05/10/2024
কারামতে গাউছুল আজম গোলামুর রহমান বাবা ভান্ডারী (কঃ)।
চট্টগ্রাম জিলার অন্তর্গত সাতকানিয়া থানা নিবাসী মৌলনা হাফেজ শেখ ফরিদুজ্জামান একজন কামেল অলি ছিলেন।স্রব সাধারণ তাহাঁকে ভক্তি শ্রদ্ধা করিত। তিনি বর্ণনা করিয়াছেন যে, কিচিুদিন ধরিয়া তিনি টাকা পয়সার অভাবে অতি কষ্টে পড়িয়াছিলেন।ঘরে রক্ষিত সোনা,রুপা,তামা,পিতল যাবতীয় সামগ্রী বিক্রী করিয়া সর্বস্বান্ত হওয়ার পর অনাহারে দিন কাটাইতে ছিলেন।তিনি একদা বাবা ভান্ডারী কেবলার দরবারে হাজীর হইয়া স্বীয় পার্থিব দুঃখ কষ্টের কথা মনের ভাষায় নিবেদন করিলেন।বাবা ভান্ডারী কেবলা স্বীয় জবানে বলিলেন,“পোয়া ছেলে রেঙ্গুনে যায়” তখন দেশীয় বেঙ্গল ষ্টীমার কোম্পানী এবং ব্লুক ব্রাদার্স ষ্টীমার কোম্পানীর মধ্যে চট্টগ্রাম-রেঙ্গুন লাইনে জাহাজ চালান লইয়া ভয়ানক প্রতিদ্বন্ধীতা চলিতেছিল।ব্লুক ব্রাদার্স কোম্পানী তার প্রতিদ্বন্ধীকে কাবু করিবার জন্য, যাত্রীকে বিনা বাড়ায় যাতায়াত করিবার সুযোগ দিয়াছিল। শেখ সাহেব অর্থের অভাবে ব্লুক ব্রাদার্সের ফ্রি ষ্টীমারেই রেঙ্গুন অভিমুখে যাত্রা করিলে।ষ্টীমার যথাসময়ে বেছিন খাড়িতে পৌঁছিলে অন্যান্য যাত্রীর সহিত তিনি বালতি দ্বারানদী হইতে জল তুলিয়া গোছল করিতেছিলেন।হটাৎ তিনি বালতিসহ নদীতে পড়ীয়া গেলেন।নদীর উত্তাল তরঙ্গের ঘাত প্রতিঘাত তাহাঁর জীবন বায়ু শেষবারের মত বাহির হইয়া যাওয়ার উপক্রম হইল। তখন তিনি মনে মনে নিবেদন করিলেন,“বাবা ভান্ডারী, বেছিন খাড়িতে মরিবার জন্য বুঝি আমাকে রেঙ্গুন পাঠাইলেন”। তৎক্ষণাৎ এক খন্ড পাথরের উপর তাহাঁর দুই পা ঠেকিল এবং বাবা ভান্ডারী কেবলা স্বশরীরে তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন।ঐ দিকে জাহাজ প্রায় এক মাইল পত অতিক্রম করিয়া গিয়াছে।শেখ সাহেবের পতনের সংবাদ পাইয়া জাহাজের কাপ্তান এই স্থানে জাহাজ ফিরাইয়া আনিলেন।তাহাঁকে সাগরের বুকে দন্ডায়মান অবস্থায় দেখিয়া তাড়াতাড়ি ছোট জালি বোটে করিয়া তাঁহাকে জাহাজে উঠাইয়া লন।তিনি তখন বস্ত্রহীন অবস্থায় স্বজ্ঞান ছিলেন।কন্তিু উদ্ধার বোটে তাঁহাকে উঠাইবার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বেহুঁশ হইয়া পড়িলেন।পরে জাহাজের মধ্যে তাঁহার জ্ঞান ফিরিয়া আসার পর জানিতে পারিলেন যে, জাহাজেরই ডাক্তার বহু যত্ন করিয়া তাঁহার চিকিৎসা করিয়াছেন।আর কাপ্তান তাঁহাকে নিজ হাতে কাপড় পড়াইয়া দিয়াছেন।কয়েক ঘন্টার পর তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়া আসিলেন।তখন জাহাজ রেঙ্গুন খাড়িতে প্রবেশ করিতেছিল।এই ঘটনা দেখিয়া তাঁহার সহযাত্রীরা বিস্মিত হইয়াছিল।তাঁহারা অনেকেই ধারনা করিয়াছিল যে,তিনি একজন বড় মর্যদার ফকির হইবেন।তাহারা তাঁহার নিকট আসিয়া দোয়া প্রার্থী হইতে লাগিল এবং টাকা পয়সা নজরানা দিতে লাগল।ষ্টীমার রেঙ্গুন ঘাটে পৌছিলে তাঁহার একজন সহযাত্রী বন্ধু গণনা করিয়া দেখিল যে তাঁহার হাতে আটশত টাকা আসিয়াছে। তিনি টাকাগুলি কোমরে ভাল করিয়া বাঁধিয়া লইলেন।ষ্টীমার ঘাটে উঠিবার পর সেইখানেই আরও পাঁচশত টাকা নজরানা পাইলেন।অতঃপর বেঙ্গল ষ্টীমার কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব আব্দুল বারী চৌধুরী সাহেবের মুছাফির খানায় তাঁহার থাকার ব্যবস্থা হইল। পরদিনই তিনি আটশত টাকা বাড়ীতে মানি অর্ডার কেরিলেন।পরে অবশিষ্ট টাকা লইয়া তিনি ষ্টীমার যোগে চট্টগ্রাম ফিরিয়া আসিয়া বাবা ভান্ডারী কেবলার দরবারে ছুটিয়া আসেন।বাবা ভান্ডারী কেবলা তাঁহাকে দেখিয়া মৃদু হাসিলেন।চট্টগ্রাম জিলার অন্তর্গত সাতকানিয়া থানা নিবাসী মৌলনা হাফেজ শেখ ফরিদুজ্জামান একজন কামেল অলি ছিলেন।স্রব সাধারণ তাহাঁকে ভক্তি শ্রদ্ধা করিত। তিনি বর্ণনা করিয়াছেন যে, কিচিুদিন ধরিয়া তিনি টাকা পয়সার অভাবে অতি কষ্টে পড়িয়াছিলেন।ঘরে রক্ষিত সোনা,রুপা,তামা,পিতল যাবতীয় সামগ্রী বিক্রী করিয়া সর্বস্বান্ত হওয়ার পর অনাহারে দিন কাটাইতে ছিলেন।তিনি একদা বাবা ভান্ডারী কেবলার দরবারে হাজীর হইয়া স্বীয় পার্থিব দুঃখ কষ্টের কথা মনের ভাষায় নিবেদন করিলেন।বাবা ভান্ডারী কেবলা স্বীয় জবানে বলিলেন,“পোয়া ছেলে রেঙ্গুনে যায়” তখন দেশীয় বেঙ্গল ষ্টীমার কোম্পানী এবং ব্লুক ব্রাদার্স ষ্টীমার কোম্পানীর মধ্যে চট্টগ্রাম-রেঙ্গুন লাইনে জাহাজ চালান লইয়া ভয়ানক প্রতিদ্বন্ধীতা চলিতেছিল।ব্লুক ব্রাদার্স কোম্পানী তার প্রতিদ্বন্ধীকে কাবু করিবার জন্য, যাত্রীকে বিনা বাড়ায় যাতায়াত করিবার সুযোগ দিয়াছিল। শেখ সাহেব অর্থের অভাবে ব্লুক ব্রাদার্সের ফ্রি ষ্টীমারেই রেঙ্গুন অভিমুখে যাত্রা করিলে।ষ্টীমার যথাসময়ে বেছিন খাড়িতে পৌঁছিলে অন্যান্য যাত্রীর সহিত তিনি বালতি দ্বারানদী হইতে জল তুলিয়া গোছল করিতেছিলেন।হটাৎ তিনি বালতিসহ নদীতে পড়ীয়া গেলেন।নদীর উত্তাল তরঙ্গের ঘাত প্রতিঘাত তাহাঁর জীবন বায়ু শেষবারের মত বাহির হইয়া যাওয়ার উপক্রম হইল। তখন তিনি মনে মনে নিবেদন করিলেন,“বাবা ভান্ডারী, বেছিন খাড়িতে মরিবার জন্য বুঝি আমাকে রেঙ্গুন পাঠাইলেন”। তৎক্ষণাৎ এক খন্ড পাথরের উপর তাহাঁর দুই পা ঠেকিল এবং বাবা ভান্ডারী কেবলা স্বশরীরে তাঁহার সম্মুখে উপস্থিত হইলেন।ঐ দিকে জাহাজ প্রায় এক মাইল পত অতিক্রম করিয়া গিয়াছে।শেখ সাহেবের পতনের সংবাদ পাইয়া জাহাজের কাপ্তান এই স্থানে জাহাজ ফিরাইয়া আনিলেন।তাহাঁকে সাগরের বুকে দন্ডায়মান অবস্থায় দেখিয়া তাড়াতাড়ি ছোট জালি বোটে করিয়া তাঁহাকে জাহাজে উঠাইয়া লন।তিনি তখন বস্ত্রহীন অবস্থায় স্বজ্ঞান ছিলেন।কন্তিু উদ্ধার বোটে তাঁহাকে উঠাইবার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বেহুঁশ হইয়া পড়িলেন।পরে জাহাজের মধ্যে তাঁহার জ্ঞান ফিরিয়া আসার পর জানিতে পারিলেন যে, জাহাজেরই ডাক্তার বহু যত্ন করিয়া তাঁহার চিকিৎসা করিয়াছেন।আর কাপ্তান তাঁহাকে নিজ হাতে কাপড় পড়াইয়া দিয়াছেন।কয়েক ঘন্টার পর তিনি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়া আসিলেন।তখন জাহাজ রেঙ্গুন খাড়িতে প্রবেশ করিতেছিল।এই ঘটনা দেখিয়া তাঁহার সহযাত্রীরা বিস্মিত হইয়াছিল।তাঁহারা অনেকেই ধারনা করিয়াছিল যে,তিনি একজন বড় মর্যদার ফকির হইবেন।তাহারা তাঁহার নিকট আসিয়া দোয়া প্রার্থী হইতে লাগিল এবং টাকা পয়সা নজরানা দিতে লাগল।ষ্টীমার রেঙ্গুন ঘাটে পৌছিলে তাঁহার একজন সহযাত্রী বন্ধু গণনা করিয়া দেখিল যে তাঁহার হাতে আটশত টাকা আসিয়াছে। তিনি টাকাগুলি কোমরে ভাল করিয়া বাঁধিয়া লইলেন।ষ্টীমার ঘাটে উঠিবার পর সেইখানেই আরও পাঁচশত টাকা নজরানা পাইলেন।অতঃপর বেঙ্গল ষ্টীমার কোম্পানীর ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব আব্দুল বারী চৌধুরী সাহেবের মুছাফির খানায় তাঁহার থাকার ব্যবস্থা হইল। পরদিনই তিনি আটশত টাকা বাড়ীতে মানি অর্ডার কেরিলেন।পরে অবশিষ্ট টাকা লইয়া তিনি ষ্টীমার যোগে চট্টগ্রাম ফিরিয়া আসিয়া বাবা ভান্ডারী কেবলার দরবারে ছুটিয়া আসেন।বাবা ভান্ডারী কেবলা তাঁহাকে দেখিয়া মৃদু হাসিলেন।