02/08/2025
জীবনের সবচেয়ে খারাপ লাগার জায়গাটি হচ্ছে মনের কথাগুলো কাউকে খুলে বলতে না পারা। বললেও বুঝার মত মানুষ না থাকা বা বুঝার চেষ্টা না করা। বেশিরভাগই নিজের পছন্দ, অপছন্দ, ভাল লাগা, খারাপ লাগা, ইগো এগুলো নিয়েই ব্যস্ত। মাঝে মধ্যে মনে হয় মানুষের কাছে ইমোশনসের দাম নেই, মানুষ সামাজিকতার গন্ডি থেকে বেরই হতে চাই না।
মাঝে মধ্যে ভাবি, নিজের সমস্যাগুলো যদি নিজের মত করে সমাধান করা যেত! এই অল্প ক'দিনের জীবনে নিজের ভালো লাগাকে সঙ্গী করে যদি বেঁচে থাকা যেত! কেউ যদি পিঠ চাপড়ে এসে বলত 'চিন্তা কিসের আমিতো আছি'। হয়ত একটু সাহস পেতাম। কিন্তু এসব মিথ্যে সপ্ন। দিনশেষে কেউই আসেনা। কিছুই যেন ঠিক হতে চাই না।
ভরসার জায়গা খুঁজতে খুঁজতে একসময় একরাশ হতাশা নিয়ে চুপ করে থাকাটাই শ্রেয় মনে হয়। কারণ অন্তত বোবার কোন শত্রু থাকে না। চলুক না! অল্প ক'দিনই তো। তারপর ওপারে চলে গেলেই সব খালাস! মানুষ মরে গেলে দরদ উৎলিয়ে উঠে কিন্তু বেঁচে থাকতে কারো খবর থাকে না।
অনেক দৃঢ়চেতা মানুষও একসময় মানসিকভাবে ভেঙে পরে আশেপাশের মানুষের কারণে। মানুষ বড়ই বিচিত্র! সবসময় মানবিক মানুষ হতে চাওয়া মানুষও একসময় ভেঙ্গে পড়ে, কিন্তু সে অমানবিক হতে পারে না তবে ভীষণ কষ্ট পায়। শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত একটা উক্তি আছে, 'কপালের যেখানটায় বসন্তের দাগ ছিল; সবাই চোখ ফিরিয়ে নিত ঘেন্নায়! সেখানটায় চুমো খেয়ে বুঝিয়ে দিতে হয় ভালোবাসা জিনিসটা সবার জন্য আসেনি।'
সবকিছুর মাঝেও সৃষ্টিকর্তায় আমার একমাত্র ভরসার জায়গা। অন্তত এই একটা জায়গায় না বলা সব কথা নিশ্চিন্ত মনে বলে ফেলা যায়। 🙂