12/07/2025
◾২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে অগ্রণী ভূমিকা রাখা ◾একমাত্র সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী।
স্বাধীনতাকামী জনতার কণ্ঠস্বর, রাষ্ট্রত্যাগী সাহসী এই নেতাকে জাতি মনে রাখবে চিরকাল
২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গৌরবময় ও বিবর্তনমূলক অধ্যায়। এই সময়টিতে যারা জাতির চরম দুর্দিনে এগিয়ে এসে জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এবং একমাত্র সম্পাদক হিসেবে সাহসিকতা, নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক হয়ে ওঠেন সাংবাদিক নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী।
তিনি শুধু সম্পাদক ছিলেন না—তিনি ছিলেন একজন চিন্তানায়ক, যিনি কলমের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছেন, আবার প্রয়োজন হলে রাজপথে নেমে আসতেও দ্বিধা করেননি। জাতির ক্রান্তিকালে, যখন অনেকে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিলেন, তখন তিনি তাঁর পরিবারসহ সম্পূর্ণভাবে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন দেশ ও জনগণের মুক্তির স্বপ্ন বাস্তবায়নে।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান তথা 'জুলাই বিপ্লব' ছিল গণতন্ত্র ও মুক্তচিন্তার পুনরুদ্ধারে একটি যুগান্তকারী ধাপ। সেই বিপ্লবের সম্মুখ সারিতে ছিলেন সাংবাদিক মিজানুর রহমান চৌধুরী। তাঁর নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম পায় একটি স্পষ্ট লক্ষ্য ও গতি।
শ্রম, মেধা, অর্থ—সবকিছু ব্যয় করে এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, তিনি ও তাঁর পরিবার সরাসরি এই ঐতিহাসিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। শুধু প্রতিবাদ নয়, বিকল্প বাংলাদেশের রূপরেখাও তাঁর কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছে—যা হাজারো তরুণ-তরুণীকে উদ্বুদ্ধ করেছে একটি নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে।
বাংলাদেশে একটি অপ্রিয় বাস্তবতা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে—জীবিত অবস্থায় যাঁরা জাতির জন্য কাজ করেন, তাঁদের যথাযথ স্বীকৃতি মেলে না; কিন্তু মৃত্যুর পর শুরু হয় প্রশংসা, মূল্যায়ন ও স্মরণসভা।
রাষ্ট্রত্যাগী নেতাদের প্রকৃত মূল্যায়ন আমাদের দেশে হয় মৃত্যুর পরে। জীবিত অবস্থায় তাঁদের ত্যাগ, অবদান ও বিপ্লবী মনোভাবকে অবজ্ঞা করা হয়। অথচ তাঁরা ছিলেন জাতির জেগে ওঠার আলোকবর্তিকা।”
মিজানুর রহমান চৌধুরীর আত্মত্যাগ কেবল তাঁর একার নয়—এটি একটি পরিবারের সম্মিলিত আত্মনিবেদন, একটি জাতির সম্ভাবনার পথে অগ্রযাত্রার নিঃশব্দ কিন্তু নির্ভীক লড়াই।
আজ যখন আমরা ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাই, তখন স্পষ্ট হয় যে, এই ধরনের চরিত্রই জাতির প্রকৃত পথনির্দেশক। সাহস, আদর্শ, আত্মত্যাগ—সব মিলিয়ে মিজানুর রহমান চৌধুরী হয়ে উঠেছেন এক জীবন্ত অনুপ্রেরণা।
সাংবাদিক নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর পরিবারের সুস্থতা, দীর্ঘায়ু এবং আরও বলিষ্ঠ ভূমিকার প্রত্যাশা জানাই......
