LEAVE LIVE

LEAVE LIVE তোমার ভালোবাসায় আমি চির কৃতজ্ঞ থাকবো। যদি একটু আমাকে সাপোর্ট করে দাও

হিংসার লেশমাত্র মাত্র তাঁর মধ্যে ছিল না । একদিন মিত্র ও ঘোষের অফিসে বসে আছেন । অন্য একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিকও আছেন সেখানে...
06/08/2025

হিংসার লেশমাত্র মাত্র তাঁর মধ্যে ছিল না । একদিন মিত্র ও ঘোষের অফিসে বসে আছেন । অন্য একজন প্রখ্যাত সাহিত্যিকও আছেন সেখানে । দূরে এক জেলা থেকে কয়েকজন যুবক সেই সাহিত্যিককে নিতে এসেছে। তাদের সাহিত্য সভার সভাপতি হবেন এমন কথাই আগে থেকে ঠিক হয়ে আছে । এই সাহিত্যিক তাদের জিজ্ঞাসা করলেন কিভাবে যাওয়া হচ্ছে । সেই যুবকদের একজন বলল ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণীতে করে তাঁকে নিয়ে যাবেন।

সে কথা শুনে সাহিত্যিক মশাই একদম নাকচ করে দিবেন তার যাওয়ার ব্যাপারটা । তিনি প্রথম শ্রেণি ছাড়া যাবেন না । কিন্তু প্রথম শ্রেণীতে নিয়ে যাওয়ার মত অর্থ উদ্যোক্তাদের নেই । তারা খুব বিপদে পড়ল । অত্যন্ত কাকুতি মিনতি করতে লাগল এবং জানালো তিনি না গেলে অত্যন্ত বিপদে পড়বে তারা । খুব যত্ন করে নিয়ে যাওয়া হবে, কোন অসুবিধা তার হবে না । সকলে তার জন্য অপেক্ষা করছে । কিন্তু সাহিত্যিক অনড় । এত বলা সত্বেও না যাওয়াতে অসহায় মুখে তারা স্থান ত্যাগ করল ।

এক মিনিট পরে বিভূতিভূষণ তাদের পেছনে পেছনে গেলেন পা চালিয়ে । তাদের ধরে ফেলে জিজ্ঞাসা করলেন আমি গেলে হবে ? আমার দ্বিতীয় শ্রেণি হলেই চলবে।

বিভূতিভূষণের সাধারণ পোশাক দেখে ওদের খুব শ্রদ্ধা হয়নি। ওরা জিজ্ঞাসা করল আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না । বিভূতিভূষণ বললেন আমার একটা বইয়ের নাম হয়তো আপনারা শুনেছেন । পথের পাঁচালী। ছেলেগুলি চোখ দিয়ে উঠে বললেন আপনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে সকলে তাকে প্রণাম করে বলল আপনি যাবেন এ তো আমাদের পরম সৌভাগ্য। ওই সাহিত্যিকের নাম করে বললো ভাগ্যিস উনি গেলেন না আপনাকে পেলে তো সকলেই ধন্য হয়ে যাবে ।

মহা আনন্দে তারা বিভূতিভূষণকে নিয়ে যাত্রা করল ।

তথ্য : পিতা নোহসি (বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুত্রবধূ মিত্রা বন্দোপাধ্যায়ের কলমে কৌতূহল জাগানো স্মৃতিকথা "পিতা নোহসি")

=================
তারাদাস বন্দোপাধ্যায় তাঁর পিতা বিভূতিভূষণের জীবনী লিখেছিলেন বেলুড়মঠের "উদ্বোধন " পত্রিকায় ধারাবাহিক আকারে। সেই অসাধারণ লেখনী মুগ্ধ করেছিল অগণিত মানুষকে। অদৃষ্টের পরিহাসে দীর্ঘ অসুস্থতার পরে লেখকের প্রয়াণ ঘটে লেখা সমাপ্ত হওয়ার আগেই। তাঁর আরও কিছু বলবার ছিল লেখার ও ছিল। অবশেষে মিত্রা বন্দোপাধ্যায় সেই দুরূহ কাজটি সম্পন্ন করলেন। প্রকাশিত হল পুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পুত্রবধূ মিত্রা বন্দোপাধ্যায়ের কলমে কৌতূহল জাগানো স্মৃতিকথা "পিতা নোহসি"। প্রাণের লেখককে নিয়ে এমন স্মৃতি মিশ্রিত চমৎকার জীবনকথা হাতে পেয়ে যে কেউ আপ্লুত হবেন একথা বলাই বাহুল্য।

"এক বৃদ্ধ কে মামলার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি"---এক গ্রীষ্মের দুপুরে কলকাতার ভিড়ে ঠাসা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ঈশ্বরচন...
05/08/2025

"এক বৃদ্ধ কে মামলার হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন তিনি"

---
এক গ্রীষ্মের দুপুরে কলকাতার ভিড়ে ঠাসা রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ঘর্মাক্ত জনস্রোতের ভেতর হঠাৎই তাঁর চোখ পড়ে গেল এক বৃদ্ধের উপর—শীর্ণকায় শরীর, কাঁধ ঝুঁকে পড়েছে, চোখের দৃষ্টিতে আতঙ্ক আর অসহায়তা।

বিদ্যাসাগরের পা থমকে গেল। গভীর চোখে বৃদ্ধের কষ্ট পড়ে ফেললেন তিনি।

তিনি এগিয়ে গিয়ে বললেন,
“মশাই, আপনাকে বড় অস্থির লাগছে। কিছু হয়েছে বুঝি?”

বৃদ্ধ কাঁপা কণ্ঠে এড়িয়ে যেতে চাইলেন, কিন্তু বিদ্যাসাগরের কণ্ঠে যে করুণার সুর, তা উপেক্ষা করা গেল না।

তিনি হাতজোড় করে বললেন,
“দয়া করে বলুন, আপনার সমস্যাটা কী। যদি কিছু করার থাকে, আমি নিশ্চয় চেষ্টা করবো।”

বৃদ্ধ এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে আস্তে বললেন,
“আমার মেয়ের বিয়ের জন্য ঋণ নিয়েছিলাম এক মহাজনের কাছ থেকে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরেও শোধ করতে পারিনি। এখন সে আমার নামে আদালতে মামলা ঠুকে দিয়েছে। কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছি না... শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন সর্বনাশ হবে।”

বিদ্যাসাগর এক মুহূর্ত নীরব থাকলেন। তারপর গভীর দৃঢ়তায় বললেন,
“আপনার চিন্তা আমার ওপর ছেড়ে দিন। আমি দেখছি কী করা যায়।”

এরপর তিনি বৃদ্ধের কাছ থেকে মামলার সব বিবরণ সংগ্রহ করে নিয়ে চলে গেলেন নিঃশব্দে, কোনো প্রতিশ্রুতি না দিয়েই—শুধু চোখে ছিল অদ্ভুত আত্মবিশ্বাসের দীপ্তি।

---
যথাসময়ে, আদালতের দিন এসে পড়ল। বৃদ্ধ লোকটি ভয়ে ভয়ে আদালতের কোণায় বসে রইলেন। বুক ধড়ফড় করছে—পকেটে একটি পয়সাও নেই, অথচ মামলার শুনানি আজ।

ঘণ্টা কেটে গেল, একে একে সবার নাম ডাকতে লাগল কর্মীরা। কিন্তু বৃদ্ধের নাম আসছেই না।

অবশেষে, নিজেই উঠে দাঁড়ালেন। গিয়ে কর্মচারীর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন,
“বাবু, আমার মামলার শুনানি কবে? আমার নাম তো ডাকা হল না!”

কর্মচারী কাগজপত্র দেখে বিস্মিত চোখে বললেন,
“এই মামলাটা তো খারিজ হয়ে গেছে। আপনার সব ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে আগেই।”

বৃদ্ধ অবিশ্বাসে চমকে উঠলেন,
“কে করেছে? কে পরিশোধ করেছে?”

উত্তরে শুধু একটাই নাম জানানো হলো—
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

❝যিনি কয়েকদিন আগে ভিড়ের মধ্যেও আপনার কষ্ট দেখতে পেরেছিলেন।❞

বৃদ্ধের চোখে জল চলে এলো। বুকটা কেঁপে উঠল। নিঃশব্দে তিনি ঈশ্বরচন্দ্রের সেই মুখখানা মনে করতে লাগলেন—যেখানে ছিল সান্ত্বনা, সাহস আর নিঃস্বার্থ ভালোবাসা।

---
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর—একটি নাম নয়, এক আদর্শ।

05/08/2025

একদা আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ের দিন সকালে সবাই চার্চের দিকে যাত্রা শুরু করল। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে আইনস্টাইন তাঁর মেয়ের দিকে তাকালেন আর বললেন, "তুই আগে চলে যা, আমি ল্যাব থেকে দশ মিনিটের মধ্যে চলে আসব।" মেয়ে মুচকি হেসে চলে গেল, কিন্তু সেই দশ মিনিট কখনো শেষ হল না।

বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হল, শেষ হল, আর মেয়ে হানিমুনে চলে গেল। সাত দিন পর হানিমুন থেকে ফিরে এসে সে মাকে জিজ্ঞেস করল, "মা, বাবা কোথায়?" মা একটু হাসি মুখে বললেন, "ওই যে, দশ মিনিট বলেছিল ফিরবে, আর ফেরেনি!" মেয়ে অবাক হয়ে ল্যাবের দিকে দৌড়ল। ল্যাবে গিয়ে দেখে, বাবা তখনো গবেষণায় মগ্ন!

তাকে ডেকে বলল, "বাবা, এখনো এসোনি?" আইনস্টাইন মুচকি হেসে বললেন, "তুই চার্চে যা, আমি দশ মিনিটেই আসছি!" সেই মুহূর্তে তার কাজের প্রতি অদম্য আকর্ষণ ফুটে উঠল।

একদিন ১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে কেউ আইনস্টাইনকে জিজ্ঞেস করল, "গবেষণার জন্য কী লাগে?"

তিনি হাসতে হাসতে বললেন, "একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ, একটা পেনসিল আর একটা বড় ডাস্টবিন—যাতে ভুলভরা কাগজ ফেলতে পারি।" তার এই সরলতা শ্রোতাদের মনে হাসি ফোটাল।

অন্য একদিন বেলজিয়ামের রানি তাকে রাজপ্রাসাদে দাওয়াত করলেন। স্টেশনে গাড়ি পাঠানো হল তাকে আনতে, কিন্তু আইনস্টাইন কোথাও পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ পর সবাই দেখতে পেল, সাদা পোশাকে বেহালা হাতে তিনি রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলেন।

রানি বিস্মিত হয়ে বললেন, "গাড়ি তো গিয়েছিল আপনাকে আনতে!" আইনস্টাইন শান্ত গলায় বললেন, "আমি ইচ্ছে করে গাড়ি এড়িয়ে হেঁটে এসেছি। শহরটাকে সাধারণ মানুষের চোখে দেখলাম, আর বেহালাও বাজাতে পারলাম—গাড়িতে এটা সম্ভব হত না।"

কিন্তু সবচেয়ে আশ্চর্যজনক কথা হল, যে আপেক্ষিকতা তত্ত্ব তাকে পৃথিবীজুড়ে খ্যাতি দিয়েছিল, তার জন্য তিনি নোবেল পাননি।

তখনকার দিনে এ তত্ত্ব বুঝতে পারতেন শুধু হাতে গোনা কয়েকজন বিজ্ঞানী, এমনকি সুইডিশ নোবেল বোর্ডও হয়তো এর গভীরতা ধরতে পারেনি। তবে ১৯২১ সালে তিনি "আলোক তড়িৎ ক্রিয়া" ব্যাখ্যার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

আইনস্টাইন ছিলেন শুধু একজন বিজ্ঞানী নন, তিনি ছিলেন চিন্তার এক বিপ্লব—সরলতা আর প্রতিভার এক অপরূপ মিশ্রণ!

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ের কাহিনী ও তাঁর অসাধারণ জীবন🌸 **মেয়ের বিয়েঃ চার্চের পথে এক অদ্ভুত ঘটনা**  সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন মে...
04/08/2025

আইনস্টাইনের মেয়ের বিয়ের কাহিনী ও তাঁর অসাধারণ জীবন

🌸 **মেয়ের বিয়েঃ চার্চের পথে এক অদ্ভুত ঘটনা**
সবাই চার্চে যাচ্ছিলেন মেয়ের বিয়ের জন্য। পথে আইনস্টাইন তাঁর মেয়েকে বললেন, "তুমি আগে যাও, আমি ল্যাব থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে আসছি।" কিন্তু বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হয়ে গেল, মেয়ে হানিমুনে গিয়ে ৭ দিন পর ফিরে এল। মাকে জিজ্ঞেস করল, "বাবা কোথায়?" মা হেসে বললেন, "ওই যে, ১০ মিনিট বলেছিল… আর ফেরেনি!" মেয়ে দৌড়ে গেল ল্যাবে। দেখল, বাবা তখনো গবেষণায় মগ্ন! ডেকে বলল, "বাবা! এখনো এসোনি?" আইনস্টাইন শান্তভাবে বললেন, "তুমি চার্চে যাও, আমি ১০ মিনিটেই আসছি!" 😅 তাঁর কাজের প্রতি এমন একাগ্রতা ছিল!

🔍 **গবেষণার রহস্যঃ একটি ডেস্ক আর একটি ডাস্টবিন**
১৯৩৫ সালে প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটিতে কেউ জিজ্ঞেস করেছিল, "গবেষণার জন্য কী লাগে?" আইনস্টাইন হেসে বলেছিলেন, "একটা ডেস্ক, কিছু কাগজ, একটা পেনসিল… আর একটা বড় ডাস্টবিন! যাতে ভুলভরা কাগজ ফেলতে পারি।"

👑 **রাজপ্রাসাদে বেহালার সুর**
বেলজিয়ামের রানি তাঁকে রাজপ্রাসাদে দাওয়াত দিয়েছিলেন। স্টেশনে গাড়ি গেল তাঁকে আনতে, কিন্তু আইনস্টাইন কোথাও পাওয়া গেল না। কিছুক্ষণ পর দেখা গেল—সাদা পোশাকে বেহালা বাজাতে বাজাতে তিনি হাজির! রানি অবাক হয়ে বললেন, "গাড়ি তো গিয়েছিল আপনাকে আনতে!" আইনস্টাইন হেসে বললেন, "ইচ্ছা করে গাড়ি এড়িয়ে হেঁটে এসেছি। শহরটাকে সাধারণ মানুষের চোখে দেখলাম, আর বেহালাও বাজাতে পারলাম। গাড়িতে এটা সম্ভব হত না।" 🎻

🤯 **নোবেল আর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব**
আইনস্টাইনের বিখ্যাত "আপেক্ষিকতা তত্ত্ব" তাঁকে বিশ্ববাসী করল, কিন্তু এর জন্য তিনি নোবেল পাননি! কারণ? তখন পৃথিবীর কয়েকজন বিজ্ঞানীই এটি বুঝতেন, এমনকি সুইডিশ নোবেল বোর্ডও সম্ভবত ঠিক বুঝতে পারেনি। তবে ১৯২১ সালে তিনি "আলোক তড়িৎ ক্রিয়া" (Photoelectric Effect) ব্যাখ্যার জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছিলেন।

🔬 **চিন্তার বিপ্লবঃ সরলতা ও প্রতিভা**
আইনস্টাইন শুধু বিজ্ঞানী নন, তিনি ছিলেন সরলতা ও প্রতিভার এক দুর্লভ মিশ্রণ—চিন্তার এক বিপ্লব!

hi
30/07/2025

hi

15/07/2025
24/05/2025

Check out 🌹 রাজ্য ছাড়া রাজকুমার 🌹’s post.

কারাগার হবে তাজমহল সবাইকে তাজমহল দেখার জন্য অনুরোধ রইল
14/05/2025

কারাগার হবে তাজমহল
সবাইকে তাজমহল দেখার জন্য অনুরোধ রইল

07/05/2025

I've received 100 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

16/11/2024

Shout out to my newest followers! Excited to have you onboard! Subinta Chakma, Md Miraj Khan

I've just reached 200 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one...
07/11/2024

I've just reached 200 followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

Address

Xakhin
Chittagong
CHITTAGONG

Telephone

+8801576415773

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when LEAVE LIVE posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to LEAVE LIVE:

Share