12/09/2024
বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিবিরের এক্টিভিটিজ হইতেছে RAW কিংবা মোসাদের মতো। আপনার আশেপাশেই অনেক শিবির ঘুরঘুর করবে, কিন্তু আপনি ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না সে যে আসলে শিবির। আপনার ক্লাসমেট, যার সাথে আপনি চার বছর ধরে ক্লাস করে এসেছেন, পাশাপাশি বসে বিড়ি সিগারেট মদ গাঞ্জাও খেয়েছেন। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারেননি সে আসলে শিবির। আপনার হলের রুমমেট, যার সাথে একসাথে একই রুমে চার-পাঁচ বছর ধরে আছেন। কিন্তু আপনি বুঝতেই পারবেন না, সে হইতেছে শিবিরের আমীর।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কে শিবির, সেটা বের করা খুবই টাফ। ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।দেখা গেল, সে আসলে শিবিরের প্রোডাক্ট। ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় নেতা। সেও দেখা যাবে, শিবিরের সদস্য। সাংস্কৃতিক সংগঠন, নাটক, বিতর্ক, কবিতা, সামাজিক সংগঠন, স্কাউট, বিএনসিসি, রক্তদান গ্রুপ সব জায়গায় শিবির আর শিবির। যে ছেলেটা মসজিদে ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেছে, নিয়মিত কুরআন হাদীস পড়তেছে সেও শিবির। যে ছেলেটা গাঞ্জাখোরদের সাথে গাঞ্জা খাইতেছে, গলগল করে মদ গিলতেছে সেও শিবির।
যে ছেলেটা স্লোগান দিতেছে— একটা দুইটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জ/বা/ই কর, সেও শিবির। যে ছেলেটা স্লোগান দিতেছে, সমাজতন্ত্রই মুক্তির একমাত্র পথ কিংবা কমরেড কমরেড, গড়ে তুলো ব্যারিকেড, সেও হইতেছে শিবির।
এরমধ্যে একদল আছে, ওরা অলওয়েজ শিবির খুঁজে বের করার ধান্দায় থাকে। শিবির তো এরা খুঁজে পাই-ই না, বরং এরে ওরে শিবির ট্যাগ দিয়ে বেড়ায়। এরা মনে করে— আমার সাথে যার মতের মিল নেই, সে শিবির। আমার সাথে বসে যে গাঞ্জা খায় না, সে শিবির। অথচ তার গাঞ্জার সাপ্লাইয়ার যে বন্ধুটা, সে যে আসলে শিবির অইটা সে খুঁজে বের করতে পারে না।
ঢাকা শহরের রাস্তাঘাটে অনেকসময় বিভিন্ন পাগল ভবঘুরে দেখা যায়। তাদের কাপড়চোপড়ের ঠিক থাকে না, ন্যাংটা হয়ে ঘুরে। ব্রীজের নিচে, ময়লার ভাগাড়ে, ফ্লাইওভারের পিলারের খোপে এরা উদ্ভ্রান্তের মতো দিন কাটায়। মাঝেমধ্যে দেখবেন, কিছু অতি-উৎসাহী লোক এদেরকে ধরে এনে RAW কিংবা মোসাদের এজেন্ট বলে চালায়ে দিতে চায়। এক লোকের গায়ে একটা কাপড়ও নাই, ন্যাংটা হয়ে সংসদ ভবনের আশেপাশে ঘুরতেছে। কিছু ভোদাই তারে ধরে এনে বলতেছে— এ হইতেছে RAW এজেন্ট 🤣🤣।
ক্যাম্পাসের শিবির খুঁজা পাবলিকগুলার অবস্থা হইতেছে এই ভো*দা*ইগুলার মতন। এরা শিবির তো ধরতেই পারে না, বরং আশেপাশের নিরীহ পোলাপানগুলারে ধরে শিবির বানায়ে দেয়।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলাতে শিবির খুঁজে বের করা আসলে দুঃসম্ভব। এজন্যই মনিষীরা বলে গেছেন, শিবির খুঁজে লাভ নেই বৎস্য। মানুষ মাত্রই শিবির।
তবে কি শিবির খুঁজে বের করার কোনো উপায়-ই নেই? একটা উপায় অবশ্য আছে।
আপনার কোন বন্ধু শিবির কিনা যাচাই করতে হলে, কৌশলে তার বাসায় কিংবা রুমে দাওয়াত নিবেন। তার পড়ার টেবিলের সবগুলা বই তন্ন তন্ন করে খুঁজবেন। সে যদি আসলেই শিবির করে থাকে, তবে দেখবেন কোনো একটা বইয়ের ভিতর কাগজ কেটে তার ভিতরে একটা ধা/রা/লো ক্ষুর রাখা আছে।
এই ক্ষুর দিয়ে তারা মানুষের রগ কা/টে। রগ কা/টার মতো মানুষ খুঁজে না পেলে তখন তারা নিজের রগ নিজেই কা/টে।
এজন্য, কারও শরীরের রগ কা/টা দেখলেও বুঝে নিবেন, সে আসলে শিবির। আপনারা হয়ত জানলে অবাক হবেন যে সেক্সিনা ও মাতাল জয়ও একসময় শিবির করত 😄😄😄
- Imran Shahriar