16/10/2025
টানা তিন দিন হিন্দুত্বব|দী সন্ত্র|সী জয় কুমার দাস কর্তিক ধ*র্ষ*ণ এর শিকার মেয়ে ও তার মা গতকাল কালিয়াকৈর থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় তৌহিদী জনতাকে বাইরে রেখে আমি এবং Ahmed Sadiqur Rahman ভাই এবং কয়েকজন পুলিশ অফিসারকে সাথে নিয়ে মেয়েটির সাথে দেখা করতে যখন যাই তখন মেয়েটি মেঝেতে মরার মত পড়েছিল। মহিলা পুলিশের ডাকে আমাদের উপস্থিতি টের পেলে ওঠার চেষ্টা করে। কিন্তু উঠতে পারেনা। অতঃপর মহিলা পুলিশ ও তার মা ধরাধরি করে চেয়ারে বসিয়ে দেয়। দুই মাস আগের নির্যাতনে যদি এখনও এতটা অসুস্থ থাকে তাহলে আসলে তার এই ছোট্ট দেহের উপর দিয়ে কি নির্যাতন চলে ছিল টানা তিন দিন-তা বলাই বাহুল্য!
হিন্দু ছেলের সাথে সম্পর্কের কারণে শুরুতে তার প্রতি একটু রাগ ছিল। তবে তার ছোট্ট শরীরটা দেখে আমার মেয়ে ফাতেমার কথা মনে পড়ে যায়। আমার চোখে পানি টলোমলো করতে থাকে। নিজেকে সামলে নিয়ে তাকে বলি, মা! তোমাকে দেখে বুঝতে পেরেছি। তুমি খুবই ছোট মানুষ। তুমি আসলে বুঝতে পার নি। এখানে তোমার কোন দোষ নেই। তোমার মত আমার একটি মেয়ে আছে। নাম ফাতেমা। তাই মনে কর, আমি তোমার বাবা।... এরপর তাকে কয়টা প্রশ্ন করি। দুই তিনটা প্রশ্নের উত্তর দিয়েই মেয়েটি হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে। তার কান্না কি আমাদের সেলিব্রেটি, উপদেষ্ট মন্ডলী, প্রশাসন, কথিত সমন্বয়কবৃন্দ, সাংবাদিকবৃন্দ, ফ্যাট চেকার, ইসলামিক রাজনীতিবিদ, গোয়েন্দা বিভাগ, বুদ্ধিজীবী কিংবা নারীবাদীদের কানে পৌঁছেবে?
পুনশ্চ- পুলিশ অনুরোধে জিজ্ঞাসাবাদের শুরুর দিকে ভিডিও ধারণ থেকে বিরত ছিলাম। কিন্তু পরে তার অঝোর কান্না তাদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করতে আমাকে বাধ্য করেছে। পুলিশ সদস্যরাও অনেকটা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়েছিল ফলে তারাও ভিডিও করতে আর বাধা দেয়নি।
© Ataur Rahman Bikrompuri