14/11/2023
সরকারি চাকরি তে নিয়োগ কয়েকভাবে হয়। অনেকের এই বিষয় গুলো নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই। আজকে এই বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা।
সরকারি চাকরি তে নিয়োগ প্রক্রিয়া কয়েকভাবে হয়।
১)একটা হলো সরাসরি রাজস্ব খাতে। শূন্যপদে সার্কুলার হয়। এরপর প্রিলি, লিখিত, মৌখিক পরীক্ষা শেষে যারা মেধা তালিকায় থাকে তাদের পুলিশ ভেরিফিকেশ ও মেডিকেল টেস্ট হয় তারপর যোগদান পত্র দেওয়া হয়। যোগদানের কয়েক বছর চাকরির পর স্হায়ী হয় এবং বছরে বছরে ৫% ইনক্রিমেন্ট বাড়ে। এবং যোগ্যতা ও পদ শূন্য থাকলে ৫-১০ বছর প্রমোশন হয় নিয়ম অনুসারে।
২) অস্হায়ী নিয়োগ: যখন কোন সরকারি প্রজেক্ট চলে ঐ চলমান প্রজেক্টের জন্য যতদিন প্রজেক্ট চলবে ততদিনের জন্য চাকরির মেয়াদ।এখানে ও সার্কুলার দেওয়া হয় এবং লিখিত, ভাইভা পরীক্ষা হয়। তবে নিয়োগপত্রে স্পষ্ট লিখা থাকে চাকরির মেয়াদ প্রজেক্ট চলাকালীন সময় পর্যন্ত।এখানে বেতন ফিক্সড হয়। কোন ইনক্রিমেন্ট বা প্রমোশন হয় না। প্রজেক্টের মেয়াদ শেষ হলে সংক্রিয় ভাবে আপনি চাকরিচ্যুত হবেন।
৩) আউটসোর্সিং পদ্বতিতে নিয়োগ: নিয়োগকারি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দেই। এতে কোন একটা কোম্পানি কে দায়িত্ব দেওয়া হয় এই নিয়োগের জন্য। ঐ কোম্পানি কর্তৃক নিয়োগ দেওয়া হয়। এখানে আউটসোর্সিং এ কর্মরতদের বেতন ভাতা সব কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত কোম্পানি টা দিয়ে থাকে। এই চাকরি ও স্হায়ী নয় এবং এখানে ও কোন ইনক্রিমেন্ট বা প্রমোশনের সুযোগ নেই।
এখানে উল্লেখিত ২য় ও ৩য় ক্যাটাগরির চাকরি গুলো স্হায়ী হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
অনেকেই সরকারি চাকরি নিতে গিয়ে প্রতারিত হয় আবার অনেকেই আউটসোর্সিং এর চাকরিটা পেতে ও মরিয়া হয়ে যায় এবং এটা কে সরকারি ভেবে টাকার ও লেনদেন হয় অনেক সময়। এবং প্রতারিত হওয়ার সংবাদ পাওয়া যায় পত
বর্তমানে যেকোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির সার্কুলার দেয় অনলাইনে। আবেদন ও করতে হয় অনলাইনে। প্রিলি, লিখিত ও ভাইভা প্রত্যকটার রেজাল্ট ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। বর্তমানে সরকারি চাকরি তে নিয়োগ প্রায় ১০০% ফেয়ার হয়। কেন ঘুষের লেনদেন হয় না। তাই চাকরি পেতে ভালো পড়াশোনার প্রয়োজন। শর্টকার্টে কিছু আসে না। ধন্যবাদ।
Follow the page👉 Bangla Scope