নিশীথিনী KFM

নিশীথিনী KFM I am passionate to sing without prohibited music.

যখন শারীরিক ও মানসিক ভাবে আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা সুস্থ থাকি তখন এত ভালো লাগে যে খুব একটিভ ফিল করি।সব কাজ করতে ভালো লাগে।এ...
04/11/2024

যখন শারীরিক ও মানসিক ভাবে আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা সুস্থ থাকি তখন এত ভালো লাগে যে খুব একটিভ ফিল করি।সব কাজ করতে ভালো লাগে।একটা নরমাল মানুষ বা ছোট বাচ্চার মা যা যা না করে তার সব করতে ইচ্ছে হয়।তখন মনে হয় আমি সব পারি।এক হাতে সব সামলাতেও যেমন খুব একটা কষ্ট লাগে না তেমনই অন্য কাউকে সাহায্য করতেও।ক্রিয়েটিভিটি তখন মাথায় কিলবিল করে!

কিছু দিন যেতে না যেতেই নানান চিন্তা মাথায় ভর করে! মানুষ বলে না ''ব্যস্ত থাকলে মানুষের মাথায় এত চিন্তা আসে না,তাই নিজেকে ব্যস্ত রাখুন" এটা সবার ক্ষেত্রে সত্যি নয়।বরং আমি যখন বেশি একটিভ থাকি আমার ব্রেইন ও তার দ্বিগুণ একটিভ থাকে।তখন অনেক কিছুই গায়ে লাগে না ঠিকই,কিন্তু সামান্য অতীতের প্রতিফলনও মুহুর্তেই সুদূর বা অদূর অতীতকেও কেমন ঢেলে এনে সামনে সাজিয়ে দেয়! পাত্তা দেই না,কিছু একটাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।কিন্তু অনেক দিনের জমানো আবেগ যখন স্তুপ হয় ঠিক তখনই ঘটে বিপত্তি! ভিতরটা গুমোট বেঁধে থাকে।কোনো কাজ করতে গেলে ওলটপালট করি,হাত পা কাঁপে! কাজের ফাঁকে কিছু একটা আনতে যাবো,অজানা এক গোলক ধাঁধায় আটকে যাই,ঘুরতে থাকি একই জায়গায়..! নিশ্বাস ভরে ভরে আসে,বুকের ভিতর কেমন যেনো ব্যথা অনুভুত হয়।ছোট ছোট কাজকেও অনেক কঠিন মনে হতে শুরু করে! কিছুদিন এসব বিষয়ের সাথে স্ট্রাগল করতে করতে একসময় হাঁপিয়ে উঠি! তখন নিজেকে গুটিয়ে নেয়া ছাড়া,অনেকটা হিলিং টাইম না নেয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না।রবের নিকট তখন অনেক অনেক প্রার্থনা থাকে,কিন্তু প্রায়সয়ই তা চোখে দেখা যায় না! অনেক অনেক নিরব যুদ্ধ হয় যাকে বলা হয় সাইলেন্ট ব্যাটেল তা অন্য একজন খুব পাশে থেকেও বুঝবে না! তখন আপাত দৃষ্টিতে আমাকে খুব অলস মনে হয়।কিম্তু আঘাত থেকে বাঁচতে এবং অন্যকে প্রতিঘাত না করতে যে এটা কত বড় মহৌষধ তা কেবল আমি আর আমার পালনকর্তা জানেন।।

ভালো থাকুন,অন্যকে ভালো রাখুন।আর খারাপ লাগলে এভাবে গামলা ভর্তি করে চা খেতে খেতে ভাবুন অন্য কারো ভালো থাকায় কষ্ট পাচ্ছেন না তো?! অন্য কারো কষ্টের অংশীদার হতে না পারেন তার খারাপ সময়ে তাকে আরও খারাপ রাখার উপকরণ হচ্ছেন না তো?! না হলে আলহামদুলিল্লাহ আপনি এখনো ভালো মানুষের কাতারে আছেন।🥰

Kanij Fatema Meem

#লিখালিখি

বিয়ের এক মাসের মাথায় প্রথম কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম স্বামীর জন্য।সে খেয়ে বলেছিলো,হইছে ভালোই।ভালো শব্দটার সঙ্গে যখ...
04/11/2024

বিয়ের এক মাসের মাথায় প্রথম কাচ্চি বিরিয়ানি রান্না করেছিলাম স্বামীর জন্য।সে খেয়ে বলেছিলো,হইছে ভালোই।
ভালো শব্দটার সঙ্গে যখন ই-প্রত্যয় যুক্ত করা হয় তখন তার মানে আসলে ভালো না;এটুকু বুঝার জ্ঞান আমার আছে।বিয়ের আগে বাবা-মায়ের আদরের কন্যা ছিলাম।কুটোটিও নাড়তে হয়নি কখনো।তাই,রান্নাবান্নায় আমি খানিকটা আনাড়ি-ই বলা চলে।মা যখন শিখাতে চাইতো তখন একটুও শিখতাম না।ভাল্লাগতো না।কিন্তু,এখন মনে হয়,,শিখলেই পারতাম ভালো করে!খুব তারিফ শুনতে ইচ্ছা করে মানুষটার মুখে।মনে হয়,সে বলুক,,বাঃ নীতি তোমার রান্না তো অসাধারণ সুস্বাদু। এমনিতে,সাধারণ ভাত,ডাল,তরকারি,মাছ সবই রাঁধতে পারি।একটু বিশেষ আইটেম গুলোতে যেয়ে গুবলেট পাকিয়ে ফেলি।অভ্যাস নেই তো তাই!
সেদিন ইউটিউব দেখে দেখে মোমো বানালাম।মিনহাজ যখন খাচ্ছিলো তখন ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলাম।ইশ!ভালো হইছে যেন বলে।কিন্তু,ও বললো,কিসব বানাও নেট ফেট দেখে।মুখে দেওয়া যায়না।
আমি থতমত খেয়ে গেলাম।কই আমার কাছে তো বেশ সুস্বাদুই লেগেছিলো।
ও প্রায়শই বলে,ওর মায়ের রান্নার হাত চমৎকার। জীবনে এতো সুস্বাদু রান্না অন্য কাউকে আর করতে দেখেনি সে।স্বাভাবিক! সবার কাছেই নিজের মায়ের হাতের রান্না অসাধারণ লাগে।আমার কাছেও আমার মায়ের রান্না অমৃত।ওর কাছেও তাই হবে...তবু কেন যেনো একটু বিষন্ন অনুভব করলাম।ইউটিউব ঘেটে ঘেটে কতো নিত্যনতুন রেসিপি-র মাস্টার আমি হয়ে গেছি।তবে,সবসময়ই ওর একই কথা।-হুম ভালোই হইছে।
কিছুদিন বাদে শ্বাশুড়ি বেড়াতে এলেন আমাদের বাসায়।বিয়ের পরপরই মিনহাজের সাথে ওর কর্মস্থলে চলে এসেছিলাম আমি।শ্বাশুড়ির সাথে এক ছাদের নিচে থাকা তাই হয়ে ওঠেনি।তাকে অনেক বার সাধা হলেও,গ্রাম ছেড়ে শহরে আসতে তিনি রাজি হননি।
কাজেই,শ্বাশুড়ির সাথে খুব একটা মেলামেশা আমার হয়নি।তবে,যতটুকু বুঝেছি উনি খুব গম্ভীর আর চুপচাপ ধরনের মহিলা।চেহারায় জেদী ভাব প্রবল।
মিনহাজ একদমই মা বলতে অজ্ঞান।মায়ের বাধ্য সন্তান সে বলা চলে।আমি নিজেও কেন যেন খুব সমীহ করার পাশাপাশি খানিকটা ভয়ও পাই শ্বাশুড়ি মাকে।
তিনি বেড়াতে আসায় খানিকটা কুঁকড়ে গেলাম।মিনহাজ বললো,মা এসেছে মায়ের কাছ থেকে রান্না বান্না ভালো মতো শিখে নিবা।কি যে তুমি রাঁধো!
এই কথা শুনে আরো কুঁকড়ে গেলাম।সংকুচিত হয়ে পরলাম মনে মনে।আমার শ্বাশুড়ি পুরোদস্তুর গ্রামের মহিলা।যদি শোনেন চব্বিশ বছর বয়সী পুত্রবধু রান্নায় তেমন পারদর্শী না তাহলে নিশ্চয়ই খুব ক্ষেপবেন।তার ছেলের মুখে আমার রান্না রুচে না, এই জিনিস গ্রামীণ কোনো মায়ের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না।হয়তো খোঁটা দিবেন,এতো বড় মেয়ে তবুও স্বামীর মনের মতো রান্না জানো না?আমার ছেলেটা তো শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে।কিংবা হয়তো মা তুলে কথা বলবেন,তোমার মা কিছু না শিখিয়েই পাঠিয়ে দিলো?
এর থেকেও বাজে ভাষায় হয়তো বলবেন।মনটা খারাপ হয়ে গেলো।এতো খারাপও তো আমি রাধি না,মিনহাজ যেভাবে বললো!
আমার লজ্জা লজ্জা লাগছিলো।কিছুতেই আমি উনাকে বলতে পারলাম না,আপনি আমাকে একটু রান্না শিখান।তবে,উনিই সেদিন রাঁধলেন।ছোট মাছের চচ্চড়ি,মেটে আলু দিয়ে রুই মাছের তরকারি,লাউশাক দিয়ে চিংড়ি আর পাঁচমিশালি সবজি।সবশেষে, গ্রাম থেকে আনা আখের গুড় দিয়ে পায়েশও বানালেন।
আমি রান্নাঘরে দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখলাম কিভাবে তিনি রাঁধলান।তার অভিজ্ঞ হাত,মশলার পরিমাণ তার মুখস্থ, আমার মতো হিসাব নিকাশ তাকে করতে হয়না,,খুব দ্রুতই সব রান্না শেষ হয়ে গেলো।আমি কেবল ডালটা রাঁধলাম শেষে।ডাল ছাড়া আমি খেতে পারিনা।
রাতে খেতে বসে মিনহাজ হৈহৈ করে উঠলো।বলতে লাগলো,আরে ঘ্রাণ পেয়েই বুঝছি,আজ মা রেঁধেছে।আজকে তো পুরো পাতিলের ভাত আমিই খেয়ে ফেলবো।মিনহাজকে এতো খুশি দেখে আমার ভাল্লাগলো।টেবিলে খাবার বাড়তে লাগলাম।তবে মনে মনে,চিনচিনে একটা কষ্টও হচ্ছিলো।
তিনজন একসাথেই টেবিলে খেতে বসেছি।
মিনহাজ বারবার তারিফ করছে,কতো দিন পর পেট ভরে,মন ভরে খেলাম!
একপর্যায়ে, শ্বাশুড়ি আম্মা জিজ্ঞেস করলেন,এমন হাভাতেদের মতো করছিস কেন?নীতি কি তোকে খাওয়াতো না এতোদিন?
মিনহাজ হাসতে হাসতে অকপটেই বলে ফেললো,আরে ধুরর নীতি এ যুগের মেয়ে।ও কি রাঁধতে জানে?কিসব যে রাঁধে ইউটিউব ঘেটে ঘেটে ও-ই জানে।তুমি একটু শিখিয়ে যেয়ো তো ওকে তোমার স্পেশাল কয়টা রান্না।
আমার মনটা বিষন্ন হয়ে গেলো।তবুও,জোর করে হাসার চেষ্টা করলাম ঠোঁট বেঁকিয়ে।
আমার শ্বাশুড়ি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন,দাও তো বউমা তোমার ডাল কয়েক চামচ খেয়ে দেখি।কতোটা বাজে রাঁধো তুমি।
আমি আরো একবার হাসিমুখে অপমানিত হওয়ার জন্য ডাল এগিয়ে দিলাম।
তিনি আমাকে অবাক করে সেদিন ডাল দিয়ে, লেবু চিপেই সবগুলো ভাত খেলেন।নিজের রাঁধা একটা তরকারিও পাতে তুললেন না।
আমি আর মিনহাজ অনেকবার বললাম একটা মাছের পিস নিন।
উনি নিলেন না।মিনহাজ হেসে বললো,মা তোমার কি এতোই ভাল্লাগলো ওর ডাল?
উনি কোনো কথাই বললেন না।খাওয়া শেষে আমাদের দুইজনের দিকেই তাকিয়ে বললো,আমার যখন বিয়ে হয় নতুন নতুন।তোর বাবাও একই কথা বলতো,আমি রাঁধতে জানিনা।বাড়ির সকলে বলতো আমার রান্না মজা হয়না,মাটির মতো বিষাদ লাগে।একবার আমার শ্বাশুড়ি তো ডালের হাড়ি ছুঁড়ে ফেলেছিলো, বেশি পাতলা করে ফেলেছিলাম নাকি ডালটা।তখন আমার বিয়ের বয়সও চারমাস।
নীতিরও বিয়ের বয়স চারমাস।তবে,ও আমার চেয়ে দশগুণ ভালো ডাল রেঁধেছে।
উনি মুচকি হাসলেন।
আমি অবাক হয়ে উনার দিকে তাকিয়ে রইলাম।
মিনহাজও অবাক।সে বললো,সিরিয়াসলি?তোমার রান্না বাজে বলতো সবাই ?উনাদের টেস্টবাডে সমস্যা ছিলো মেবি।
উনি আবারও হাসলেন।বললেন,মানসিকতায় নির্ঘাত সমস্যা ছিলো।নাহয় একবারো ভাবলো না, সদ্য নিজের ঘর-পরিবার সব ছেড়ে চলে আসা মেয়েটা কতো যত্ন করে, কতো কষ্ট করে রাঁধছে।সে তো এতোমানুষের রান্নাবান্নায় অভ্যস্ত না,তবুও সে করছে।অথচ,তার প্রতি কারো বিন্দু মাত্র সহানুভূতি নেই।সবাই ব্যস্ত তার রান্নায় খুঁত ধরতে।ভুল করলে কেউ শুধরে দেয় না উল্টা মা-বাবা ছেড়ে আসা মেয়েটাকে মা-বাবা তুলে খোঁটা দেয়।কতো রাত যে চোখের পানি ফেলেছি হিসাব নেই।এসব কথা সন্তানদের সামনে বলা উচিৎ না,তবুও না বলে পারছি না,কারণ,না বললে হয়তো আজ থেকে ৩০ বছর পর আমার ছেলের বিরুদ্ধেও তার বউয়ের একই অভিযোগ থাকবে.....আমি ৩৫ বছর ধরে নিয়মিত রান্না করে আসছি আর নীতি নিয়মিত রান্না করছে এখনো ৫ মাসও হয়নি।অবুঝের মতো তুই ওর সাথে আমার রান্নার তুলনা দিস কেন?আমি যেন আর কখনো এরকম না শুনি।
মিনহাজ চুপ করে আছে মাথা নিচু করে।তার মূলত উদ্দেশ্য ছিলো না আমাকে কষ্ট দেওয়ার।আসলে সে ভাবতেও পারেনি,আমি কষ্ট পাই এধরনের কিছু বললে।।সে তো হাসতে হাসতে মজা করেই বলে।
সে আস্তে আস্তে বললো,নীতি তুমি কি আসলেই কষ্ট পাইছো?
সে তখনো বিশ্বাস করতে পারছে না আমার মতো শিক্ষিত,শক্ত একটা সাবলম্বী মেয়ে কেবল মাত্র স্বামী তার রান্নার তারিফ করে না এই সামান্য কারণে কষ্ট পায়।আমার শ্বাশুড়ি হেসে বললেন,বাবারে!মেয়েরা দুনিয়ার সবার সাথে যুদ্ধ করতে পারে,সবার দেওয়া আঘাতে শক্ত থাকতে পারে কেবল স্বামীর থেকে অতি সামান্য একটু কষ্ট পেলেও আয়নার মতো ঝনঝন করে ভেঙে পরে।
আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে দুফোঁটা জল পরলো।
মিনহাজ এবার সত্যিই হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে রইলো।
পরদিন উনি আমাকে বললেন,বউমা আমি তোমাকে একটা পুরানে দিনের রান্না শিখাবো আর তুমি আমাকে নতুন দিনের একটা রান্না শিখাও।আমি শিখাবো,জামাইআদর পিঠা বানানো।এই পিঠা আগের যুগে মেয়ের জামাই বেড়াতে এলে শ্বাশুড়িরা বানাতেন তো খুব তাই এমন নাম হয়েছে।তুমি কি বানানো শিখাবে আমাকে?
আমি বললাম,মোমো।
উনি হাসলেন,বাহ নামটাই তো কেমন আদর আদর।মোমো।
আমি হাসলাম।উনি এমনিতেই আমাকে শিখাতে পারতেন।বলতে পারতেন,আসো তোমাকে পিঠা বানানো শিখাই।উনি তা বললেন না।উনি নিজেও আমার কাছে শিখতে চাইলেন,যেন আমার মনে কোনো হীনমন্যতা না থাকে।যেন আমার মনে না হয় আমি কিছুই পারিনা....!
মা ডাকটা অনেক পবিত্র আর ভালোবাসাময়।নিজের মা ছাড়া যাকে তাকে মন থেকে মা ডাকা যায় না।ডাকা উচিৎ-ও না।ভুল মানুষকে এমন পবিত্র নামে ডাকলে ডাকটার অসম্মান হয়।
তবে,আমি সেদিন মন থেকেই উনাকে ডাকলাম,মা!
পরবর্তী পর্ব গুলো পেতে আমাকে ফলো করুন

👉 The Smile Vloger
মা
(সমাপ্ত)


সকালে ঘুম থেকে উঠে বউকে বললাম, 'অফিসে যাব, খাইতে দাও।' বউ বললো, 'খাইতে দাও আবার কোন ধরনের কথা? আমি কি তোমার কাজের লোক না...
02/11/2024

সকালে ঘুম থেকে উঠে বউকে বললাম, 'অফিসে যাব, খাইতে দাও।'
বউ বললো, 'খাইতে দাও আবার কোন ধরনের কথা? আমি কি তোমার কাজের লোক নাকি। যে, তুমি বসে থাকবা আর আমি খাবার সার্ভ করব?'
'তাহলে কি বলব?'

বউ রাগান্বিত গলায় বললো, 'এখন থেকে বলবা আসো খাইতে যাই, বা আসো একসাথে খাই।'
'আচ্ছা ঠিক আছে।'

দুপুরে একটা মিটিং এর জন্য বাসায় ফিরতে সাড়ে তিনটা বাজলো। বাসায় ঢুকে বউকে বললা, 'আসো খাইতে যাই।'

বউ বললো, 'আমি কি তোমার বাসার কাজের লোক যে তোমার জন্য না খেয়ে এতো বেলা পর্যন্ত বসে থাকব? আমার খাওয়া শেষ অলরেডি।'

'তাইলে দেখ। খাইতে দাও বললেও ঝামেলা আবার আসো খেতে যাই বললেও দেখা যাচ্ছে হচ্ছেনা। তাহলে আমি বলব টা কি?'
'খাওয়ার মধ্যে আমাকে টানবাই না।'
'তাহলে?'
বলবা, 'আমি খেতে যাচ্ছি।'

রাতে বউকে বললাম, 'আমি খাইতে যাচ্ছি।'
বউ কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো, 'আচ্ছা, নিজের খিদে লাগলে একা একাই খেয়ে নিবা। আমাকে একবার জিজ্ঞেসও করবা না। ভালোই! আমি তো তোমার বাসার কাজের লোক!

হাম কারে তো কারে ক্যায়া, বোলে তো বোলে ক্যায়া...🙂

© সোহাইল

31/10/2024

মহানগরীতে রাতের বেলা লোডশেডিং!

31/10/2024

কোনো এক জরুরী কাজে মোবাইল হাতে নিয়ে সে কাজ না করে অন্য কাজ করার যে ব্যাপারটা....😴

মানুষ তার জীবনের পুরোটা সময় একই রকম থাকে না।একই জন কিছুদিন বেশ স্ট্রং এবং একটিভ ফিল করে।তার কনফিডেন্স লেভেল হাই থাকে।বেশ...
29/10/2024

মানুষ তার জীবনের পুরোটা সময় একই রকম থাকে না।একই জন কিছুদিন বেশ স্ট্রং এবং একটিভ ফিল করে।তার কনফিডেন্স লেভেল হাই থাকে।বেশ কঠিন কাজও খুব দক্ষতার সাথে সহজেই ডিল করতে পারে।আবার একই মানুষ একটা সময় পর বেশ লো ফিল করে।তার আশেপাশের সবকিছু কেমন ঘোলাটে মনে হয়।কারণে অকারনে নিজেকে ছোট মনে হয়।খুব সহজ কাজটাও বেশ কঠিন লাগে!

মানুষের পরিবর্তন খুব সাধারণ একটা বিষয়,এমনকি রুচিরও।এই যেমন একটা সময় কোনো একটা জিনিসের প্রতি কারও খুব অবসেশন থাকে।এত বেশি ভালো লাগে যে সেটা ছাড়া কিছু ভাবতেও ভালো লাগে না।আবার একসময় একদমই অপছন্দের কিছুও এতটা প্রিয় হয়ে ওঠে তখন হাসি পায়,কেনো আগে এই জিনিসটাকে এত বাজে লাগতো?!
এই যেমন ধরেন একসময় আমি চিংড়ি মাছের গন্ধও শুকতে চাইতাম না।আর এখন চিংড়ি কেনো কাকঁড়া,লবস্টার,স্কুইড এইসব খাওয়ার জন্য আমার মনটা আকুপাকু করে! কি অদ্ভুত তাই না?
একসময় চিকন মানুষদের এত ভালো লাগতো,মোটা মানুষ দেখলে কেমন যেনো আঁড় চোখে তাকাতাম!
আর এখন নিজেই এত মোটা হয়ে বসে আছি,শুধু তাই না এখন কেন জানি একটু নাদুসনুদুস মানুষ ছাড়া কেমন কাউকে চোখেই লাগে না!!!

সময়,রুচিবোধ এবং জীবনাচরণ সবকিছুই পরিবর্তনশীল।আপনি আমি চাইলেও তাকে একই গন্ডিতে আজীবন আটকে রাখতে পারব না।তাই অন্যকারো অভ্যাস রুচিবোধকে এক কথায় কটাক্ষ করতে যাবেন না।একটা সময় পর নিজেরই খারাপ লাগবে।

Kanij Fatema Meem

24/10/2024

এই পাখিটার মত একটু বৃষ্টিতে ভিজতে পারলে একটু শান্তি লাগতো...! কিন্তু মানুষ সবসময় চাইলেই সবকিছু পারে না...!

23/10/2024

ক্ষুদ্র কন্ঠে অতি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা......

15/08/2023

এমন চরিত্র করিবে গঠন তোমার মরনে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন.....এমন আশিষ চাই

নজরুল গীতি।কভার

14/08/2023

এই মুহুর্তে শক্তিশালী ভূমিকম্প টের পেয়েছি...! আল্লাহ সকলকে মাফ করুন,হিফাজতে রাখুন....

14/08/2023

খালি গলায় কভার...(Iswar song without the iswar line😅)

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when নিশীথিনী KFM posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to নিশীথিনী KFM:

Share