
04/05/2025
ভারতের রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত ড. সুকোমল চৌধুরীর প্রয়াণে পুণ্যদান।
আমার পি.এইচ.ডি ডিগ্রির তত্ত্বাবধায়ক আচার্য গর্ভমেন্ট সংস্কৃত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. সুকোমল চৌধুরী ভারতীয় সময় সকাল ১১:৩০ মিনিটে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মতো বিরল প্রতিভা মৃত্যুতে যে শূণ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজেই পূরণ হওয়ার নয়। আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও পুণ্যদান করছি। বর্তমান সময়ে তাঁর মতো ত্রিপিটক শান্ত্রজ্ঞ, মহাপণ্ডিত, বহু গ্রন্থ প্রণেতা বড়ই দুর্লভ। তিনি ধর্মাধার বিদর্শন শিক্ষাকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক এবং কলকাতাস্থ ধর্মাধার শতবর্ষ ভবনের জমি ক্রয়ে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ধমার্ধার গ্রন্থ প্রকাশনীসহ বহু গ্রন্থ অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ এবং অসংখ্য গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশ করে বহু কীর্তিতের পরিচয় দিয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভারতে তাঁর অসংখ্য ছাত্র—ছাত্রী ও প্রতিভাবান গবেষক ভিক্ষু—সংঘ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। নালন্দা পত্রিকা, বোধিভারতী, জগজ্জোতি পত্রিকা প্রকাশে সত্যিই তাঁর অবদান প্রশংসনীয়। তিনি সাধক শ্রেষ্ট থথবা মহাস্থবিরের বংশধর। তাঁর জন্মজনপদ সাতবাড়িয়ার বেপারিপাড়া গ্রামে। আমি তাঁর পারলৌকিক সুখ—শান্তি কামনা করছি। তিনি বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভা ও মহাবোধি সোসাইটির উন্নয়নের ক্ষেত্রেও আন্তরিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। উল্লেখ্য যে, তাঁর শবদেহ বিদর্শন শিক্ষাকেন্দ্র, মহাবোধি সোসাইটি, বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর, সংস্কৃত গর্ভনমেন্ট কলেজ এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।
©