15/09/2025
শ্রীযন্ত্র বা ধণযন্ত্র কেন রাখা উচিত ❓
হচ্ছে সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর যন্ত্র। শ্রীযন্ত্রের মহিমা অপরিসীম। শ্রীযন্ত্র সমগ্র মহাবিশ্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। যিনি শ্রীযন্ত্রের পুজো করেন তিনি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের শক্তি দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন।
প্রতিদিন শ্রী যন্ত্রের পুজো করা প্রয়োজন। মূলত আর্থিক সমস্যা দূর করতে এই যন্ত্রের পুজো করা হয়।
শ্রীযন্ত্রের পুজো যদি সম্পূর্ণ আচারের সাথে করা হয়, তাহলে দেবী লক্ষ্মীর কৃপা বজায় থাকে। ঘরে ধণ বর্ষিত হয়। শ্রীযন্ত্রের আরাধনা শুধুমাত্র অর্থ পাওয়ার জন্য নয়, শ্রীযন্ত্র এমন একটি অলৌকিক যন্ত্র যাতে সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের শক্তি বিরাজ করে। যিনি শ্রীযন্ত্রের আরাধনা করেন তিনি সমগ্র ব্রহ্মাণ্ডের শক্তি দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হন।
শ্রীযন্ত্র স্হাপনের জন্য লাল আসনের উপর বসিয়ে মন্ত্রের দ্বারা জলাভিষেক ও পুষ্পাভিষেক করতে হবে।শ্রীযন্ত্রে দেবী স্বরসতী কুবের ও গনেশ দেবতাও বিদ্যমান ।এজন্য আলাদা আলাদা প্রণাম মন্ত্র বলতে হবে। লাল ফুল আস্ত শস্য যেমন চাল ও তিল অর্পণ করতে হবে। দুর্বাসমেত ফুল মন্ত্র বলে অর্পন করতে হবে। আসনে রাখলে পুজা শেষে লাল চুনরি বা কাপড়ে ঢেকে রাখতে হবে।লকারেও এভাবে রাখতে পারেন। ফুল দুর্বা চন্দন মেখে অর্পণ করতে হবে।
তারপর ধুপ দ্বীপ দেখিয়ে আরতি করতে হবে।
আসছে লক্ষ্মী পুজা, পূর্ণিমাযুক্ত বৃহস্পতিবার ও যেকোন বৃহস্পতিবার শ্রীযন্ত্র বসাতে পারবেন।
শ্রীযন্ত্রকে অলৌকিক বলে মনে করা হয়
মা লক্ষ্মীর শ্রীযন্ত্র সম্পদ লাভের জন্য অত্যন্ত অলৌকিক বলে মনে করা হয়। আসলে এই যন্ত্রটিকে লক্ষ্মীর রূপ বলে মনে করা হয়। দেব-দেবীর পুজোর জন্য প্রাচীনকাল থেকেই যন্ত্রের ব্যবহার হয়ে আসছে। সমস্ত যন্ত্রের মধ্যে শ্রীযন্ত্রকে বিশেষ মনে করা হয়। এমন অবস্থায় আপনি যদি নিয়মিত শ্রী যন্ত্রের পুজো করেন তাহলে অবশ্যই অর্থ লাভ হবে।
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তি এই যন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে যথাযথভাবে পুজো করেন, তিনি দেবী লক্ষ্মীর কৃপায় সুখ ও মোক্ষ লাভ করেন। এর সাথে তার জীবন থেকে আর্থিক কষ্ট দূর হয়। এর পাশাপাশি জীবনের সমস্ত বৈষয়িক সুখও অর্জিত হয়।