Arshi's Diary

Arshi's Diary I have never lost. I either win or learned.

এই চিত্রটির বর্ণনায় প্রাচীন মিশরের চিকিৎসাবিদ্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে একটি চমৎকার সংযোগ তুলে ধরা হয়েছে।বাম...
18/07/2025

এই চিত্রটির বর্ণনায় প্রাচীন মিশরের চিকিৎসাবিদ্যা এবং আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামের মধ্যে একটি চমৎকার সংযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

বাম পাশে যে প্রাচীন মিশরীয় রিলিফ বা খোদাইচিত্র দেখা যাচ্ছে, সেখানে বিভিন্ন হায়ারোগ্লিফিক বা চিত্রলিপির মাঝে এমন কিছু চিহ্ন দেখা যায়, যেগুলো দেখতে অনেকটা আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম—যেমন কাঁচি, চিমটা, ক্ল্যাম্প, ছুরি (স্ক্যালপেল)—এর মতো। ডান পাশে প্রদর্শিত আধুনিক যন্ত্রপাতির সাথে এই সাদৃশ্য একটি চমকপ্রদ ঐতিহাসিক মিল দেখায়।

এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রাচীন মিশরীয় সভ্যতা শুধুই ধর্মীয় বা সৌন্দর্যচর্চার জন্য বিখ্যাত ছিল না, তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বেশ অগ্রসর ছিল। এডউইন স্মিথ প্যাপিরাস ও এবার্স প্যাপিরাস নামক চিকিৎসা বিষয়ক গ্রন্থসমূহে অস্ত্রোপচার, দন্ত চিকিৎসা ও বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের নিখুঁত বিবরণ রয়েছে।

যদিও সব খোদাই চিহ্নই যে চিকিৎসা যন্ত্র তা নিশ্চিত নয়—কিছু হয়তো ধর্মীয় বা প্রতীকী অর্থ বহন করে—তবুও এই ধরনের প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ প্রাচীন চিকিৎসকদের অসাধারণ পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও জ্ঞানের প্রমাণ বহন করে।

এই তুলনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, প্রাচীন সভ্যতাগুলোর উদ্ভাবন এবং জ্ঞান কিভাবে আধুনিক বিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করেছে। হাজার বছর আগের সেই অগ্রগামী চিন্তাগুলোই আজকের উন্নত চিকিৎসা বিজ্ঞানের সূচনা বিন্দু হিসেবে কাজ করেছে।

নির্বাচন পদ্ধতি (Electoral System) বলতে বোঝায় সেই নিয়ম-কানুন ও প্রক্রিয়াকে, যার মাধ্যমে একটি দেশ বা অঞ্চলে জনগণ তাদের ভো...
05/07/2025

নির্বাচন পদ্ধতি (Electoral System) বলতে বোঝায় সেই নিয়ম-কানুন ও প্রক্রিয়াকে, যার মাধ্যমে একটি দেশ বা অঞ্চলে জনগণ তাদের ভোটের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরনের নির্বাচন পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে।

প্রথম: FPTP (First Past the Post) বা একক-সদস্যীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পদ্ধতি, যা বাংলাদেশে প্রচলিত।

মূল বৈশিষ্ট্য:

১. এক আসনভিত্তিক এলাকা (Single-member Constituency): প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় একাধিক প্রার্থী থাকে; ভোটাররা সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। যিনি সবচেয়ে বেশি ভোট পান, তিনিই প্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

২. সরকার গঠন সহজ হয়: (বিশেষ করে একক দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হলে) সর্বাধিক আসন বিজয়ের মাধ্যমে স্থিতিশীল দলীয় সরকার গঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

৩. বড় দলের একক আধিপত্য: ছোট দল ও সংখ্যালঘুদের পক্ষে বিজয় পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

> FPTP হলো এমন এক পদ্ধতি, যেখানে সবচেয়ে বেশি ভোট পেলে জয়ী হওয়া যায়, কিন্তু এতে ভোটারদের প্রকৃত সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামত প্রতিফলিত হয় না।

দ্বিতীয়: PR (Proportional Representation) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতি, যেখানে রাজনৈতিক দলসমূহ তাদের প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে সংসদে আসন পায়। বাংলাদেশে এ পদ্ধতির চর্চা চলছে।

মূল বৈশিষ্ট্য:

১. ভোটারের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই: বরং ভোট দিতে হয় দলকে; দলই নির্ধারণ করে প্রার্থী।

২. ভোট হবে আসনের অনুপাতে: যদি কোনো দল সারাদেশে ১% ভোট পায়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে (৩০০ আসনের মধ্যে) সে দল ১% = ৩টি আসন পাবে।

৩. ছোট দল ও সংখ্যালঘুদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত: বড় দলগুলোর একচ্ছত্র আধিপত্য হ্রাস পায়, ছোট দল বা সংখ্যালঘু গোষ্ঠীও পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বের সুযোগ পায়—তাদের ভোট হারিয়ে যায় না।

৪. দুর্বল সরকার গঠনের ঝুঁকি: কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে; বিভিন্ন মতাদর্শের দল জোট গঠনে বাধ্য হয়, যা অনেক সময় অস্থিরতা সৃষ্টি করে। ফলে সরকার ভাঙন বা অকার্যকারিতার ঝুঁকি থাকে।

৫. ছোট দলের অপ্রাসঙ্গিক শক্তি বৃদ্ধি: ছোট দলগুলো সামান্য ভোট পেয়েও সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, ফলে তারা অতিরিক্ত সুবিধা আদায় করতে সক্ষম হয়।

৬. নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সঙ্গে জনগণের দূরত্ব: PR-এ নির্বাচিত ব্যক্তিরা নির্দিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিত্ব না করায় স্থানীয় জনদুর্ভোগ বা উন্নয়ন প্রকল্প গুরুত্ব পায় না।

৭. দলীয় নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি: যেহেতু প্রার্থীদের তালিকা দল থেকে নির্ধারিত হয়, তাই দলীয় নেতৃত্ব প্রার্থীদের ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে।

> PR পদ্ধতি রাজনৈতিক বৈচিত্র্যের প্রতিফলনে উপযোগী হলেও এর সঙ্গে থাকা অসুবিধাগুলো রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জবাবদিহিতা এবং কার্যকর প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।

বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক করিডোরসমূহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভৌগোলিক সংযোগ, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কৌশলগত চলাচ...
02/07/2025

বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক করিডোরসমূহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে ভৌগোলিক সংযোগ, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও কৌশলগত চলাচলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

🌐 বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক করিডোরসমূহ:-

🔶 ১. বিআরআই (BRI - Belt and Road Initiative) করিডোর।

চীনের গ্লোবাল উদ্যোগের অংশ, যেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে অবকাঠামোগত, বন্দর, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হচ্ছে।

পায়রা বন্দর, চট্টগ্রাম, পদ্মা সেতু ও রেল সংযোগ এ করিডোরের অন্তর্ভুক্ত।

🔶 ২. বিমস্টেক করিডোর (BIMSTEC Corridor)

Bangladesh, Bhutan, India, Nepal, Sri Lanka, Thailand, Myanmar—এই দেশগুলোকে সংযুক্ত করে।
বাংলাদেশ হচ্ছে এই করিডোরের কেন্দ্রবিন্দু, যেখানে স্থল, নদীপথ ও সমুদ্রপথ একত্রিত হয়।

🔶 ৩. বিবিআইএন (BBIN - Bangladesh, Bhutan, India, Nepal) করিডোর

চার দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের জন্য মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম গড়ে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে সড়ক, রেল, এবং নদীপথ সংযোগ উন্নয়নাধীন।

🔶 ৪. ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে (TAR) করিডোর

UNESCAP পরিচালিত মহাদেশীয় রেল করিডোর যা ইউরোপ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত।

বাংলাদেশে ঢুকে বেনাপোল–ঢাকা–চট্টগ্রাম হয়ে মিয়ানমারের দিকে বের হয়।

🔶 ৫. এশিয়ান হাইওয়ে (Asian Highway) AH-1 ও AH-2

AH-1: বেনাপোল–ঢাকা–চট্টগ্রাম হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত।

AH-2: বুড়িমারি–বগুড়া–ঢাকা হয়ে কক্সবাজার ও মিয়ানমারের সঙ্গে সংযোগ।

🔶 ৬. বঙ্গোপসাগর অর্থনৈতিক করিডোর (Bay of Bengal Economic Corridor - BEC)

JICA প্রস্তাবিত, যা বাংলাদেশ-ভারত-সিলিকন ভ্যালি (কলকাতা অঞ্চল)-মিয়ানমার সংযুক্ত করবে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এর কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

🔶 ৭. দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক বিদ্যুৎ গ্রিড (South Asian Regional Energy Grid)

ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আদান-প্রদান হচ্ছে এবং এর করিডোর তৈরি হচ্ছে।

বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ করিডোর ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দিকে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, বরং দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত। ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চল...
30/06/2025

বাংলাদেশ শুধু একটি রাষ্ট্র নয়, বরং দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত। ভৌগোলিক অবস্থান, আঞ্চলিক সংযোগ, অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে বাংলাদেশ এই অঞ্চলের একটি ‘Geo-Political Hub’ হয়ে উঠছে।

কিভাবে বাংলাদেশ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূরাজনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে।

১. Strategic Geographic Location (কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান):-
সামুদ্রিক প্রবেশদ্বার:- বঙ্গোপসাগরের উপকূলে অবস্থিত হওয়ায় বাংলাদেশ হয়ে উঠতে পারে একটি আঞ্চলিক ট্রানজিট হাব।
আঞ্চলিক করিডোর ও সংযোগ:- BBIN, BCIM, BIMSTEC, BRI – এসব করিডোর এবং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সংযোগ স্থাপনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. Interest of Major Powers (প্রধান শক্তিগুলোর আগ্রহ):-
চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন — সবাই বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী।

ভারত ও চীনের প্রতিযোগিতা:- উভয়েই বাংলাদেশকে নিজেদের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বিবেচনা করে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই প্রভাবশালী পরাশক্তি বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান, ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং বঙ্গোপসাগরের নৌপথে বাংলাদেশের গুরুত্বকে কেন্দ্র করে প্রতিযোগিতায় নেমেছে। ফলস্বরূপ, দুই দেশই বাংলাদেশে অবকাঠামোগত বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক সহযোগিতা এবং রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে সচেষ্ট।

যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইউরোপীয় আগ্রহ:- ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে বাংলাদেশের ভূস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, অর্থনৈতিক গতি এবং আঞ্চলিক সংযোগ কাঠামো তাকে দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার একটি ‘Geo-Strategic Pivot’ বা ‘জিও-পলিটিক্যাল হাব’ হিসেবে উপস্থাপন করছে। ফলে ভবিষ্যতের শক্তি ভারসাম্যে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠ এবং কৌশলগত অবস্থান দখল করে নিতে পারে।

08/03/2024

বাবার প্রতি যত্নশীল মা😍❤️

11/06/2023

প্রথম বাবা ডাক🥰😍

08/06/2023

ম্যারি জাআআআ তুনে মুজকো পাগল হে কিয়া

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Arshi's Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Arshi's Diary:

Share