28/08/2025
#মিলাদ_কিয়াম_এবং_আব্দুল_হক_মুহাদ্দিস_দেহলভী
“আখবারুল আখিয়ার”
===============
এই কিতাব মূলত আরবি। শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রঃ) এর আরবি কিতাবগুলোর মাঝে একটি অন্যতম কিতাব যার মধ্যে ভারত পাকিস্তানের প্রায় ৩০০ জন আওলিয়ায়ে কেরাম সুফিয়ায়ে এজামের জীবনী উল্লেখ্য করেছেন।
এই কিতাবের উর্দু অনুবাদ করেছেন দেওবান্দ মাদ্রাসার দু'জন সনামধন্য উস্তাদ শাইখুল হাদিস, মাওলানা সুবহান মাহমুদ সাহেব (রঃ)
মাওলানা মুহাম্মদ ফজল সাহেব (রঃ)
মূল আলোচ্য বিষয়ঃ
=============
একিতাবের ৬২৪ নং পৃষ্ঠায়, শাইখুল হাদিস সাহেব অর্থাৎ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ) দোয়ায়ে কাজায়ে হাজাত এ এই কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে,
“হে আল্লাহ! আমার এমন কোনো আমল নেই যেটাকে আমি আপনার দরবারে পেশ করার যোগ্য মনে করি। আমার সব আমলেই নিয়তের ফাসাদ থেকে যায়। তবে আমি একজন নিকৃষ্ট ও গরিব বান্দা হিসেবে একটি কাজ কেবল আপনারই পবিত্র সত্তার অনুগ্রহে অত্যন্ত চমৎকার বলে মনে করি। আর তা হলো— যখন মিলাদ মাহফিলের সময় আসে, তখন আমি দাঁড়িয়ে সালাম পাঠ করি এবং পরম বিনয় ও নম্রতা, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সাথে আপনার প্রিয় হাবীব মুহাম্মদ ﷺ-এর উপর দরুদ ও সালাম প্রেরণ করি।”
এখন কথা হলো,
শাইখুল হাদিস, আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী (রঃ)
কত বড় মাপের আলেম ছিলেন এ বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করা প্রয়োজন বোধকরিনা কারণ সবাই উনার ব্যাপারে জানেন।
তিনি হচ্ছেন সমস্ত মুহাদ্দিসগণের মাথার মুকুট।
তিনি যদি মিলাদ কিয়াম করতে পারেন, এটা যদি উনার কাছে বেদাত না হয়ে বরং আরো ফজিলতের কাজ হয় তাহলে আমার দেশের ঐসব মৌলভীদের কাছে কিভাবে বেদাত হয়ে গেলো যারা মিলাদ কিয়াম নিয়ে এতো নীহমন্যতায় ভোগেন।
এরকম আরো বহু উপমা আছে, যেখানে দেখা যায় যে, বড় বড় মাপের উলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গানে দ্বীন মিলাদ কিয়াম করেছেন।
কিন্তু আফসোস আমাদের দেশে কিছু হীনমন্য আলেম মাওলানা আছেন যারা বেদাত বেদাত ফতোয়া দিয়ে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন।