
12/06/2025
২৪২ জন যাত্রী , ১৬৯ জন ভারতীয় , ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের যাত্রী , ৭ জন পর্তুগাল, ১ জন কানাডিয়ান...
পাঁচ মিনিট আগেও ওরা জানতো না , বেলা ফুরানোর আগেই সূর্য অস্ত যাচ্ছে ।
বিশ্বাস করেন , এদের সবাই ব্রাইট ফিউচার এর স্বপ্ন দেখা মানুষ।
এখানে পাইলট ছিলো , গুজরাটের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ছিলো , খুব ভালো ভারতীয় ছাত্র ছিলো, চাকুরীজীবি ছিলো ।
লন্ডন থেকে যারা ভারতে এসে আবার ফিরে যাচ্ছে , খোঁজ নিলে দেখা যাবে এরা সব বড় কোনো কোম্পানির অথবা কোনো প্রতিষ্ঠানের সব নামকরা মানুষ ।
সামনের সময়টা কি বিপুল সম্ভাবনাময় ছিলো ।
পরিসংখ্যানের স্বভাব নিষ্ঠুর । সে হিসেব রাখলো —
" বিমান দুর্ঘটনায় ২৪১ জন মারা গেলো । "
কিন্তু বিলিভ মি , যারা মারা গেছে , তারা একেকজন ঘরের খুঁটি ছিলো , যে খুঁটি খ'সে গেলেই ঘর হেলে পড়ে যায়।
মুখে বলছেন, ২৪১ জন মারা গেলো । ২৪১ জন না, ১০ জনের ঘরে যান , ওদের কান্না থামাইতে পারবেন না ।
কারণ এদের নিজের মানুষ মইরা গেছে স্বপ্ন বুকে নিয়া।
এদের কালকের দিন নিয়ে প্ল্যান ছিলো । আগামী সপ্তাহ নিয়ে প্ল্যান ছিলো । প্ল্যান ছিলো আগামী বছর নিয়েও ।
কিন্তু... এত এত প্ল্যান , এক নিমেষেই সব শেষ ।
যে মেডিকেলের ছাদে বিমান ধসে পড়লো , যে মেডিকেলের ৫ জন মারা গেলো , তারা কখনো ভাবছে?
মৃত্যু এত আশ্চর্যজনক অতিথি হয়ে আসবে তাদের জীবনে?
আজ থেকে বরাবর ১ মাস ১০ দিন আগে লিখেছিলাম,
প্রশ্নবোধক চিহ্নের নিচে একটা ফোঁটা আছে । জীবন তারচেয়ে ও ছোটো ।
তুমি কতদিন বাঁচবা?
এটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ।
তোমার জীবনে আগামীকাল কি ঘটবে?
এটাও প্রশ্নবোধক চিহ্ন ।
এক্সপেকটেশন লেভেল অনুযায়ী আপনার বর্তমান জীবন কি আমি তা জানি না , হইতে পারে টসের কয়েনের হেড অথবা টেল । ফিফটি ফিফটি ।
কিন্তু আমি এই যে ২৪২ জন যাত্রী , ৫ জন মেডিকেল স্টুডেন্টের কথা বলছি — এদের কাছে জীবন ধরা দিয়ে গেছে হঠাৎ আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে।
একদম হান্ড্রেড থেকে আচমকা জিরো !
মৃত্যু বোধহয় এমনি আশ্চর্যবোধক চিহ্ন হয়ে পরিচিত হতে আসে জীবনের কাছে ।
লেখাঃ "আলোকশূন্য নক্ষত্র'