25/01/2024
উইঘুর আলেমকে চীনা কনসেনট্রেশান ক্যাম্পে হত্যা!
৮৮ বছর বয়সী উইঘুর আলেম আবদুল আহাদ মেহসুমকে ২০১৭ সালে চীনা বন্দী শিবিরে হত্যা করা হয়।
আবদুল আহাদ মেহসুম ১৯৩০ সালে পূর্ব তুর্কিস্তানের কারাকাশ কাউন্টিতে জন্মগ্রহণ করেন, তিনি উইঘুরদের একজন প্রখ্যাত আলেম এবং উইঘুর সম্প্রদায়ের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। উনার পিতা শাইখ বারাত আখুনকে ১৯৩৭ সালে চীনা পুলিশি হেফাজতে হত্যা করা হয়।
১৯৫০ থেকে ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত, শাইখ মেহসাম কাশগড়ে ইসলাম অধ্যয়ন করেন। পড়াশোনা শেষ করার পরে হোতানে ফিরে এসে দ্বীন শিক্ষা প্রচারে নেমে পরেন। ফিরে আসার ৬ মাস পরই তাকে গ্রেপ্তার করে চীনা শ্রম শিবিরে ১৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
১৯৭৪ সালে মুক্তি পাওয়ার পর বলপূর্বক তাকে প্রকাশ্য আসতে দেওয়া হত না। এ সত্ত্বেও তিনি লুকিয়েই দ্বীনি শিক্ষা প্রদান অব্যাহত রাখেন। ১৯৭৯ সালে প্রায় ১,০০০ আলেমকে সহ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং গ্রেপ্তারের এক বছর পর তিনি মুক্তি পান।
২০০১ সালে তার সন্তান সহ তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা হয় এবং ২ মাস পর মুক্তি দেওয়া হলেও জনসমক্ষে কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
২০০৪ সালে চতুর্থ বারের মতো আবারও গ্রেপ্তার করা হয় এবং দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের জন্য ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এরপর তিনি তার বাকি জীবন গৃহবন্দী অবস্থায় কাটিয়েছেন, যতক্ষণ না তিনি শেষ পর্যন্ত আবারও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন।
২০১৭ সালের নভেম্বরের শুরুর দিকে তার পুরো পরিবার সহ একটি কনসেনট্রেশান ক্যাম্পে পাঠানো হয় এবং সেখানেই তাদের হত্যা করা হয়।
চীনা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে তার মৃত্যুর খবর ৬ মাস পর প্রচার করে।
অনেকবার কারারুদ্ধ ও নির্যাতনের শিকার হওয়া সত্ত্বেও শাইখ আবদুল আহাদ মেহসুম রহিমাহুল্লাহ দ্বীনের পথে অটল থেকে নিজেকে দাওয়াহ প্রচারে অব্যাহত রেখেছিলেন।
হে আল্লাহ, শাইখকে জান্নাতের উঁচু মাকাম দান করুন, আমীন!