10/04/2023
প্রায়ই কারোর সুইসাইড করার কথা শুনলে মনে প্রশ্ন জাগে মানুষটা কেন সুইসাইড করলো, কেন??
যাইহোক, সেসবের কারণ জেনে খুব একটা নেই। তাই সেসব চিন্তা বাদ দিয়ে ভাবতে থাকি-
একটা মানুষ সুইসাইড করে কখন?
- যখন তাকে শয়তান ভালোভাবে ধরে,
যখন সে মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতা অনুভব করে!
আর শয়তান বেশি ধরে কখন?
- যখন মানুষ অলস মস্তিষ্ক নিয়ে বসে থাকে!
যখন মানুষ আল্লাহর থেকে দূরে থাকে!
বাঁচতে হলে তাই ব্যস্ত থাকা খুব খুব জরুরী, সেইসাথে জরুরী আল্লাহমুখী হওয়া!
ধরুন, আপনি সারাদিন বাসায় থাকেন বা আপনার স্কুল/কলেজ/অফিসের ছুটি চলছে বা আপনার বয়স হয়েছে তাই সংসারে আপনার করার কোনো কাজ নেই অন্যরাই সব করে দেয় তাই সারাদিন বাসায় বেকার বসে থাকেন। এই যে অবসর মুহূর্তগুলো সেই মুহূর্তগুলোয় আপনাকে সঙ্গ দিতে চলে আসবে শয়তান! আর এই শয়তান এসে আপনার মাথায় নানা উল্টাপাল্টা চিন্তা ঢুকাবে!
তাই, আপনি কোনো না কোনো কাজে লেগে থাকুন। নিজের ভালো লাগার কাজ করুন আর কাজ না পেলে আপাতত ঘুমান কিছুক্ষণ তাও ভালো।
আর কাজ করলে একসময় ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে যাবেন কিন্তু অলস বসে থেকে শয়তানের পাল্লায় পড়বেন না! শয়তান ধরলে মহা বিপদ! শয়তান বসেই থাকে মানুষকে বিপদে ফেলার জন্য!
এইযে আমার আইডিতে, আমার গ্রুপে আমি মুঠোফোনে তোলা হাবিজাবির ছবি পোস্ট করি, কেন করি? আমার হঠাৎ অবসরে একাকী লাগে, মন খারাপ হতে চায়, মাঝেমধ্যে হতাশ লাগে, আমি এগুলো থেকে নিজেকে দূরে রাখতে নিজেকে ব্যস্ত রাখারা চেষ্টা করি, আমার ভালো লাগার সব কাজে মন দিই যার নাম আমি দিয়েছি 'হালাল বিনোদন'! আমি আকাশ দেখি, গাছ দেখি, ভালো না লাগলে কখনও কান্নাকাটি করি তারপর একটা আরামের ঘুম !
আমি শয়তানের অনিষ্ট থেকে এভাবে নিজেকে বাঁচাতে চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। আর আল্লাহর কাছে তো শয়তান থেকে পানাহ চাই রোজ..
ইবাদাত করতে আপনার মন টানে না, অন্তত মুখ দিয়ে একটা বাক্য বলতে থাকুন-
আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজিম..
- আমি আল্লাহর কাছে পানাহ চাই শয়তানের অনিষ্ট থেকে!
আপনি আল্লাহর কাছ থেকে যতো দূরে থাকবেন, ততো আপনার অন্তরের অস্থিরতা বাড়বে আর আপনি ভুল পথে অন্তরের অস্থিরতা কমানোর উপকরণ খুঁজে মরবেন...
"নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে। " - এটা আমার কথা না, এটা তার কথা যার প্রতিটা কথা মহাসত্য। এটা আল্লাহর কথা...
শেষ কিছু কথা বলি-
আমাদের শরীরটা আমাদের বানানো না যে আমরা চাইলাম আর হাতের রগ কে*টে, দড়িতে ঝুলে, পানিতে ঝাঁপ দিয়ে শেষ করে ফেলবো নিজেকে! এই রাইট আমাদের নেই! ওকে?
এই যে আমরা দুনিয়ায় এসেছি সেটা যেমনি আমাদের ইচ্ছায় আসিনি তেমনি আমাদের চলে যাওয়াটাও আমাদের ইচ্ছাতে হবে না, আমাদের চাওয়া সিস্টেমে হবে না। সেটা হবে সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছাতে, আল্লাহর নির্ধারিত সময়ে এবং তার সাজানো সিস্টেমে।
যারা সুইসাইড করে মারা যায় তারা মৃত্যুর পর কিয়ামতের আগ অবধি এভাবেই বারবার মরতে থাকবে আর কবরের আযাব ভোগ করতেই থাকবে। দুনিয়ার সামান্য কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সুইসাইড এর পথ বেছে নেন অথচ আপনারা ভুলে যান যে কবরের আযাব, পরকালের শাস্তি দুনিয়ার কষ্টের চেয়েও হাজারগুণ ভয়াবহ!
দুনিয়ার এই ৮০/১০০ বছরের জীবনের কষ্টের সমাপ্তি আছে, দুনিয়ায় আল্লাহর খুশিমতো চললে অন্তত আখিরাতে আজীবন ভালো থাকার অপশন আছে ইনশাআল্লাহ, কিন্তু দুবিয়ায় একবার ভুল করে জীবন বরবাদ করলে আখিরাতে কষ্টের জীবনের কোনো শেষ নেই....
আল্লাহকে ভয় করুন...