06/09/2025
মাওলানা রুমি ঠিকই বলেছিলেন:
“আমি বহু মানুষ দেখেছি, যাদের পোশাক নেই,
আবার বহু পোশাক দেখেছি, যাদের ভেতরে মানুষ নেই।”
কোন একজন মানুষের মানসিক বৈকল্য দেখা যায় হরহামেশা,
কিন্তু "তৌহিদি জনতা"র নামে গণমানুষের গণবৈকল্য দেখা—
এ এক বিরল ভাগ্যের ব্যাপার!
সে সূত্রে এই তৌহিদি জনতার কল্যাণে
আমরা সত্যিই ভাগ্যবান—
যে ভাগ্য শুধু জ্যান্ত মানুষ নয়,
লাশকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না।
জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হত্যা—এটা রাষ্ট্র জানে।
কিন্তু কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ছাই করে দিলে অভিধানে কী নামে কী অর্থে ডাকা যাবে? রাষ্ট্র জানে না, জানবেও না।
রাষ্ট্রের অভিধানে শুধু ভোট, ক্ষমতা আর লাভের হিসাব- নিকাশ!
এভাবে লাশ দগ্ধকে ফৌজদারী অপরাধের সংজ্ঞায় আমরা হয়তো কল্পনাও করিনি, কিন্তু এতদিনে রাষ্ট্রের মানুষরা পশুর চেয়েও অধম ও পাশবিক হয়ে গেছে— এটা বাংলার পশুরাও জানে, অথচ এই রাষ্ট্র জানে না অথবা না জানার ভান করছে!
ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য- কোন কোন সমাজে পশু হত্যা পুণ্যের কাজ! আমাদের এই সমাজে লাশ পুড়িয়ে উল্লাস করাটাও ঈশ্বরের সন্তুষ্টি আর পুণ্যের কাজ!
এ দুই সমাজের কোন ঈশ্বর বেশি মানবিক—
যিনি পশুর রক্ত চান, নাকি যিনি লাশ দাহে খুশি?
এ প্রশ্নের উত্তর পশুরা দিবে একভাবে,
ঈমানদার "তৌহিদি জনতা" দেবে আরেকভাবে।
এক ঈশ্বর রক্ত চান, আরেক ঈশ্বর ছাই চান—
মনে হয় ঈশ্বরদেরও আলাদা আলাদা ডায়েট চার্ট আছে।
কুকুর, ঘোড়া, ডলফিন—এদের সহমর্মিতা আমাদের চেয়ে বেশি। কুকুর অন্তত লাশ দেখলে ঘেউ ঘেউ করে, আমরা কিন্তু তা পুড়িয়ে তাস খেলি!যারা গান নিষিদ্ধের ফতোয়া দেয়, তারাই আবার লাশ পুড়ায়। তারা মানুষ নয়, ধার্মিক নয়— পশুর চেয়েও অধম। মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়- তেমনি মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা পশুদের জন্য কোন ঐশ্বরিক ধর্মও থাকতে পারে না।
অ্যামাজনের প্যাগান নরখাদক 'নরবলি' দিতে গিয়ে অন্তত ভেবে থাকে- এটা কোনো পবিত্র ভোজ।
আফ্রিকার পশুবলি সমাজ অন্তত নিজ দেবতার জন্য আহুতি দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা?
একটি লাশকেও অক্ষত থাকতে দিলাম না—
কবর ফুঁড়ে তুলে জনসমক্ষে দগ্ধ করে ছাই করে ফেললাম।
আপনার সেই ছাই দরকার? আমার কিন্তু দরকার আছে, হয়ত ঈমান নামক অদৃশ্য অমূল্য বস্তুটাকে সেই ছাইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া যেত। ঐ যে শিশুশিক্ষায় শিখেছিলাম—
“যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই,
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন সেথাই।”
কিন্তু ছাই উড়লো, ঈমান উড়লো—বাকি রইল শুধু পোড়া লাশের 'কাবাব- গন্ধ' !
কিন্তু যদি এই ছাই থেকে ঈমান নামক অমূল্য রতন তুলে এনে- যদি তুমি না দেখাতে পারো; কিংবা লাশ পোড়া গন্ধের 'সুঘ্রাণ' যদি বুক ভরে নিতে পারো, তবে বুঝে নিও- পৃথিবীতে এর চেয়ে "উৎকৃষ্টতর"
সমাজ আর কোথাও নেই—উৎকৃষ্ট নিষ্ঠুরতার একচেটিয়া কপিরাইট একমাত্র আমরাই ছিনিয়ে নিয়েছি!
নরখাদকও আমাদের দেখে হেসে বলবে- হায় হায়, এরা তো সকলের চেয়েও সেরা বর্বর!
'বর্বরোচিত'- এমন দেশটি কোথাও তুমি পাবে নাকো খুঁজে…মাওলানা রুমি ঠিকই বলেছিলেন:
“আমি বহু মানুষ দেখেছি, যাদের পোশাক নেই,
আবার বহু পোশাক দেখেছি, যাদের ভেতরে মানুষ নেই।”
কোন একজন মানুষের মানসিক বৈকল্য দেখা যায় হরহামেশা,
কিন্তু "তৌহিদি জনতা"র নামে গণমানুষের গণবৈকল্য দেখা—
এ এক বিরল ভাগ্যের ব্যাপার!
সে সূত্রে এই তৌহিদি জনতার কল্যাণে
আমরা সত্যিই ভাগ্যবান—
যে ভাগ্য শুধু জ্যান্ত মানুষ নয়,
লাশকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না।
জ্যান্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারা হত্যা—এটা রাষ্ট্র জানে।
কিন্তু কবর থেকে লাশ তুলে পুড়িয়ে ছাই করে দিলে অভিধানে কী নামে কী অর্থে ডাকা যাবে? রাষ্ট্র জানে না, জানবেও না।
রাষ্ট্রের অভিধানে শুধু ভোট, ক্ষমতা আর লাভের হিসাব- নিকাশ!
এভাবে লাশ দগ্ধকে ফৌজদারী অপরাধের সংজ্ঞায় আমরা হয়তো কল্পনাও করিনি, কিন্তু এতদিনে রাষ্ট্রের মানুষরা পশুর চেয়েও অধম ও পাশবিক হয়ে গেছে— এটা বাংলার পশুরাও জানে, অথচ এই রাষ্ট্র জানে না অথবা না জানার ভান করছে!
ঈশ্বরের সন্তুষ্টির জন্য- কোন কোন সমাজে পশু হত্যা পুণ্যের কাজ! আমাদের এই সমাজে লাশ পুড়িয়ে উল্লাস করাটাও ঈশ্বরের সন্তুষ্টি আর পুণ্যের কাজ!
এ দুই সমাজের কোন ঈশ্বর বেশি মানবিক—
যিনি পশুর রক্ত চান, নাকি যিনি লাশ দাহে খুশি?
এ প্রশ্নের উত্তর পশুরা দিবে একভাবে,
ঈমানদার "তৌহিদি জনতা" দেবে আরেকভাবে।
এক ঈশ্বর রক্ত চান, আরেক ঈশ্বর ছাই চান—
মনে হয় ঈশ্বরদেরও আলাদা আলাদা ডায়েট চার্ট আছে।
কুকুর, ঘোড়া, ডলফিন—এদের সহমর্মিতা আমাদের চেয়ে বেশি। কুকুর অন্তত লাশ দেখলে ঘেউ ঘেউ করে, আমরা কিন্তু তা পুড়িয়ে তাস খেলি!যারা গান নিষিদ্ধের ফতোয়া দেয়, তারাই আবার লাশ পুড়ায়। তারা মানুষ নয়, ধার্মিক নয়— পশুর চেয়েও অধম। মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়- তেমনি মানুষের মতো হাত-পাওয়ালা পশুদের জন্য কোন ঐশ্বরিক ধর্মও থাকতে পারে না।
অ্যামাজনের প্যাগান নরখাদক 'নরবলি' দিতে গিয়ে অন্তত ভেবে থাকে- এটা কোনো পবিত্র ভোজ।
আফ্রিকার পশুবলি সমাজ অন্তত নিজ দেবতার জন্য আহুতি দিয়ে থাকে। কিন্তু আমরা?
একটি লাশকেও অক্ষত থাকতে দিলাম না—
কবর ফুঁড়ে তুলে জনসমক্ষে দগ্ধ করে ছাই করে ফেললাম।
আপনার সেই ছাই দরকার? আমার কিন্তু দরকার আছে, হয়ত ঈমান নামক অদৃশ্য অমূল্য বস্তুটাকে সেই ছাইয়ের মাঝে খুঁজে পাওয়া যেত। ঐ যে শিশুশিক্ষায় শিখেছিলাম—
“যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই,
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন সেথাই।”
কিন্তু ছাই উড়লো, ঈমান উড়লো—বাকি রইল শুধু পোড়া লাশের 'কাবাব- গন্ধ' !
কিন্তু যদি এই ছাই থেকে ঈমান নামক অমূল্য রতন তুলে এনে- যদি তুমি না দেখাতে পারো; কিংবা লাশ পোড়া গন্ধের 'সুঘ্রাণ' যদি বুক ভরে নিতে পারো, তবে বুঝে নিও- পৃথিবীতে এর চেয়ে "উৎকৃষ্টতর"
সমাজ আর কোথাও নেই—উৎকৃষ্ট নিষ্ঠুরতার একচেটিয়া কপিরাইট একমাত্র আমরাই ছিনিয়ে নিয়েছি!
নরখাদকও আমাদের দেখে হেসে বলবে- হায় হায়, এরা তো সকলের চেয়েও সেরা বর্বর!
'বর্বরোচিত'- এমন দেশটি কোথাও তুমি পাবে নাকো খুঁজে…