09/05/2025
পলাশ সাহাকে নিয়ে যতগুলো পোস্ট দেখলাম, সবখানে তার বউকে দোষারোপ করা হচ্ছে।
একপাক্ষিক কিছু বলছি না।আমার মা ও একদিন আল্লাহ বাচিয়ে রাখলে ছেলে বিয়ে দিবেন, শাশুড়ী হবেন।
আমার মা আমাকে ঘরের নিত্যদিন সহজে কাটানোর মতো যতরকম কাজ আছে সব কিছুই শিখিয়েছেন।একপ্রকার জোর করেই,তার একটাই কারন আমি অলস একটা মেয়ে।
আসল কথায় আসি।এক হাতে তালি বাজতে দেখছেন কখনো?বউরা নিজের বাড়ি ছেড়ে শশুড় বাড়ি যায়,অবশ্যই তার সেখানে মানিয়ে নিতে সময়ের প্রয়োজন। ২০-২৪ বছর এক বাড়িতে থেকে, হঠাৎ অন্য পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে সেই শাশুড়ীও কিন্তু কম কষ্ট পায় নি।আমাদের সমাজে এমন কিছু মহিলা আছেন,নিজে যে কষ্ট পেয়েছেন তা ছেলের বউকেও দিবেন।এটা কেমন নিতি?একটা বউ কিন্তু গিয়েই সব মানিয়ে নিতে পারেন না।আবার একটা শাশুড়ী শুরুতেই বউয়ের ভুল গুলো নিয়ে চুপ থাকতে পারে না।শুরুতেই চায় সে যেন সব কিছু পারফেক্টলি করুক।আর এসবের মাঝে দ্বিধাদ্বন্দে পরে ছেলেরা।ছেলেদের আসলে ততদিন বিয়ে করা উচিত নয় যতদিন সে মা এবং বউয়ের মধ্যে ব্যালেন্স করা শিখছে।মায়ের কথাও মানতে হবে,বউকেও গুরুত্ব দিতে হবে।মা জন্ম দিয়েছে বলে মা যা বলবে তাই শুনতে হবে,তাহলে বিয়ে করার প্রয়োজন কেন?মা কে নিয়েও সারাজীবন কাটানো যায়।বাড়ির বউ ও তার নিজের কম্ফোর্টজোন ছেড়ে এসেছে আপনার ভরসায়।আপনি তাকে অবহেলা করলে সংসারে শান্তি কিভাবে পাবেন?বউ কে যদি বাহিরে খেতে নিয়ে যান,মায়ের জন্যও খাবার নিয়ে আসুন।মা কে সাথে নিয়ে অন্য একদিন যান?সমস্যা কোথায়?এভাবে জীবন দিয়ে মা তার সন্তান হারালো,সুস্মিতা তার জীবনসঙ্গী। মা কে কেও দোষ দিবে না।কিন্তু মেয়েটার জীবন শেষ। আজীবন এটাই শুনতে হবে তাকে,তার জন্য একজন জীবন শেষ করে দিয়েছে।
পরের ঘরের মেয়ে দেখেই বউরা দোষী হয়।আর শাশুড়ী, ননদদের শয়তানি সবাই ইগনোর করে।
আমার মা কে আমি এখনো বলি,বউদের ছাড় দিবা আম্মু।নিজেও শান্তিতে থাকবা,তোমার ছেলেও শান্তিতে থাকবে।বয়স হলে তারা অবশ্যই তোমার খেয়াল রাখবেন।
কিছু লিংক দিলাম,যারা আমাকে বউয়ের দোষ নিয়ে কথা শুনাইতে আসবেন তাদের জন্য।
https://www.facebook.com/share/p/191F6sHymN/
https://www.facebook.com/share/p/1BRrEfmB4B/
https://www.facebook.com/share/1BQ3FdPiKR/