মৃধা প্রকাশনী

মৃধা প্রকাশনী তরুণ লেখকদের লেখা প্রকাশের বিশ্বস্থ নাম
[email protected]
সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা
(2)

30/01/2025

মির্জাপুরের গল্প আসছে❤️

01/01/2025
বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় শিক্ষকের কাছ থেকে চিঠি — তৌফিক সুলতানপ্রিয়, মাবিন।তোমার এই রেজাল্ট আমাকে কতোখানি আনন্দি...
01/01/2025

বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করায় শিক্ষকের কাছ থেকে চিঠি — তৌফিক সুলতান

প্রিয়, মাবিন।

তোমার এই রেজাল্ট আমাকে কতোখানি আনন্দিত করেছে। হয়তো কখনো বুঝাতে সক্ষম হবো না!! তবে সত্যি আমি অনেক অনেক বেশি সন্তুষ্ট তোমার এই রেজাল্ট আমাকে অনেক বেশি ধন্য করেছে। আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত।

তবে এখানেই যেন থেমে না থাকে- আরও অনেক দূর যেতে হবে। তোমার এই কৃত্বিতের অংশীদার হতে পেরে আমি গর্বিত।

আমি চাই তোমারা এই অগ্রযাত্রা যেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছাতে সক্ষম হয়। কখনো যেন থেমে না যায় তোমার এই সফলতার পথ চলা। আমি জানি তুমি কতোটা মেধাবী তাই এই জ্ঞানকে কাজে লাগাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

একটা বিষয় মনে রাখবে আগামী বিশ্বের ভবিষ্যৎ তোমাদের হাতে।

এটা তোমাদেরকে-ই ঠিক করতে হবে! তোমরা নিজেদেরকে কোন অবস্থানে দেখতে চাও।

তোমরা যেখানেই থাকো আমরা তোমাদের সফলতার কথা অবশ্যই জানবো। তোমরা ভালো আছো এটাই আমাদের জীবনে সব থেকে বড় পাওয়া।

জেনেরেখো, তোমাদের সফলতার কথা আমাদেরকে সব সময় আনন্দিত করবে। একজন শিক্ষকের কাছে সব থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে? আর কিছুই হতে পারে না। যদি কখনো নিজেকে আমাদের অবস্থানে দাঁড় করাতে পারো। তবে সেই দিন; বুঝতে পারবে একজন শিক্ষার্থীর সফলতা শিক্ষকের কাছে কতোটা আনন্দের।

কখনো ভেঙ্গে পরবে না এমনকি কোনো ভুল করলেও না। ভুল বোঝতে পারার সাথে সাথে তা সংশোধন করে নিবে। নিজেকে এমন ভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে যেন কেউ তোমাকে ভাঙতে না পারে।

তোমার সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটা তথ্য শেয়ার করি, কোনো এক উল্লেখ যোগ্য ব্যাক্তি বলেছিলেন। শিক্ষক জাতি গঠনের সুদক্ষ শিল্পী,নিপুণ কারিগর।একজন শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলেন শিক্ষক। শিক্ষার্থীর জীব সত্ত্বাকে মানব সত্ত্বায় উন্নীত করেন তিনি।শিশুর জন্মের পর কেবলি সে এক জীব বা প্রাণী।মানুষের আকার আকৃতি সম্পন্ন হলে ও তার পশু সত্তা তখনো প্রবল থাকে।শিক্ষকের সান্নিধ্যে আসার পর ধীরে ধীরে তার মানব সত্ত্বা বিকশিত হতে শুরু করে।

একমাত্র শিক্ষাই মানুষকে মানব সত্ত্বার পথে ধাবিত করে।আর যিনি শিক্ষা দেন, তিনিই শিক্ষক।হযরত মুহম্মদ (সঃ) থেকে শুরু করে যত নবী- রাসূল ও মহামানব এ পৃথিবীতে আবির্ভুত হয়েছিলেন,তাঁরা সকলেই মানুষের জন্য একেক জন শিক্ষক হয়ে এসেছিলেন।সক্রেটিস, প্লেটা, এরিস্টটল- এঁরা সকলেই মূলতঃ একেকজন বিশ্ব বরৈণ্য শিক্ষক ছিলেন।স্বামী বিবেকানন্দ, মহাত্মা গান্ধি, মাদার তেরেসা প্রমুখের ধ্যান ধারণা ও চিন্তা চেতনা মানুষকে যুগে যুগে অনুপ্রাণিত করবে।

প্রকৃতপক্ষে, পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে এ পর্যন্ত মানব সভ্যতা যতটুকু বিকশিত ও পরিস্ফুটিত হয়েছে, তা শিক্ষকদের হাত ধরেই হয়েছে।

এতোসব কথা তোমাকে বলার কারণ হলো জীবনে যাই করো না কেন!! তুমি ভালো যা কিছু শিখবে তা ছোটদের শেখানোর চেষ্টা করবে। এতে করে তোমার আলোতে ওরাও আলোকিত হতে পারবে। তোমারও বিষয়টা চর্চা হয়ে যাবে। আর অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নোট করে রাখবে।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘সে সময়ের জন্য আমি তোমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়ে রাখছি। লোকেরা তোমাদের কাছে ইলম শিখতে এলে ও ধর্মীয় জ্ঞান লাভে আগমন করলে— তাদের সাদর স্বাগত জানাবে। সহমর্মিতা, স্নেহ-মায়া আর সৌহার্দ্যরে প্রীতি ডোরে আবদ্ধ করে নেবে। কল্যাণকামিতা ও সহযোগিতায় তাদের পাশে থাকবে।

তোমাদের প্রতি কিছু উপদেশ:

— মনে রাখতে হবে সততাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা এবং একতাই বল।

— সত্য যাই হউক আমরা সবাই তা মেনে নিতে বাধ্য।

— সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগী হওয়া তার থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হৃদয়বান হওয়া।

— পৃথিবীতে সব থেকে মূল্যাবন হলো সময় তাই এর যথাযথ মূল্য দেওয়ার চেষ্টা করবে।

- ভুল হওয়া একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। পরবর্তী প্রচেষ্টার ওপর নির্ভর করে সাফল্য।

- নিজেকে অপদার্থ বলার সুযোগ দিও না কাউকে, এমনকি নিজেকেও না।

- নিজের সময়কে উপভোগ করো।

- তুমি যা ভাব তার গুরুত্ব আছে, তুমি যা বলো তার গুরুত্ব আছে, তুমি যা করো তার গুরুত্ব আছে, তোমার গুরুত্ব আছে।

- সফলতা একটি প্রক্রিয়া, ঘটনা নয়। ব্যর্থতা একটি ঘটনা, ব্যক্তি নয়।

- ঝুঁকি নাও এবং ব্যর্থতাকে শেখার সুযোগ হিসেবে নাও। বিনামূল্যে শেখা যায় না।

- ব্যর্থতা মানে সব শেষ নয়, শেখার প্রথম ধাপ।

- তোমার প্রতি অন্যের ব্যবহার দ্বারা তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যই প্রকাশ পায়, তোমার নয়।

- নিজের প্রতি সদয় হও।

প্রিয় মাবিন, তোমার বাবা একটা কথা বলেন একজন ভালোমানুষই, দেশের একজন ভালো নাগরিক।
আমিও সেই কথার সাথে একমত পোষণ করে বলতে চাই,একজন ভালোমানুষ, একজন ভালো সন্তান!একজন ভালো শিক্ষার্থী!!
একজন ভালো শিক্ষার্থী দেশের শক্তি আর বিশ্বের সম্পত্তি। তাই সবথেকে জরুরী একজন ভালো মানুষ ও হৃদয়বান মানুষ হওয়া। এই গুণ তোমার মেধাকে সঠিক ভাবে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে।

অবশ্যই বাবা-মায়ের কথা শুনবে, তারা তোমার জন্য যে সিদ্ধান্ত নিবে তাই তোমার জন্য সব থেকে কল্যাণময়। কখনো বাবা-মা এবং শিক্ষকদের অবাধ্য হবে না। আমি জানি তুমি তোমার বাবাকে অনেক ভালোবাসো এবং তুমি উনার কথার সর্বউচ্চ গুরুত্ব দাও। এই গুণ গুলো যেন তোমার মধ্যে সব সময় বিদ্দমান থাকে। মায়ের কথায় কখনো মনখারাপ করো না। মা-বাবা শিক্ষক উনারা যখন রাগান্বিত হয়ে কথা বলে তা তোমার ভালোর জন্য-ই বলে। সাথে সাথে বিষয়টা বোধগম্য না হলেও একটা নিদিষ্ট সময় পর ঠিকই- বুঝতে পারবে।
সত্যি তোমার বাবা অনেক জ্ঞানী মানুষ উনি যখন কথা বলে তখন আমাদের নীরব থাকতে ইচ্ছে হয়।
সর্বপরি আমি তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামণা করছি। আল্লাহ্ আমাদের মঙ্গল করুন।
আমিন।

তৌফিক সুলতান, সহঃ প্রধান শিক্ষক - ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমি,কাপাসিয়া,গাজীপুর।

01/01/2025

পুরুষ নির্যাতন ও সমাজের রসাত্মক উপস্থাপনা।

বর্তমান সমাজে পুরুষ নির্যাতন একটি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু প্রায়শই উপেক্ষিত সমস্যা। সাধারণত নির্যাতন বলতে নারীর উপর অত্যাচারকে বোঝানো হয়, তবে পুরুষরাও শারীরিক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন। এই বিষয়টি বিভিন্ন কারণে আলোচনার বাইরে থেকে যায়, যেমন সামাজিক স্টেরিওটাইপ, লজ্জা, এবং আইনি ও সামাজিক সমর্থনের অভাব।

পুরুষ নির্যাতনের ধরন:

1. মানসিক নির্যাতন: অপমান, মানহানি, হুমকি দেওয়া, এবং দাম্পত্য জীবনে মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টি।

2. শারীরিক নির্যাতন: শারীরিকভাবে আঘাত করা বা শাস্তি দেওয়া।অনেক সময় খেলাচ্ছলেও আঘাত করা হয় এবং অবলা নারী এই ট্যাবু ব্যবহার করে বিচারের দেয়াল ভেঙে ফেলা হয়।

3. অর্থনৈতিক নির্যাতন: জোর করে উপার্জিত অর্থ কেড়ে নেওয়া বা আর্থিকভাবে নির্ভরশীল করে রাখা। অনেক সময় দেখা যায় সাধ্যের বাইরে এমন কিছু জিনিস দাবি করা হয় যেটা পূরণ করতে পুরুষ সঙ্গীটিকে অনৈতিক পথে পা বাড়াতে হয়।এবং সংসারে শান্তি রক্ষার্থে অবচেতন মনে তাকে এ কাজ প্রতিনিয়ত চালিয়ে যেতে হয়।

4. আইনি হয়রানি: মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া, বিশেষত পারিবারিক আইন বা যৌতুক সংক্রান্ত মামলায়।নির্যাতনের শিকার না হয়েও মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা সহ পরকীয়া ইত্যাদিতে জড়িত এহেন মিথ্যাচার ও দেখা যায়।

সমস্যার মূল কারণ:

1. সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি: সমাজে পুরুষদের "সবকিছু সহ্য করার ক্ষমতাবান" বলে ধরে নেওয়া হয়। প্রচলিত বচনে বলা হয় " পুরুষের কাঁদতে নেই"। এ কথা দ্বারা তার অনুভূতি অগ্রাহ্য করা হয় বলে আমি মনে করি।

2. আইনি সীমাবদ্ধতা: অধিকাংশ দেশে নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষদের জন্য বিশেষ আইন নেই।কোনো মহিলা বিয়ের আগে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েও পরবর্তীতে চাইলে পুরুষসঙ্গীদের বিরুদ্ধে আইনি আশ্রয় নিতে পারেন।কিন্তু একজন বিবাহিত পুরুষ তার স্ত্রীর দ্বারা প্রতারিত হলেও এখানেও তার কোনো সঠিক সুরাহা মেলে না।
নীতি - নির্ধারক যা আছেন তাদের এই বিষয়টি আমলে নেওয়া উচিত।শুধু সমান অধিকার বলে গলাবাজি করে নারীর একচ্ছত্র ক্ষমতায়ন না করে সমতার বিষয়টি নজরে আনলে সমাজের বিশেষ অবগতি হয়।

3. সাহসের অভাব: লজ্জা বা সামাজিক মর্যাদার কারণে পুরুষরা নির্যাতনের কথা প্রকাশ করতে ভয় পান।কিছুদিন আগে একটা নিউজ দেখছিলাম স্ত্রীর করা আঘাতে স্বামীর মাথায় পাঁচটি সেলাই লাগছে। এবং সেটা বেশ হাস্যরসাত্মক ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরাঘুরি করছে।কিন্তু একবার ভেবে দেখেন ঘটনাটা বিপরীত হলে, সহানুভূতির বন্যা বয়ে যেত এবং আইনি প্রক্রিয়াও যথাযথভাবে চলত।( যেটা আসলেই উচিত,তবে নারী- পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য)।

প্রতিকারের উপায়:

1. সচেতনতা বৃদ্ধি: পুরুষ নির্যাতন সম্পর্কে আলোচনা করা এবং বিষয়টি সামাজিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।হাস্যরস বা কৌতুকের মতো করে উপস্থাপন না করা।

2. আইনি সহায়তা: নিরপেক্ষ আইন তৈরি করা, যা নারী ও পুরুষ উভয়ের অধিকার নিশ্চিত করবে এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বস্তি দান করতে সক্ষম হবে।

3. মানসিক সমর্থন: পুরুষদের জন্য কাউন্সেলিং সেন্টার বা হেল্পলাইন চালু করা। পরিবার এবং বন্ধুদের ও পরমতসহিষ্ণু মনোভাব রাখতে হবে এবং কৌতুকতা বর্জন করে সমস্যাগুলোকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সমাধানের পথ খোজার প্রয়াস চালাতে হবে।

4. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: শিশুদের ছোটবেলা থেকেই সমান অধিকার এবং সম্মানের মূল্যবোধ শেখানো। পরমতসহিষ্ণুতা, অনুভূতির মূল্যায়ন এবং মানুষকে লিঙ্গ ভেদে আলাদা না করে মানুষ হিসেবে দেখার মনোভাব তৈরি করতে হবে।

পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা প্রয়োজন, যাতে সমাজে প্রকৃত ন্যায়বিচার ও সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।এবং সকলে একটি সুখী,সমৃদ্ধ এবং নিরাপদ পরিবার ও সমাজের নিশ্চয়তা পায়।

শাম্মী আক্তার
ইতিহাস বিভাগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

31/12/2024

সবাইকে নতুন বছর ২০২৫ এর শুভেচ্ছা ❤️

31/12/2024
31/12/2024

'আত্ম আহরণ'

"হে প্রভু,
একটি অগ্নিশিখা দাও মোরে,
জ্বালিয়ে-ভষ্মে কালো দাগ মুছে ফেলি অন্দরে!"
তিনি দিলেন একফোঁটা সিক্ত বারি,
"কী করিয়া পৃষ্ঠ বরিয়া ধরিলা মোর আড়ি?"
বলিলেন,
"দিয়েছি যাহা
বরিয়া লও না তাহা
ধুয়ে-মুছে ফেলিয়া দাও ময়লাগুলি,
আর অন্দরটাকে বানাও শিমুল-তুলি।
অগ্নিশিখার তাপ
জ্বলিবে ধুপধাপ
পুড়িবে ময়লাগুলি-পুড়িবে কেতনের দাগ,
রক্ষিবেনা দেহ-রক্ষিবেনা দেহের বাগ!"

লেখক:মিরাজ হোসাইন
দর্শন বিভাগ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
[email protected]

 #সম্পর্কে_দুরত্ব_বাড়ে_কেন?অনেক কিছু ভাবতে পারি,অনুভব করতে পারি,চোখের সামনে ভিজুয়ালাইজ করতে পারি, কিন্তু কখনো সেটা কাউকে...
08/12/2024

#সম্পর্কে_দুরত্ব_বাড়ে_কেন?

অনেক কিছু ভাবতে পারি,অনুভব করতে পারি,চোখের সামনে ভিজুয়ালাইজ করতে পারি, কিন্তু কখনো সেটা কাউকে এক্সপ্লেইন করতে পারিনা,যেভাবে বোঝাতে চাই সেভাবে পারিনা।আসলে চিন্তা করতেই সাচ্ছন্দ্য বোধ করি,মানুষকে বুঝিয়ে কি হবে? মানুষ তো সিরিয়াসলি নেবে না আপনাকে।ধরুন কখনো আপনার মন খারাপ,ভীষণ ভাবে,আপনার চোখ,কথা বলার ধরন,গলার স্বর শুনেও যদি আপনার আপনজন বুঝতে না পারে যে আপনি ঠিক কেমন আছেন, তাহলে আপনার তাকে আলাদা করে আর বোঝানোর দরকার নাই আপনি কেমন আছেন।আমাদের মাঝে এমন কিছু সম্পর্ক থাকে প্রেম ভালোবাসা কিংবা বিয়ে, এই সম্পর্কগুলোতে ফাটল ধরার কিছু সুপ্ত কারণ আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। হয়তো ভাবতে পারেন এত ছোট ছোট বিষয় কি করে একটা সম্পর্কের দুরত্ব বাড়িয়ে তা ইতি টানতে পারে!কোন মানুষ পারফেক্ট হয় না,কোন না কোন দিক দিয়ে তার খুত থাকবে,আমরা কি পারিনা সেই বিষয় টা মানিয়ে নিতে? একটা সম্পর্কে আমাদের অনেক রাগ,অভিমান, অভিযোগ তৈরি হয়,সেই বিষয় টাকে বড় করে না দেখে আমরা সেটাকে দুজন মিলে কথা বলে ঠিক করতে পারি,এতে যেমন দুজনের মতামতের গুরুত্ব বাড়ে তেমন সম্পর্ক কোন দ্বিধা থাকেনা।এরপর আসি,কে কাকে কতটুকু বোঝে? বা বুঝতে চেষ্টা করেনা কেন? আমাদের উচিত একটা সম্পর্ক দুজন দুজন কে সমান ভাবে বোঝা, দেখা যাচ্ছে একজন একটা বিষয় নিয়ে খুব বেশি ডিপ্রেশনে আছে,অপরজনও একই পরিস্থিতি তে ভুগছে,কিন্তু একজনের যখন নিজেকে সাপোর্ট করার জন্য তার সঙ্গীর দরকার হয়,তখন সে নিজেকে সামলে নিয়ে তার সঙ্গীকে মানসিক ভাবে সাপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করছে,তার হ্যাপিনেস খুঁজে বের করার ট্রাই করছে,অথচ যার জন্য এতকিছু করা হচ্ছে সে সাপোর্ট দেয়া মানুষটার উপর রাগ করছে,তাকে গালাগাল দিচ্ছে, তারপরেও সেই মানুষ টা চেষ্টা করছে তাকে একটু নরমাল করার,সে কি করলে ভালো থাকবে সেটা করার।মেয়েরা একটু আবেগী,এদের অভিমান থাকবে তা অস্বাভাবিক কিছু নয়,কিন্তু তার অভিমান যদি না বোঝে,এটা যদি তার সঙ্গীর কাছে বিরক্তির কারণ হয়,সেটার ক্ষেত্রেও সম্পর্ক দুরত্ব বাড়ে।কিছু ছোট ছোট বিষয় যেমন একটা সম্পর্ক ভালোবাসা বাড়ায় তেমন কমিয়েও দিতে পারে।যেমন,আপনি খেয়েছেন কিনা?মন ভালো আছে কিনা,মন খারাপ আছে,সবকিছু একটা মানুষ খেয়াল করছে,আপনাকে একটু হ্যাপি করতে চাইছে কোনভাবে কিন্তু আপনি তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, আপনি তাকে জিজ্ঞেস করছেন না সে খেয়েছে কিনা,তার খারাপ লাগছে কিনা।আপনার কাছে তার কোন মূল্যায়ন নেই,সে কি বলছে,কি করছে,আপনার কিছু আসে যায় না।অথচ অপর পক্ষের মানুষ টা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে আপনাকে সুখী করার কিন্তু আপনি তাকে বুঝতেও চেষ্টা করছেন না।একটা বার ভাবুন তো সেই মানুষ টা তার কথা কাউকে বলতে পারছে না,আপনাকে সে যেভাবে হ্যাপি করার ট্রাই করছে,তাকে কেউ করছে না,এতকিছুর পরেও সে কোন অভিযোগ করছে না,সে আপনাকে নিয়ে ভাবছে।তারপরও সেই মানুষ টা অবহেলা পাচ্ছে, খারাপ ব্যবহার পাচ্ছে। কিন্তু তবুও আপনাকে ছেড়ে যাচ্ছে না।কিন্তু সে ধীরে ধীরে চুপ হয়ে যাচ্ছে, ব্যবহারে পরিবর্তন এসেছে,রাগ, অভিমান,অভিযোগ কিছুই করছে না।তখন বুঝতে পারবেন মানুষ টা হারিয়ে যাচ্ছে, সেই মানুষ টা ভিতরে ভিতরে দুমরে মুচরে যাচ্ছে, একটা সম্পর্কে দুজনের মাঝে সব থাকবে,কিন্তু অতিরিক্ত আত্ন অহমিকা থাকা উচিত নয়,মাঝে মাঝে ছোট হলে ভালবাসা কমে না বরং বাড়ে,একটা মানুষ যতই ম্যাচিউর হোক না কেন,তার ভালোবাসার মানুষের কাছে ভুল করার জিনিস,ভালোবাসা মানেই একটু আধটু পাগলামী,এখানে ম্যাচিউরিটি খোঁজা উচিত নয়।যদি খুঁজতে হয় সেটা আর ভালোবাসা থাকে না।মানুষ ভালোবাসায় শুধু শারীরিক সুখ না,মানসিক প্রশান্তি খোঁজে,ভালোবাসার মানুষের কাছে যদি বাচ্চামি না করে তাহলে কার সাথে করবে?এসব বিষয় যাদের কাছে ন্যাকামি মনে হয় তাদের কোন সম্পর্কে না জড়ানোই উচিৎ। যুগটাই এখন ছেড়ে যাওয়ার, আমরা পারিনা মানিয়ে নিতে।পারি আমাদের ইগোকে মূখ্য করে তুলতে।দুজন দুজন কে মানিয়ে চলতে পারলে সম্পর্ক কখনো ঠুনকো হয়ে যায় না,একজন বুঝবে আরেকজন বুঝবেনা, জানতে চাইবেনা,এভাবে তো দায়সারা হয়।ভালোবাসা না,এতে করে বাড়ে দুরত্ব কমে ভালোবাসা,এমনকি সম্পর্ক আনে বিচ্ছেদ বিষাদ!

✍️সুমাইয়া নূর

শিক্ষিত মায়ে'রাই পারে সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হতে - তৌফিক সুলতান। ভালো নারীর সংজ্ঞা হলো ভালো মা তবে টাকা পয়সা কখনো একট...
08/12/2024

শিক্ষিত মায়ে'রাই পারে সুন্দর সমাজ গঠনের হাতিয়ার হতে - তৌফিক সুলতান।

ভালো নারীর সংজ্ঞা হলো ভালো মা তবে টাকা পয়সা কখনো একটা নারীর সফলতা হতে পারে না!
মায়েরা হলো পৃথিবীর মতো (ধরিত্রী) পৃথিবীর মধ্যে কোথাও কেউ রাগ করলে কেবল ঐ স্থানের'ই ক্ষয়-ক্ষতি সাধন হয়। যা হয়তো একটা সময় পর আবার সংস্কার ও করে ফেলা যায় কিন্তু ধরিত্রী রাগ করলে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবীর মধ্যে অবস্থানরত সব কিছু যার প্রভাব হয়তো ছড়িয়ে পরবে তার আশপাশের গ্রহ গুলোতেও—
তাই মায়েদের রাগ করতে নেই মায়েরা রাগ করলে পরিবার, সমাজ, সংসার সবকিছুতে ধসনামে।
নারীর সফলতা ভালো মা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে তবে,
কিছু কিছু নারী আছে যারা হয়তো টাকা উপার্জন করে, তাদের অহমিকা এমন পর্যায়ের ফলশ্রুতিতে তারা পুরুষের ঊর্ধ্বে মনে করে। তারই ফলস্বরূপ একসাথে চারজন স্বামী রাখার ইচ্ছে করে প্রকাশ। সন্তান হলে কি হবে তার পিতৃ পরিচয়? উপস্থাপিকার এমন প্রশ্নে নারী তখন হতাশ। নিজের অযাচিত বিষয় কে প্রতিষ্ঠিত করতে অযুক্তি ভাবে বলতে থাকে কথা। উপস্থাপিকা যদিও নারী তবে উশৃংখল নয়,অহংকারে ঘটে ক্ষয়;শিক্ষিত মা দিয়ে শিক্ষিত জাতি হয়!ভালোবাসলে ভালোবাসা পাবে যে প্রথা।

টাকা উপার্জিত অহমিকানারী সন্তান লাভের পরও মাতৃত্ব হারায়,পুষ্ট গাছও যত্নের অভাবে অযত্নে মারা যায়।

আপনি যদি কোনো অফিসের বস হয়ে থাকেন মানে ধরেন এম.ডি যার কাজ অফিসের ইনডোরে এসিতে বসে কর্মচারীরা ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা দেখা। কর্মচারীর সুবিধা অসুবিধার খেয়াল রাখা। আপনার কোম্পানির ভালো মন্দ সম্পর্কে পরিকল্পনা করা সমস্যা সমাধান করা। ব্যবসার কর্মক্ষমতা তত্ত্বাবধান করা,সকল বিষয়ে নির্দেশ প্রদান ও ভালমন্দের দিকগুলো বিবেচনা বা দেখাশোনা করা,সুশৃঙ্খলভাবে দলের বা গোষ্ঠীর ব্যবসা পরিচালনা করা, ইত্যাদি সব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এখন আপনি যদি আপনার দ্বায়িত্ব পালন না করে কঠোর পরিশ্রমী হয়ে মাটি কাটতে শুরু করেন। আপনার সব কাজ ফেলে আপনি যদি মাটি কাঁটার মতো কঠিন কাজ করে টাকা উপার্জন করে থাকেন আর নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করেন আপনার কাছে কি মনে হয় আপনি অনেক বুদ্ধিমান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পরিশ্রমী মানুষ!! মোটেও না৷ আপনি যাদের পিছনে টাকা খরচ করছেন যাদের সাথে মাটি কাটছেন তারা হয়তো আপনাকে বাহ্-বা দিচ্ছে। কিন্তু আপনার অবস্থা হলো সেই বাঘিনীর মতো যে কি?না! বাঘের জন্মদেয় অথচ ছাগলের পালের সাথে থেকে নিজেকে ছাগলদের একজন ভাবতে শুরু করে। আর আল্লাহ্ কাছে দোয়া করে হে আল্লাহ্ আমাকে শিং দাও কিন্তু জেনে রাখেন আপনার এমন দোয়া আল্লাহ্ কাছে কবুল যোগ্য নহে।নিশ্চয়ই তা আপনিও বুঝতে পারছেন!! কিন্তু মেনে নিবেন না কারণ আপনাদের ইগো বেশি আর নিজেদেরকে সবার ঊর্ধ্বে মনে করেন নিজেকে একছত্রঅধিপতি মনে করতেও দ্বিধান্বিত হন না। নিজেরা সমস্যা সৃষ্টি করেন আর এর দায়ভার অন্যের উপর চাপিয়ে দেন আর গল্প এমন ভাবে তৈরি করেন। যেন মনে হয় আপনি নির্দোষী এক পবিত্র রমনী যাকে ফেরেশতা বললেও ফেরেশতাদের পাপ হবে।
একদিন নিশ্চয়ই এই অবসাদের সমাপ্তি ঘটবে সেইদিন কি কোনো জবাব থাকবে আপনার কাছে—?

আপনি কি মুরগি আর মোরগ এর মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করেন নি?
মোরগ আর মুরগির মধ্যে পার্থক্য কি জানেন? খেয়াল করলে দেখবেন মুরগি তার বাচ্চাদের যত্ননেয় খেয়াল রাখে আর মোরগ স্বাধীন ভাবে ঘুরাঘুরি করে। কিন্তু নিজের অবস্থান ত্যাগ করে আপনিও যদি মোরগ এর মতো আচরণ করেন তবে জেনে রাখেন ব্যাহত হবে আপনাদের বংশ ধারা।

শিক্ষিত জাতি গঠনে মায়েদের ভুমিকা অনস্বীকার্য; মায়েরা যদি নিজের সন্তান কে মানুষ করা শিক্ষিত করে গড়ে তুলার বিষয়ে মনোযোগী হয়। তবে জাতির পরিবর্তন আসবে। তবে এই সমাজ ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে নারীদের বেহায়াপনার জন্য। পরকীয়ার মতো অশ্লীল কাজে যুক্ত হচ্ছে নারী সমাজ এমন সব নারীরাও নিজেকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যাদের দুই,তিন টা সন্তান আছে চিন্তাও করছে না কি হবে সেই সব সন্তানদের। চমৎকার যুক্তি দ্বারা আবার তার বৈধতাও নিশ্চিত করছে।পরকীয়া করে এই অবৈধ সম্পর্ককে বৈধতা দিচ্ছে বিয়ের মাধ্যমে কেউ কেউ করছে লিভ-টুগেদার নিচ্ছেনা সন্তানের দায়ভার চাপিয়ে দিচ্ছে বাবার উপর। কিন্তু সব বাবারা রাখছে না সন্তানের খোঁজ এইভাবে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে সমাজের উল্লেখযোগ্য একাংশ।

২০২২ সালের মানবজমিনের এক রিপোর্ট বলছে ঢাকায় লিভ টুগেদার গ্রুপ, সদস্য হাজার ছাড়িয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক তৌহিদুল হক বলেছিলেন, দুনিয়ার সব দেশেই কমবেশি এমন ঘটনা আছে। তবে একেক দেশের ধরন ও চর্চা একেক রকম। কারণ, ধর্মীয় ও সংস্কৃতির মূল্যবোধ প্রতিটি দেশে ভিন্ন ভিন্নভাবে পরিচালিত হয়। অনেকেই পরিবার গঠন করে তার শারীরিক চাহিদা মেটাতে চায় না। এর মূল কারণ হলো- পরিবার মানে দায়িত্ব, আত্মত্যাগ, শেয়ার করা। এখানে একে অন্যের দায়িত্ব নিতে হয়। পছন্দ না হলেও অনেক কিছু মেনে নিতে হয়। সেক্রিফাইস করতে হয়। একটা সময় মানুষ পতিতালয় বা সেক্সহাউজে গিয়ে তার শারীরিক চাহিদা মেটাতো। কিন্তু এখন এই বিষয়গুলোকে আরও আধুনিক ও সহজ করে লিভ টুগেদার পন্থা বলা হয়। এক্ষেত্রে দেখা যায়, মানুষ তার পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে শারীরিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি একাকিত্ব সময়টাও ভালোভাবে কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের সমাজে বেশি উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বিয়ে করার প্রবণতা কমে গেছে। সবাই যে লিভ টুগেদার করছে- এমনটাও না। বিয়ে না করে থাকা বা লিভ টুগেদার কোনোটাকেই আমরা ইতিবাচক ভাবি না।

ইমাম গাজ্জালি (রহ.)- লিখেছিলেন,
শিশু মা-বাবার কাছে আমানত ও তার অন্তর মূল্যবান মণিমুক্তাতুল্য। তা শূন্য ক্যানভাসের মতো পবিত্র ও নির্মল। তা যেকোনো চিত্রের জন্যই উপযোগী এবং তাকে যেদিকে ইচ্ছা ফেরানো যায়। তাকে যদি ভালো কাজের শিক্ষা দেওয়া হয়, তবে সে দুনিয়া ও আখিরাতের সৌভাগ্যবান হবে। আর যদি তাকে মন্দ কাজে অভ্যস্ত করা হয় বা পশুর মতো অবজ্ঞা ও উপেক্ষা করা হয়, তবে সে হতভাগ্য ও ধ্বংস হবে। শিশুর রক্ষণাবেক্ষণ হলো তাকে আদবকায়দা ও শিষ্টাচার এবং উন্নত চারিত্রিক গুণাবলি শিক্ষা দেওয়া। (ইউসুফ আল হাসান, আল ওয়াজিজ ফিত-তারবিয়্যাহ)

সন্তান জীবনের শোভন ও সৌন্দর্য। সুসন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। সন্তানের চোখে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেন মা-বাবা। আদর্শ সন্তানের মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মান বৃদ্ধি হয় তাঁদের।
মৃত্যুর পরও তার সুফল পেতে থাকেন অনন্তকাল। পবিত্র কোরআনে সন্তানকে আল্লাহ তাআলা জীবনের সৌন্দর্য হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘সম্পদ ও সন্তান পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য।’ (সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৪৬)

শিশুদের কে কখনো তুচ্ছ -তাচ্ছিল্য করবেন না!
কোন খারাপ উদাহরণ দেবেন না তার বাবা,মা অথবা দাদা যদি খারাপ ব্যাক্তি হয়ে থাকে।
তাহলে তাকে এই সব বলে কষ্ট দিবেন না যে তুই তর বাবার মতোই হইছোস,মা যেমন মেয়ে তো এমনই হবে। দাদা যেমন বজ্জাত ছিলো সে ঐ রকম বজ্জাত হইছে ইত্যাদি। শুধু এই সবই না কারোর মন খারাপ হয় এমন কথা বলা থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখবো। কাউকে কষ্ট দিবো না এমন অঙ্গিকার করলে সমাজের সৌন্দর্য ফিরে আসবে বলে আশা করছি। মানুষ বিপথে যাওয়ার অন্যতম একটা কারণ হলো মানুষের দ্বারা কষ্ট পাওয়া। মায়েরা যদি সন্তান নিয়ে ভবিষ্যৎ দেখতে শুরু করে তবে আশাকরি সামনে এমন একটা প্রজন্ম আসবে যারা সুন্দর বিশ্ব নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

দৃষ্টি আকর্ষণ করছি রাষ্ট্র পরিচালকদের সমাজ সংস্কারে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
সমাজে ছড়িয়ে দিন শিক্ষার আলো অসমাজিকতা বন্ধ হউক এর কেন্দ্র থেকে এই প্রত্যাশা করছি।

তৌফিক সুলতান- সভাপতি, বাংলাদেশ শিক্ষা পরিষদ।
শিক্ষক - ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল। এবং সাবেক দপ্তর সম্পাদক - বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম।
[email protected]

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুফল ও কুফল-ফাহমিদা জামানসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বর্তমান বিশ্বের সকল শ্রেণির মানুষ...
06/11/2024

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুফল ও কুফল
-ফাহমিদা জামান

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বর্তমান বিশ্বের সকল শ্রেণির মানুষের কাছে একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটির সাহায্যে আমরা একে অন্যের সাথে সহজে সংযুক্ত হতে পারি, তথ্য আদান প্রদান করতে পারি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে আমরা ঘরে বসে এখন সকল ধরনের পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে পারি খুব সহজে। এছাড়া গ্রামে বসেও দেশের স্বনামধন্য শিক্ষকদের ক্লাস শুনতে ও শিখতে পারি। এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারা আমরা বিশ্বে ঘটমান প্রতিটি মুহূর্তের সংবাদ জানতে পারি। তবে এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একদিকে যেমনি অনেক ভালো দিক রয়েছে অন্যদিকে তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে । এটির অপব্যবহারের মাধ্যমে খারাপ মানসিকতার মানুষরা খুব সহজেই গুজব ছড়াচ্ছে যার দ্বারা প্রতিনিয়ত আতংকিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোনো একজন মানুষ বিনোদনের চলে পুকুরে মরে ভেসে উঠা একটি মাছের দূর থেকে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে দিলেন যে মানুষ মরে ভেসে উঠেছে। এখানে কোনটা সঠিক তথ্য আর কোনটা ভুয়া তথ্য তা মানুষ বুঝতেই পারে না। ফলে দেখা যায় , সাধারণ মানুষ সঠিক তথ্যটি এড়িয়ে ভুয়া তথ্য নিয়ে বেশি আলোচনা- সমালোচনা করছেন। তাছাড়া অনেক দক্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারী এর অপব্যবহার করে অন্যের আইডি হ্যাক করে তার বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য ইন্টারনেট জগতে ছড়িয়ে দেয়। এতে একদিকে যেমন সে মানুষটির মানসম্মান নষ্ট হতে পারে আবার অন্যদিকে অনেক সময় আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। আবার দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী প্রয়োজনের তুলনায় অধিক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করে। ফলাফল স্বরূপ সে তার মূল লক্ষ্য থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে একটি নির্দিষ্ট সময়ে এসে তার মধ্যে পাহাড় সমান হতাশা কাজ করে।

আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আজ এতটাই আসক্ত যে আমাদের পাশে বসা আত্মীয় কিংবা অনাত্মীয় মানুষটি কেমন আছেন বা কী সমস্যা সেটুকু জিজ্ঞেস করার সময়টুকু পায় না। আবার আমরা কেমন আছি তারাও সেটা জিজ্ঞেস করার চেষ্টা করে না। মজার বিষয় হচ্ছে, আমরা কেমন আছি, কী করছি এবং কোথায় যাচ্ছি এই বিষয় গুলো পরিবারের কাউকে অবগত না করলেও নিজের ফেসবুক ওয়ালে কিন্তু ঠিকই পোস্ট করছি। আর এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি আমাদের কাছের মানুষদের থেকেও দূরত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে।

আমরা যেন তাদের পাশে থেকেও অনেক দূরে অবস্থান করছি। এতে করে আমাদের সমাজে নানান নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদ, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি, সামাজিক নানান অপকর্ম এবং ইভটিজিংয়ের মতো অপরাধ গুলো যেনো এখন ডিজিটাল রূপে হচ্ছে। পূর্বে আমরা যে সময়টুকু আমাদের প্রিয়জনদের দিতাম বর্তমানে সে সময়টুকু অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অতিবাহিত করি। এতে করে আমাদের বন্ধন দিনে দিনে অবনতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। তাই আমাদের সকলের উচিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার করা।

লেখক পরিচিতি,

ফাহমিদা জামান
শিক্ষার্থী বাংলা বিভাগ- অনার্স প্রথম বর্ষ
চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ।

01/11/2024
01/11/2024

সরকারি মহলের প্রতিহিংসার দাবানলে সাধারন জনগন

বাংলাদেশের সরকারের মেয়াদ ৫ বছর এ সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। ৫ বছর পর পুনরায় নির্বাচন এর ব্যবস্থা করে থাকেন নির্বাচন কমিশন।অনেক সময় বিভিন্ন কারনে জনগনের জনপ্রিয়তা হারায় পূর্বের সরকার। জনগনের সংখ্যাগরিষ্ট ভোটে নতুন সরকার এর আগমন ঘটে। পূর্ববর্তী সরকার দেশ ও জনগনের কল্যানে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্ম পরিকল্পনা গ্রহন ও তা বাস্তবায়ন করে থাকেন। সকল কাজ ৫ বছরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আবার দেখা যায় নির্বাচন আশার অন্তিম লগ্নে সরকারি মহল উন্নয়নমুলক কাজ করতে তৎপর হয়ে ওঠে যাতে করে জনগনের সমর্থন লাভ করা যায়। পরবর্তী মেয়াদে সরকারি পথ ধরে রাখার চেষ্টা।এতে করে একটি বড় ধরনের উন্নয়নমুলক কাজের অংশ রয়ে যায় অসমাপ্ত। নতুন সরকারের আগমনে পুরনো সব কর্মপরিকল্পনা ও চলমান কাজ বন্ধ করে দিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা গ্রহন ও তা বাস্তবায়নে কাজ করে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে কালো ছায়া ভর করে। দেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে নিপতিত হয়। কারন দেখা যায় পূর্বের সরকারের পরিচালিত উন্নয়নমুলক অবকাঠামোর চার ভাগের তিন ভাগ সম্পূর্ণ হয়েছিল। যেখানে ব্যয় করা হয়েছে হাজার কোটি টাকা। আর এক ভাগ কাজ সম্পূর্ণ হলেই অবকাঠামোটি ব্যবহার করে উঠিয়ে আনা যেত খরচ কৃত অর্থের বড় একটা অংশ। এখন তা দেখে চোখের শান্তি দেওয়া ছাড়া কোনো কাজে আসবে না। এই অবকাঠামো করতে বিদেশ থেকে ঋণ করেছেন সরকার। যা কয়েক ধাপে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করার সন্ধি করেছেন। যা পরবর্তী সরকারকে বহন করতে হয়। পরবর্তি সরকার টাকা পরিশোধের জন্য বিভিন্ন সেক্টরের কর বৃদ্ধি করে। মানুষের বেতন বৃদ্ধি না পেলেও,করের হার বৃদ্ধি পাওয়াতে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করতে হয় অনেক পরিবারকে। এই ধরনের কাজ কখনোই একটা উন্নয়নশীল দেশের জন্য কাম্য নয়। সরকারি মহলের উচিত দল-বেদল বাদ দিয়ে দেশের সাধারন জনগনের কল্যানে কাজ করা। প্রতিহিংসার বাতাস মানব হৃদয়ে পৌছে না দিয়ে। ধৈর্য্য ও ক্ষমার স্নিগ্ধ বাতাস পৌছে দেওয়া মানুষের অন্তরে।

ইমন হাওলাদার
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

Address

Moydermill Moor, Miah Khan Nagar
Chittagong
4000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মৃধা প্রকাশনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মৃধা প্রকাশনী:

Share

Category