27/07/2025
ডেনমার্কে মাত্র দেড় লক্ষ ছেলে-মেয়ে হাইস্কুল (দ্বাদশ গ্রেড) পরীক্ষা দেয়। এদিকে, বাংলাদেশের প্রায় ২০ লক্ষ ছেলে-মেয়ে শুধু এসএসসি পরীক্ষা দেয়।
অথচ, ডেনমার্ক অর্থনীতিতে শক্তিশালী। আবিষ্কার-উদ্ভাবনে সেরা। সমরাস্ত্রে, পারমাণবিক অস্ত্রে সমৃদ্ধ।
যুগের পর যুগ আমাদের ছেলে-মেয়েরা শুধু পড়েই যাচ্ছে।
কি পড়ছে, কেন পড়ছে—সে নিয়ে রাষ্ট্রের কোন হুঁশ নাই।
অথচ ডেনমার্কের মতো একটা সমাজ থেকে আমরা শতবর্ষ পিছিয়ে।
ডেনমার্কে আছে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। গবেষণা প্রতিষ্ঠান। টেকসই অর্থনীতি ও শিল্প।
ডেনমার্কের জনসংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ। অথচ আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট সংখ্যাই ৪০ লক্ষ।
কেউ প্রশ্ন করছে না—আমাদের এতো এতো শিক্ষার্থী কিন্তু আমরা পারছি না কেন?
জনসংখ্যা আর দারিদ্রতাকে হাইলাইট করে, গভীরের বহু সমস্যাকে রাষ্ট্র এড়িয়ে যায়।
অথচ শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়— প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা বাদ দিয়ে চলে রাজনীতি।
বিশ্বমানের শিক্ষক গড়ে তোলার কোন প্রচেষ্টা ও প্রকল্প নাই রাষ্ট্রের। মেন্টর গড়ে তোলার কোন সংস্কৃতি নাই।
যোগ্যতার সংস্কৃতি গড়ে উঠছে না। বিদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার আনা হয়, বন্দর বিদেশীদের হাতে দেয়া হয়।
বিদেশ থেকে যুদ্ধ বিমান কেনা হয়, চিকিৎসার জন্য ডাক্তার আনা হয়।
কিন্তু কখনো শুনেছেন বিদেশ থেকে শিক্ষক-গবেষক ও প্রশিক্ষক এনে যুব সমাজকে নির্মান করা হবে?
যুব সমাজকে যদি নির্মান করা হয়, তাহলে মিছিলে, মিটিং-এ, জনসভায় মানুষ পাবে না। যুবকরা আরো প্রশ্ন করবে। রাষ্ট্রের কাছে কড়ায়-গণ্ডায় হিসাব চাইবে।
আমাদের সমগ্র শিক্ষার মান নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবতে হবে। বছরের পর বছর কি করে মান বাড়ানো যায়, সে নিয়ে শক্ত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন লাগবে।
নাইলে ৫০ লক্ষ ছেলে-মেয়েও যদি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে বের হয়, তাহলেও এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
ডেনমার্কের দেড় লক্ষ ছেলে-মেয়ের সাথে আমরা মেধার লড়াইয়ে হেরে যাবো, যুগের পর যুগ।
কারণ, আমরা তো প্রশ্নই করি না—কেন আমরা পিছিয়ে। আর সে মতো কাজও করি না। সবকিছুতে দায় সারা, লেপা-পোছা একটা কাজ করাই আমাদের লক্ষ্য।
…………………….
RAUFUL ALAM
ফুটনোট কমেন্টে