Kalpataru Das

Kalpataru Das ★★Welcome To My
Page★★. Kalpataru Das
�Stay Home & Be Safe�

01/04/2024

শান্তি কারোরই নেই!

বাচ্চাদের তাড়াতাড়ি বড় হওয়ার চিন্তা, আর বড়দের শৈশবে ফিরে যাওয়ার আকুতি!

বিবাহিতরা ডিভোর্সের চিন্তায় ব্যস্ত, আর অবিবাহিতরা বিয়ের চিন্তায় মগ্ন!

চাকুরিজীবীরা কাজের চাপে চিন্তিত, আর বেকারদের চাকরি পাওয়ার চিন্তা!

গরিবদের বড়লোক হওয়ার চিন্তা, আর বড়লোকেরা শান্তির খোঁজে ক্লান্ত!

জনপ্রিয় ব্যক্তিরা লুকানোর ঠিকানা খুঁজে, আর সাধারণেরা জনপ্রিয় হওয়ার জন্য বিভোর!

03/03/2024

বেতন_কত ?
- - - - - - - - - - - - - -
আমার ভাই রোডস অ্যান্ড হাইওয়েতে আছে। ৩ কোটি টাকা দিয়ে আমাদের গ্রামের বাড়িতে বাড়ি করছে!
আমি বললাম, আপনার ভাইয়ের বেতন কত?
গর্বে ভরা চেহারাটা মুহূর্তে ছাই হয়ে গেলো।
দোস্তো বলিস না, এই শালা ট্রাফিক পুলিশ, শালারা দুই টাকারও ঘুষ খায়!
দোস্তো, তোদের ফ্লাটে কত খরচ পড়েছে?
-এই সব মিলে ৯৭ লাখ।
তোর বাবা তো ট্যাক্সে আছে, বেতন কত? চেহারা আবারও ছাই।
ওদিকে লায়লা তার বয়ফ্রেন্ডকে বলছে, কাবিন কিন্তু ৩০ লাখ টাকা হতে হবে। (বয়ফ্রেন্ড ২৮ হাজার টাকার বেতনের চাকুরি করে!) না হলে আমার প্রেস্টিজ পাংকচার! ফেবুতে পোস্ট দিয়েছে, "যে ছেলে যৌতুক চায়, তাদের না বলুন!"
এদিকে মেয়ের জন্য বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। ছেলে কলেজের টিচার, আরেকজন পিডাব্লিউতে চাকুরি করে। মেয়ের বাবা পরেরজনে মত দেয়ায় মেয়ে বলছে, " বাবা তোমার পছন্দ সেরা"!
এক আত্মীয়ের বাসায় গেলাম। সারা জীবন সততার বুলি আউড়িয়েছেন। মেয়ের জামাই চাকুরি করেন সিটি কর্পোরেশনে। খুব গর্ব করে বলছেন, তার মেয়ে ঘরের ফার্নিচার ৪/৫ বছর পরেই পাল্টায়। মেয়ে খুব সৌখিন। ৮০ লাখ টাকায় ফ্লাট কিনে আরও ৫০ লাখ টাকা খরচ করছে ইন্টেরিয়র কাজে!
জিজ্ঞেস করলাম, ভাইজান, জামাইয়ের বেতন কতো?
অফিসে বসে আছি। একটা ছেলে সালাম দিয়ে ট্রেনের সময় জানতে চাইল। কথায় কথায় বলল তার ভাইও রেলওয়েতে জব করে।
-জিগ্যেস করলাম কোন পোস্ট?
ও বলল ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা। তার ভাই নাকি ৬/৭বছরে অনেক কিছু করেছে।
জিগ্যেস করলাম,তোমার ভাইয়ের বেতন কত?
আর কোন উত্তর নাই...।
আমরা এত নষ্ট হয়েছি, এত নষ্ট হয়েছি যে, আমাদের কোন লজ্জা নেই। ঘুষ আমার অধিকার, কিন্তু কন্ডাকটর ১৫ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা চাইলেই, "এগুলা মানুষ না। এই টাকা খেয়ে এরা কিছুই করতে পারে না। মানুষের টাকা মেরে কিছুই করতে পারে না।" অথচ একটু আগেই বাসে মোবাইলে আলাপ করছিল, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরির জন্য ৯ লাখ আর ১০ লাখের ঘুষের আলাপ!!
কন্ডাকটর গলা কাটছে। গলা কাটছে শিক্ষিত দুর্বৃত্তরাও। শিক্ষিতদের গলাকাটা বড় নির্মম, দেশটাকে এফোঁড় ওফোঁড় করে দেয়।
কন্ডাকটররা একটা নিদারুণ সত্যি কথা বলে,
"আফনেরা যে কলমের খোচায় কুটি কুটি টাকা মাইরা খান, হেই হিসাব তো আমরা নেই না!"
কথা সত্যি এবং নিদারুণ সত্যি।
কিছু অসভ্য শ্রমিকদের দেখলাম অ্যাম্বুলেন্সেও কালি দিচ্ছে, আটকাচ্ছে।
সেই অ্যাম্বুলেন্স দেখে মনে পড়ে গেলো এর চেয়ে ভয়াবহ অসভ্য গোষ্ঠীর কথা। বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির দালালদের কথা, যারা অতি উচ্চ শিক্ষিত ডাক্তার এবং যাদের পেছনে রাষ্ট্রের কোটি টাকা খরচ হয়। মেয়াদউত্তীর্ণ ঔষধ, আইসিইউতে রেখে গলা কাটার সেই সব অমানুষদের কথা।
মানুষ হয়তো আছে। সংখ্যাটা কম।
মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছে।
তা কোথায় হলো, ছেলে কী করে?
যদি ঘুষের ডিপার্টমেন্টের হয়,
দেখবেন মেয়ের বাবা মা, ভাই বোন আর মেয়ের চেহারা খুশিতে কেমন চকচক করে!!
অথচ এই যে অরাজকতা, এই যে ভেজাল জিনিস, এই যে উচ্চমূল্য, এই যে গলাকাটা সেবা, এই যে পেনশনের টাকা তুলতে ফাইলের পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে জুতার তলা ক্ষয় হয়ে যাওয়া, এই যে পরীক্ষায় ভালো করলেও চাকুরি না হওয়া, এই সবের মূলে তো ওই যে যেখান থেকে বিয়ের প্রস্তাব এলে জিহবা চকচক করে, চেহারায় (নোংরা) খুশির ঢেউ উঠে, সেই দুর্নীতিবাজ শুয়োরদের কারণে।
বিখ্যাত এক অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, "শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি"! এই শুয়োরের বাচ্চারা কারা?
এই লেখা পড়ে পরে যাদের চেহারায় চপেটাঘাত পড়বে, ছাই হয়ে যাবে, তারা৷"

02/05/2023

সুনাগরিক হওয়ার জন্য তিনটি গুন অবশ্যই দরকার। তিনটির মধ্যে একটি কম থাকলে আপনি সুনাগরিক হতে পারবেন না।

১। বুদ্ধিঃ এ গুনটা কমবেশি অনেকের মধ্যে থাকে। মজার বিষয় হচ্ছে আমরা সবাই নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবতে পছন্দ করি।

২। বিবেকঃ যেহেতু আমরা মানুষ তাই আমাদের বিবেকবোধ আছে, কারো সুপ্ত আবার কারো জাগ্রত। এ বিবেকবোধ আছে বলেই আমরা অন্য প্রাণী হতে আলাদা।

৩। আত্মসংযমঃ এ গুনটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুন। সারা বাংলাদেশে একজনের আছে কিনা আমার সন্দেহ। যদি না থাকে তাহলে আমরা একজনও সুনাগরিক না।

দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা নিজেরাই জানিনা আত্মসংযম আসলে কী!!!

একটা উদাহরণ দিয়ে বলি। মনে করেন, আপনার কাছে একজনকে চাকরি দেয়ার সুযোগ আছে। প্রার্থীদের একজন আপনার পরিচিত, অপরজন অপরিচিত। এক্ষেত্রে আপনি মনের অজান্তে ও যদি ০.০০০১% পরিচিত প্রার্থীর হয়েও পক্ষপাতিত্ব করেন তাহলে আপনি সুনাগরিক নন।

07/02/2023
প্রাচীন অনেক কিছু ভবিষ্যতকে এগিয়ে দিয়েছে যদিও আমরা পুরাতনকে ফেলে আধুনিক করতে চেষ্টা করি। একটা তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্ন অনেক ...
25/01/2023

প্রাচীন অনেক কিছু ভবিষ্যতকে এগিয়ে দিয়েছে যদিও আমরা পুরাতনকে ফেলে আধুনিক করতে চেষ্টা করি। একটা তৃতীয় শ্রেণির প্রশ্ন অনেক মানসম্মত মনে হয়েছে। আমরা এখন এসব স্কুলে না পড়িয়ে ভাবি মা বাবা শিখাবে ফলে শিখি এক, আর জীবনে প্রয়োজন পড়ে অন্য কিছুর। বাচ্চা বয়স থেকে জীবনের প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয় শিক্ষাঙ্গণ থেকে শিখানো উচিত। যেসব বিষয় জীবনে প্রয়োজনই নেই কিংবা দেশের বা এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগেনা, অথচ সেগুলোর অধিকাংশ শিখে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। এতে সময় নষ্ট, টাকা নষ্ট। কাজের কিছুই হয়না। আমরা ঠিক করতে পারিনা কোন শ্রেণিতে কী শিখাবো,কেন শিখাবো। এজন্যই আমরা পিছিয়ে আছি।

In ancient times, the Chinese were to be safe from the attacks of foreign enemies The Great Wall was built. The walls of...
24/01/2023

In ancient times, the Chinese were to be safe from the attacks of foreign enemies
The Great Wall was built.
The walls of the Greatwall were raised so high that
Enemies cannot invade China by climbing the walls.
The interesting thing is,
At the end of the first hundred years of the construction of the Great Wall
The Chinese were attacked by foreign enemies three times.
More surprisingly,
Never knock over a wall of attackers
Or did not have to break the wall.
Because every time they bribed the guarding wall-guards
Enter China through the main gate.
The Chinese built strong walls,
But the guard did not strengthen the character of the wall-guards,
As a result, they could not save themselves from the attack.
.
Our situation is the same today.
We are building walls.
But I did not create the character of the wall guard.
Hence, today the education rate has increased,
But humanity, human values, humanity did not increase.
.
If you want to destroy a civilization
Just do three things,
(a) Destroy the family and family structure
(b) Destroy the educational system
(c) Mislead the young society

Well, nothing else to do.
Now everything will go according to your instructions.

24/01/2023

শৈবাল দিঘীরে বলে উচ্চ করি শির,
লিখে রেখো এক ফোঁটা দিলেম শিশির।

সমাজে এক শ্রেণির মানুষ আছে যারা কোনভাবে একবার কারো উপকার করতে পারলেই সারা দুনিয়া বলে বেড়ায় কিন্তু ভুলে যায় অন্যের অবদানের কথা। এরা শুধু নিজেরটা দেখে।

23/01/2023

বর্তমান যুগে প্রযুক্তির জ্ঞান ছাড়া সফল হওয়ার সুযোগ নেই।

20/01/2023

আমার মনেহয়, একমাত্র বাংলাদেশেই এত সহজে অবৈধ টাকা আয় এবং ভোগ বিনা প্রতিবন্ধকতায় সম্ভব। পৃথিবীর উন্নত দেশে এ সুবিধা বন্ধ বলেই এরা উন্নত।
Kalpataru Das

19/01/2023

পরিশ্রমী মানুষ কখনো হেরে যায়না, যদিও মেধাবীদেরকে মাঝেমধ্যে হেরে যেতে হয়।

08/11/2022

যদি সোহানের পরিবর্তে মুশফিক, রাব্বির পরিবর্তে মাহমুদউল্লাহ দলে থাকতো, এবার T-20 বিশ্বকাপে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলতো। দলে বিশ্বস্ত খেলোয়াড়ের প্রয়োজন ছিল।

27/02/2022

একেবারে অল্প কথায় বললে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মূল বিষয় 'ন্যাটো'

ন্যাটো (NATO- North Atlantic Treaty Organisation) হলো ৩০ টি দেশের একটা সামরিক জোট যা ১৯৪৯ সালে গঠিত হয়। এর নেতৃত্বে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আরো সহজ করে বললে ন্যাটো হলো আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ৩০ টি দেশের একটি জোট যারা একত্রে মিলে কমন শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে!

ইরাকে আমেরিকা মূলত যুদ্ধ করলেও সেখানে ন্যাটোর অন্যান্য সদস্যরা যেমন, ব্রিটেন, কানাডা ইত্যাদি দেশও কিন্তু সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ন্যাটোতে পারমাণবিক শক্তিধর আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ছাড়াও অর্থনৈতিক পরাশক্তি জার্মানি, স্পেন, ইতালি, কানাডা রয়েছে। সবগুলো দেশের সামরিক শক্তি একসাথে নিলে হয় ন্যাটো। বুঝতেছেন? এখানেই সমস্যাটা।

আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সাবেক পুঁজিবাদী ব্লকের শক্তি ন্যাটো, অন্যদিকে সমাজতান্ত্রিক ব্লকের হাতে এরকম কোন শক্তি আপাতত নেই (সোভিয়েত ইউনিয়ন এর নেতৃত্বাধীন ওয়ারশ চুক্তি ছিল যা ১৯৯১ সালে বিলুপ্ত হয়)। চায়না এবং রাশিয়া আলাদাভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্র হলেও সামরিক কোন জোটে তারা সরাসরি নেই এবং দুই দেশের সরাসরি স্বার্থ এক এবং অভিন্ন নয়।

এদিকে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র এস্তোনিয়া, লাটবিয়া, লিথুনিয়া ইতোমধ্যে ন্যাটোর সদস্য হয়ে গেছে! ২০১৪ সালে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইউকোনোভিচ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর ইউক্রেন চালাচ্ছে মার্কিনপন্থী সরকার। তারাও চাচ্ছে ন্যাটো জোটে যোগ দিতে। রাশিয়ার আপত্তি হলো ইউক্রেন যদি ন্যাটো জোটে যোগ দেয়, তাহলে রাশিয়ার সীমানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছে যাবে এবং আসলেই পৌঁছে যাবে। (রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের দৈর্ঘ্য দীর্ঘ ২২৯৫ কিলোমিটার!) এতে রাশিয়ার শক্তি নিশ্চিতভাবেই হ্রাস পাবে এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

এই সংকটকে কিউবার ক্ষেপনাস্ত্র সংকটের সাথে তুলনা করা যায়। ১৯৬২ সালে রাশিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ কিলোমিটার দূরে কিউবায় পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বহু দেনদরবারের মাধ্যমে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র সরিয়ে নেয়। রাশিয়ার যুক্তি হলো, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হলে ইউক্রেনের মাটি ব্যবহার করে ন্যাটো বা আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেকোনো ব্যবস্থা সহজেই নিতে পারবে, তখন রাশিয়ার কিছু করার থাকবে না। তাই যেকোনো মূল্যে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে দেওয়া হবে না।

আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। রাশিয়া অনেক বড় দেশ হলেও এর বেশিরভাগ সীমান্ত বরফে আচ্ছাদিত। কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ, ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ বা ইউরোপের সাথে বাণিজ্য সবকিছুর জন্য রাশিয়ার কাছে ইউক্রেন হলো অত্যাবশ্যকীয় একটি দেশ। রাশিয়া নিশ্চিতভাবেই চাইবে না সেখানে পশ্চিমাপন্থী কোন সরকার থাকুক, আর সে সবসময় টেনশনে থাকুক। সুতরাং সে নিজের পছন্দের কাউকে বসাবেই।

যুদ্ধ খুব কঠিন একটি বিষয়। এর পরিণাম আসলেই ভয়াবহ। এই যুদ্ধ হয়তো পৃথিবীর ইতিহাস পাল্টে দিবে। তবে সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হবে সাধারণত মানুষ! 😢

যুদ্ধ ক্ষণস্থায়ী হোক, শান্তি নেমে আসুক ধরণীতে..

21/02/2022

আপনি যদি ৫০০০ টাকায় কক্সবাজারে দু'দিন ঘুরতে চান তাহলে আপনার জন্যে কয়েকটি স্পেশাল টিপসঃ

# নবীনগরের আলেয়াবাদ থেকে প্রতিদিন হানিফ পরিবহন ছেড়ে যায় সন্ধ্যা ৭.৩০ টায়। ৪০ সিটের দূর্দান্ত এই বাসের সিট ভাড়া মাত্র ৭০০/-। কক্সবাজার পৌছাবে পরদিন আনুমানিক সকাল ৭ টায়।

# অত:পর কক্সবাজার বাস টার্মিনাল থেকে অটো / সি এন জি ৫০ টাকায় ( ওরা ভাড়া চাইবে-৩০০ টাকা) রিজার্ভ নিয়ে চলে আসুন সুগন্ধা বিচের যেকোন হোটেলে।
ডলফিন মোড় থেকেও আসতে পারেন, জনপ্রতি ভাড়া নিবে ১০/-।

সুগন্ধা বিচ এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ও নিরাপদ বিচ।
তাই চেষ্টা করবেন, এই বিচের কাছাকাছি কোন হোটেলে উঠতে ।

আপনারা যদি কাপল হয়ে থাকেন তাহলে সুগন্ধা গেস্ট হাউস/ হোটাইট বিচে উঠতে পারেন, ১ দিনের জন্যে রুম ভাড়া নিবে : ১৫০০-২০০০ টাকা।

আর যদি ৫/৬ জন বা তার চেয়েও বেশি হয়ে গ্রুপে যেতে চান তাহলে অবশ্যই ফ্ল্যাট সিস্টেম হোটেলে উঠবেন।

আমার পরিচিত এমন একটি হোটেল হচ্ছেঃ
হাইপেরিয়ান হোয়াইট প্যালেস।

২০০০ টাকা নিবে, কিন্তু আমার রেফারেন্স দিয়ে আগে থেকে বুকিং নিলে ১৩০০-১৫০০ টাকা নিবে। ৩ রুমের একটি ফ্ল্যাট। চোখ ধাঁধাঁনো ডেকোরেশন। লিফট সুবিধার পাশাপাশি গ্রিজের ( গরম পানির) ব্যবস্থাও আছে এখানে। সাগরমুখী বেলকুনি তো বটেই।

আমরা সেখানে প্রতিবার ই থাকি। সার্ভিস খুব ই ভালো ওই হোটেল ম্যানেজমেন্ট এর।

ছোট মুখে ছোট একটি কথাঃ যে হোটেলেই থাকুন, আগে দেখে নিবেন তার ওয়াশরুমটা পরিচ্ছন্ন কিনা। এটাই আসল। এটা ভালো হলে সব ভালো।

তবে সরকারী ছুটির দিন ছাড়া যাওয়ায় প্লান করবেন। তাতে সাশ্রয়ী হবে অনেক কিছুর এবং ভীড়টাও কম হবে।

ভুলেও ১৬ ডিসেম্বর, ২১ ফেব্রুয়ারী, থার্টি ফার্স্ট নাইটে কক্সবাজার থাকবেন না, ১০ টাকার আলুভর্তা ৩০০ টাকা নিবে। ১০০০ টাকার হোটেল রুম ১০ হাজার টাকা নিবে।

১ম দিনঃ

# হোটেলে সকাল ৮ টায় চেক ইন করে নাস্তা করে সোজা খালি পায়ে চলে যান- সুগন্ধা / লাবনী পয়েন্টে।
সাগরে দৌড় ঝাপ দিয়ে লাভ নেই, কারণ বিশাল বিশাল ঢেউ এর কাছি আপনি কাবু।
সুতরাং, সাগরের ঢেউ এর কাছে আত্মসমর্পণ করুন, অর্থাৎ লাফাবেন না, বিপরীত পাশে থাকবেন না। বেশি দূর যাবেন না, হাটু পানিই কিছুক্ষণ এর মধ্যে গলা পানিতে পরিণত হবে।

# সেখানে দেখবেন ক্যামেরা ম্যান পাগল হবে আপনার ছবি তুলার জন্যে, আর নতুন হয়ে থাকলে আপনিও পাগল হবেন তাদের ডি এস এল আর ক্যামেরায় ছবি তুলতে। প্রতি ছবি ৫ টাকা নিবে।

দরদাম করে ২০/৩০ টা ( ১০০ টাকায়) ছবি তুলে নিবেন, ওরা অনেক গুলোই তুলবে, আপনি সিলেক্ট করে নিবেন। ফোন নম্বর দিয়ে যাবেন তাকে, সন্ধ্যা বা যেকোন সময় সে-ই ফোন দিয়ে আপনার হোটেলে এসে আপনার ফোনে ছবি গুলো ট্রান্সফার করে দিবে। তখন টাকাটা পরিশোধ করে দিবেন।

# দুপুর ১২/১ টায় চলে আসুন হোটেলে, অত:পর ওয়াশ রুমে ফ্রেশ হয়ে যোহরের নামাজ পড়ে রেস্টুরেন্টে খেয়ে নিয়ে একটা জিপ/ সি এনজি রিজার্ভ করুন- ১ হাজার টাকার মধ্যে।

লোকেশন- মেরিন ড্রাইভ রোড- দরিয়া নগর- হিমছড়ি- মিনি বান্দরবান - ইনানী বিচ- পাটুয়ার টেক।
সব গুলো পয়েন্টে আপনি ১০-১৫ মিনিট করে টাইম পাবেন ঘুরতে। তবে পাটুয়ার টেকে সূর্যাস্ত দেখে নিবেন। এটাকে বলা হয় বিচের রাণী। অসম্ভব ও ভয়ংকর কিন্তু মায়াবী সৌন্দর্যের একটা প্রতিচ্ছবি এই জায়গা। অনেকটা সেন্ট মার্টিনের ছোয়া পাবেন। নিরিবিলি পরিবেশ, একদিকে পাহাড়, আরেক দিকে পাথুরে বিচ ও নীল সাগর।

সেখানে মাগরিব এর নামাজ পড়ে চলে আসুন আপনার হোটেলে। রাত ৮ টা বেজে যাবে প্রায় এতোক্ষণে। হোটেলে রেস্ট নিন। রাত ১০ টায় ডিনার করতে বের হয়ে যান। অতপর আবার চলে আসুন রাতের সমুদ্রের ভয়ংকর গর্জন শুনতে- সুগন্ধা বীচে।
কতোক্ষণ অবস্থান করে হোটেলে চলে আসুন।

২য় দিনঃ

# শুভ সকাল।

সকালে নাস্তা সেরে আবার চলে আসুন বিচে, লাবনী/ কলাতলী বিচে। গোসল করুন, জাম্প দিন, ইচ্ছে মতো আনন্দ করুন সাগরের নোনা জলে।

১১ টার মধ্যে ফিরে আসুন হোটেলে। ফ্রেশ হয়ে দুপুরে খেয়ে অটোটে করে চলে আসুন কক্সবাজার ৬নং জেটি ঘাটে। মহেশখালীর উদ্দ্যেশ্যে।

মহেশখালী বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ। এখানে দেখার আছে শূটিং ব্রিজ, আদিনাথ মন্দির ও সুউচ্চ পাহাড়।
এখানে আসতে হলে জেটিঘাট থেকে ট্রলার / স্পিড বোটে চেপে আসতে হবে মহেশখালী।

ভাড়া নিবে-৭৫ টাকা জনপ্রতি ( স্পিড বোট), ট্রলার ৪০ টাকা, সময় নিবে ৪০ মিনিট।
সেখানে ৩০০/৪০০ টাকায় অটো রিজার্ভ করে মহেশখালী ঘুরে এসে সন্ধ্যায় চলে আসুন আপনার হোটেলে।

কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে বার্মিজ মার্কেট থেকে মা-বোনদের ঝিনুকের গয়না গাটি, দাদীর জন্যে আচার - শুটকী কিনে নিতে পারেন।
রাত ১০ টায় আবারো হানিফ পরিবহনে উঠে পড়েন। পরদিন সকাল ৭ টায় আলেয়াবাদ বাস স্ট্যান্ডে নিজেকে খুঁজে পাবেন -ইনশাল্লাহ।

বি.দ্রঃ পাতলা পায়খানা, পেটে গ্যাস, বমি, খাউজানি( চুলকানি), মৃগী রোগ/ মৃরিগী ব্যারাম / মাজা ব্যথা.. প্রভৃতি রোগ না জানিয়েই হঠাত আসে ভূমিকম্পের মতো, তাই এগুলোর ঔষধ অবশ্যই ট্রাভেল ব্যাগে রাখবেন, সাথে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি অবশ্যই রাখবেন। ২/৩ টা পলিথিন ব্যাগ রাখবেন সাথে , এতে সাগরে ভিজা কাপড়গুলো ভাজ করে নিয়ে আসতে পারবেন, তাতে আপনার ব্যাগে রাখা শুকনো কাপড় গুলো নষ্ট হবে না।

হোটেলে প্রবেশ করে ওয়ারড্রব, আলমারির প্রতিটা ড্র‍্য়ার, তোষকের কর্ণার, প্রথমেই চেক করে নিবেন- অবৈধ কোন জিনিস বা মাদক দ্রব্য আছে কিনা। নতুবা এগুলো দিয়ে আপনার অজান্তেই যেকোন মুহূর্তে আপনি নিজেই ফেসে যেতে পারেন!

( যাদের বাসে বমি করার অভ্যাস আছে, তারা এতো দূর ভ্রমণ না করে নবীনগরের তিতাস পাড়, রসুলপুর, সলিমগঞ্জ এর এমপি টিলা দেখে আসুন, কক্সবাজার ভ্রমণের স্বাদ কিছুটা হলেও মিটবে।)

শুভ যাত্রা। সংগৃহীত

Address

Chattogram
Chittagong
4000

Opening Hours

Monday 10:00 - 23:00
Tuesday 10:00 - 23:00
Wednesday 10:00 - 23:00
Thursday 10:00 - 12:00
Friday 11:00 - 20:00
Saturday 10:00 - 22:00
Sunday 09:00 - 17:00

Telephone

+8801814121365

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Kalpataru Das posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Kalpataru Das:

Share