20/09/2025
#এক ভয়ঙ্কর বাস্তব কাহিনী সময় টা ২০০৮ সাল_পরকীয়ার ফলাফল প্রেমিক কে ৩০০ টুক/রো করে প্রেমিকা।
রাত তখন গভীর… মুম্বাই শহরের বাতাসে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। চারদিক অন্ধকার, শুধু টিমটিমে আলো জ্বলছে কয়েকটা জানালায়। শহরটা ঘুমিয়ে আছে, কিন্তু একটি ফ্ল্যাটের ভেতর চলছিল এক ভয়ংকর নাটক।
যার শেষ দৃশ্য ইতিহাসে রক্তের দাগ হয়ে থাকবে চিরকাল। সুন্দর ছেলেটার জীবনে নেমে এসে ছিলো এক ভয়ংকর রাত।
কে জানতো সে হয়ে যাবে বলির পাটা।
নীরজ গ্রোভার, বয়স মাত্র ২৫। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করে। স্বপ্ন ছিল একদিন বড় প্রযোজক হওয়ার।
মা বাবার মুখ উজ্জ্বল করার, ফর্সা মুখ, মিষ্টি হাসি—সবাই বলত ছেলেটা খুব সহজে আপন করে নিতে পারে। এবং সেটা সে কাজে কর্মে ও দেখিয়েছে।
সেই সময়েই জীবনে আসে মারিয়া সুসাইরাজ—একজন উচ্চাভিলাষী অভিনেত্রী। আর ঠান্ডা মাথার কিলা/র।
মুম্বাইতে পা রেখেছে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে।
একসময় নীরজ আর মারিয়ার মধ্যে দেখা হয়ে যায়। কথা হয়,, দেখা হয় তৈরি হয় গভীর বন্ধুত্ব, যা ধীরে ধীরে সম্পর্কের দিকে গড়ায়। সুন্দএ চলতে থাকে তাদের এই ভালোবাসার প্রহর। কিন্তু এটা বেশি সময় টিকে নি।
এক সময় তিক্ততা এসে যায় তাদের মধ্যে। নানান কথা নিয়ে হয় ঝগড়া বিবাদ। হঠাৎ প্রেমিক-প্রেমিকার এই মধুর গল্পে ঝড় হয়ে ঢুকে পড়ে তৃতীয় একজন—ইমেল জেরোম ম্যাথিউ, নৌবাহিনীর অফিসার, মারিয়ার পরকীয়ার নতুন বি এফ।
সে কথা নিরাজ ঘুনাক্ষরেও ঠের পায় নি।
একদিন সকালে ঘুম ভাজ্ঞে নিরাজ এর। আর মারিয়ার কথা ভেবে ভেবে তাকে কল দিয়ে বসে।
দিন টি ছিলো
৭ই মে, ২০০৮। দিনটি হয় মারাত্মক কালো।
সেদিন রাতে নীরজ মারিয়ার ফ্ল্যাটে যায়, মারিয়া এই বলেছিলো যেতে। যাতে মারিয়া তার থেকে ছাড়া পেতে পারে।
। কিছুক্ষণ কাটায়। কিন্তু হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় ইমেল। ইমেলে কে দেখে নিরাজ এর তো রাগে তার চোখ লাল—সে সহ্য করতে পারেনি প্রেমিকার ঘরে অন্য এক পুরুষকে।
আর এদিকে ইমেল ছিলো মারিয়ার প্রথম ভালোবাসা।
ইমেলর রাগ কেমন হতে পারে ভাবেন। দুজন দুজনের দিকে উগ্র হয়ে তাকিয়ে থাকে।
মুহূর্তেই রাগ উগ্র হয়ে ওঠে।
রুমের ভেতর শুরু হয় চিৎকার, গালাগালি, মারামারি। তারপর ঘটে সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য—ইমেল ছুরি তুলে নীরজকে আঘাত করে। রক্ত ছড়িয়ে যায় চারদিকে। মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে নিথর হয়ে যায় নীরজের দেহ। তরতাজা ছেলে টা হয়ে যায় নিমিষেই একটা লাশ।
মারিয়া নিরাজ কে মারা যেতে দেখে ভয় পেয়ে যায়। কি করবে,। মনের মধ্যে ভয়! কিন্তু একটু অনুসুচনা হয় না।
সে শুধু তার ক্যারিয়ার এর কথা ভাবছে। যদি নষ্ট হয়ে যায়।
এত দিন এর ভালোবাসা নিজের চোখের সামনে রক্তা//ত হয়ে পড়ে আছে।
মৃতদেহ লুকোনো কোথাই লুকাবে। ভয় ঢুকে গেছে দুজনের মাথায়। তারা পরিকল্পনা করে কিভাবে এই লাশ গুম করবে। তখন এই শয়তান ভর করে তাদের দুজন এর মাথাই।
যার দেহে উপর মাথা রেখে শান্তি পেতো বলতো তাকে করা হয় ৩০০ টুকরো।
রাতভর চলে কাটা-ছেঁড়া। নীরজের দেহকে ৩০০ টুকরো করে ফেলা হয়—যা আজও মানুষের গায়ে কাঁটা দেয়। ছোট ছোট পলিব্যাগে ভরে ফেলা হয় সেই টুকরোগুলো। পরে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় দূরের জঙ্গলে, পুড়িয়ে দেওয়া হয় দেহাংশ। আগুনে ভস্মীভূত করার চেষ্টা করা হয় নিষ্পাপ ছেলেটির পরিচয়কে।
কিন্তু বলা আছে না পাপ বাপ কেও ছাড়ে না??? তাদের শেষ পরিনতি টা ও ভয়ংকর ছিলো???
পরবর্তী পর্ব পড়ার জন্য পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন
চলবে??
১