Chakma

20/07/2025

"জীবনের প্রথম আ*জব পা দেখলাম! প্রকৃতি আসলেই বিস্ময়*কর!"
"কি বি*চি*ত্র এই দুনিয়া! এমন পা আগে কোনোদিন চোখে পড়েনি!"

18/07/2025

বাংলাদেশি কৃষিবিদ ও কৃষি গবেষকদের প্রতি আহ্বান:
এমন বহুফসলি গাছের গবেষণায় মনোযোগ দিন। টেকসই কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তায় এটি হতে পারে এক যুগান্তকারী আবিষ্কার। যার ফলে দেশে অভাব দূর হবে।

এমন গাছ বের হলে কে কে লাগাতে চান কমেন্ট করুন।

#কৃষিরভবিষ্যৎ #বহুফসলিগাছ #বাংলাদেশকৃষি

18/07/2025

সুমন চাকমা ও মিলন চাকমার সত্যিকারের বন্ধুত্বের গল্প

খাগড়াছড়ির এক ছোট্ট গ্রামে থাকত দুই বন্ধু—সুমন চাকমা ও মিলন চাকমা। ছোটবেলা থেকে স্কুলের মাঠে , বাঁশবাগানের নিচে—সবখানেই একসাথে।

সুমন ছিল খুব মেধাবী, আর মিলন ছিল দারুণ পরিশ্রমী। দুজনেই সরকারি চাকরির এর স্বপ্ন দেখত। কিন্তু হঠাৎ একদিন সুমনের বাবা মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছিল না। সংসার চালানোই দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।

সুমন পড়াশোনা ছেড়ে টমটম চালানো শুরু করে।
সবাই বলল, “এটা সুমনের পক্ষে সম্ভব না আর, ও শেষ হয়ে গেল।”
কিন্তু মিলন চাকমা চুপ করে থাকেনি।

সে নিজের টিউশনের টাকা জমিয়ে সুমনের বই কিনে দিল, রাতের বেলা একসাথে পড়াশোনা করল। এমনকি মিলন নিজে না খেয়ে সুমনকে খাবার দিতো। সে বলত,

> “তুই যদি পড়া ছাড়িস, আমি একা সরকারী চাকরি করে কী করব?”

দুজনেই পড়ালেখা চালিয়ে যায়।
বছর দুই পর, চাকরি পরীক্ষায়, সবাই অবাক হয়ে দেখে—
সুমন চাকমা — সহকারী শিক্ষক
মিলন চাকমাও - সহকারী শিক্ষক ।

গ্রামের ছোট পাহাড়ি ঘর থেকে উঠে তারা আজ দুজনেই দেশের সেবা করছে।
গল্পের শিক্ষা:

বন্ধু মানে শুধু একসাথে থাকা না, বন্ধুর স্বপ্নেও সাথ দেওয়া।
যে বন্ধুত্ব বিপদের দিনে পাশে থাকে, সেটাই প্রকৃত বন্ধুত্ব।

18/07/2025

17/07/2025

পুকুরের ঘাটে নেমে কাঁদায় পা ডুবিয়ে,
হাতে জাল বা পলো নিয়ে
ঘণ্টার পর ঘণ্টা খুঁজে যাওয়া সেই ‘একটা বড় মাছ’—
এটাই তো গ্রামীণ জীবনের আসল মজা!

শীতের সকালের কুয়াশা,
বা বর্ষার দিনে পানি থই থই মাঠে
বন্ধু-বান্ধব মিলে হইহুল্লোড় করে মাছ ধরা—
এ এক আলাদা অনুভূতি,
যা শহরের কোনো আনন্দেই মেলে না।

15/07/2025

আহা শান্তি।

15/07/2025

কক্সবাজারে জীবনের প্রথম তাজা মাছ দেখার অভিজ্ঞতা। মাছগুলো ছিল একেবারে সদ্য ধরা—চোখে জল, শরীরে চকচকে রূপালি ঝিলিক।

14/07/2025

"কী জানি কেন, ঢাকা শহরটা আমার কখনোই ভালো লাগে না—চারপাশে কোলাহল, দমবন্ধ করা ভিড় আর ব্যস্ততার ভেতর কোথাও যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলি।"

13/07/2025

"নতুন তারকার আগমন: বিতোশোক চাকমার ফুটবলযাত্রা"

একজন ফুটবলারের গল্প সবসময় গোল আর ট্রফির মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে না। কিছু গল্প শুরু হয় মাটির গন্ধ থেকে, ছেলেবেলার স্বপ্ন থেকে — যেভাবে শুরু হয়েছিল বিতোশোক চাকমার গল্প।

পাহাড়ি অঞ্চলের এক শান্ত ছেলে, ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ছিল বিতোশোকের। খালি পায়ে গ্রামের মাঠে বলের পেছনে ছুটে বেড়াত সে। বলের ছোঁয়ায় তার চোখে স্বপ্ন জ্বলত — একদিন দেশের হয়ে খেলবে, নিজের এলাকা ও জাতিসত্তার গর্ব হবে সে।

সময় বদলেছে। সেই গ্রামের ছেলেটিই এখন খেলছেন যুক্তরাষ্ট্রে ব্রুকলিন এফসি ক্লাবের হয়ে। প্রবাসী ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজিত একটি টুর্নামেন্টে ব্রুকলিন এফসির জার্সি গায়ে চড়ানো বিতোশোক এখন মাঠে যেন এক ঝড়। তার ক্ষিপ্রতা, ড্রিবলিং এবং নিখুঁত পাস অনেক কোচের চোখে পড়েছে ইতিমধ্যে।

সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। ম্যাচজুড়ে তার খেলা ছিল আত্মবিশ্বাসী, গোছানো, আর শৈল্পিক। তার গোল তৈরি করার ক্ষমতা এবং ফিনিশিং স্কিল দেখে অনেকেই মন্তব্য করছেন, "এই ছেলেটি একদিন বাংলাদেশের মূল জাতীয় দলের স্ট্রাইকিং দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে পারবে।"

# তার খেলার কিছু বিশেষ দিক:

✅ ড্রিবলিং স্কিল: এতটাই আকর্ষণীয় যে বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরও মুগ্ধ।

✅ খেলার ধরন: কেউ কেউ বলেন — তার মধ্যে মেসির মতো লাজুকতা, রোনালদোর মতো ক্ষিপ্রতা, আর নেইমারের মতো কারিকুরি দেখা যায়।

✅ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনপ্রিয়তা: তরুণ ফুটবলপ্রেমীরা তাকে নিয়ে নানা পোস্ট করছেন, হ্যাশট্যাগে ভেসে যাচ্ছে "FutureStarBitoshok"।

✅ দলীয় প্রয়োজনে গোলের দায়িত্ব: যখন দলের গোলস্কোরিং মেশিন খুঁজে পাওয়া যায় না, বিতোশোক সবার প্রত্যাশার কেন্দ্রে চলে আসেন।

#ভবিষ্যতের স্বপ্ন

আজ বিতোশোক যুক্তরাষ্ট্রের মাঠে দ্যুতি ছড়াচ্ছেন, কিন্তু তার হৃদয় পড়ে আছে দেশের মাটিতে। সে নিজেই বলেছে, “বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপিয়ে মাঠে নামাটাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।”

13/07/2025

Newziland,Khagrachhari

13/07/2025

খাগড়াছড়ির চেঙ্গী নদী

10/07/2025

রবিন চাকমার গল্প,
টমটম চালক থেকে পুলিশ অফিসার:
খাগড়াছড়ির জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম রবিন চাকমার। ছোটবেলা থেকেই সংগ্রাম তার নিত্যসঙ্গী। বাবা ছিলেন দিনমজুর, অকালেই চলে যান। সংসারের হাল ধরতে রবিনকে সপ্তম শ্রেণি থেকেই টমটম চালাতে হয়।

সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সে খাগড়াছড়ি শহরে যাত্রী নিয়ে ঘুরত। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে স্কুলে যেত, আর রাতে পড়াশোনা করত কুপির আলোয়।
SSC ও HSC তে জিপিএ-৫ পাওয়ার পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ছিল এক যুদ্ধ সেটা আর নাই বললাম । বন্ধুদের পুরনো বই আর ইউটিউবের ভিডিও দেখে সে শুরু করে চাকরির পড়াশোনা । তার স্বপ্ন ছিল–একদিন পুলিশের ড্রেস পরবে, পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে।
কতজন বলেছে,
"টমটম চালিয়ে কি কেউ পুলিশ অফিসার হয়?"
সে শুনত, হাসত, তারপর আরও বেশি করে পড়ত।
অবশেষে পঞ্চম চেষ্টায়, রবিন চাকমা পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়।
আজ সে একজন সম্মানিত পুলিশ অফিসার, মাথায় টুপি, বুকে ব্যাজ আর চোখে স্বপ্ন।

# রবিনের কথা:

আমি পাহাড়ের ছেলে, আমি গর্বিত। আমি প্রমাণ করেছি, টমটম চালকও পারে দেশের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব নিতে।

এই গল্প আমাদের বলে:
১.অভাব মানেই হেরে যাওয়া না, অভাব মানে শুরু করার শক্তি
২. পাহাড় হোক কিংবা শহর—পরিশ্রম আর স্বপ্ন থাকলে সব সম্ভব