09/07/2025
ঘরের রং নির্বাচনের আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত✅
👉আলোর প্রতি নজর রাখুন:
দেয়ালের রং এমনভাবে নির্বাচন করতে হবে, যাতে আলোর প্রতিফলন হয় কম। ঘরের রং যত উজ্জ্বল হবে, আলো তত ফিকে লাগবে। শোবার ঘর, বসার ঘরের দেয়ালের রং হালকা রাখাই ভালো। দেয়ালে চাঁপা সাদা আর সিলিংয়ের সাদা প্রাধান্য পেলে ভালো হয়। এতে ঘরে আলো ঢোকে বেশি, দেখতেও লাগে প্রশস্ত। চাঁপা সাদা ছাড়াও হালকা মেটে রং, ধূসর কিংবা ‘বেজ’ রং অর্থাৎ হালকা হলদে ও বাদামি-জাতীয় রং এ সময়ের অন্দরের দেয়ালে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। তবে ঘরের এক পাশে বা বিছানার পেছনের দেয়াল, বাচ্চাদের ঘর কিংবা ড্রয়িংরুমের কোনো একটি জায়গায় উষ্ণ ধাঁচের রং দিয়ে বৈপরীত্যও আনা যায়।
🌿প্রকৃতিকে প্রাধান্য দিতে হবে:
আমাদের প্রকৃতির কথা মাথায় রেখে রং নির্বাচন করতে পারলে ভালো। বরফের সাদা, সমুদ্রের নীল, গাছপালার সবুজ, মাটির বাদামি ইত্যাদি হালকা রং চোখকে আরাম দেয়, মনকে দেয় শান্তি। অন্যদিকে তপ্ত সূর্যের লাল আভা বা উজ্জ্বল হলদে উষ্ণ রং মনে অস্থিরতা তৈরি করে। এ কারণে দেয়ালের অনেকটা অংশজুড়ে এসব রং ব্যবহার না করাই ভালো। দেয়ালের ইট বা কংক্রিটের স্বাভাবিক রংও কিন্তু দেখতে ভালো লাগে। প্রকৃতির পরশ পেতে দেয়ালের রংটাই যে সবুজ হতে হবে, তা কিন্তু নয়। বদলে ঘরের বারান্দায় রাখতে পারেন অন্দরের উপযোগী গাছপালা। এভাবে অন্দরে যোগ হতে পারে প্রকৃতির অকৃত্রিম রং।’
🧑🎨জায়গাভেদে দেয়ালে রঙের ভিন্নতা
পড়ালেখা বা কাজের ঘরের দেয়ালের জন্য সব ধরনের রং উপযোগী নয়। অন্দরসজ্জায় নানা অনুষঙ্গের বিন্যাসও বিবেচনায় রাখতে হবে। পড়ার ঘরের হালকা রঙের সঙ্গে উজ্জ্বল আলো চলাচলের ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। বাচ্চাদের দেয়ালের জন্য রঙিন কোনো হালকা শেড বেছে নেওয়া যায়। খাবার ঘরের দেয়ালে কিছু উষ্ণ রঙের হালকা শেড ছাড়াও উষ্ণ আলো বেশ নজর কাড়ছে।
বাজারে নতুন রং:
বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের রং পাওয়া যাচ্ছে। ইজি ক্লিন, প্লাস্টিক পেইন্ট, ডিসটেম্পার রং। এ ছাড়া ইমালশন লাক্সারি, সিল্ক ইমালশন রঙের মাধ্যমে দেয়ালে চকচকে উজ্জ্বল ভাব আনা যায়। আসবাবপত্রের জন্য লেকার রং, লেমিনেটেড রং, বিভিন্ন এইচপিএল শিট পাওয়া যায়। অন্দরসজ্জার জন্য বার্জার নিয়ে এসেছে ‘বার্জার ওয়ান কোট ইমালশন’ নামে নতুন রং। এই নতুন পণ্যটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে মাত্র একটি কোটেই এটি দেয়ালকে করতে পারে সম্পূর্ণ রঙিন ও মসৃণ। রঙের জন্য স্বল্প সময়ে কম পরিশ্রম ও সাশ্রয়ী বাজেটে এটি বেশ ভালো সমাধান। এর আরেকটি ভালো দিক হলো রং লাগানোর সময় ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কম। এ কারণে আসবাব না সরালেও হবে। আরেকটি সুবিধা হচ্ছে গতানুগতিক রঙের তুলনায় এর উজ্জ্বলতা বেশি।