কিচেন ক্রিয়েটিভিটি

কিচেন ক্রিয়েটিভিটি Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from কিচেন ক্রিয়েটিভিটি, Digital creator, Chittagong.
(2)

বিভিন্ন বাঙ্কারে অবস্থান নিয়েছেন ই!স*রা!য়েলিরা! এটাও বা কম কিসের! এদের এমন ভয় আমাদের ঈমানের চেতনা বাড়িয়ে দেয় আলহামদু...
18/06/2025

বিভিন্ন বাঙ্কারে অবস্থান নিয়েছেন ই!স*রা!য়েলিরা! এটাও বা কম কিসের! এদের এমন ভয় আমাদের ঈমানের চেতনা বাড়িয়ে দেয় আলহামদুলিল্লাহ।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আজিজ নগরে মাইক্রোবাস ও সিএনজি র মুখোমুখি সং*ঘ*র্ষ।প্রতিদিন এই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এত এত দুর্...
17/06/2025

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আজিজ নগরে মাইক্রোবাস ও সিএনজি র মুখোমুখি সং*ঘ*র্ষ।প্রতিদিন এই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এত এত দুর্ঘটনা ঘটছে তবুও আমাদের টনক নড়ছে না।দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে সেসব পয়েন্টে পদক্ষেপ নিলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।এছাড়া চালকের দায়িত্বশীল ভূমিকা,গাড়ির গতি,মহাসড়কে অবৈধ গাড়ি চলতে না দেয়াসহ কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা সময়ের দাবি। #সাবধানতামূলকপোস্ট

17/06/2025

এক নারী তারাবি ইচ্ছা পোষণ করলেন তিনি বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন 🥰অতঃপর রাসুল সাঃ তাকে কি বললেন!
#ইসলাম
#মুসলিম
#ইসলামিকইতিহাস
#বদরেরযুদ্ধ
#নারীসাহাবী

এই ফলটি কে কে চিনেন? কোন কোন অঞ্চলে কি নামে পরিচিত?
17/06/2025

এই ফলটি কে কে চিনেন? কোন কোন অঞ্চলে কি নামে পরিচিত?

16/06/2025

*** সেভ করে রাখুন কাজে লাগবে ***
জমির দলিল বৈধ কি না কিভাবে বুঝবেন?
#জমিসংক্রান্ততথ্য
#সতর্কতামূলক


16/06/2025

বোরকা পরে মহিলা সেজে গ্রামে গঞ্জে বাজারে দোকানে চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা খেলো এই লোকটি 😅
#সতর্কতামূলক

এপ্রিলের শেষের দিকে। প্রচন্ড গরম পড়ছে। আর এই গরমে যে শঙ্খপুরে‌ বিদ্যুৎ থাকবে না, এটা নতুন কিছু নয়। প্রচন্ড গরমে পড়ার টেব...
16/06/2025

এপ্রিলের শেষের দিকে। প্রচন্ড গরম পড়ছে। আর এই গরমে যে শঙ্খপুরে‌ বিদ্যুৎ থাকবে না, এটা নতুন কিছু নয়। প্রচন্ড গরমে পড়ার টেবিলে হাঁপিয়ে উঠেছে সিজান। সেই কখন থেকে কারেন্টের জন্য অপেক্ষা করেও কারেন্ট আসার নামগন্ধও নেই। অবেশেষে বিরক্ত হয়ে বাহিরের হাওয়া গায়ে লাগাতেই বাহিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে পড়ার টেবিল থেকে উঠতেই সিজানকে থামিয়ে দিলো ওর বন্ধু রাফি। ভিতু কণ্ঠে রাফি বলে উঠলো...
-সিজান বাহিরে যাচ্ছিস? শোন, এত সাহস একদমই ভালো ‌না। তুই হোস্টেলে নতুন তাই জানিস না, রাত হলে এখানকার কেউ ভুলেও বাহিরে বের হয় না। স্যারেদেরও কঠোর নিষেধ আছে।
সিজান মেডিকেলের ছাত্র। এসব ভূত প্রেতে ও কখনোই বিশ্বাস করে না। রাফির কথায় ওর দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো সিজান। একটু পরে হাসতে হাসতে তাচ্ছিল্যের সুরে ও রাফিকে বললো...
-কেন বাহিরে গেলে বুঝি কালো চোখের কোনো মেয়ে আত্মা আমাকে ধরে নিয়ে যাবে?
-এটা মোটেও মজার বিষয় না দোস্ত।
সিজান এবার মুখটা গম্ভীর করে ফেললো। তারপর ভারি গলায় বললো...
-আমিও মজা করছি না রাফি। হোস্টেলে আসার পর আমি দুইদিন রাতে দেখেছি এক কালো চোখের মেয়েকে। মেয়েটি মেডিকেলের মর্গ থেকে বের হয়ে সারা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায় গভীর রাতে। ভয় পাস না, আমি এখনি রুমে আসছি।

রাফি আর কিছু বললো না। সিজানও হনহন করে রুম থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দাড়ালো। বাহিরে এসেই ফিক করে হেসে দিলো সিজান। রাফিকে ভয় দেখাতে কী আজগুবি গল্পটাই না বললো ও! আসলে তো ও এমন কিছু কখনো দেখেই নি। কালো চোখের মেয়ের বানোয়াট গল্প বলে রাফিকে বোকা বানিয়ে বারান্দায় একা একা মুখ চেঁপে হাসছে সিজান।

এদিকে ঘড়ির কাঁটা প্রায় দুইটা ছুঁই ছুঁই। গভীর রাত। চারিপাশের পরিবেশটা কেমন থমথমে হয়ে আছে। বাহিরে ভরা পূর্ণিমার আলো। দুরে দেখা যাচ্ছে দৈত্যের মত দাড়িয়ে থাকা মেডিকেলের হাসপাতালটা। সিজান এক নজরে সেদিকেই তাকিয়ে আছে। পরিবেশ থমথমে হয়ে থাকলেও ফুরফুর করে বাতাস এসে‌ শরীরে আলাদা একটা মাদকতা সৃষ্টি করছে সিজানের। বাহিরের জোসনা ভরা পরিবেশ ভিষণ ভাবে উপভোগ করছে সিজান।
হঠাৎই কিছু একটা ভেবে এতক্ষণের প্রফুল্ল থাকা মনটা মুহুর্তেই নিকষ কালো মেঘে ঢেকে গেলো সিজানের। ওর মনে পড়ে গেলো আজ হোস্টেল জুড়ে ও একাই আছে। করোনার ছুটিতে সবাই যে যার নিজ বাসাতেই অবস্থান করছে। সিজান সহ সিজানের কয়েকটা বন্ধুর কাল হোস্টেলে আসার কথা ছিলো। কিন্তু ভুলবশত সিজান একদিন আগেই এখানে এসে হাজির হয়েছে। তাহলে ও এতক্ষণ কার সাথে কথা বলছিলো? রাফি তো ওর বাসাতে, এখানে কোথা থেকে আসলো ও? সারা শরীর শীতল হয়ে গেলো সিজানের।
মনের ডাকে সাড়া দিয়ে আবারও পিছনে ফিরে রুমে উঁকি দিলো সিজান। মোমবাতির আলোতে ও দেখলো পুরো রুমটাই ফাকা। যেহেতু হোস্টেলে কেউই নেই, সেহেতু ফাকা থাকাটাই স্বাভাবিক। নিস্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইলো সিজান। কী করবে ও বুঝতেই পারছে না। এদিকে কারেন্ট যে আরো দুই এক ঘন্টা পরে আসবে সেটা ও ভালোভাবেই জানে। রুমে গিয়ে কী হবে, এই শ্বাসরুদ্ধকর গরমে ঘুমও আসবে না। সব মনের হ্যালুসিনেশন ভেবে মন থেকে উড়িয়ে দিয়ে স্বাভাবিক হলো সিজান।
মেডিকেলের দক্ষিণ কোনে একটা বড় জঙ্গল আছে। যদিও আগে এই পুরো মেডিকেলের স্থানটা জুড়েই ছিলো ঘন জঙ্গল। লোকমুখে সিজান অনেকবার শুনেছে, এদিকে নাকি ভুলেও মানুষ পা দিত না। ফাকা জায়গা পড়ে থাকায় এই পরিত্যক্ত স্থানেই সরকার বসিয়ে দিলো বিশাল এই মেডিকেল কলেজ। এখন বাহিরের মানুষ এদিকে টুকটাক আসলেও, এখনো অব্দি রাতে কেউ এদিকে আসে না। এই তো মেডিকেলের দক্ষিণ কোনের জঙ্গলের পথ ধরে কিছুটা সামনে এগুলেই মস্ত বড় একটা পুকুর পড়ে। পুকুরটা সিজান এখনো দেখে নি। তবে রাফির মুখে ও শুনেছে পুকুরের পানি নাকি গাঢ় কালো। বেশ বড়সড় পুকুরের চারিপাশ জুড়ে ঝোঁপঝাড় ভর্তি হয়ে কেমন একটা ভূতুড়ে পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। ওই পুকুরটাও নাকি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা।
সিজান ভাবলো এই পূর্ণিমা ভরা রাতে পুকুরের ওই শ্যাওলা জমা সিড়িতে গিয়ে বসলে ওর ভালোই লাগবে। আর এই সুযোগে পুকুরটাও দেখে আসতে পারবে ও। যেই ভাবা সেই কাজ। সিজান খুবই সাহসি একজন ছেলে। তার উপরে শরীরে বইছে যৌবনের গরম তাজা রক্ত। এইসব ভূত প্রেতে ও বিশ্বাস করে না কখনোই। ভূত, আত্মা বলতে কোনো শব্দ পৃথিবীতে আছে নাকি? সব ভাবনা ছুঁড়ে ফেলে একবুক সাহস নিয়ে রুমের দরজাটা বাহিরে থেকে লাগিয়ে দিলো সিজান। তারপর এক পায়ে, দুই পায়ে হেঁটে চললো ও মেডিকেলের দক্ষিণ দিকে।
চারিপাশের এত নীরবতার মাঝেও যত সামনে এগুচ্ছে সিজান, তত বেশি ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক শুনতে পাচ্ছে ও। এতক্ষণের নীরব হয়ে থাকা গাছপালা গুলোও এবার মনে হয় নড়তেও শুরু করেছে কিছুটা। চারিপাশে রাক্ষসের মতো দাড়িয়ে আছে বিশাল বড় বড় রেইনট্রি গাছ। তার মধ্য দিয়ে চিকন হাইওয়ের পথ ধরে হাঁটছে সিজান।

হঠাৎই জঙ্গলের ভেতরে একদল শেয়াল বিশ্রী সুরে ডেকে উঠলো। দাড়িয়ে পড়লো সিজান। অমনি মাথার উপরে রেইনট্রি গাছের উপর থেকে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে উড়ে গেলো অশুভ এক হুতুম পাখি। ভূতে ভয় না পাওয়া স্বত্তেও সিজানের বুক দুড়ুদুড়ু কেঁপে উঠলো। আড় চোখে এদিক ওদিক তাকিয়ে সামনে এগুনোর উদ্দেশ্যে পা রাখতেই, সিজানের কানে ভেসে এলো পানি ঝাপটানোর আওয়াজ। মনে হচ্ছে পাশে কোনো পুকুরে কেউ সাঁতরে গোসল করছে। মাথা উঁচু করে চারিপাশে খেয়াল করতেই সিজান দেখলো, ও সেই পুকুরের থেকে কয়েক হাত দুরেই দাড়িয়ে আছে। পুকুরের পানিতে জোড়ে ঢেউ খেলে চলেছে। সত্যিই এই পরিবেশটা ওর কাছে অস্বস্থিকর লাগছে। লাশকাটা ঘরের মতো এই স্থানটাও কেমন নীরব আর ঠান্ডা। কিন্তু এত রাতে এই জঙ্গলের ভেতরে আবর্জনা ভরা পুকুরে কে গোসল করছে, এটাই বুঝলো না সিজান। ব্যাপারটা পুরোপুরি দেখার জন্য পুকুরের দিকে পা বাড়াতেই আবারও থমকে গেলো সিজান। অজানা কারণেই ও লুকিয়ে পড়লো পাশের বড় একটা রেইনট্রি গাছের আড়ালে।

সিজান দেখলো সাদা শাড়ি পড়া এক যুবতী মাথায় ঘোমটা টেনে ভেজা শরীরে পুকুরের সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসছে। কোমর ছুঁয়েছে তার মাথার ঘন কালো লম্বা কেশে। মেয়েটার মুখে ঘোমটা দিয়ে ঢাঁকা না থাকলে নিশ্চয় সিজান আরো একটা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পেত।

কিন্তু একটু পরে মেয়েটাকে যখন ও ওর সামনে দিয়েই হেঁটে মেডিকেলের ভেতরের দিকে যেতে দেখলো, তখন ভিষণ অবাক হলো সিজান।‌ সত্যিই তো, এত রাতে এই মেয়ে কোথা থেকে আসলো? যে পুকুরের দিকে দিনেও কেউ ভয়ে যায় না, সেখানে এই মেয়ে একা এত রাতে গোসল করলো? তাছাড়া এটা নেহাতই ছেলেদের হোস্টেল, এখানে মেয়ে আসার কথাও না। কেন তবে এই মেয়ে কেন মেডিকেলের দিকে যাচ্ছে?
কৌতুহল বশত চুপিচুপি মেয়েটার পিছু নিলো সিজান। মেয়েটার পিছু‌ হাঁটতে হাঁটতে মেয়েটার মায়ায় ডুব দিয়ে ঘোরের সাগরে হারালো সিজান। যার জন্য ওর হিতাহিত জ্ঞানও লোপ পেয়ে গেলো। খেলায়ই করলো না সিজান, যে ও এগিয়ে যাচ্ছে মেডিকেলের হাসপাতালের মর্গের দিকে।
সামনে অনেক গুলো লাশের কফিন দেখেই চমকে উঠলো সিজান। নিজেকে আবিষ্কার করলো ও মেডিকেলের মর্গের খোলা দরজার সামনে। ও বুঝতেই পারলো না, ও মর্গের সামনে কখন আর কীভাবে আসলো! ও তো সাদা শাড়ি পড়া এক সুন্দরী রমনীকে ফ্লো করছিলো। মেয়েটাকে খোঁজার উদ্দেশ্যে চারিপাশে তাকিয়েও কোনো মেয়েকেই দেখতে পেলো না সিজান। ভূতে বিশ্বাস না করা ছেলেটাও এবার শান্ত নিশ্চুপ হয়ে গেলো।
এই সময়ে মর্গের দরজাও বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু ও স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে সামনে সারি সারি লাশের কফিন। এখন ও কী করবে ভাবতেই নড়ে উঠলো ওর সামনের লাশের একটা কফিন। সামনে এগুতে না চাইলেও কফিনটা কেন নড়ছে এটা দেখার জন্য ধীর পায়ে কফিনটার দিকে এগিয়ে গেলো সিজান। কফিনটার কাছে গিয়ে আস্তে আস্তে হাত বাড়িয়ে দিলো ও কফিনটার দিকে। দম বন্ধ করে এক টানে কফিনটার মুখ খুলতেই ওর সামনে ভেসে উঠলো দুটো কালো চোখ। ভয়ে লাফ দিয়ে পেছনে সরে গেলো সিজান। নড়ে উঠলো মর্গের সমস্ত কফিন। হো হো করে মেয়েলি কণ্ঠের ভয়ানক হাসির আওয়াজ আসতে লাগলো চারিপাশ থেকে।

সিজান ভাবলো ও দৌড়ে পালাবে এখান থেকে। পালানোর কথা ভাবতেই পেছনে ঠাস করে লেগে গেলো মর্গের দরজা। ওর কাঁধেও পেলো ও ঠান্ডা হাতের অনুভূতি। ভয়ে ভয়ে পেছনে তাকাতেই সিজান দেখতে পেলো কিছুক্ষণ আগের সেই সাদা শাড়ি পড়া মেয়েটা ঘোমটা ছাড়ায় দাড়িয়ে আছে ওর পেছনে। সাদা ফ্যাকাশে মুখ তার। মেয়েটার বড় বড় কালো চোখে চোখ পড়তেই কেঁপে উঠলো সিজান। ও বুঝতে পারলো মাত্রই কফিনের ভেতরে যে মেয়েটার লাশ ও দেখেছে, এটাই সেই কালো চোখের মেয়ে। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলো না সিজান। মুহুর্তেই জ্ঞান হারিয়ে মর্গের ভেতরেই লুটিয়ে পড়লো ও।
সকলের ডাকাডাকির আওয়াজে আলতো করে চোখ খুলে তাকালো সিজান। মুখের উপরে ওর বন্ধু রাফি, তুর্জয়, মেঘ, ধ্রুবকে ঝুঁকে থাকতে দেখে চুপচাপ উঠতে গেলো ও। তবে শরীরের ব্যথায় উঠতে পারলো না সিজান। রাফি ওকে আবারও বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বললো...
-আরে সিজান, কী হয়েছে রে তোর? রুমের দরজা খোলা রেখে এভাবে বিছানায় পড়ে আছিস কেন? সেই দুপুরে আমরা আসা থেকেই তোরে ডেকে চলেছি। এখন স্বন্ধ্যা হতে চললো, উঠার নামগন্ধও নেই তোর। জ্ঞান হারিয়ে ছিলি কেন বল তো? তোর শরীর ঠিক আছে তো?

মনে পড়ে গেলো সিজানের কাল রাতের কথা। তার মানে ও কাল রাত থেকেই আজ সন্ধ্যা অব্দি জ্ঞান হারিয়েই পড়ে আছে। কিন্তু ওর তো পড়ে থাকার কথা ছিলো হাসপাতালের মর্গে। ও কী করে হোস্টেলে ওর রুমে এলো? তাহলে কী ও স্বপ্ন দেখেছিলো সারারাত ধরে? তা না হলে এসব কী করে সম্ভব? এটা নিশ্চয় স্বপ্ন ছিলো, যেটা পুরোপুরি বাস্তবের মতো ছিলো। এটা ছিলো ওর জীবনের সবচেয়ে ভয়াবহ স্বপ্ন। ভূত, প্রেত, আত্মা আছে নাকি আবার?ভালো লাগলে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে সাথে থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

এটা ভাবতেই সিজানের চোখ পড়লো রুমের খোলা দরজার দিকে। দুর্বল চোখে সিজান দেখতে পেলো সাদা শাড়ি পড়া এক মেয়ে ওর দিকে তাকিয়ে দাড়িয়ে আছে। কোমড় ছাড়ানো ঘন কালো চুল তার। মেয়েটার মৃত ফ্যাকাশে মুখে রহস্যময় মুচকি হাসির ছাপ। সিজানের চোখ পড়লো মেয়েটার চোখের দিকে। চোখের মনি সহ পুরো চোখ দুটোই কালো মেয়েটার। ঘন কালো চোখে মেয়েটা একনজরে তাকিয়ে আছে সিজানের দিকে। এদিকে রাফিরা সিজানের সাথে বকবক করেই যাচ্ছে, ওর কী হয়েছে জানার জন্য! সিজান একাই দেখছে কালো চোখের মেয়েটাকে। হঠাৎই আত্মা ভুলানো এক ভয়ানক হাসি হেসে মেয়েটা মৃদু কণ্ঠে বলে উঠলো....
-আমাকে নিয়ে মিথ্যা গল্প বানালেও আমার অস্তৃত্ব ঠিকই আছে। হ্যাঁ আমিই তৃষা, সেই কালো চোখের মেয়ে।
*****সমাপ্ত*****

পৃথিবী থেকে কি মুখে দিতে চান ? কমেন্টে সবার মতামত জানান।
16/06/2025

পৃথিবী থেকে কি মুখে দিতে চান ? কমেন্টে সবার মতামত জানান।

৭নম্বর ফ্ল্যাটপর্ব- ৫ (শেষ): শেষবারের মতো দরজা খোলারাশেদের হাতে এখন সব প্রমাণ। এখন আর কোনো সন্দেহ নেই—সাফওয়ান আসলে তানভী...
15/06/2025

৭নম্বর ফ্ল্যাট

পর্ব- ৫ (শেষ): শেষবারের মতো দরজা খোলা

রাশেদের হাতে এখন সব প্রমাণ। এখন আর কোনো সন্দেহ নেই—সাফওয়ান আসলে তানভীর।
আর এই তানভীর, এক সময়ে আনিলার স্বামী ছিল। হঠাৎ করে পাঁচ বছর আগে উধাও হয়ে গিয়েছিল। কেউ জানত না সে কোথায় গেছে। কেউ জানতে পারেনি কেন সে উধাও হলো।
এবং আজ, এত বছর পর, অন্য নামে সে ফিরে এসেছে সেই পুরোনো ফ্ল্যাটে—৭ নম্বর ফ্ল্যাটে।

রাশেদ তার ডায়েরিতে লিখে রেখেছে:
“এই মানুষটা ভালোবাসার নামে যা করেছে, সেটা শুধু অপরাধ নয়—একটা অসুস্থ মন মানসিকতার ফল। তার কাছে ভালোবাসা মানে অধিকার, মানে বন্দিত্ব। সে নিজেকে ঈশ্বর ভাবে, আর আনিলা—শুধু একটা সম্পত্তি।”

তানভীরের অতীত জীবন ঘেঁটে দেখা গেছে, শৈশবেই বাবার কাছ থেকে সহিংস ব্যবহার পেয়েছে। তার মাকে মারধর করতে দেখেছে। সেই ঘরেই বড় হয়েছে, যেখানে ভালোবাসা মানে ছিল শ্বাসরোধ। তাই যখন সে আনিলাকে পেল, সে ভাবল, এবার ভালোবাসা তাকে কোনোদিন ছেড়ে যাবে না।
আর যদি যায়—তবে তাকে ধরে রাখতে হবে, যেভাবেই হোক।

ভালোবাসার নামে বন্দিত্ব

তানভীর বিয়ের পর থেকেই ধীরে ধীরে আনিলাকে বন্ধুদের থেকে, পরিবারের থেকে, এমনকি চাকরির জায়গা থেকেও আলাদা করে দিয়েছিল।
প্রথমে ভালোবাসার অজুহাতে, পরে সন্দেহ আর গালিগালাজে।
এক পর্যায়ে সে আনিলাকে নিজের ফ্ল্যাটেই বন্দি করে রাখতে শুরু করে। বন্ধ দরজা, বন্ধ জানালা, বন্ধ মোবাইল।

একদিন আনিলা পালাতে চেয়েছিল। সেই রাতে, তানভীর প্রথমবারের মতো মারধর করে। তারপরই সে নিখোঁজ হয়—বলে যায়নি কোথায় গেল। আসলে, সেদিন রাতেই সে আনিলাকে অজ্ঞান করে কোথাও সরিয়ে ফেলেছিল।

পাঁচ বছরের অন্ধকার

রাশেদের প্রশ্ন—যদি এখন আনিলা এই ফ্ল্যাটের বেসমেন্টে বন্দি থাকে, তবে গত পাঁচ বছর কোথায় ছিল?

তদন্তে জানা যায়, তানভীর তার এক বন্ধুর পুরনো পাহাড়ি কটেজে ছিল এই সময়।
সেই বন্ধুটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় কটেজ ছেড়ে দেয়, আর তানভীর সেই সুযোগে পাহাড়ের মাঝে থাকা জায়গাটিকে ব্যবহার করে তার ‘নতুন সংসার’ গড়েছিল।
সেখানে ছিল না মোবাইল নেটওয়ার্ক, না কোনো প্রতিবেশী।
আনিলাকে সে সেখানেই রেখেছিল—প্রথমে অনেক যত্নে, পরে ভয় আর মানসিক নির্যাতনের ঘেরাটোপে।

কিন্তু কটেজে এক ভয়াবহ আগুন লাগে—সেখানে থাকাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
তখনই সে সিদ্ধান্ত নেয়—ফিরে যাবে ঢাকায়, নিজের পুরনো বাসায়। নতুন পরিচয়ে, নতুন মুখে।

ফ্ল্যাটের রাত ৩টার রহস্য

৭ নম্বর ফ্ল্যাটে এক অদ্ভুত বিষয় ছিল।
প্রতিবেশীরা বারবার বলেছে—রাত ৩টার সময় নাকি ওখান থেকে বাচ্চার কান্নার শব্দ শোনা যেত।
কখনো রান্নার গন্ধ, কখনো হাঁটার আওয়াজ। অথচ ওই ফ্ল্যাটে কেউ ছিল না—বা থাকলেও, সেটা কখনো নিশ্চিত নয়।

রাশেদ বিষয়টা বুঝতে পারে যখন বেসমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় এক পুরনো ক্যামেরা।
সেখানে ছিল কিছু ভিডিও—যেখানে দেখা যাচ্ছে, আনিলা একা বসে আছে অন্ধকার ঘরে। সে কখনো কথা বলছে নিজে নিজে, কখনো কাঁদছে। কখনো একটি কল্পিত বাচ্চার সঙ্গে কথা বলছে।

এই ভিডিও থেকেই রাশেদ নিশ্চিত হয়—এই ফ্ল্যাটে ‘বাচ্চার কান্না’ কোনো অতিপ্রাকৃত ঘটনা নয়।
বরং এটি মানসিক বিকারের ফল। আনিলা, দিনের পর দিন বন্দিত্বে থেকে, নিজের এক কাল্পনিক সন্তান সৃষ্টি করেছে—আর তার কান্না যেন প্রকৃত বাস্তব হয়ে উঠেছে দেয়ালের ওপারে।যার আওয়াজ আসলে ছিল এক বন্দি নারীর আত্মা ভাঙার শব্দ।

থানা প্রেসার দিচ্ছে

ফ্ল্যাটের বেজমেন্টে পাওয়া ক্যামেরার মেমোরি কার্ডে কিছু ভয়ংকর ভিডিও পাওয়া গেছে।সেই ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা গেছে—ডেলিভারি বয় নিহাল ভয়ে কাঁপছে, বাঁচার জন্য কাকুতি করছে, আর তানভীরের কণ্ঠে বরফঠাণ্ডা এক বাক্য—
“যে বেশি জানে, সে বাঁচে না।”
ভিডিওর শেষ অংশে এক বিকট চিৎকার, তারপর অন্ধকার।
ভিডিওর পাশেই, বেজমেন্টের একটা কংক্রিটের দেয়ালে হালকা ফাটল ছিল।
পুলিশ ভেঙে দেখে — পলিথিনে মোড়ানো একটা মৃতদেহ, মুখ চেনার মতো অবশিষ্ট কিছু নেই।
তবু পোশাক, ঘড়ি আর সাথে থাকা ফোন থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় — এটাই ডেলিভারি বয় নিহাল।

রাশেদ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে, মনে মনে বলে—
“ও শুধু ভুল জায়গায় গিয়েছিল, ভুল দরজায় কড়া নেড়েছিল।”
নিহাল আর জীবিত নেই—এটা এখন নিশ্চিত।

রাশেদের নোটে লেখা ছিল...

“তানভীর ভিডিও করতো, কারণ ও চেয়েছিল নিজের ‘ভালোবাসা’কে প্রমাণ রাখতে।
ও বিশ্বাস করতো, সে যা করছে, তা একদিন সবাই বুঝবে—যেন ও কাউকে ফেলে দেয়নি, বরং নিজের মতো করে ভালোবেসেছিল।

এই ভিডিওগুলো আসলে ছিল—একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মানুষের নিজস্ব প্রেমের ডায়েরি।
যেখানে কান্না ছিল ‘প্রমাণ’, বন্দিত্ব ছিল ‘ভালোবাসা’, আর খুন ছিল ‘অধিকারের শেষ সীমা’।

তানভীর শুধু ভালোবাসেনি, সে ভালোবাসাকে বন্দি করে রাখতে চেয়েছিল — ক্যামেরার ফ্রেমে, দেয়ালের ভিতরে, একটা বন্ধ ফ্ল্যাটে।”

সবার চোখ এখন তানভীরকে ধরার দিকে।

হঠাৎ ফোন আসে

রাশেদকে ফোন করে একজন ইমাম সাহেব।
“এক লোক গতকাল রাতে এসে কান্না করতে করতে নামাজ পড়ে, তারপর বললো, সে কাউকে বাঁচাতে চায়। নাম বললো তানভীর।"
ইমাম সাহেব তানভীর এর মোবাইল নম্বর রাশেদকে দেন— +88017**69
রাশেদ ট্র্যাক করেন — লোকেশন দেখা দিচ্ছে শহর থেকে ২ ঘণ্টা দূরে এক পুরোনো পরিত্যক্ত ট্রেন স্টেশনে।

রাশেদ মনে মনে ভাবে,

“তানভীর হয়তো বুঝতে পারছে , নিজের কিছু আর ঠিক হবে না। কিন্তু আনিলার জন্য শেষবারের মতো কিছু ভালো করে যেতে চায়…
হয়তো তাই সে গিয়েছিল মসজিদে।
একটা পথ যেন কেউ খুঁজে পায়, ওর বিকৃত ভালোবাসার চক্র থামাতে।”
কিন্তু তার মানসিক বিকার তাকে শেষ অবধি আবার দখলে নেয়।

শেষ মুখোমুখি

রাশেদ ও পুলিশের একটি ছোট দল যায় সেই ট্রেন স্টেশনে।
ভোর হয়ে আসছে। কুয়াশা ঘিরে রেখেছে চারপাশ। প্ল্যাটফর্মের এক কোণে বসে আছে এক লোক। বড় দাড়ি, কালো কুর্তা, মাথায় হাত দিয়ে।

রাশেদ এগিয়ে যায়, বলে, “তানভীর, এবার চল। খেলা অনেক হয়েছে।”

তানভীর ধীরে তাকায়, হালকা হাসে।
“আনিলা কেমন আছে এখন? সে কি এখনো আমায় খোঁজে?”

রাশেদ চুপ করে থাকে। তারপর বলে,
“সে তোকে ভয় পায়, তানভীর। ভালোবাসে না। তাকে তুই কষ্ট ছাড়া কিছু দিসনি।”

তানভীর চিৎকার করে উঠে—
“মিথ্যে! ও বলেছিল, আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না! আমি ওর জন্য সব কিছু করেছি!”

রাশেদ ধীরে বলে,
“তুই যাকে ভালোবাসা বলিস, সেটা শুধু নিয়ন্ত্রণ। তুই একটা মানুষকে নিজের বাসনা অনুযায়ী তৈরি করতে চেয়েছিস। ওটা ভালোবাসা নয়, ওটা বন্দিত্ব।”

শেষ সিদ্ধান্ত

তানভীর পকেট থেকে বের করে ছোট একটি পিস্তল।
নিজের দিকে তাক করে, বলে,
“আনিলাকে আমি শেষবারের মতো ভালোবাসি। আমি ওকে আর কোনো দিন কষ্ট দেব না।”

পুলিশ এগিয়ে আসে। রাশেদ চিৎকার করে, “তানভীর, থাম! কিছু করার আগে ভাব!”

কিন্তু খুব দেরি হয়ে গেছে।
‘ঠাস্‌’ — গুলির শব্দ প্ল্যাটফর্ম কাঁপিয়ে দেয়।
তানভীর পড়ে থাকে নিজের রক্তে ভেজা, মুখে এক অদ্ভুত শান্তির ছায়া।

৭ নম্বর ফ্ল্যাট — চিরতরে বন্ধ

তানভীরের মৃত্যুর পর, ৭ নম্বর ফ্ল্যাট আর কখনো ভাড়া দেওয়া হয়নি।
বাড়িওয়ালা নিজেই তালা লাগিয়ে দিয়েছে।
লোকমুখে ছড়িয়েছে—রাত গভীর হলে, এখনো ওই ফ্ল্যাটের দেয়ালের পেছন থেকে এক নারীর গলা শোনা যায়।
“তানভীর… দরজাটা খোলো…”

আনিলার মুক্তি

আনিলাকে উদ্ধার করে পাঠানো হয় মানসিক পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
প্রথম দিকে কথা বলতে পারত না।
তার চোখে ছিল ভয়, মুখে ছিল নিশ্চুপতা।
তবে সময়ের সাথে সে আবার কথা বলতে শুরু করে, ধীরে ধীরে সাহস খুঁজে পায়।
সে এখন জানে—সে বন্দি ছিল না ভালোবাসায়, সে বন্দি ছিল এক অসুস্থ মানসিকতার মাঝে।

রাশেদের শেষ নোট

ফাইল বন্ধ করার আগে রাশেদ লিখে রাখে তার রিপোর্টে:

“৭ নম্বর ফ্ল্যাটে যতবার দরজা খোলা হয়েছে, ততবার কেউ একজন হেরে গেছে।
কেউ বাঁচতে চেয়েছে, কেউ বাঁচাতে চেয়েছে, আর কেউ শুধু নিজের জগতটাকে জোর করে টিকিয়ে রাখতে চেয়েছে।
কিন্তু এবার দরজা বন্ধ হলো—চিরতরে।
একজন মুক্ত, একজন মৃত।
আর ভালোবাসা?
সেটা হয়তো এবার সত্যি বুঝলো, আসল অর্থ কী।”

শেষ কথা:
এটা কোনো ভূতের গল্প নয়। এটা এক বিকৃত ভালোবাসার গল্প—যা মানসিক রোগকে অস্বীকার করে, ভালোবাসার নামে শ্বাসরোধ করে।
আর সেই চেপে রাখা ভালোবাসা, একদিন ঠিকই রক্ত ঝরায়।

( সমাপ্ত)

“৭ নম্বর ফ্ল্যাট” শেষ হলো আজ।

গল্পটা কেমন লাগলো? কমেন্টে জানাও—ভালোবাসা কি সবসময় মুক্তি দেয়, নাকি শ্বাসরোধ করে?

শেয়ার করো, যদি মনে হয়, এই গল্পটা অন্য কারও চোখ খুলে দিতে পারে।

এমন আরও হরর-মিস্ট্রি-মানবিক গল্প।
যারা যারা গল্প পছন্দ করেন পেইজে একটিভ থাকবেন।
সামনে আসছে আরো মজার মজার গল্প। #কিচেনক্রিয়েটিভিতে #৭নম্বরফ্ল্যাট #রহস্য

15/06/2025

রাজশাহীতে গণধো/লা/ইয়ের মুখে ফারহানা বিথীর হাজব্যান্ড রাদ? 😱 লাইভে এসে জানালেন আসল ঘটনা
#ফারহানাবিথিভ্লগ

. 😰 ৭ নম্বর ফ্ল্যাট পর্ব ৪: চেইনের শেষপ্রান্তে… ১. ধোঁয়ার ঘূর্ণিপাকরাশেদের মাথা যেন ধোঁয়ার ঘূর্ণিপাকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঘর...
15/06/2025

. 😰 ৭ নম্বর ফ্ল্যাট
পর্ব ৪: চেইনের শেষপ্রান্তে…

১. ধোঁয়ার ঘূর্ণিপাক
রাশেদের মাথা যেন ধোঁয়ার ঘূর্ণিপাকে ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঘরের এক কোণে বসে থাকা অবস্থায় সে নিজের হাতের তালু দুটো শক্ত করে চেপে ধরেছিল। শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে প্রশ্নের বীজ, আর মাথার ভেতরে অনবরত বিস্ফোরণ। "কেন? কে? কীভাবে?"

৭ নম্বর ফ্ল্যাটটা যেন তার জন্য একটা কুয়োর মতো হয়ে উঠেছে—যেখানে সে ঢুকে পড়েছে, কিন্তু আলো আর ওপরে ফেরা দুটোই ক্রমশ অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজে যে মানুষটা দরজা খুলেছিল, সে তো ওই বিল্ডিংয়ের বাসিন্দা নয়। অথচ বারবার দেখা যাচ্ছে কেউ দরজা খোলে। নাম নেই, পরিচয় নেই, অথচ উপস্থিতির ছাপ রেখে যায় যেন কেউ ছায়ার মতো তার পাশে হাঁটে, হাসে, চলে যায়।

মিথ্যা কথা, অদৃশ্য কেউ, বাড়িওয়ালার অস্পষ্ট কথা, এসবের মাঝখানে রাশেদের যুক্তিবাদী মস্তিষ্ক টাল খেতে শুরু করে।
তবু এবার সে সিদ্ধান্ত নেয়—মনে যত ভয়ই থাকুক, চোখ বন্ধ করে বসে থাকলে ভয় জয় করা যায় না।

২. নীলনকশার গল্প
সকালে সে বাড়িওয়ালার দরজায় গিয়ে দাঁড়ায়। গলায় তেমন জোর নেই, কিন্তু চোখ দুটো তীক্ষ্ণ।
— “৭ নম্বর ফ্ল্যাটের আসল নকশা চাই, স্যার।”
বাড়িওয়ালা প্রথমে কিছুটা চমকে উঠেছিল। তারপর সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বলে,
— “নকশা তো পুরোনো মালিকের কাছে ছিল। দেখি খুঁজে দিতে পারি কিনা।”

প্রায় এক ঘণ্টা পর একটা ধুলো ধরা নীলনকশা এনে দেয় সে। পাতলা কাগজ। সময়ের আঁচড় লেগে গেছে। কিন্তু আঁকাগুলো পরিষ্কার। ড্রয়িংরুম, বেডরুম, বাথরুম, কিচেন—সব ঠিক আছে।
কিন্তু নিচে এক কোণে লেখা ছোট একটা ঘরের নাম—"Utility Basement"।

রাশেদের কপালে ভাঁজ পড়ে। সে বাড়িওয়ালার দিকে ঘুরে দাঁড়ায়, জিজ্ঞেস করে,
— “স্যার, আপনার বিল্ডিংয়ে বেজমেন্ট আছে?”
বাড়িওয়ালার চিবুক শক্ত হয়। চোখ কাঁপে।
— “না তো! নিচতলাতেই তো গ্যারেজ। কোন বেজমেন্ট আমি জানি না।”
রাশেদ কাগজটা তার সামনে ধরে। বাড়িওয়ালা তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ। তারপর ধরা গলায় ফিসফিস করে বলে,
— “এইটা… আগের নকশা হইতে পারে। পুরনো মালিকের সময়ের। আমি কিছু জানি না।”
রাশেদ জানে—এই ‘জানি না’ কথাটার মধ্যে আসলে ভয় থাকে, দোষ থাকে, আর থাকে চাপা দেয়া ইতিহাস।

৩. নিশুতি রাতের অভিযান
রাত ১১টা। বাইরে ঝিরঝিরে হাওয়া বইছে। কিন্তু রাশেদের মনে ভয়াল এক ঝড়।

সে একা যায় না এবার। স্থানীয় থানার দুজন কনস্টেবলকে নিয়ে আসে। বাড়িওয়ালার কাছ থেকে ডুপ্লিকেট চাবি নিয়ে ঢোকে ৭ নম্বর ফ্ল্যাটে।

ভেতরে ঢুকেই প্রথম ধাক্কা—সবকিছু এতটাই স্বাভাবিক যে রাশেদের ভিতরের অস্বাভাবিকতাই জেগে ওঠে।
ধুলোমাখা সোফা, ফ্রিজে পচা ফল, রান্নাঘরের পুরনো পাত্রে শুকিয়ে যাওয়া ভাত। যেনো এই ঘরে কেউ ছিল, আবার ছিল না।

রাশেদের চোখ ঘুরে রান্নাঘরের এক কোণে এসে থামে।
সেখানে কিছু টাইলস আলাদা রঙের। নিখুঁতভাবে সেট করা, কিন্তু খুব কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায়—ওগুলো কিছু একটা ঢেকে রেখেছে।
চিমনির নিচে কাঠের একটা ফ্লোর। রাশেদ কড়া নাড়ে। “ঠক ঠক” শব্দ হয়। হাত দিয়ে চাপ দিতেই উঠে যায় একটা কাঠের ঢাকনা।
নিচে দেখা যায় সরু একটা মই।
নিচে নামা মানে অন্ধকারে পা ফেলা। কিন্তু পেছনে ফেরা আর সম্ভব নয়।
কনস্টেবলদের একজন বলে ওঠে, — “সাবধানে, স্যার।”

৪. ভয়ের ঘরে প্রবেশ

মাত্র পাঁচ ফুট নিচে। কিন্তু যেনো পাঁচ মাইল নিচে নামছে মনে হয়।
পা ফেলে নামতেই কাঁপুনি আসে। নাকের ভেতর ঢুকে পড়ে স্যাঁতসেঁতে এক গন্ধ—পুরনো ছত্রাক, বদ্ধ বাতাস, আর বিষণ্নতা মেশানো এক নির্জনতা।
ঘরের দেয়ালে একটা মাত্র বাল্ব জ্বলছে—কম্পমান আলো। ছায়া পড়ে, আবার মিলিয়ে যায়।
ঘরের এক পাশে একটা পুরনো খালি বিছানা। চাদর ছেঁড়া। পাশে অর্ধেক পানিতে ভর্তি গ্লাস।

আরেক পাশে…
রাশেদের দৃষ্টি আটকে যায়। চোখ বিস্ফোরিত।
একটা মেয়ে বসে আছে দেয়ালে হেলান দিয়ে। মুখ নিচু। কঙ্কালসার শরীর। এক হাতে মোটা লোহার চেইন বাঁধা।
রাশেদ এগিয়ে যায় ধীরে ধীরে।
তার ঠোঁট শুকিয়ে আসে। তারপর ফিসফিস করে বলে, — “আনিলা?”

মেয়েটার গা কেঁপে ওঠে। ধীরে ধীরে মুখ তোলে।
চোখে কোনো চমক নেই। অবাক হওয়ার শক্তি যেনো অনেক আগেই মরেছে।
সে ফিসফিস করে বলে, — “তানভীর… ফিরে আসবে?”

৫. মানসিকতার মৃত্যু

আনিলাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থা ভয়াবহ। দেহ কাঁপে, চোখ ফাঁকা, আর ঠোঁট কাঁপে—কিন্তু উচ্চারণ বের হয় না।
ডাক্তার জানায়, — “তিনি দীর্ঘসময় বন্দী ছিলেন। অমানবিকভাবে। তার বাস্তববোধ সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে। তিনি এখনো ভাবছেন, তানভীর তাকে ভালোবাসে।”
রাশেদ নির্বাক।

ডাক্তার ব্যাখ্যা করে, — এটি এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা। যেখানে বন্দী মানুষ অনেক সময় তার বন্দীকারককে ভালোবাসতে শুরু করে। নিজেকে নিরাপদ মনে করে কেবল তার কাছেই। বাকি দুনিয়া হয়ে ওঠে হুমকি।”

আনিলা ফিসফিস করে বলেছিল, — “ও বলতো, কেউ এলে আমায় কেটে ফেলবে… ও ছাড়া কেউ আমায় চায় না…”
রাশেদের বুক চেপে আসে। একটা অদৃশ্য হাত যেনো ভেতর থেকে হৃদপিণ্ড পিষে ধরেছে।

৬. প্রমাণের মুখোমুখি
পুলিশ রান্নাঘরের নিচে একটা পুরনো হার্ডড্রাইভ খুঁজে পায়।
ডেটা বের করার পর দেখা যায় ডজনখানেক ভিডিও ক্লিপ।
একটাতে আনিলা কাঁদছে। আরেকটাতে তাকে বেল্ট দিয়ে মারা হচ্ছে। একটাতে চিঠি—“ভুল করলে খাবার বন্ধ।”
সবচেয়ে ভয়াবহ ক্লিপে তানভীর ক্যামেরার সামনে বসে বলে, — “সংসারে কেউ আসলে আমি সরিয়ে ফেলবো। তুমি তো আমাকে ভালোবাসো, বুঝবে…”

আনিলা কাঁদে। মুখে শুধু একটা শব্দ, — “ভালোবাসি…”
আরো চমকে ওঠার বিষয়—কিছু ভিডিওতে ডেলিভারিম্যান নিহালকেও দেখা যায়।
সে যেনো সবকিছু বুঝেও কিছু করে না। চোখের নিচে কালো দাগ, কিন্তু মুখে নীরবতা।

৭. হারিয়ে যাওয়া তানভীর

পুলিশ মোবাইল ট্রেস করে তানভীরের শেষ লোকেশন খুঁজে পায়—একটি মসজিদের সামনে।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক কালো কুর্তাপরা লোক দাঁড়িয়ে আছে গেটের সামনে। মাথা নিচু। কয়েক মিনিট পরে… হঠাৎ যেনো মিলিয়ে যায়।
আর কোথাও কোনো খোঁজ নেই।
তানভীরের নামে কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, কোনো আঙুলের ছাপ মেলে না। সে যেনো নিজের অস্তিত্ব মুছে ফেলেই চলে গেছে।

৮. শেষ খাম

রাশেদ বাসায় ফিরে দরজা খুলতেই দেখে মেঝেতে পড়ে আছে একটা খাম।
খামের ওপরে কোনো প্রেরকের নাম নেই।
শুধু একটা লাইন:
“আনিলা আমার ছিল, আছে, থাকবে। তুমি যা দেখেছো, সেটা কেবল শুরু।”

কাগজের নিচে ছোপ ছোপ রক্ত। এক কোণে ছেঁড়া নখের দাগ।
রাশেদের শরীর জমে যায়।
সে জানে—এই খেলা এখানেই শেষ না।
তানভীর এখনো কোথাও আছে।
আর হয়তো তার পরবর্তী শিকার… সে নিজেই।

TO BE CONCLUDED…নেক্সট পর্বের জন্য পেজটিতে ফলো দিয়ে একটিভ থাকুন।
#৭নম্বরফ্ল্যাট ্প #রহস্য

৭নম্বর ফ্ল্যাট**পর্ব ৩: “তানভীর আর আনিলা – হারিয়ে যাওয়া অতীত” ধুলোর নিচে চাপা কণ্ঠস্বরপুলিশ হেডকোয়ার্টারের পুরনো রেকর্ডর...
15/06/2025

৭নম্বর ফ্ল্যাট**

পর্ব ৩: “তানভীর আর আনিলা – হারিয়ে যাওয়া অতীত”
ধুলোর নিচে চাপা কণ্ঠস্বর

পুলিশ হেডকোয়ার্টারের পুরনো রেকর্ডরুমটা অনেকটা ভূতের বাড়ির মতো। নরম কুয়াশার মতো ধুলো, মৃত পাখির পালকের মতো ঝরে পড়া কাগজ, আর ফাইলের ভাঁজে গুমরে থাকা অতীতের আর্তনাদ।

অফিসার রাশেদ হালকা বাতাসে কাঁপতে থাকা হলুদ কাগজের স্তূপে হাত চালাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ চোখ আটকে গেল একটি পুরনো ফাইলে। নামটা পড়তেই শরীরে শীতল স্রোত বয়ে যায়—

“Missing: Anila Rahman – Flat No. 7”
তারিখ: আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে।

ছবিতে আনিলার চোখে কেমন যেন অসহায় আতঙ্ক। একটা কিছু বলতে চেয়েছিল সে, কিন্তু পারেনি। ছবির নিচে লেখা—“তানভীর রহমান, স্বামী”।

প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, "মানসিক সমস্যা ছিল। আত্মহত্যা বা স্বেচ্ছা গৃহত্যাগের সম্ভাবনা উভয়ই খোলা রয়েছে।"
কিন্তু সবশেষে লেখা ছিল এক ভয়ংকর শব্দ—“CLOSED – UNRESOLVED”।

রাশেদ চুপ করে আনিলার ছবির দিকে তাকিয়ে থাকেন। তাঁর মনে হচ্ছিল, এই নিখোঁজ কেসটার কিছুই ঠিকঠাক হয়নি। কিছু একটা চাপা পড়েছে। খুব সচেতনভাবে, খুব পরিকল্পিতভাবে।

***

ভয়ের সীমানায় সংসার

রাশেদ তানভীর রহমানের দেওয়া বিবৃতি পড়তে থাকেন।

“শান্ত স্বভাবের মেয়ে ছিল আনিলা। কিন্তু শেষের দিকে বদলে গিয়েছিল। ও বলত, আমি ওকে ফলো করছি। ওর পেছনে লোক লাগিয়েছি। ঘরে ঘরে ক্যামেরা বসানো—সব ওর চোখে পড়ে যাচ্ছিল।

একদিন ওর চোখ ছিল লাল, ঠোঁট কাঁপছিল—
‘তুমি আমার প্রতিটা চলাফেরা রেকর্ড করছো। আমি জানি। থামো। নইলে আমি কিচ্ছু করে ফেলব।’

সেদিন রাতেই আনিলা নিখোঁজ হয়।”

রাশেদ ভাবতে থাকেন:
— যদি আনিলা সত্যিই মানসিকভাবে অস্থির না হয়?
— যদি ওর কথাগুলো বাস্তব হত?
— যদি ও সত্যি কারো নজরদারির শিকার হত?

***

ছায়া ও ছদ্মবেশের বাসা

তদন্ত এগিয়ে নিতে রাশেদ খোঁজ নিতে থাকেন ৭ নম্বর ফ্ল্যাটের বর্তমান বাসিন্দা "সাফওয়ান" সম্পর্কে।
প্রথম বিস্ময় আসে যখন দেখা যায়, আনিলার নিখোঁজের মাত্র দুই সপ্তাহ পর তানভীর ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেন। তারপর চাকরি ছেড়ে গা ঢাকা দেন।

সেই ফ্ল্যাটেই কিছু বছর পরে একজন নতুন ভাড়াটিয়া ওঠেন, নাম "সাফওয়ান"।
ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, আইডি কার্ড, অফিস আইডি—সব একেবারে নতুন। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, এই অফিস আদতেই অস্তিত্বহীন।

রাশেদ জানতে পারেন, ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজে সাফওয়ান নেই বললেই চলে।
কারণ?
সে জানে কোন কোন জায়গায় ক্যামেরা নেই।
সে এই ফ্ল্যাটের আগের মালিক—তানভীর রহমান—এবং এখন সে নতুন নামে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কেউ যেন নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চেয়েছে সময়ের ছায়ায়।
কিন্তু কেন?

***

রাতের বুকে ভেসে ওঠা চিৎকার

রাত তখন ৩টা ২১ মিনিট।
রাশেদের মোবাইল ভাইব্রেট করে উঠে।
হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ—অচেনা নম্বর থেকে।

“তুমি যত ঘাঁটবে, আমি তত গভীরে পুঁতে ফেলবো…”

তার সাথে একটা ছবি।
একটা আধো অন্ধকার বেজমেন্ট ঘর। সেখানে চেইনে বাঁধা এক নারীর পা।

ধুলোমাখা শাড়ি, মেয়েলি ডিজাইনের পুরনো স্যান্ডেল।
রাশেদ ছবিটা জুম করে আনিলার পুরনো ছবির সাথে তুলনা করেন। একদম একই স্যান্ডেল। একই পায়ের গঠন।

তাঁর গলা শুকিয়ে আসে। মনে হয় কেউ অদৃশ্য হাতে তাঁকে চেপে ধরছে।
ছবির দিকে তাকিয়ে রাশেদের মনে হয়, সে যেন ওই বেজমেন্টেই দাঁড়িয়ে আছে।

***

অন্ধকারের ভেতরে প্রতিচ্ছবি

রাশেদের মনে পড়ে যায় পুরনো এক ঘটনার।
এক দম্পতির ঝগড়া—তানভীর আর আনিলা।

“আমি তো তোমাকে ভালোবেসে ছিলাম…” আনিলার কণ্ঠে হতাশা।
“কিন্তু তুমি… আমাকে সন্দেহ করতে লাগলে? আমার প্রতিটা কথা, প্রতিটা হাঁটা—রেকর্ড? ট্র্যাকিং?”

একটা প্রেম ধীরে ধীরে রোগে পরিণত হয়েছিল।
ভালোবাসা বদলে গিয়েছিল প্যারানয়ায়।

***

ছবির গায়ে লেগে থাকা ছায়া

রাশেদ সরাসরি বাড়িওয়ালার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

— “আপনি সাফওয়ানকে ভাড়া দেওয়ার সময় কী ডকুমেন্টস নিয়েছিলেন?”
— “জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি… সবই নিয়েছিলাম।”
— “ছবিগুলো এখনো আছে?”
— “আছে, রেজিস্টারে। খুলে দেখাতে পারি।”

রেজিস্টার খুলে ছবি তুলনা করতে গিয়ে রাশেদের চোখ বড় হয়ে যায়।
পুরনো পাসপোর্টে তানভীরের মুখ।
নতুন রেজিস্টারে সাফওয়ান—তানভীরের চোখ, ঠোঁটের বাঁক, গালের পাশে ছোট তিল—সবই মিলে যায়।

তানভীর = সাফওয়ান।
আত্মপরিচয় পাল্টে সে ফিরে এসেছে সেই ফ্ল্যাটে—যেখানে আনিলা হারিয়ে গিয়েছিল।

কেন?

***

বাস্তব ও বিকারের মাঝখানে আটকে থাকা মন

রাশেদ তার ডেস্কে বসে আবার সেই ছবিটা খুলে দেখেন।
এইবার ছবি যেন জ্যান্ত হয়ে উঠছে। যেন ভেতর থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে।

এটা কি তাঁর কল্পনা?
না কি ছবির মধ্যেই আটকে আছে একটা প্রাণ?

মনে পড়ে, ফ্ল্যাটের আশেপাশের প্রতিবেশীরা বলেছিল—
“মাঝরাতে কান্নার শব্দ শুনি। কেউ যেন সাহায্য চায়। ‘আমি বাঁচতে চাই…’—এই কথা কানে আসে।”

তানভীর একবার বলেছিল,
“আমার স্ত্রী এখনও আমার সাথে থাকে।”
— “কোথায়?”
— “ভেতরে…”
সে হেসে উঠেছিল। একটা অদ্ভুত, ঠান্ডা হাসি।

***

শেষ প্রশ্ন: সে কি এখনো বেঁচে আছে?

রাশেদের কাছে এই কেসটা আর নিছক এক ফাইল নয়।
এটা এখন এক মানসিক শীতল যুদ্ধ, বিকৃত প্রেমের জালে আটকে পড়া এক নারীর দুঃস্বপ্ন।

যদি সত্যিই আনিলা জীবিত থাকে…
তবে কোথায়?
ছবির সেই পা কি সত্যিই আনিলার?
তা হলে কি তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে এত বছর?

আর যদি আনিলা নেই…
তবে কে সেই কান্না করছে মাঝরাতে?

রাশেদের প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো অন্ধকারে।
কিন্তু তিনি জানেন, এই রহস্যের শেষ নেই—যদি না তিনি নিজে ৭ নম্বর ফ্ল্যাটের অন্তর্গত অন্ধকারে নামেন।

***

TO BE CONTINUED…
#৭নম্বরফ্ল্যাট ্প #রহস্য

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কিচেন ক্রিয়েটিভিটি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to কিচেন ক্রিয়েটিভিটি:

Share