12/12/2024
শুক্রবারে দরুদ পড়ার ব্যাপারে আমি ইতোপূর্বে সিরিয়াস ছিলাম না। অন্য অনেক কিছুর মতোই এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাতটি বেখেয়ালে হারিয়ে যেত। অথচ নবিজি (ﷺ) এই দিনে তাঁর ওপর দরুদ পড়ার জন্যে বিশেষভাবে বলেছেন। এই ভুলে যাওয়া রোগ থেকে উদ্ধার পেতে সহায়তা করেছে আমার বন্ধু লাইস। উত্তম প্রতিদানের মালিক আমার ভাইকে অনেক সম্মানিত করুন।
এক হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, দরুদ পড়ার মাধ্যমে বিষণ্ণতা দূর হয় এবং গুনাহ মাফ হয়। এই হাদিসটার দিকে ইঙ্গিত করে লাইস যে অনুভূতির কথাটা বলেছে, আমি নিজের ভাষায় সেটাকে শেয়ার করার চেষ্টা করবো আপনাদের সাথে:
পৃথিবীতে মানুষের সবচেয়ে বড় চাওয়া কী? ভেবেচিন্তে দেখলাম, বিষণ্ণতার কবল থেকে দূরে থাকা, দুশ্চিন্তামুক্ত একটা জীবন পার করা। এরচেয়ে বড় চাওয়া মানুষের নেই।
আখিরাতে পুনরুত্থিত হবার পর মানুষের সবচেয়ে বড় চাওয়া কী হতে পারে? আহা, আজকে আমার সবগুলো গুনাহই যদি মাফ করে দেওয়া হতো! গুনাহ মাফের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষাটাই কঠিন বিপদের মুহূর্তে মানুষের সবচেয়ে বড় চাওয়া হয়ে দাঁড়াবে।
কী আশ্চর্য, শুধু এক দরুদ পাঠের মধ্য দিয়েই মানুষ দুই জীবনের দুটো বড় প্রত্যাশাকে ছোঁয়ার সুযোগ পাচ্ছে! দরুদ পড়াকে আমরা কেন অবহেলা করছি?
আল্লাহর শোকর, এরপর থেকে আর ভুলি না। বিশেষ করে শুক্রবারে। ঐ যে, কবিতায় লিখেছিলাম!
“বিষণ্ণ জুমু'আর দুপুরে তোমার নামের দরুদ
আমার বিপন্ন বুকে একফোঁটা আবেহায়াত...”
"আল্ল-হুম্মা সল্লি আ'লা মুহা'ম্মাদ"
✍️আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীব