানবন্দরে সকাল ১১টার দিকে অবতরণ করার কথা রয়েছে। নির্বাচনী এলাকার খুটাখালী, মালুমঘাট ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নে গণসংযোগে অংশগ্রহণ করবেন।
এছাড়া বিকাল ৩টায় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল পথসভায় বক্তব্য রাখবেন বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ এর একান্ত সচিব মো: ছফওয়ানুল করিমের সাথে কথা বলে জানা যায়, এটি কেবল নির্বাচন কেন্দ্রীক সফর। এ সফরকালে তিনি প্রায় এক সপ্তাহ নাগাদ নিজ বাড়িতে অবস্থান করবেন ।
এরপর পর্যায়ক্রমে চকরিয়া-পেকুয়ার প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এবং এলাকার সমস্যা ও সম্ভাবনার খোঁজ নেবেন।
এদিকে সালাউদ্দিন আহমদের আগমনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে চকরিয়া উপজেলা বিএনপি সভাপতি এনামুল হক ও সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরী (খোকন মিয়া) উভয়ই ডুলাহাজারা ও খুটাখালী এলাকায় গণসংযোগের এলাকা নির্ধারণ ও সার্বিক বিষয়ে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.বাহাদুর শাহ ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন ইতিমধ্যেই প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে গণসংযোগ কর্মসূচি সফল করার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন।
পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন বলেন, প্রায় ১৪ বছর পর নিজের গ্রামে ফিরে মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ করছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এটি আমাদের নেতা-কর্মীদের জন্য বড় প্রেরণা। আমরা চাই প্রতিটি ওয়ার্ডে তাঁর গণসংযোগ সফল হোক।
নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এই সফর স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করবে এবং দলের কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবে। এলাকা ইতিমধ্যেই উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে, যেখানে সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীরা উভয়ই এই সফরের অপেক্ষায় রয়েছে।