এক রোদেলা দুপুরে আমার বাবা-মায়ের কোল জুড়ে এসেছি তাদের প্রথম সন্তান হয়ে। সময়টা ছিল ১৯৯৯ সালের ২০ জুন। বেড়ে উঠা এক ধার্মিক পরিবারে। মায়ের ঘুমপাড়ানি গানে নয় বরং নাত শুনিয়েই ঘুম যাওয়া আর বাবার সাথে মসজিদে ও নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গমনাগমনে আমার মাঝেও ছিল আনন্দের জোয়ার। প্রথম সন্তান হিসেবে তাদেরও স্বপ্নের কমতি ছিল না আর তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে হয়ে উঠি একজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী। সেই স্বপ্ন পূরণের ছোঁয়ায় বাং
লাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে দাখিল ও আলিম সম্পন্ন করে আজও অধ্যয়নরত আছি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাজিলে। এর পাশাপাশি চলমান রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স।
সেই ছোট্টবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি আমার এক অদ্ভুত টান রয়েছে। আর সেই ভালোলাগার জায়গা থেকেই বিভিন্ন ম্যাগাজিনে লেখালেখির হাতেখড়ি। বিভিন্ন প্রোগ্রামে বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে সকলের সাথে ভাবের যে মেলবন্ধন ঘটে তা আমাকে বারেবারে সেদিকে ছুটিয়ে নিয়ে যায়। সকলের সাথে মেলামেশার এক অনন্য সুযোগে আমার মাঝে এক অসাধারণ ভালো লাগা কাজ করে। মানুষের নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করা তথা সমাজে পজেটিভিটি ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া আমার নিরন্তর লক্ষ্য। আমার অবসর কাটে ধর্ম চর্চা, নাশীদ গাওয়া ও টেকনোলজি চর্চার মাধ্যমে। আর এই নেশায় বিচরণের সময়টা যে কিভাবে চলে যায় সেটা টের পাওয়া মুশকিল; কেননা মনকে আকর্ষণ করার মতো অনেক কিছুই ছড়িয়ে রয়েছে এসবের মাঝে। এছাড়াও অনুবাদ প্রতিষ্ঠান ও আইটি সেক্টর সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত রয়েছি।
এভাবে গুটিগুটি পায়ে সকলেই দোয়াই এগিয়ে চলছি সামনের দিকে। প্রিয় নীল রঙ নাকি বিশ্বস্ততার প্রতীক, আমিও বিশ্বস্ত থাকতে চাই সবসময়ই। কেননা বিশাল আকাশের নিচে মুক্ত আলো-হাওয়ায় বসবাসরত সবার মধ্যে ও সবার সঙ্গে বাঁচার মাঝেই যে মানব জীবনের সার্থকতা। সবশেষ একটাই চাওয়া, আমার বিদায় যেন হয় সীরাতে মোস্তাকিমের উপর।