
12/07/2025
আমি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী, লোক দেখানো সাংবাদিকতায় নয়
লোহাগাড়ায় কয়জন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন, আমি জানি না। সংখ্যা আমার কাছে মুখ্য নয়। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়- সাংবাদিকতা মানেই সত্য অনুসন্ধান, নির্ভীক কণ্ঠে সত্য উচ্চারণ, আর ভ/য়/ভী/তি ও প্র/লো/ভ/নে/র ঊর্ধ্বে থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
আমি চেষ্টা করি এমনসব সংবাদ তুলে ধরতে, যেগুলোর পেছনে লুকিয়ে থাকে ক্ষমতার অ/প/ব্য/ব/হা/র, দু-র্নী-তি, অন্যায় আর ষ-ড়-য-ন্ত্রে-র আসল চিত্র।
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা কোনো আনন্দ ভ্রমণ নয়। এটি একটি ঝুঁ*কি*পূ*র্ণ পথচলা, যেখানে সত্য বলার জন্যই তৈরি হয় শত শ-ত্রু। তারপরও আমি কলম থামাই না, থামতে পারি না।
কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো- প্রতিবার যখন একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করি, তখন দেখি একটি গোষ্ঠী হঠাৎ করেই ‘সাধু’ সাজতে শুরু করে।
যেন তারাই সত্যের একমাত্র অভিভাবক, তারাই সাহসী কণ্ঠ। অথচ বাস্তবতা হলো তারা ওই ঘটনার ধারে-কাছেও ছিলেন না, কোনো তথ্য-উপাত্তের খোঁজও করেননি।
তাদের এই ভণ্ড সাধু সাজা আমাকে পী/ড়া দেয়, ক্ষু/ব্ধ করে। আমি এমন মু-খো-শ-ধা-রী সাংবাদিকদের ঘৃ*ণা করি। যারা অন্যের ঘামে অর্জিত সত্যকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়, অথচ নিজেরা কখনো মাঠে নামেন না।
আমি বিশ্বাস করি, সাংবাদিকতা হচ্ছে দায়িত্ব, এটি কেবল নাম-ছবি ছাপানোর বা ফেসবুকে লাইকের খেলা নয়।
আমি চেষ্টা করি চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তার বাইরের গল্পটা খুঁজে বের করতে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে এমনসব তথ্য, যেগুলো অনেকের গোপন রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়—আর তখনই শুরু হয় পেছন থেকে ছু/রি/কা/ঘা/ত, চ-রি-ত্র-হ-ন-ন, প্র/ভা/ব খাটানোর চেষ্টা।
তবুও আমি থেমে যেতে পারি না।
সত্যের পক্ষে কলম চালাতে চাই, ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে চাই। এটাই আমার পেশাগত দায়িত্ব, এটিই আমার আত্মিক অঙ্গীকার।
জাহেদুল ইসলাম
প্রতিনিধি, দৈনিক যুগান্তর
লোহাগাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রাম।