06/06/2025
🔍 "নিজের মুখ, নিজের শরীর, নিজের জীবন—কাকে দিচ্ছেন আপনি?"
আজকের ডিজিটাল যুগে আমরা যতটা না ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক, স্ন্যাপচ্যাট ব্যবহার করছি—তার চেয়ে বেশি আমরা ব্যবহৃত হচ্ছি। যখন আপনি কেবল একটি "সেলফি" তুলেন বা "রিল" বানিয়ে পোস্ট করেন, তখন সেটি শুধু আপনার ফলোয়ারদের চোখেই পড়ে না—তা সংগ্রহ করে নিচ্ছে শত শত এআই সার্ভার, ডিপফেক জেনারেটর, পর্নোগ্রাফিক কন্টেন্ট ফার্ম এবং অপরাধচক্রের গোয়েন্দা সফটওয়্যার।
বিশেষ করে আমাদের দেশের অনেক মেয়েরা অজান্তেই নিজেদের “ডিজিটাল পণ্য”তে রূপান্তর করছেন—চেহারা, ভঙ্গি, পোশাক, কথাবার্তা, এক্সপ্রেশন—সবকিছু অনলাইন দুনিয়ার অসংখ্য বট ও সাইবার অপরাধীর হাতে তুলে দিচ্ছেন। এসব ছবি ও ভিডিও থেকে বানানো হচ্ছে ভয়ংকর সব ডিপফেক পর্ন—যা ছড়িয়ে পড়ছে ডার্ক ওয়েবসহ হাজারো বিদেশি সাইটে। এরপর ব্ল্যাকমেইল, মানসিক নির্যাতন, এমনকি আত্মহত্যার মতো ট্র্যাজেডিও ঘটছে।
আর এই চক্রের মূল লক্ষ্য? মেয়েদের শরীর, আবেগ, তথ্য—সবকিছু পণ্য করে লাভবান হওয়া। আমরা নিজেরাই আজ নিজেদের “কন্টেন্ট” বানিয়ে এমন এক দুনিয়ায় তুলে দিচ্ছি, যেখানে সম্মান আর গোপনীয়তা বলে কিছু নেই। আপনি যেটাকে ‘মজা’ ভাবছেন, অন্য কেউ সেটাকেই বানাচ্ছে ‘মুনাফা’—একটি পর্নো সাইটে, একটি ব্ল্যাকমেইল চক্রে, বা একটি অপরাধ সিন্ডিকেটের ফোল্ডারে।
সমাধান একটাই—সচেতন হোন। নিজের ছবি, ভিডিও, তথ্য কোথায় দিচ্ছেন তা বোঝার চেষ্টা করুন। ডিজিটাল আনন্দ যেন ডিজিটাল নরক না হয়ে যায়, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।