Pure Voice

Pure Voice সত্যের পথে জীবন মোদের।
সত্যের জন্য করবো লড়াই আমরণ।

শ'|মের ভূমি ই'সলামের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। বলা হয়, শ|মের শান্তি মু°সলিম উ'ম্মাহর শান্তি, আর শ|মের অ'শান্তি সারা মু°সল...
08/12/2024

শ'|মের ভূমি ই'সলামের ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়। বলা হয়, শ|মের শান্তি মু°সলিম উ'ম্মাহর শান্তি, আর শ|মের অ'শান্তি সারা মু°সলিম জ|হানের অ'শান্তির প্রতীক।

ছবিটির দৃশ্য যেন এক জী°বন্ত বার্তা। এক খুদে মু'ক্তিযো'°দ্ধা দাঁড়িয়ে আছে ব|শার আল-আ°স|দের পিতার মূর্তির উপর, এক হাতে বি*জিত শ|মের পতাকা, আরেক হাতে ফি'/লি-স্তি*নের। তার অব্য'ক্ত ঘো'ষণায় প্রতিধ্ব'নিত হয়, "বাইতুল মো*ক|দ্দাস, আমরা আমাদের ভূ'মি স্ব|ধীন করেছি। অ'পেক্ষা করো, এবার তোমার দিকে আসছি।"

এই তাৎপর্যপূর্ণ ছবিটি ধারণ করেছেন শ|মের প্রতিভাবান আলোকচিত্রী Yah-ya sobeih, যা যুগে যুগে সং-গ্রামের প্র'তীক হয়ে থাকবে।

22/11/2024
বায়তুল মুকাররমের মিম্বর থেকে জুমার আলোচনার সারাংশ:খতীব: মুফতি আব্দুল মালেক হাফিযাহুল্লাহ২২ নভেম্বর  ২০২৪অনুলেখক: মুহাম্...
22/11/2024

বায়তুল মুকাররমের মিম্বর থেকে
জুমার আলোচনার সারাংশ:

খতীব: মুফতি আব্দুল মালেক হাফিযাহুল্লাহ
২২ নভেম্বর ২০২৪
অনুলেখক: মুহাম্মাদ লুতফেরাব্বী আফনান

হামদ ও সানার পর তিনি তাকওয়ার গুরুত্বপূর্ণ আয়াত নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা শুরু করেন।
আজকে সূরা বাকারার প্রথম কয়েকটি আয়াত নিয়ে আলোচনা করেন।
এই কিতাবের মধ্যে কোন সন্দেহ নেই। এই কিতাব আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। এই কিতাব মুত্তাকীদের জন্য হেদায়েত হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই।
এই পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ তা'আলা মুত্তাকিদের জন্য হেদায়াত রূপে নাযিল করেছেন। যারা তাকওয়া অর্জন করবে তারা এই কোরআন থেকে হেদায়াত লাভ করতে পারবে।

মুত্তাকিদের প্রথম গুণ হলো ঈমান আনা। আজকে আমরা এই ঈমান এবং ইসলাম সম্পর্কে অনেক বেশি উদাসীন। অথচ এই ঈমান এবং ইসলাম ছাড়া পরিপূর্ণ মুত্তাকী হওয়া সম্ভব নয়। এজন্য সকল নবীগণ তাদের দাওয়াতের মধ্যে দুটি বিষয় উল্লেখ করেছেন, এক আল্লাহ এবাদত করা এবং আল্লাহকে ভয় করা। তাওহীদের সাথে তাকওয়ার সম্পর্ক গভীরভাবে যুক্ত।

যে কালেমায়ে তইয়্যেবার মাধ্যমে আমরা ঈমান আনি, সেই কালিমার অর্থ - মর্ম ও ফলাফল আমরা চিন্তা করি না। সুরা ইব্রাহিম এর মধ্যে আল্লাহ এই কালিমার উদাহরণ দিয়েছেন একটি ফলোদায়ক গাছের সাথে।
একটি গাছ তখনই ফলোদায়ক হতে পারে যখন তার বীজ সঠিকভাবে রোপণ করা হয়, পানি দেওয়া হয়, আগাছা পরিষ্কার করা হয়। এভাবে গাছের গোড়া মজবুত হলে পরবর্তীতে ডালপালা সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে। ঠিক অনুরূপভাবে কালেমায়ে তাইয়্যেবা অন্তরের মধ্যে ঈমানের বীজ রোপন করে। এই বীজকে ঈমানের অন্যান্য সব শাখা পরিপূর্ণ করা এবং সুন্নাহ পালনের মাধ্যমে মজবুত করা আমাদের দায়িত্ব।
কালিমায় তাইয়্যেবার প্রথম অংশ যার বিস্তারিত ঈমানে মুফাসসালের মধ্যে আমরা পড়ে থাকি। এই ঈমানে মুফাসসালের প্রতিটি অংশ পরিপূর্ণভাবে বুঝা এবং এর পরিপন্থী বিশ্বাস থেকে বেঁচে থাকা জরুরী।

কালেমায়ে তাইয়্যেবার দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর ঈমান আনা এবং তার শরীয়তকে মেনে চলা।
এ প্রসঙ্গে ২৫ পারার সূরা জাসিয়ার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন :

ثُمَّ جَعَلْنَاكَ عَلَىٰ شَرِيعَةٍ مِّنَ الْأَمْرِ فَاتَّبِعْهَا وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَاءَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ (18)
আল্লাহতালা তাঁর নবীকে বলেন, আপনাকে আমি শরীয়ত দান করেছি আপনি এই শরীয়তের অনুসরণ করুন। আর যাদের কাছে ওহীর জ্ঞান নেই তাদের অনুসরণ করবেন না। এই আদেশ উম্মতের জন্য কেয়ামত পর্যন্ত অনুসরণ আবশ্যক। পশ্চিমা বিশ্বের কাছে জাগতিক বিভিন্ন জ্ঞান থাকলেও ওহির জ্ঞান নেই, তাই তারা অনুসরণ যোগ্য নয়। তারা মানুষের মুক্তি ও কল্যাণ দিতে পারেনি, পারবেও না।

إِنَّهُمْ لَن يُغْنُوا عَنكَ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا ۚ وَإِنَّ الظَّالِمِينَ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاءُ بَعْضٍ ۖ وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُتَّقِينَ (19)
তারা কখনোই আল্লাহর মোকাবেলায় আপনার উপকারে আসবে না। আর জালেমরা পরস্পর বন্ধু। কাফের এবং মুশরিক শক্তি সর্বদাই ইসলাম ও মুসলমানের শত্রু। কিন্তু মুসলমানরা আজকে তা বুঝতে পারছে না।
অথচ মুসলমানদের প্রকৃত বন্ধু হচ্ছেন আল্লাহ তায়ালা, কিন্তু তা অনুধাবন করতে পারবে একমাত্র মুত্তাকীগণ। এজন্য তাকওয়ার জীবন অর্জন করা আমাদের জন্য অপরিহার্য, যাতে আমরা দুনিয়া এবং আখেরাতে আল্লাহর বন্ধুত্ব আল্লাহর অভিবাবকত্ব লাভ করতে পারি।
هَٰذَا بَصَائِرُ لِلنَّاسِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّقَوْمٍ يُوقِنُونَ (20)
এই শরীয়তের অনুসরণ এবং সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন যাপনের মধ্যেই সকল মানুষের জন্য আলোকবর্তিকা এবং বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রহমত রয়েছে।
আমরা যে আলোকবর্তিকা খুঁজি তা এই কোরআনের মধ্যেই রয়েছে।
أَمْ حَسِبَ الَّذِينَ اجْتَرَحُوا السَّيِّئَاتِ أَن نَّجْعَلَهُمْ كَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَوَاءً مَّحْيَاهُمْ وَمَمَاتُهُمْ ۚ سَاءَ مَا يَحْكُمُونَ (21)
এরপর আল্লাহ তায়ালা বৈষম্য ও সমতার বিষয়ে আমাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছেন। অপরাধীরা এবং মুমিনরা কখনো সমান হতে পারে না। অপরাধী জীবন এবং মুমিনের জীবন কখনো এক নয়, তাদেরকে এক বিচার করা যাবে না।

আমাদের দেশ আজকে একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে চলছে। বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার, সমতা বিধান এবং বৈষম্য দূরীকরণের আলোচনা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখজনক হলো, সংস্কারের যে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা কোরআন ও সুন্নায় দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে পাশ কাটিয়ে পশ্চিমা সভ্যতা ও আদর্শের অনুসরণ করা হচ্ছে। আমে.রিকা, রাশি.য়া ব্রিটে.ন বা অন্য কোন দেশের নীতি ও আদর্শ আমাদের উপকারে আসবে না। এগুলো সব পরীক্ষা করা হয়ে গেছে। এগুলোকে পুনরায় আমদানি করার কোন সুযোগ নেই।

তাওহীদের উর্বর এই ভূমিতে, মুসলমানের এই দেশে মুসলিম অমুসলিম সবাই ইনসাফের সাথে তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। কিন্তু বৈষম্য দূরী করা বা সংস্কার, সমতা বিধানের নামে নতুন বৈষম্য তৈরি করা, অথবা ইসলাম বিরোধী কোন নিয়ম-কানুন বা সভ্যতা সংস্কৃতি আমদানি করার সুযোগ নেই।
যদি কেউ এই কাজ করতে চায় তাদের কাছে আমরা ক্ষমা চেয়ে সতর্ক করতে চাই, আল্লাহকে ভয় করুন অন্যথায় আল্লাহর গজব নেমে আসবে।

20/11/2024

১৫ বছরে আনসার নিয়োগ হয়েছে ৪২ হাজার।
তার মধ্যে গোপালগঞ্জেরই ২৯ হাজার!!!
৬০ হাজার শিক্ষকের সনদ জাল!
সূত্র: সমকাল

এটা পাশের দেশের ঘটনা মনে কইরেন না,এটা আপনার দেশের ঘটনা।শুধুমাত্র আজান দেওয়া ও নামাজ পড়ার কারণে মাদারীপুরের শশিকর শ হী দ ...
17/11/2024

এটা পাশের দেশের ঘটনা মনে কইরেন না,
এটা আপনার দেশের ঘটনা।
শুধুমাত্র আজান দেওয়া ও নামাজ পড়ার কারণে মাদারীপুরের শশিকর
শ হী দ স্মৃতি কলেজের মুসলিম শিক্ষার্থীদের ওপর
হ| ম°°লা চালিয়েছে উ°°°গ্র হে°দু_রা।

এতেকরে আ হ ত হয়ে অন্তত ৭ জন মুসলিম ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি।
স্কুল-কলেজে পূ*জা করা যায় কিন্তু নামাজ পড়া যায় না।
এদেশে মুসলিমরা ব্যাতীত সবাই স্বাধীন।

মাদারীপুরের মুসলিমরা কোথায়?
হে বাঙ্গালি মুসলিমগণ,
আপনারা আর কত ঘুমাবেন?
আর কখন বুঝবেন যে ওরা ওদের শক্তির জানান দিচ্ছে?
কখন বুঝবেন আপনার দিকে এক ভয়াল ঝড় এগিয়ে আসছে?
কখন আপনারা গাফলতির ঘুম ভেঙ্গে প্রস্তুতি নিবেন?
বারবার বলছি,
সময় থাকতে জেগে উঠুন নয়তো ঘরে ঘরে ডুকে ওরা জ °°ব| ই করবে।

আমার এডিটিং করা একটি সংগীত আসছে। দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন আমার ইউটিউব  চ্যানেল।
02/11/2024

আমার এডিটিং করা একটি সংগীত আসছে।
দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন আমার ইউটিউব চ্যানেল।

ছোট্ট শিশুর কন্ঠে ত্রিভুবনে প্রিয় মুহাম্মদ নাতে রাসুল (সাঃ) শুনে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাবেন।ওয়াসি চৌধুরী সাহিল....

01/11/2024

বুয়েট সিরাত সেমিনারের অনুমতি দেয়না ধর্মীয় প্রোগ্রাম বলে। আর আজ যে জয় শ্রী রামের শ্লোগান দিলো এটা ধর্মীয় ইস্যু নয়?

29/10/2024
29/10/2024

সুস্থতা চান সোমবার বৃহস্পতিবার রোজা রাখেন।

চেহারায় সৌন্দর্য চান রাতের শেষ ভাগে সালাত আদায় করেন কমপক্ষে দু’রাকাআত।

অন্তরে কোমলতা চান প্রতি দিন কুরআন তেলাওয়াত করেন।

সৌভাগ্যবান হতে চান সময়মতো সালাত আদায় করেন।

অন্তরে প্রশান্তি চান আল্লাহর যিকির বাড়িয়ে দিন।

ধনসম্পদ সন্তান চান ইস্তেগফার বাড়িয়ে দিন।

দুশ্চিন্তা দূর করতে চান দোয়ার প্রতি মনোযোগী হোন।

কঠোরতা বা সংকীর্ণতা দূর করতে চান লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ বাড়িয়ে দিন।

বারাকাহ চান দরুদপাঠে কৃপণতা করবেন না।

মসিবত দূর করতে চান দান সাদকাহ বাড়িয়ে দিন।

ভালো কাজ চলমান রাখতে চান তাহলে ভালো কাজে প্রতিযোগী হোন।
Amirhamza Subhani

ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়। আয় রে সাগর আকাশ বাতাস, দেখবি যদি আয়।।ধূলির ধরা বেহেস্তে আজ, জয় করিল দিলরে লাজ...
18/10/2024

ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস, দেখবি যদি আয়।।

ধূলির ধরা বেহেস্তে আজ,
জয় করিল দিলরে লাজ;
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।

দেখ আমিনা মায়ের কোলে
দোলে শিশু ইসলাম দোলে,
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।

আজকে যত পাপী ও তাপী
সব গুনাহের পেল মাফী,
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী
জুলুম নিল বিদায়।।

নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে ও-নাম-
সাল্লাল্লাহু আলায়হি ও-সাল্লাম;
জীন পরী ফেরেস্তা
সালাম জানায় নবীর পায়।।

----- কাজী নজরুল ইসলাম

মাশাআল্লাহ, মন জুড়ানো দৃশ্য !উজবেকিস্তানের তাশকন্দ শহরে "ইসলামী সভ্যতা বিনির্মাণে ইমাম তিরমিযী রহঃ এর উত্তরসূরীদের অবদা...
15/10/2024

মাশাআল্লাহ, মন জুড়ানো দৃশ্য !

উজবেকিস্তানের তাশকন্দ শহরে "ইসলামী সভ্যতা বিনির্মাণে ইমাম তিরমিযী রহঃ এর উত্তরসূরীদের অবদান" এবং "ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম" শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে আমন্ত্রিত হয়েছেন বর্তমান বিশ্বের তিনজন প্রভাবশালী ইসলামী ব্যক্তিত্ব।

আমিরুল হিন্দ সাইয়্যেদ আরশাদ মাদানী, শাইখুল ইসলাম মুফতি মোহাম্মদ তাকী উসমানী, এবং আরব বিশ্বের ফিকহে হানাফীর বিশেষজ্ঞ প্রখ্যাত আলেম শায়খ মোহাম্মাদ আওয়ামা-
حفظهم الله تعالي

প্রতিটি শুক্রবারে বায়তুল মোকাররম এরিয়া আমাদের সতর্ক থাকা উচিত যে কারণে -মোদির ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতের কোনো কর্মস...
09/10/2024

প্রতিটি শুক্রবারে বায়তুল মোকাররম এরিয়া
আমাদের সতর্ক থাকা উচিত যে কারণে -

মোদির ঢাকায় আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিলোনা। কিন্তু এই ইস্যুতে বায়তুল মোকাররমে মারামারি লাগাইছিলো কারা? কখন কি চিন্তা করেছেন?

মুসল্লির বেশে অপরিচিত এমন সব লোক ভেতর থেকে মারামারি শুরু করেছিলো যারা একটা ভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থায় কাজ করতো৷ মূলত বাহ্যিকভাবে দুই গ্রুপ মারামারি করলেও একই সংস্থার জনবল ছিলো তারা৷

মারামারি লাগিয়ে মুসল্লিদেরকে সম্পৃক্ত করানো ছিলো মূল লক্ষ্য। এক পর্যায়ে ইবনে শায়খুল হাদীসকেও পুলিশের জনৈক উর্ধতন কর্মকর্তা ফোন করে বায়তুল মোকাররমে নিয়ে আসেন এবং আলেমদের সম্পৃক্ততা করান।

এবং এরই জের ধরে আলেম ওলামাদের গণহারে গ্রেফতার করে জেলে পুরেন। হামলা মামলায় বিপর্যস্ত করেন। সেই নির্মমতার ইতিহাস তো সবাই জানেন।

ওই দিনের এই রক্তাক্ত সংঘর্ষ লাগানোই হয়েছিলো আলেমদের গ্রেফতারের বৈধতা সৃষ্টির জন্য। অথচ সেদিন বায়তুল মোকাররমে আলেমদের কোনো কর্মসূচিই ছিলোনা। হেফাজতেরও ছিলোনা৷ কারোরই না।

এবার আসেন চলমান সময় নিয়ে কথা কই। কালেমার পতাকা আমাদের নিকট জানের চেয়েও প্রিয়। এইজন্য শাহাদাতের পেয়ালা পান করতে পিছপা হইনা আমরা। আজীবন এই পথে যেনো থাকতে পারি, এটা যেকোনো মুমীনের জীবনের চরম ও পরম চাওয়া।

বায়তুল মোকাররমে, ঢাবিতে কালেমার কালো পতাকা নিয়ে কিশোর তরুণরা মিছিল করেছে, এই ছবি পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় সাপ্লাই দিয়ে বলানোর চেষ্টা করছে বাংলাদেশ এখন আ ই এ সের দখলে চলে গেছে। ইউনুসের সরকারকে হটানো না গেল দেশটা মৌ ল বা দি হয়ে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।

নিউইয়র্ক টাইমস, বিবিসি সহ অন্যান্য পত্র পত্রিকায় এনিয়ে প্রতিবেদন প্রচার করেছে। এটা তাদের মিশন।

মিছিলে অংশগ্রহণকারী এমন অনেক কিশোর তরুণদের কাছে এই পতাকা কে দিয়েছে জিজ্ঞেস করলে তারা সঠিক উত্তর দিতে পারেনি। কিছু অপরিচিত মানুষ এই পতাকা দিয়ে গেছে বলে তারা জানান, এমন খবর ফেসবুকেই লিখেছেন অনেকে৷

এই অপরিচিত লোকজন যারা তারা কারা? তাদের মিশন কি? তারা কি ইসলামী লাইনের কেউ নাকি কোনও গোয়েন্দা সংস্থার পেইড কেউ? প্রশ্ন অগনিত৷

যেহেতু ইউনুসের সরকার ইসলামপন্থীদেরকে হাসিনার মতো পুলিশ দিয়ে পিটায় না, ধরে ধরে জেলে পুরেনা সেহেতু এইসব ছবি দিয়ে এমন পরিবেশ তৈরি করা যাতে ইসলামপন্থীদের এই কাজ করার পরিবেশ নষ্ট হয়, এটাই তো উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে মৌ ল বাদে গিজগিজ করছে এবং এদের দমানো না গেলে দেশে ইসলামী হুকুমম কায়েম হয়ে যাবে, এই জুজুর ভয় পশ্চিমাদের দেখিয়ে হাসিনা পনেরো বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলো। এ তো আমাদের চোখে দেখা বিষয়।

আমরা এখন কি করব। পার্শ্ববর্তী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার ফাদে পা দেব নাকি সতর্ক থাকবো? দাওয়াতের চলমান সুযোগ অব্যাহত রাখব? এটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়।

একটা কথা, আপনি ওদের দ্বীন গ্রহণ না করা পর্যন্ত তাদেরকে খুশি করতে পারবেননা, একথা আল্লাহ নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন। এটাই ক্লিয়ার কথা।

আমরা চলমান সময়ে দ্বীনি দাওয়াতের কাজে কিংবা ইসলামী অন্যান্য কাজে আওয়ামী জামানার মতো বাধাগ্রস্ত হচ্ছিনা এটা তো সত্য কথা। এই পরিবেশকে অব্যাহত রাখা দরকার। নিজের লাভ পাগলেও বুঝে।

ওদের একটা গন্ডগোল লাগানোর একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে শুক্রবারের বায়তুল মোকাররম এরিয়া। ওইদিন কেউ যেনো তার নাপাক উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পারে খেয়াল রাখা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই জরুরি।

#বাংলাদেশ
#আলেম_ওলামা
#মুসলিম
#ইসলামিক
#ইসলামেরকথা
#বুদ্ধিবিত্তিক
#ইসলামেরপথ
#পাহাড়ের


যারা সাজানো ভিডিও দেখে আবেগ মারাচ্ছেন,  তাদের জন্য আমার পাহাড়ে বেড়ে উঠার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম৷  আমার জন্ম  পার্বত্য অঞ্চ...
26/09/2024

যারা সাজানো ভিডিও দেখে আবেগ মারাচ্ছেন, তাদের জন্য আমার পাহাড়ে বেড়ে উঠার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম৷

আমার জন্ম পার্বত্য অঞ্চলের রাঙ্গামাটি জেলার এর লংগদু উপজেলায়। সে সুবাদে আমি ছোট থেকে একটা শব্দের সাথে পরিচিত ছিলাম শান্তিবাহিনী। মা ছোট বেলায় দূরে কোথাও যেনো না যাই তাই জন্য ভয় দেখাতো ঐ খানে শান্তিবাহিনী আসছে, যাইস নাহ। আরেকটা শব্দ শুনতাম শান্তি চুক্তি! কিন্তু এসব এর কিছু ই বুঝতাম নাহ।

⛔ ঘটনা-০১ঃ
আমার সম্ভবত বয়স খুব হলে ৬ কিংবা ৭ বছর চলে। রাত হলে হাতি& শান্তিবাহিনী ভয় পেতাম আমরা। প্রবীণ রা তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা শেয়ার করতো যা থেকে একটা ভীষন ভয় ডুকে গিয়েছিলো। পাশের বাড়ির লোকেরা ইয়া বড় ড্রেন খুঁড়তে লাগলো।

জিজ্ঞেস করতাম কেন? কেউ কিছু বলতো না। খুঁড়তো প্রতিদিন ই। একদিন হঠাৎ করে গুলাগুলির আওয়াজ। আব্বা মা আমাকে আর ভাই কে নিয়ে দৌড়ে চলে যায় ঐ পাশের বাড়ির গর্ত করা ড্রেন এ। এবং এক পর্যায়ে মনে পড়ে আমার বোন কে ঘরে রেখে আসছে। আবার দৌড়ে যায় মা/ বাবা। এর পর আমরা শুধু এলোপাতাড়ি গুলির আওয়াজ শুনি।

একটু মাথা উঁচিয়ে সবাই দেখছিলো, আমিও দেখতে লাগলাম। গুলির আগুন এর ঝাটকা বুঝা যাচ্ছে, ব্রিজ এর ওপার থেকে গুলি ছুড়তে থাকে অনবরত। এরপর এক পর্যায়ে তারা চলে যায়। সে যে ভয় পেয়েছিলাম৷ তারপর থেকে দূরে কোথাও যেতাম নাহ সচারাচর৷

⛔ ঘটনা০২ঃ

স্কুল থেকে এসে দেখি আমাদের এলাকায় খুব হৈ-হুল্লোড়, যা আমি কখনোই দেখি নি৷ সবাই বলাবলি করছে সাবেদআলী রে মারছে, কি নির্মম কইরা মারছে রে।

যেহেতু আমাদের বাড়ি হয়ে পাহাড়ে যায় মানুষ ঝাড়ুর ফুল,বাঁশ কাটতে, এবং সাবেদ আলী কে পাহাড়ে হত্যা করা হয়েছে সেহেতু লাশ বাড়ির সামনে দিয়েই যাবে৷ ঘন্টাখানেক পর দেখলাম একটা বাশ এ হাত পা বেঁধে ঝুলিয়ে আনা হচ্ছে লাশ। দৌড়ে গেলাম বাজারের মাঠে, চোখে মুখে, জেদ, আতঙ্ক আমার।

এতোশত মানুষের ভীরে কোনরকম ভেতরে ডুকতে পারলাম৷ দেখলাম জিহ্বা টা স্বাভাবিক এর চেয়ে ৩ গুন বাহিরে বের হয়ে আছে, সারা শরীর সিগারেট এর আগুনে পোড়া হয়েছে, চোখ উপড়ে ফেলা হয়েছে৷ এই দৃশ্য দেখার পর ঘুমাই নি বহু রাত৷ ভাবতাম কিভাবে যে এলাকা ছেড়ে পালাতে পারি, কিভাবে! সে বিচার আজ পর্যন্ত নিহতের স্বজনরা পায় নি৷

⛔ ঘটনা০৩ঃ

আমি তখন আলফেসানী স্কুলে পড়ি, পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ঘর গুলো সেদিকে কাছে হওয়ায় তারা সেখানে প্রভাব বিস্তার করে। স্কুলে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তারা তুলকালাম মারামারি করতো। একবার বসে আছি টিফিন টাইমে, সব গুলো পাহাড়ি এক সাথে হলো আর কি যেনো বিরবির করতে লাগলো।

কিছুক্ষন পর তারা এক বাঙ্গালী ছেলে কে ডিরেক্টর হুমকি দিল তুই আজকে গেট থেকে বের হ, তোরে আজলে লাশ করবো। এর পর আমি যেহেতু নিজ কানে শব্দ টা শুনলাম আমি একদম শুরু দিকে বের হয়ে গেইট এর সামনে একটা সিঙ্গারার দোকান ছিলো, সেখানে বসলাম।

ছেলে বের হতে ই তাকে ১৫-২০ জন মারতে লাগলো। ভাগ্যক্রমে সেদিন কাঁঠালতলির ছেলেরা এসে ঐ ছেলে কে বাঁচিয়ে নেয়। কিন্তু তৎক্ষনাৎ ছেলের নাক ফেঁটে যায় এবং সমস্ত শরীর রক্তে লাল হয়৷

পাহাড়ি সন্ত্রাসী সংগঠন গুলোর কি পরিমাণ সাহস হলে এরা সরাসরি সেনাবাহিনী হত্যা করে? তাহলে আপনি আমি সাধারণ মানুষ নিরাপদ কোন চিন্তায় ভাবেন? আপনি তাদের সহজেই বন্ধু বানিয়ে ফেললেও তারা আপনাকে কখনো কোন ভাবেই বন্ধু বানাবে না মন থেকে৷

উপরে উপরে খুব খাতির রাখবে৷ আপনার খুব ভালো বন্ধু, বন্ডিং ভালো কিন্তু তাদের কথাকথিত আদিবাসী দিবস এলে দেখবেন তাদের আসল রুপ৷ তাদের প্লেকার্ড গুলো তে কি লিখা হয়। তারা সরাসরি স্লোগান দেয় সেনাবাহিনীর চামরা, তুলে নিবো আমরা। ৩ পার্বত্য অঞ্চল (খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি,বান্দরান) কে আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে চায়। সেটার নামকরণ তারা করেও রেখেছে জুম্মল্যান্ড।

পাহাড়ে নব্য মুসলিম ধর্ম গ্রহন করা ওমর ফারুক কে গুলি করে মসজিদে হত্যা, কিংবা ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যা, কিংবা সেনাবাহিনী হত্যার বিচার কই? সে নিয়ে শহরের পাব্লিক গুলোর প্লেকার্ড কই? পোষ্ট কই? কিচ্ছু নেই।

কিন্তু তারা বানোয়াট ইমোশনাল ভিডিও দিতেই পাব্লিক হুমড়ি খেয়ে শেয়ার দিয়ে লিখছে, পাহাড় ভালো নেই! আমি বলি আপনার মস্তিষ্ক ভালো নেই৷ এদের সংখ্যা এখন কম নয়৷ এরা সরাসরি যুদ্ধে জড়াতে চায়৷ তাহলে ভাবুন কি পরিমান অস্ত্র থাকলে এমন চিন্তা ভাবনা সম্ভব?

আবেগ না সুধিয়ে আগে জানুন পাহাড়ে কি হয় সব সময়।কেন সেনাবাহিনীর মতো এতো শক্তিশালী বাহিনীর সদস্য নিহত হচ্ছে পাহাড়ে? এদের অপকর্ম সমন্ধে ধারনা না থাকলে আবেগ না মারিয়ে ঘুমান৷ কাজে দিবে৷

সেনাবাহিনী প্রত্যাহারকৃত ক্যাম্প পুনরায় বহাল চাই। পাহাড়ে নিয়মিত যৌথ বাহিনীর অভিজান চালনা করে অস্ত্র সব উদ্ধার করা প্রয়োজন। নয়তো অচিরেই ৩ পার্বত্য অঞ্চল কে বাংলাদেশ বলার আর কোন ওয়ে থাকবে না।

(Copied)

©️Nahid Alam আসিফ

কী ভয়ঙ্কর! পড়ে দেখুন কোথায় আছেন!"প্রেরকঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুনিয়র ও মধ্যসারির কর্মকর্তাগন। আসসালামুয়ালাইকুম স্যার...
25/09/2024

কী ভয়ঙ্কর! পড়ে দেখুন কোথায় আছেন!

"প্রেরকঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জুনিয়র ও মধ্যসারির কর্মকর্তাগন।

আসসালামুয়ালাইকুম স্যার,

গতকাল ০৪৩০ ঘটিকায় আমরা আমাদের প্রিয় কমরেডদের একজনকে হারিয়েছি। এই পরিস্থিতির পরে আমরা চুপ থাকতে পারি না এবং আমরা কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর চাই। ২০০৯ সালের পুনরাবৃত্তি করতে দিব না। আমরা আপনার নেতৃত্বে উন্নত দেশ গড়ব। স্যার আমরা জানি যে *পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের* বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর শেষ অবলম্বন ছিল সেনাবাহিনী। যদি আপনি ৩রা আগস্ট ফায়ার অর্ডার দিতেন তাহলে এই দেশে গৃহযুদ্ধ হতো। আলহামদুলিল্লাহ স্যার আপনি এই দেশকে বাঁচিয়েছেন এবং আমরা সবাই আপনার উপর আস্থা রাখি। কিন্তু সেনাবাহিনীর বর্তমান কর্মকাণ্ডে আমরা মনে করি দেশ ধীরে ধীরে নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে। আর আমাদের সন্দেহ হচ্ছে আপনি এবং কয়েকজন সিনিয়র অফিসার ছাড়া অধিকাংশ সিনিয়র অফিসাররাই চায় আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসুক বা এদেশে অস্থিরতা বিরাজ করুক যাতে মানুষ বলে আগেই তো ভালো ছিলাম।

*এখন আমরা আপনাকে কয়েকটি প্রমাণ দিচ্ছি যে কারণে সেনাবাহিনীর পদক্ষেপ নিয়ে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে*:

১.জিওসি ৩৩ পদাতিক ডিভিশন: প্রথম থেকেই তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন একনিষ্ঠ ভাবে।আন্দোলন দমাতে সব ধরণের চেষ্টা তিনি করেছেন। ৪ আগস্ট কুমিল্লা সেনানিবাসের প্রধান ফটকের সামনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের গুলিবর্ষণ করে সাধারণ ছাত্রদের উপর। তিনি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। সব তথ্য থাকার পরও তিনি ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতিকে ধরতে ২৩ বীরকে অনুমতি দেননি। তিনি অজুহাত দেন যে বড় বড় সন্ত্রাসবাদীদের পরে ধর আগে ছোট চাদাবাজ ধরো। এখনও আমরা তাদের ধরতে পারিনি এবং তাদের কাছে অস্ত্র আছে।

তিনি ১৩ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা সেনানিবাসে একজন উপদেষ্টার আত্নীয়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে আপনার আদেশ অমান্য করেছেন (আপনি আদেশ দিয়েছিলেন যে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের/আত্মীয়দের কম আনতে )। *ঈদে মিলাদুন্নবীতে তিনি একটি ইউনিটে ভাষণ দিয়েছিলেন যে, তোমরা ৫ ওয়াক্ত নামায পড়ো এবং তিনি উল্লেখ করেছেন আমি উদ্ধৃতি করছি * তোমরা ঠিক মত নামায পড় না আবার দাড়ি চাও। দাড়ি রাখলে ফায়ার করতে অসুবিধা হবে, দাড়ি রাখলে চুলকায়। একজন জেনারেল কিভাবে ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে?*

২.জিওসি ৯ ডিভিশন: তিনি সাভার এলাকার গার্মেন্টস ইস্যু এবং অন্যান্য সমস্যার জন্য এককভাবে দায়ী তিনি ১১ বীরকে *আওয়ামী লীগের এমপি আমির হোসেন আমু'র বাড়িতে অপারেশন করতে দেননি। তিনি বিলম্ব যুদ্ধ নীতি অনুসরণ করে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তুলছেন।* উনার নিয়ন্ত্রণাধীন ব্রিগেড কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার সাইফুল্লাহ ও ব্রিগেডিয়ার মাহমুদ তিন ও চার আগস্ট ছাত্র জনতা বিপ্লবকে থামানোর জন্য হেন কোন অপচেষ্টা করতে বাকি রাখে নাই এবং নিরস্ত্র ছাত্র জনতার উপর অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ করতে পিছপা হননি। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের সময় উনাদের নৌকা ও চেতনা প্রীতি সর্বজন স্বীকৃত।

৩.জিওসি ১০ ডিভিশন: তিনি জুনিয়র অফিসারদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার অনুমতি দেননি। তিনি শুধুমাত্র সিও/ওসিকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন *তিনি লেঃ তানজিম সরোয়ার নির্জনের মৃত্যুর জন্য একক/আংশিকভাবে দায়ী* তিনি সরাসরি আইন ভঙ্গ করেছেন। এমতাবস্থায়, কেন শুধুমাত্র ডিভিশন পর্যায়ে তদন্ত আদালত গঠিত হচ্ছে? আমরা মনে করি মেজর জেনারেল সারোয়ার এবং ব্রিগেডিয়ার নবীকে আইনের আওতায় আনার জন্য সেনাবাহিনী পর্যায়ের তদন্ত আদালত গঠন করা উচিত।

১০ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ড স্ট্রাকচার পুরোপুরি পরিবর্তন করা অত্যন্ত আবশ্যক। কারণ উনারা জ্ঞাত আছেন ডিজিএফআই (আয়নাঘর) এবং এনএসআই কর্মরত থাকার সময় উনাদের বিতর্কিত কর্মকান্ডের (মানবাধিকার লঙ্ঘন ও জনগণ বিরোধী) জন্য উনাদের চাকরি যেকোনো সময় চলে যেতে পারে বিদায় যেভাবেই হোক পতিত আওয়ামী লীগ সরকারকে ফেরত আনার জন্য উনারা মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

৪.জিওসি ৫৫ ডিভিশন : নতুন GOC-এরও একই মানসিকতা রয়েছে৷ তিনি অস্ত্র উদ্ধার করার ব্যাপারে শৈথিল্য দেখাচ্ছেন এবং বিলম্ব যুদ্ধ নীতি অনুসরণ করছেন।

৫. জিওসি ৭ ডিভিশন: একটি থানার একজন এসআইয়ের সাথে একটি ঘটনার পর তিনি ক্যাপ্টেন মাজহার, ৪১ বীরকে হেয় করেছেন। ক্যাপ্টেন মাজহারের কাছে অভিযোগ আসে যে, কিছু গুন্ডা একটি মেয়েকে অপহরণ করে কয়েক লাখ টাকা দাবি করেছে।অবস্থানটি ২ ঘন্টারও বেশি দূরত্বে হওয়ায় তিনি নিকটস্থ থানা পুলিশকে ফোন করেন এবং সেই পুলিশ (এসআই) তার সাথে দুর্ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে, জিওসি সেই পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেন নি, বরং ক্যাপ্টেন মাজহারকে সতর্ক করেন।

৬. জিওসি ১১ ডিভিশন : খাঁটি আওয়ামী লীগ পন্থী অফিসার। তার এক ভাই আওয়ামী প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন ডিজি এসএসএফ। বাড়ি গোপালগঞ্জে। সেনাবাহিনীর সামরিক সচিব হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন আওয়ামী পন্থী এএমএস (লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিশাদ-৪৩) এর মাধ্যমে ভিন্নমত অবলম্বনকারী অফিসারদেরকে দেশের বিভিন্ন দূরবর্তী জায়গায় পোস্টিং করতেন।

*আসলে কয়েকজন ছাড়া সিনিয়র অফিসাররা আমাদের সাথে মাইন্ড গেম খেলতেছে। আপনি কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাবেন না তবে এটি একটি খোলা গোপন বিষয় যে তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এবং তা করার কারণও আছে।

**৫৫ পদাতিক ডিভিশনের প্রাক্তন জিওসি *মেজর জেনারেল মাহবুব* তার ডিভ আর্মাড ইউনিট সিও ৯ ল্যান্সারের মাধ্যমে সামরিক অভ্যুত্থানর পরিকল্পনা করেছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহিম (*যিনি র‌্যাব ও এনটিএমসিতে ছিলেন এবং মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের ঘনিষ্ঠ*।) গোপালগঞ্জের ঘটনা এবং আওয়ামী গুন্ডা ও মুজিব শেঠদের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে তার নিষ্ক্রিয়তা সম্পর্কে কি বলব? তিনি এখন ডিজি ডিজিডিপির মত একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন। ইউনিফর্মে হাসিনার সামনে মাথা নত করার জন্য কেন তাকে বিচার করা হচ্ছে না? ইউনিফর্মের অসম্মান করার জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত।

*র‌্যাব* এ কর্মরত থাকাকালীন মানবাধিকার ১০ ডিসেম্বর ২০২১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক স্যাংশন প্রাপ্ত অফিসাররা এখনও চাকুরিতে রয়েছ (ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিফতাহুল ইসলাম)। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত এবং তারা নির্দোষ হলে, আমাদের উচিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার জন্য অনুরোধ করা কিন্তু তারা অপরাধী হলে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।

*ডিজিএফআই* ডিজিএফআই-এর ব্যুরো প্রধানদেরও পরিবর্তন করা হয়নি ডেটগুলির জিএসও-১ পরিবর্তন করা হয়নি, ডিজিএফআই সঠিকভাবে কাজ না করলে ব্যাপক পরিবর্তন দরকার। ৫ই আগস্টের আগে যারা কাজ করেছেন তাদের ইউনিটে ফিরিয়ে এনে দেশপ্রেমিক অফিসারের স্থলাভিষিক্ত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করুন। যারা গত ১৫ বছরে এসএসএফ, পিজিআর(লেফটেন্যান্ট কর্নেল জাহিদ, মাহমুদুল হাসান), ডিজিএফআই, সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তর (লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজহার) ও এনএসআইতে দীর্ঘ সময় চাকরি করেছেন তারা এখনো উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত।

মাননীয় সেনা প্রধান আপনি আয়না ঘরের সাথে সম্পৃক্ততার কারণে তিনজন জ্যেষ্ঠ অফিসারের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন যা সকলের নিকট প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু আয়নাঘরের যে মূল কারিগর লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার দৃশ্যমান ব্যবস্থা আপনি গ্রহণ করেননি। উপরন্ত, আপনার ব্যাচমেট বিধায় উনাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করছেন।

এছাড়াও, র‌্যাব এর কোন এডিজি অপারেশন ও গোয়েন্দা শাখা প্রধানদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

*দ্রষ্টব্য* ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বারা আমাদের মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং এটি নিরাময় করতে ১৫ বছর লেগেছে। আপনি যদি দ্রুত এবং কার্যকর ব্যবস্থা না নেন তাহলে আমরা আবার এই সম্মান হারাবো।

আপনি ও হাতেগোনা কয়েকজন জ্যেষ্ঠ অফিসার ছাড়া অন্যান্য অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ অফিসারদের মনোভাব নিম্নরূপ:

১. তারা চায় প্রাক্তন সরকার প্রতিবিল্পব তৈরি করুক, এবং তারা বিলম্বের লড়াই অথবা ধীরে চলো নীতিতে আভিজানিক কার্যক্রম পরিচালনা করে তা তৈরি করার চেষ্টা করছে।

২.তারা আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্ত ও নেতাদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। এই জেনারেলরা সরাসরি জড়িত না হলেও তারা পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ করছে।

৩.আপনার আদেশ কে বিভিন্নভাবে আওয়ামী সুবিধাবাদী জেনারেলরা খন্ডিত ও বিকৃত আকারে কনিষ্ঠ অফিসারদের সামনে উপস্থাপন করছেন যাতে আপনার উপর আস্থা ও বিশ্বাস কমে যায়।

৪.পরিকল্পিত উপায়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের না ধরার ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আওয়ামী মতাদর্শের ব্রিগেড কমান্ডার ও জিওসিরা ইউনিট অধিনায়কদের মতামত কে অগ্রাহ্য করে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের পক্ষে যায় এরকম আভিযানিক পরিকল্পনাকে সমর্থন করছেন (উদাহরণ দশম পদাতিক ডিভিশন ও নবম পদাতিক বিষয়)। এ কারণে একদিকে আপনার উপর সেনাবাহিনীর অধস্তনদের আস্থা ও বিশ্বাস কমছে অপরদিকে সাধারণ মানুষের কাছে সেনাবাহিনী প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এই সুযোগ নিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পুনর্বাসিত ও সংঘটিত হচ্ছে যা জাতির জন্য অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।

পরিশেষে, ছাত্র জনতার এই বিপ্লবকে কোনভাবে বৃথা যেতে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশের মাটি থেকে ফ্যাসিবাদ দুর্বৃত্তদের যেকোনো মূল্যেই হোক সমূলে উপড়ে ফেলা এখন আপামর জনসাধারণের দাবি। সময়ের কাজ সময়েই করা ভালো। বাংলাদেশের সমস্ত সেনাসদস্যরা আপনার পাশে আছে এবং থাকবে।

আন্তরিক ধন্যবাদ

বি.দ্র. কোনরকম পরিবর্তন ব্যতীত যেভাবে হাতে এসেছে হুবুহু একইভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। এবং তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হয়নি, কিন্তু প্রেরকদের সামরিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।"

Copy from Zulqarnaim Saer Sami.

পাহাড় নিয়ে আমার কত কত সুখ আনন্দ, সমুদ্রের চেয়ে পাহাড় আমার প্রিয়। অথচ এখন পাহাড়িদের নিয়ে যে হট্টগোল চলছে এটা নিয়ে আমার কো...
23/09/2024

পাহাড় নিয়ে আমার কত কত সুখ আনন্দ, সমুদ্রের চেয়ে পাহাড় আমার প্রিয়। অথচ এখন পাহাড়িদের নিয়ে যে হট্টগোল চলছে এটা নিয়ে আমার কোনো কথা বলার নেই। তার কারণ যদি বলি প্রথমত পাহাড়ি জনগুষ্টিরা তারা নিজেদের বাঙালী দাবি করেনা, এরা আমাদের বাঙালী মনে করে! অথচ এদের মুদ্রা আমাদের টাকাই, আমাদের পা পড়াতেই এদের জীবনের মান উন্নত হয়েছে! মজার ব্যাপার হচ্ছে আমরা যখন পাহাড়ে যাই তখন তারা আমাদের দেখে ভাবে আমরা বৈদাশী! এদের মধ্যে যারা ২৫-৩০ এর মধ্যে এসব ছেলেপুলেদের দেখলে একটু ভয়ংকর লাগে, এদের কথাবার্তার ধরন আপনি কখনোই আমাদের মত নরমাল বন্ধুসূলভ মনে হবেনা।

এরপর আসেন পাহাড় অঞ্চলে আমরা যারা ভ্রমণে যাই, তখন সেনাবাহিনীর প্রোটোকল লাগে! কেন লাগে জানেন? ওই যে ওরা আমাদের থেকে ভয়ংকর জাতি। এবার ভাবুন এরা নিজেদের কেন বাঙালী দাবি করেনা এবং আমাদের ভাবে বাঙালী ওরা হলো পাহাড়ের বাঘ। যারা সাজেক গেছে তারা বলতে পারবে দীঘিনালায় গিয়ে রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থাকতে হয়, কেন জানেন? খাগড়াছড়ি থেকে যত গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্য যায়, তখন মাঝে পড়ে দীঘিনা, সেখানে বড় একটা মাঠ আছে সেখানে গিয়ে সব গাড়ি গিয়ে থামে এরপর দশটা বা এগারোটা নাগাদ সেনাবাহিনীর ট্রহল দিয়ে সেসব গাড়িকে সাজেকের উদ্দেশ্য ছাড়ে!

যারা রুমা উপজেলার বগালেক এবং কেওক্রাডং গিয়েছে তারা বলতে পারবে কতবার এন্ট্রির জন্য সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে নিজের ছবি এন আইডি জমা দিতে হয়। তাহলে ভাবুন এরা আমাদের জন্য কতটা ঝুকিপূর্ণ তবুও এসব নিয়ে কখনো বাঙালীরা প্রতিবাদ করেনি।।।

আজ যখন ওদের সাথে বাঙালীদের ঝামেলা হলো তখন অনেকেই না বুঝে মায়া কান্না আবেগ দেখাচ্ছে, বাস্তবতা পুরোটাই ভিন্ন। তাই এসব থেকে নিজেদের বাহিরে এনে পাহাড় প্রকৃতি আমাদের রক্ষা করতে হবে, নইতো আগামীতে আমাদের জন্য হারাম হবে প্রিয় পাহাড়ের অপার সৌন্দর্য।
©

#বাংলাদেশ এর স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের লক্ষ্যে পার্বত্য অঞ্চলের নিরাপত্তা চাই।
#পাহাড়ের নিরাপত্তা চাই।

Address

Chittagong
4212

Telephone

+8801833947755

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Pure Voice posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share