দৈনিক চট্টগ্রাম জেলা

দৈনিক চট্টগ্রাম জেলা দৈনিক চট্টগ্রাম জেলা একটি জনপ্রিয় অনলাইন সংবাদ মাধ্যম।

মানবসেবীদের মিলনমেলায় শেষ হলো কিক ফর কাইন্ডনেস–২০২৫চট্টগ্রাম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ চট্টগ্রামের এশিয়ান স্পোর্টস জোনে দুইদিন...
21/09/2025

মানবসেবীদের মিলনমেলায় শেষ হলো কিক ফর কাইন্ডনেস–২০২৫

চট্টগ্রাম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ চট্টগ্রামের এশিয়ান স্পোর্টস জোনে দুইদিনব্যাপী আয়োজিত কিক ফর কাইন্ডনেস, ১ম যুব রেড ক্রিসেন্ট ফুটব্যাটেল টুর্নামেন্ট–২০২৫ সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্ট আয়োজিত এ টুর্নামেন্টে ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন—দুটি বিভাগে মোট ১৬টি দল অংশগ্রহণ করে।

ফুটবল বিভাগে যুব রেড ক্রিসেন্ট সরকারি মহসিন কলেজ ইউনিট চ্যাম্পিয়ন হয় এবং রানার্স আপ হয় মুক্তদল সদস্যদের নিয়ে গড়া রেড ওয়ারিয়র্স দল। ব্যাডমিন্টন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয় যুব রেড ক্রিসেন্ট সরকারি সিটি কলেজ ইউনিট, আর রানার্স আপ হয় মুক্তদল সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত সাটার স্পার্ক দল।

সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের সেক্রেটারি গোলাম বাকি মাসুদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্টের যুব প্রধান আ.ন.ম. তামজীদ এবং সঞ্চালনা করেন সাংগঠনিক বিভাগীয় প্রধান দীপ্ত ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি ইউনিটের কার্যকরী পর্ষদ সদস্য এইচ.এম. সালাউদ্দিন, নিজাম উল আলম খান, সালাউদ্দিন সাহেদ। এছাড়া প্রাক্তন যুব প্রধান বেনজির বিন ইসলাম খান, আরসিওয়াই অ্যালামনাই চট্টগ্রামের সেক্রেটারি সাইফুল কাদের বিদ্যুৎ, আইসিটি ও মিডিয়া বিভাগীয় প্রধান তন্ময় বড়ুয়া, দুর্যোগ সাড়াপ্রদান বিভাগীয় প্রধান রাকিবুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগীয় প্রধান আসির হামিম ইসমামসহ সিনিয়র যুব স্বেচ্ছাসেবক ও প্রতিযোগী দলসমূহ উপস্থিত ছিলেন।

অতিথিবৃন্দ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন এবং প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল দলকে অভিনন্দন জানান। সভাপতি বলেন, “কিক ফর কাইন্ডনেস কেবল একটি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা নয়, বরং মানবসেবীদের মধ্যে টিম স্পিরিট, সৌহার্দ্য ও নেতৃত্ব গড়ে তোলার একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম।”

চট্টগ্রাম সিটি যুব রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফুটব্যাটেল টুর্নামেন্ট নিয়মিত আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে, যা তরুণদের ক্রীড়ামুখী ও মানবসেবায় অনুপ্রাণিত করবে।

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ক্যাম্পেইন উদ্বোধনে ফারুক-ই আজম বীর প্রতীকটেকসই উন্নয়নে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা জরুরি।টেকসই উন্নয়ন অভি...
15/09/2025

এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের ক্যাম্পেইন উদ্বোধনে ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক

টেকসই উন্নয়নে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা জরুরি।
টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ (এসডিজি) অর্জনে তরুণদের কার্যকর অংশগ্রহণ এখন সময়ের দাবি। পরিবেশ রক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং মানসম্মত শিক্ষার প্রসারে নতুন উদ্যমে এগিয়ে আসতে হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ‘এসডিজি ফেস্টিভাল অফ অ্যাকশন ২০২৫’-এর ক্যাম্পেইন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম বীর প্রতীক।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, "জাতি গঠনে তরুণদের সৃজনশীলতা ও উদ্যোগ অপরিহার্য। এসডিজি বাস্তবায়নে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে নীতিনির্ধারণী স্তর থেকে মাঠপর্যায় পর্যন্ত।"
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব চৌধুরী, ইন্টারন্যাশনাল ইয়ুথ চেইঞ্জমেকারস (আইওয়াইসিএম) চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট লায়ন মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট লিও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক-৬৫, বাংলাদেশ'র রোটার‍্যাক্ট কো-অর্ডিনেটর ওয়াহেদ মুরাদ, এমআরটি ক্লাবের সভাপতি রায়হান ইসমাইল, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সদস্য এহতেশামুল হক, সুয়াইলিম হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আগামী ২৫ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য ‘এসডিজি ফেস্টিভাল অফ অ্যাকশন ২০২৫’ উপলক্ষে থাকবে তরুণবান্ধব ও সমাজকল্যাণমূলক নানা কর্মসূচি। এর মধ্যে রয়েছে-সাইকেল শোভাযাত্রা, পতেঙ্গা সি-বিচে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, পরিবেশবান্ধব ব্যাগ বিতরণ, স্কুল ও কলেজে সবুজ বাগান স্থাপন, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, উদ্ভাবনী মেলা ও ওয়ার্কশপ, নীতি সংলাপ, ‘স্বপ্নচাষী’ শীর্ষক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন প্রভৃতি।

আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এসডিজির ১৭টি অভীষ্ট তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া এবং স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে তাদের উদ্বুদ্ধ করা।

পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণাসংস্কার নিশ্চিত করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি তৈরি করে তারই ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে...
15/09/2025

পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা

সংস্কার নিশ্চিত করে জুলাই সনদের আইনিভিত্তি তৈরি করে তারই ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে
-পীর সাহেব চরমোনাই

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহম্মাদ রেজাউল করীম, পীর সাহেব চরমোনাই আজ ১৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার দুপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আশংকা প্রকাশ করে বলেছেন, জুলাইতে ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়েছে দেশকে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষা করা, রাষ্ট্রের পরতে-পরতে জমা হওয়া ৫৪ বছরের জঞ্জাল দুর করা, ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, সর্বত্র জবাদেহিতা নিশ্চিত করা, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয় ও স্বাধীন করার জন্য মৌলিক সংস্কার করার জন্য এবং দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির শুদ্ধতা আনা ও সকল নাগরিকের ভোটের অধিকার, সম্মান-মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য। অতএব জুলাই পববর্তী বাংলাদেশে “সংস্কার-বিচার ও নির্বাচন” এই ক্রমধারা অনুসরণ করা রক্তের দায় ও অঙ্গিকার। কিন্তু অতীব দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, সংস্কার ও বিচারকে গুরুত্ব না দিয়ে নির্বাচনকে মূখ্য করে তোলা হয়েছে যা দেশকে পুরোনো অশুভ বন্দোবস্তে আবারো নিপতিত করবে বলে আমরা আশংকা করি।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের একটি রাজনৈতিক পক্ষের বক্তব্য-বিবৃতি ও আচরন দেখলে মনে হয়, জুলাইয়ের আন্দোলন হয়েছিলো কেবলই ক্ষমতার পালাবদলের জন্য। আদতে বিগত দিনের রাজনীতিতে এটা পরিস্কার যে, কেবলই নির্বাচন ও ক্ষমতার পালাবদলের জন্য জুলাইয়ের অভ্যুত্থান হয় নাই।

যুগপৎ আন্দোলনের প্রেক্ষাপট সম্পর্কে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা যারা জুলাইতে জীবনকে বাজি রেখে সংগ্রাম করেছি, যারা বাচ্চাদের রক্ত ও জীবন উৎসর্গিত হতে দেখেছি, যারা আহতদের রোনাজারী শুনছি তারা এই পরিস্থিতি মেনে নিতে পারি না। সেই তাকিদ থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়েছে এবং আমরা জুলাইয়ের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট কিছু দাবী নিয়ে যুথবদ্ধ আন্দোলন করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই নানা মাধ্যমে সরকারের নীতি নির্ধারকদের সাথে কথা বলেছি। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেয়ে আমাদেরকে এই রাজপথের কর্মসূচিতে যেতে হচ্ছে।

জুলাই সনদ বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে ১৪ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বর্ধিত মেয়াদও আজ শেষ হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এখনো জুলাই সনদ ঘোষণা করা যায় নাই। জুলাই সনদ নিয়ে অনেক বৈঠক হয়েছে কিন্তু আপনারা লক্ষ করলে দেখবেন,ভবিষ্যত স্বৈরতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করার জন্য অপরিহার্য আইনী সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছানো যায় নাই। একটি নির্দিষ্ট মহল থেকে প্রতিটি ক্ষেত্রে বাঁধা এসেছে। ফলে জুলাইয়ের মুল প্রত্যাশা স্বৈরতন্ত্রকে চিরতরে বিলোপের যে চাহিদা তা পূরণে তেমন প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয় নাই। এমনকি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর চাপে কোন কোন সংস্কারের প্রস্তাব জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত হলেও সেখানে নোট অব ডিসেন্ট দিয়ে এখনই সেটা বাতিলযোগ্য করে রাখা হয়েছে। ফলে জুলাই সনদ কার্যত সংস্কার সম্পর্কিত বিভিন্ন দলের মতামত দলীলে পরিনত হয়েছে। অথচ প্রত্যাশা ছিলো জুলাই সনদ হবে আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণের দিকনির্দেশনা।

নির্বাচনের পরে সংস্কার বাস্তবায়নের বিষয়ে ভিন্নমত জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমরা ৯০ সালেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যৌথ সংস্কার প্রতিজ্ঞা দেখেছি। নির্বাচনের আগেও বিভিন্ন দল ইশতেহার দেয়। সেগুলোতে সুন্দর সুন্দর বানী থাকে। কিন্তু তার কোন আইনি ভিত্তি না থাকায় নির্বাচনের পরে গালভরা সেসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন আর হয় না। জুলাই সনদ ও সংস্কার প্রতিশ্রুতিই হয়ে থাকবে যদি না তার আইনি ভিত্তি নিশ্চিত না করা যায়। আমরা মনে করি, যে কোন গণঅভ্যুত্থানের সার্বভৌম এখতিয়ার থাকে। সেই ক্ষমতা ও এখতিয়ার বলে জুলাই সনদকে এই আমলেই বাস্তবায়ন করতে হবে এবং তারই ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতায় নির্বাচনের পরে কেউ এসে এটা বাস্তবায়ন করবে সেই আশা করা যায় না।
অতএব, দ্রুত সাংবিধানিক আদেশ বা গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদকে আইনসম্মত করতে হবে।

ফ্যাসিবাদের বিচার গতি ও বিস্তৃতি নিয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, আওয়ামী লীগ যে মাত্রায় ও পরিমানে অপরাধ করেছে তা কোন পথভ্রষ্ট রাজনৈতিক দলের অপকর্ম না। বরং মাফিয়াদের মতো সুসংহত ও সংঘবদ্ধ অপরাধ। ফলে তাদের বিচারটাও সেই বিবেচনায় ও সেই মাত্রায় হওয়া বাঞ্জনীয় ছিলো। কিন্তু বিচারের মাত্রা ও গতি দেখে আমরা হতাশা বোধ করছি। নামে মাত্র কয়েকজনকে আটক করে বিচার চলছে। আওয়ামী লীগের মুলহোতারা সবাই দেশের বাইরে বসে নানা রকম চক্রান্ত করেই যাচ্ছে। জেলা ও থানা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতারা এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা কত নির্মম তা কল্পনাও করা যায় না। বর্তমানে বিচারের যে পরিস্থিতি তাতে অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের জীবন ও দেশ হুমকির মুখোমুখি। এমন বাস্তবতায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দাবী করছে যে, ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে এবং বাইরে পালিয়ে থাকা অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। পাচারকৃত টাকা উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও জাপা নিষিদ্ধের বিষয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, পতিত ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপতৎপরতায় জাতি বিষিয়ে ছিলো বিগত পনের বছর। এই লজ্জাহীনেরা ফ্যাসিবাদের সকল অপকর্মের পক্ষ নিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদকে বেপরোয়া হতে সহায়তা করেছে। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির ব্যাপারে সবাই অবগত। তারা ফ্যাসিবাদের মন্ত্রীসভায় ছিলো। জালিয়াতিপূর্ণ প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে তারা অংশ নিয়ে অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছে। এই জাতীয় পার্টি অভ্যুত্থানের পরে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। এখন তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার পাঁয়তারা করছে। দেশের একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান জানিয়েছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই যে, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের সকল দোসরদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ, তারা কোন স্বাধীন রাজনৈতিক দল নয় বরং তারা ভারতীয় আধিপত্যবাদী শক্তির প্রকাশ্য এজেন্ট।

সরকারের পক্ষপাতমূলক আচরনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়েছে মর্মে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছাড়া নির্বাচন করা যায় না। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি, জনপ্রশাসনের আচরন ও সন্ত্রাসের যে ভয়াবহতা আমরা লক্ষ করছি তাতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমরা আশ্বস্ত হতে পারছি না। এখানে মনে রাখা লাগবে, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড একটা মনস্তাত্ত্বিক বিষয়ও বটে। লন্ডন বৈঠক, এককভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা ইত্যাদি বিষয়ে বর্তমান সরকার একটি রাজনৈতিক দলের প্রতি যে পক্ষপাত দেখাচ্ছেন তাতে মাঠপ্রশাসন তাদের দিকে ঝুঁকে পড়াই স্বাভাবিক। আমরা বলবো, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। জনপ্রশাসনকে সক্রিয় ও নিরপেক্ষ করতে হবে এবং সরকারকে কোন দলের প্রতি পক্ষপাত দেখানো থেকে সরে আসতে হবে।

পিআরের পক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অবস্থান পূণর্ব্যক্ত করে দলের আমীর বলেন, আমরা বারংবার বলছি যে, বিগত ৫৪ বছরে যে পদ্ধতিতে নির্বাচন হয়েছে সেই পদ্ধতি দেশকে ক্রমান্বয়ে পেছনের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের বর্তমান যা কিছু উন্নয়ন তা ব্যক্তিখাতের প্রচেষ্টা ও উদ্যোগের ফল। কিন্তু রাজনৈতিক সংস্কৃতি, রাষ্ট্রের ভিত্তি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বকীয়তা ও স্বাধীনতা নষ্ট করা এবং দুর্নীতি-দুঃশাসনের মাত্রায় প্রতিটি নির্বাচনই দেশকে আগের চেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেলেছে। এমন তিক্ত অতীতের বাস্তবতায় পুরোনো বন্দোবস্তে নির্বাচন করার কোন অর্থ হয় না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তাই উভয়কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য দাবী জানিয়ে আসছে। পিআরের সুবিধা কি তা আমরা বারংবার আলোচনা করেছি। কিন্তু অশুভ পুরোনো বন্দোবস্তের কায়েমি স্বার্থবাদের কথায় প্রভাবিত হয়ে পিআর নিয়ে সরকার যে আচরণ করছে তা দুঃখজনক। আমরা সরকারের এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং পিআর পদ্ধতিতে আগামী নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানাচ্ছি।

যুগপৎ আন্দোলনের দাবীগুলোকে একত্রে উপস্থাপন করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আমাদের দাবী সুস্পষ্ট। আমরা জুলাই সনদের বাস্তবায়ন চাই, এর আইনি ভিত্তি চাই। জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতেই আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন চাই। দ্রুততার সাথে ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত দেখতে চাই। ফ্যাসিবাদের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসন বন্ধ করতে চাই। জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের নিষিদ্ধ চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। আমাদের অবস্থান কোন দলের বিরুদ্ধে না। বরং জুলাই অভ্যুত্থানের রক্ত ও জীবনের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই অবস্থান।

যুগপৎ আন্দোলন কোন দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নয় জানিয়ে পীর সাহেব চরমোনাই স্পষ্ট করে বলেন, এই পরিস্থিতিতে দেশের ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিনিধিত্বশীল কিছু রাজনৈতিক সংগঠন একত্রিত হয়ে আলাপ আলোচনা করেছি। আমরা সর্বদিক চিন্তা করে এবং জুলাইয়ের রক্তের প্রতি দায়বোধ থেকে সুনির্দিষ্ট এই দাবীগুলো নিয়ে রাজনৈতিকভাবে মাঠে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা একই দাবী নিয়ে যুথবদ্ধ কর্মসূচি পালন করবো। যুগপৎ আন্দোলন গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।

যুগপৎ আন্দোলনের দাবী ও কর্মসূচি সম্পর্কে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ধারাবহিক কর্মসূচি পালন করবো এবং ক্রমান্বয়ে কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোরতর হবে।

দাবীসমূহ -
১. জুলাই সনদের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হবে।
২. নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।
৩. সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।
৪. গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে।
৫. বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ভারতীয় তাবেদার ও ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের বিচার করতে হবে এবং বিচার চলাকালীন তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।

এই দাবী আদায়ের জন্য আমাদের কর্মসূচি নিম্নরুপ-
১. ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল।
২. ১৯ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ।
৩. ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে জেলা/উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল।
সবাই প্রস্তুত তো ইনশাআল্লাহ।
মোঃ মেহেদী হাসান
সাংগঠনিক সম্পাদক ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ ডবলমুরিং থানা চট্টগ্রাম মহানগর।

অনলাইন জরিপ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে চান ভোট দিন!
13/09/2025

অনলাইন জরিপ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কাকে চান ভোট দিন!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এর ফল প্রকাশ:১/ভিপি- আব্দুর রশিদ জিতু (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যা...
13/09/2025

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এর ফল প্রকাশ:

১/ভিপি- আব্দুর রশিদ জিতু (স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেল)
২/জিএস- মো: মাজহারুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
৩/এজিএস (পুরুষ)- ফেরদৌস আল হাসান (শিবির প্যানেল)
৪/এজিএস (নারী)- আয়েশা সিদ্দীকা মেঘলা (শিবির প্যানেল)

৫/শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক- আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল)
৬/পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক- মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল)
৭/সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক- মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
৮/সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র) / আলী জাকি শাহরিয়ার (শিবির প্যানেল)
৯/সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক- মো: রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল)
১০/নাট্য সম্পাদক- মো রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
১১/ক্রীড়া সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র)
১২/সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী)- ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল)
১৩/সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ)- মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল)
১৪/তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক- মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল)
১৫/সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক- আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস)
১৬/সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী)- নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল)
১৭/সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ)- মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল)
১৮/স্বাস্হ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক- হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল)
১৯/ পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক- মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)

২০/কার্যকরী সদস্য---
পুরুষ-১: মো. তরিকুল ইসলাম (শিবির প্যানেল)
পুরুষ-২: মো. আবু তালহা (শিবির প্যানেল)
পুরুষ-৩: মো. মহসিন (শিবির প্যানেল)

নারী-১: নাবিলা বিনতে হারুণ (শিবির প্যানেল)
নারী-২: ফাবলিহা জাহান (শিবির প্যানেল)
নারী-৩: নুসরাত জাহান ইমা (শিবির প্যানেল)

ভিপি নুরুল হক নুরের মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ, নেয়া হয়েছে আইসিইউতে।
29/08/2025

ভিপি নুরুল হক নুরের মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণ, নেয়া হয়েছে আইসিইউতে।

সরকারি সিটি কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনে পি.ইউ.ও. বিদায় ও ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জের দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন।পৃথিবী কখনো শূ...
27/08/2025

সরকারি সিটি কলেজ বিএনসিসি প্লাটুনে পি.ইউ.ও. বিদায় ও ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জের দায়িত্ব হস্তান্তর সম্পন্ন।

পৃথিবী কখনো শূন্যস্থান পছন্দ করে না,নিত্য নতুনত্বের নেতৃত্বে বিশ্বাসী। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর কর্ণফুলী রেজিমেন্টের আওতাধীন ১২ বি.এন.সি.সি. ব্যাটালিয়নের সি কোম্পানির ৯ নং প্লাটুন কমান্ডার প্রফেসর আন্ডার অফিসার জনাব মোঃ আবু নাছির এর বিদায় এবং ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জ এর দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবু ছালেহ মোহাম্মদ নঈম উদ্দীন,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি সিটি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর জসীম উদ্দীন আহমেদ।আরো উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী রেজিমেন্টের আওতাধীন ১২ বি.এন.সি.সি. ব্যাটালিয়নের সি কোম্পানির ৯ নং প্লাটুন কমান্ডার প্রফেসর আন্ডার অফিসার জনাব মোঃ আবু নাছির।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সরকারি সিটি কলেজের বিএনসিসি ৭নং প্লাটুন কমান্ডার মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামান পি.ইউ.ও. মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামান।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সরকারি সিটি কলেজের বিএনসিসি ৮নং প্লাটুন কমান্ডার অন্তরা সাহা।

গার্ড অব অনার সম্পন্ন হয় নবাগত ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে।এরপর সবাই কলেজ অডিটোরিয়াম অবস্থান করে মূল অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।

সবার উদ্দেশ্য প্রফেসর আবু ছালেহ মোহাম্মদ নঈম উদ্দীন বলেন,ক্যাডেট সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং আরো সক্রিয় হতে হবে।পাশাপাশি বিএনসিসির প্রত্যেকটি উইং যুক্ত করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।প্রফেসর জসীম উদ্দীন আহমেদ বলেন,ক্যাডেটদের সেবামূলক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ করানো উচিত।
ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জ রায়হান বলেন,আমরা সবাই এক,কাজে ও দক্ষতার ওপর পদোন্নতি কেবল সময়ের যাত্রা,দিনশেষে আমরা এক বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারলে সকল সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

বর্ষসেরা ক্যাডেট নির্বাচিত হয়েছেন ক্যাডেট সার্জেন্ট জান্নাতুল ফেরদৌস হীরা,ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল তোহফা তাসনুভা,ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল প্রান্ত দাশ ও ক্যাডেট ল্যান্স কর্পোরাল আব্দুল্লাহ আল রায়হান।

পরিশেষে, ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ রায়হান নবাগত ক্যাডেট সার্জেন্ট ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিনের নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে The Pen Garden জার্নাল লঞ্চিং ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন উৎসবচট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয...
24/08/2025

প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে The Pen Garden জার্নাল লঞ্চিং ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন উৎসব

চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো ব্যতিক্রমী আয়োজন ডেল-৪৪ ব্যাচের উদ্দ্যোগে আয়োজিত The Pen Garden জার্নাল লঞ্চিং ও পোস্টার প্রেজেন্টেশন উৎসব। দিনব্যাপী এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের গবেষণা, সাহিত্যচর্চা ও একাডেমিক উৎকর্ষের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. নছরুল কদির। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান সৈয়দ জাসিম উদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোলায়মান চৌধুরী।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন—

অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলাম
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স উইংয়ের প্রধান ও ইংরেজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান শাদাত জামান খান
ডিরেক্টর অব স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার আব্দুর রহিম
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সুমিত চৌধুরী
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর গাজী শাহাদাত হোসেন
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ফাউজুল কবির
লেকচারার মো. মাহাদি রহমান নিকাশ

গণ্যমান্য অতিথিরা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, The Pen Garden কেবল একটি জার্নাল নয়; বরং এটি শিক্ষার্থীদের জন্য সৃজনশীলতা, গবেষণা এবং সাহিত্যচর্চার এক নতুন দিগন্ত, যা তাদের জ্ঞানচর্চাকে সমৃদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানের শেষাংশে শিক্ষার্থীদের উপস্থাপিত পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। অতিথিরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল প্রচেষ্টা ও উপস্থাপনা দেখে মুগ্ধ হন এবং তাদের একাডেমিক নিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তরুণ লেখক সম্মেলন ও ম্যাগাজিন উন্মোচনে সৃজনশীলতার উৎসব।চট্টগ্রামে তরুণদের লেখালেখির চর্চা ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশে অনুষ্...
23/08/2025

তরুণ লেখক সম্মেলন ও ম্যাগাজিন উন্মোচনে সৃজনশীলতার উৎসব।

চট্টগ্রামে তরুণদের লেখালেখির চর্চা ও সৃজনশীল চিন্তার বিকাশে অনুষ্ঠিত হলো “তরুণ লেখক সম্মেলন – ২০২৫ ও ম্যাগাজিন মোড়ক উন্মোচন”। ‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারায়’—এই স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজন করে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম হলে বসে এ আয়োজন। এতে দেশের প্রায় ২৫টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত তরুণ লেখক, গবেষক ও সাংবাদিকরা অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। প্রধান আলোচকের আসনে ছিলেন সাপ্তাহিক স্লোগান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ইফতেখার মারুফ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের উপাধ্যক্ষ সুব্রত বিকাশ বড়ুয়া, প্রভাষক মো. ইফতখারুল ইসলাম, এসডিজি ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার, সাংবাদিক আজহার মাহমুদ ও প্রভাষক নেজাম উদ্দিন।

অতিথিরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ লেখকদের প্রকাশিত ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঋতু দে, নাজমুস সায়েম ও মোহাম্মদ রাকিব, আর সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রায়হান উদ্দিন ছিদ্দীকি।

প্রধান অতিথি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরী তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন—
“লিখতে চাইলে আগে জানতে হবে, পড়তে হবে। আমি দেখছি আপনাদের মধ্যে সেই আগ্রহ রয়েছে। এমন আয়োজন সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”

প্রধান আলোচক ইফতেখার মারুফ বলেন—
“জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ লেখকরা বেশ ভালো লিখছেন। নিয়মিত এই চর্চায় থাকার মাধ্যমে আপনারা সাহিত্য ও সাংবাদিকতার ভুবনে আরও সমৃদ্ধ হবেন।”

অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ লেখকদের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত লেখা প্রদর্শনী করা হয়। এছাড়া বর্ষসেরা সদস্য, সংগঠক ও লেখকদের হাতে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।

চট্টগ্রামবাসীর জন্য জরুরি ঘোষণা- অতিবৃষ্টির ফলে অক্সিজেন থেকে ২নং গেইট যাওয়ারপথে অবস্থিত স্টারশিপ ব্রিজ ধসে পড়েছে।অনুগ্র...
07/08/2025

চট্টগ্রামবাসীর জন্য জরুরি ঘোষণা-
অতিবৃষ্টির ফলে অক্সিজেন থেকে ২নং গেইট যাওয়ার
পথে অবস্থিত স্টারশিপ ব্রিজ ধসে পড়েছে।
অনুগ্রহ করে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করুন।
আশেপাশের এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে, ভ্রমণের সময় অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করুন।

শুভ জন্মদিন
07/08/2025

শুভ জন্মদিন

৩৬ জুলাই উদযাপন ও ‘জুলাইয়ের জন আকাঙ্ক্ষার ঘোষণা’ : চট্টগ্রামে আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমাবেশ। চট্টগ্রাম, ৫ আগস্ট ২০২...
06/08/2025

৩৬ জুলাই উদযাপন ও ‘জুলাইয়ের জন আকাঙ্ক্ষার ঘোষণা’ : চট্টগ্রামে আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র ঐক্যের সমাবেশ।

চট্টগ্রাম, ৫ আগস্ট ২০২৫, মঙ্গলবার — চট্টগ্রামে “আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র ঐক্য” আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য বিজয় সমাবেশ, বিজয় মিছিল এবং ঘোষণাপত্র পাঠের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে ‘৩৬ জুলাই’ এবং ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের এক বছর পূর্তি।

চট্টগ্রাম নগরীর ২ নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানে বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় এই অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং স্কুলের শিক্ষার্থীরা। ছাত্রদের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিশু, নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন সমাবেশে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে আগ্রাসন বিরোধী ছাত্র ঐক্যের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, চুয়েট, মেডিকেল কলেজ এবং স্কুল-কলেজের আহ্বায়করা ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তারা সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান এবং ‘শেষ হয়নি যুদ্ধ’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে বিপ্লব উদ্যান।

বক্তব্যপর্ব শেষে বিজয় মিছিল শুরু হয়, যা ২ নম্বর গেইট থেকে জিইসি, ওয়াসা, টাইগারপাস, সিআরবি হয়ে নিউমার্কেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘জুলাইয়ের জন আকাঙ্ক্ষার ঘোষণা’ পাঠ করা হয়।

ঘোষণাপত্রে উল্লেখযোগ্য ১৬ দফা দাবি তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে রয়েছে:
১) ভারতকে শত্রু রাষ্ট্র ঘোষণা
২) ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত দেশবিরোধী চুক্তি বাতিল
৩) পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার
৪) ইসরায়েলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন
৫) আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের পরামর্শ প্রত্যাখ্যান
৬) মার্কিন, ব্রিটিশ ও ভারতীয় সামরিক চুক্তি বাতিল
৭) এই তিন দেশের বিনিয়োগ চুক্তি বাতিল ও দূতাবাস বন্ধ
৮) জাতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন ও তরুণদের সামরিক প্রশিক্ষণ
৯) জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বন্ধ
১০) কৌশলগত সম্পদ বিদেশি শক্তির হাতে না তুলে দেওয়া
১১) সংস্কৃতিগত আগ্রাসনমুক্ত, সময়োপযোগী ও বিশ্বাসভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা
১২) শিল্প নির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি
১৩) স্বাস্থ্যব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার
১৪) তেল-গ্যাস-জ্বালানির উপর বহুজাতিক কোম্পানির আধিপত্য রোধ
১৫) ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক সংবিধান বাতিল করে ইসলামিক সংবিধান প্রণয়ন
১৬) সকল কালো আইন বাতিল

সমাবেশ শেষে আয়োজকরা জানান, এই আন্দোলন কেবল প্রতিবাদ নয়, এটি একটি নতুন ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা। “জুলাই গণঅভ্যুত্থান” স্মরণ করে তাঁরা আগামীতে আরও বৃহত্তর ছাত্র-জনতার ঐক্য গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

চট্টগ্রাম শহরের কেন্দ্রস্থলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানটি ছিল সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের একটি দৃঢ় বার্তা এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবি নিয়ে নতুন পথচলার ঘোষণা।

Address

Chittagong
4353

Telephone

+96894197966

Website

http://www.Facebook.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দৈনিক চট্টগ্রাম জেলা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to দৈনিক চট্টগ্রাম জেলা:

Share