09/10/2025
মানসিক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করে যে ১০ খাবার
=============>====
১. ঘরে তৈরি দই:
দই শরীরে ভালো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা পরোক্ষভাবে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। প্রতিদিন আধা থেকে এক কাপ ঘরে তৈরি দই খেলে উপকার মেলে। এর সঙ্গে ভাজা জিরা ও গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে স্বাদও বাড়ে, হজমও সহজ হয়।
২. ওটস ও অন্যান্য হোলগ্রেইন:
ওটসে থাকা বিটা-গ্লুকান রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। ফলে শক্তি ও মেজাজ দুটোই ভালো থাকে। সকালের নাস্তায় ওটস উপমা, ওভারনাইট ওটস বা ওটমিল খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ব্রাউন রাইস ও কুইনোয়া রাখলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।
৩. কলা:
সহজলভ্য এই ফলটিতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬, যা সেরোটোনিন তৈরি করে—এই হরমোনই আমাদের ভালো মুডে রাখে। প্রতিদিন একটুখানি কলা ও এক মুঠো বাদাম খেলে শরীর ও মন দুটোই থাকে প্রফুল্ল।
৪. প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার:
প্রোটিন মস্তিষ্কে ডোপামিন ও সেরোটোনিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিটি মিলেই প্রোটিন থাকা উচিত।নিরামিষভোজীরা ডাল, ছোলা ও স্প্রাউটস রাখতে পারেন; অন্যরা ডিম বা মাছ বেছে নিতে পারেন।
৫. আখরোট ও বাদাম:
ছোট হলেও বাদামের উপকারিতা বিশাল। আখরোটে আছে উদ্ভিজ্জ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা প্রদাহ কমায় ও মেজাজ ভালো রাখে। অন্যদিকে, কাঠবাদামে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম—স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও ঘুম ভালো আনে। প্রতিদিন এক মুঠো খাওয়া যথেষ্ট।
৬. ফ্ল্যাক্সসিড ও কুমড়ার বীজ:
প্রতিদিন এক টেবিলচামচ ফ্ল্যাক্সসিড বা কুমড়ার বীজ খেলে শরীর পায় প্রয়োজনীয় ওমেগা-৩, জিঙ্ক ও ম্যাগনেশিয়াম। এগুলো সালাদের ওপরে ছিটিয়ে বা দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৭. পাতা জাতীয় সবজি:
পালং, লাল শাক, সরিষা শাক ইত্যাদিতে থাকে ফলেট ও ম্যাগনেশিয়াম, যা স্নায়ুতন্ত্রকে শান্ত রাখে। এগুলো ডাল বা ওমলেটে মিশিয়ে খেলে পুষ্টিগুণ আরও বাড়ে।
৮. রঙিন ফল ও সবজি:
বেরি, কমলা, আমলা, বিটরুট, টমেটো—এ ধরনের রঙিন ফল ও সবজিতে থাকে পলিফেনল, যা মস্তিষ্কে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং মন ভালো রাখে। প্রতিটি খাবারে অন্তত দুই রঙের সবজি বা ফল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।