11/07/2025
চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল – চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দমন করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান
সম্প্রতি রাজধানীর পুরান ঢাকায় এক সাধারণ ব্যবসায়ীকে চাঁদা না দেওয়ায় প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে সারাদেশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্রগ্রাম মহানগর, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্রগ্রাম মহানগর, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের যৌথ উদ্যোগে আজ রাত ৯টায় চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট চত্বর থেকে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি দেওয়ানহাট থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করে।
মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আলহাজ্ব জান্নাতুল ইসলাম। তিনি বলেন—
"দেশজুড়ে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আজ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। সরকার এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিয়ে বরং নানা সময় দলীয় স্বার্থে তাদের প্রশ্রয় দিয়ে আসছে। ব্যবসায়ী সমাজ আজ নিরাপত্তাহীন, সাধারণ মানুষ আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। চাঁদাবাজদের হাতে কেউ নিরাপদ নয়।"
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নগর যুব সভাপতি আল মিজান মুহাম্মদ নোহেল, তিনি বলেন দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস তো দূরের কথা চাঁদা না দিলে ধর্ষণ থেকে শুরু করে হত্যাকান্ড পর্যন্ত কোন কিছুই বাদ রাখেনি বিএনপি। আমরা সংকিত বিএনপির অপরাজনীতি ও চাঁদাবাজি নিয়ে। দেশব্যাপী অরাজকতা আর মেনে নিতে পারছিনা।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর এর সংগ্রামী সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ শাহজাহান হোসাইন বলেন—
"ছাত্র সমাজ সবসময় দেশ ও জাতির স্বার্থে রাজপথে সোচ্চার ভূমিকা রেখেছে। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, এদেশে যখনই অন্যায় বেড়েছে, তখন ছাত্ররাই সামনে থেকে প্রতিবাদ গড়ে তুলেছে। আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি, শুধু চাঁদাবাজ নয়— নারী ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন, খুন, গুম, এমনকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হচ্ছে সাধারণ জনগণ। আমরা বিস্মিত হই যখন দেখি বিএনপির মতো দল, যারা অতীতে দেশজুড়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, তারা আবারো রাজনীতির নামে ষড়যন্ত্র করছে। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতির এক কলঙ্কিত অধ্যায়।"
তিনি আরও বলেন—
"আমরা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি— অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে যারা এসব অপরাধীদের রক্ষা করে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। একইসাথে আমাদের আহ্বান, সাধারণ মানুষ ও ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অন্যায়-অবিচার ও অরাজকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।"
এসময় অন্যান্য বক্তারা বলেন—
"দেশে আইনের শাসন নেই বলেই অপরাধীরা এতটা সাহসী হয়ে উঠেছে।"
"চট্টগ্রামসহ সারাদেশে যদি চাঁদাবাজি ও খুন-ধর্ষণ বন্ধ করতে হয়, তবে নৈতিক মূল্যবোধ ও ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।"
বক্তারা ইসলামী আন্দোলনের নেতৃত্বে একটি স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর, ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্রগ্রাম মহানগর এবং ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর নগর নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ।