PALI BOOKS Society

PALI BOOKS Society "Pali Book Society" was founded by the late Ajit Baran Barua. AB FOUNDATION has decided to start the publications in a new way.

The Pali Book Society, a well-known book publishing world in the seventies and eighties.

08/10/2023

আমার ১৯তম গ্রন্থ ‘বিরূঢ়ক’ থেকে
বাংলাদেশের নৌবন্দর ২৫০০ বছর আগে মগধ মহারাজ বিম্বিসারেও লক্ষ্য ছিলো- বুদ্ধ ধম্ম প্রচারে মগধ সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রভাব।
-----------------------------------------------------------------------
বিম্বিসার হর্যঙ্ক বংশের প্রথম শাসক নন। কিন্তু তিনিই এই বংশের গৌরব। তিনিই মগধকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন এবং তিনি হর্যঙ্ক বংশের সর্বপ্রথম শাসক যিনি এক বৃহৎ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পদক্ষপে নিলেন। এই লক্ষ্যকে অর্জন করার জন্য যুদ্ধ, বানিজ্য, রাজনীতি, বিবাহনীতি ও কুটনীতির পাশাপাশি তিনি গাঙ্গেয় অববাহিকায় ও যমুনার তীরবর্তী অঞ্চল হতে হিমালয় এবং আরো দূর-দুরান্তে আর একটি সাম্রাজ্যর ভিত্তি স্থাপন ও প্রতিষ্ঠার পৃষ্ঠপোষকতা দিতে লাগলেন, তাহলো আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্য। গৌতম বুদ্ধ ছিল আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় মহারাজ বিম্বিসারের প্রধান সহায়ক। বিম্বিসার এটি ভালই উপলব্দি করেছিলেন, যুদ্ধ দিয়ে রাজ্য জয়ের চেয়ে আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মগধের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা ভাল রাজনীতির কৌশল। তারই সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতায় গৌতম বুদ্ধর ধম্ম দর্শন ছড়িয়ে পড়তে লাগলো। বুদ্ধকে বেনুবন দান মহারাজ বিম্বিসারের লক্ষ্য অর্জিনের প্রথম প্রদক্ষেপ।

সামাজিক, অর্থনৈতিক, আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্য, বুদ্ধের ধম্ম, ঐতিহাসিক কারণে মহারাজ বিম্বিসারের সামনে মগধকে এগিয়ে নিয়ে গাঙ্গেয় অববাহিকায় ও যমুনার তীরবর্তী অঞ্চল হতে হিমালয় এবং আরো দূর-দুরান্তে সাম্রাজ্যর প্রতিষ্ঠার যে সুযোগ উপস্থিত হলো, তিনি তাঁর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করলেন।

অঙ্গরাজ ব্রহ্মদত্তের সাথে বিম্বিসারের পিতার শত্রæতা। অঙ্গ সমৃদ্ধিশালী রাজ্য। তাই পাশের পার্বত্য অঞ্চলের গোষ্ঠীপতিদের শক্তিশালী হয়ে ওঠা ব্রহ্মদত্তের মনঃপুত হয় নি। ব্রহ্মদত্ত সৈন্যদল পাঠিয়ে বিম্বিসারের পিতাকে প্রথম যুদ্ধে পরাজিত করলেন। পরাজিত বিম্বিসারের পিতা, বিম্বিসারকে সিংহাসনে অভিষিক্ত করে বললেন “সেনিয় তুমি গোষ্ঠীপতি নও। তুমি স্বাধীন রাজা। যাও নিজের রাজ্যসীমা বাড়াও, বৃদ্ধি করো।” পিতার আদেশ পালন করতে বিম্বিসার তাঁর তরুণ দেহের সমস্ত শক্তি, উৎসাহ, সমস্ত বুদ্ধি নিয়ে ব্রহ্মদত্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলেন। য়ুদ্ধ চলতে লাগলো দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর। অবশেষে সবায়কে অবাক করে বিম্বিসার, ব্রহ্মদত্তকে পরাজিত করে নিজেকে অঙ্গ, মগধের রাজা ঘোষণা করল। এই জয়ের ফলে ও রাজা হয়ে তিনি অঙ্গকে মগধ রাজ্যের সাথে যুক্ত করলেন। মগধের সাম্রাজ্যর সীমা বৃদ্ধি করলেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে এই জয় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বঙ্গদেশ অঙ্গর অর্ন্তভুক্ত। তাই বঙ্গদেশও মগধের অধীনে এলো। বঙ্গদেশের রাজধানী চম্পা, যা একটি প্রসিদ্ধ নদী বন্দর। এই বন্দর দিয়ে ও থেকে বাণিজ্যতরী গঙ্গা হয়ে এবং উপকূল রেখা হয়ে দক্ষিণ ভারতে যেতো। আবার দক্ষিণ থেকে মসলা, মণিমুক্তা উত্তর ভারতে আসতো।

অঙ্গ আসলে শুধুই বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে না, গঙ্গা ব-দ্বীপের সমুদ্র বন্দরগুলোতে পৌঁছানোর পথও নিয়ন্ত্রণ করে।

এই বন্দরগুলোর সঙ্গে ব্রহ্মদেশের উপকূলের বাণিজ্য সর্ম্পক থাকায়, অঙ্গ জয়ের ফলে মগধের অন্তর্বাণিজ্যর সঙ্গে বহির্বাণিজ্য যুক্ত হয়েছিল। অথনৈতিকভাবে যা মগধকে অনেক শক্তিশালী করেছে। তাই গৌতম বুদ্ধ কজঙ্গলা হয়ে ব্রহ্মদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে বিম্বিসারের বিশেষ ভূমিকা ও মগধ সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠায় আধ্যাত্মিক সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যও থাকতে পারে।

আজ ৩০\০৯\২০২৩ ইং তাং জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার উপ সম্পাদকীয় কলামে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধ, "ভারতের বিজেপির সংখ্যালঘু...
29/09/2023

আজ ৩০\০৯\২০২৩ ইং তাং জাতীয় দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার উপ সম্পাদকীয় কলামে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধ, "ভারতের বিজেপির সংখ্যালঘুনীতি"

পোস্ট:২৩৪৭৭আমাদের দেশে একটি সমৃদ্ধ বৌদ্ধ লাইব্রেরী ও বিদর্শন চর্চা কেন্দ্র প্রয়োজন। -----------------------------------...
29/09/2023

পোস্ট:২৩৪৭৭
আমাদের দেশে একটি সমৃদ্ধ বৌদ্ধ লাইব্রেরী ও বিদর্শন চর্চা কেন্দ্র প্রয়োজন।
-------------------------------------
বিদর্শন একটি বিজ্ঞান।
-------------------------------
অভিজিৎ বড়ুয়া অভি
-------------------------------
বিদর্শন একটি বিজ্ঞান, মনস্তাত্ত্বিক বিজ্ঞান। noetic science যা ব্যাখ্যা করছে বা European Organization for Nuclear Research সেন্টারে বস্তুকণা বিষয়ক বা ম্যাটার ও অ্যান্টি-ম্যাটার বিষয়ক যা ব্যাখ্যা করছে বা পৃথিবীর সৃষ্টি ও বিলয় বিষয়ক যা ব্যাখ্যা করছে বা সাংখ্য বিষয়ক যা ব্যাখ্যা করছে সব কিছুর ব্যাখ্যা আমরা বুদ্ধ দেশনায় পাবো। বুদ্ধ দেশনায় সংখ্যার ব্যাখ্যা বা প্রভাব আছে। শূন্যতাবাদ সম্পর্কিত দেশনা অনেক বৈজ্ঞানিক প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। বিগ ব্যাং তত্ত্বকে আমরা অভিধর্ম পিটকে সৃষ্টির ব্যাখ্যার বুদ্ধ দেশনার মধ্যে পেতে পারি।

noetic science মনস্তাত্ত্বিক যা ব্যাখ্যা দিতে চেয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার ইনিষ্টিটিউট অভ নোয়েটিক সায়েন্স এবং প্রিন্সটন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যানোম্যালিস রিসার্চ ল্যাব বেশ পরিস্কারভাবে প্রমান করেছে মানব মস্তিস্ক যদি যথাযথভাবে ফোকাস করা হয় তবে সেটা ভৌত বস্তুকে প্রভাবিত বা রূপান্তর করতে সক্ষম। আমাদের চিন্তাশক্তি ভৌত জগতের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এর আন্ত আনবিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে। সোজা কথায় বস্তুর ওপর মানব মনের প্রভাব। মানুষ যখন ধ্যানে বা মেডিটেশানে বসে তখন ধ্যানের একটা পর্যায়ে যায়, তখন সাব এ্যাটমিক স্তরে কিছু কনার অস্তিত্ব এবং বিনাশ হয় কেবল মাত্র ওগুলোর অবলোকন করার উদ্দ্যেশ্যর ওপর, এই যে সাব এ্যাটমিক লেভেলে (মানুষের কনসাসনেস আবদ্ধ শারীরিক বস্তুর বাইরে অবস্থিত জগত) যে কনা দেখতে পাওয়া যায় তার অবস্থান বদলে দেবার ক্ষমতা মানুষের মনের আছে তার থেকেও বড় ব্যাপার সেটা নির্দিষ্ট অভিমুখেও পরিচালিত করা যায়। নোয়েটিক সায়েন্সের আর একজন প্রবক্তা লীন ম্যাকট্যাগার্টের কথায়ঃ জীবন্ত সত্তা হল এমন এক ধরনের প্রভাবক যা কিনা কোন কিছুর মধ্য থেকে একদম বাস্তব কিছু বদলে দেবার সম্ভাবনা তৈরী করে। আমাদের এ মহাবিশ্ব তৈরীতে সব চাইতে জরুরী যে উপাদানের প্রয়োজন সেটা হল, এটাকে কোন সত্ত্বা কর্তৃক অবলোকন করা। নোয়েটিক সায়েন্সের বলছে ধ্যানের মাধ্যমে সাব এ্যাটমিক স্তরে যে কনাগুলোর উদয় হয়ে ভৌত জগতকে প্রভাবিত করে তাকে নিয়ন্ত্রনের জন্য অনুশীলন। নোয়েটিক সায়েন্স প্রাচীন আধ্যাত্মিকতা এবং আধুনিক বিজ্ঞানের মাঝে হারানো সংযোগ।

বিদর্শন ভাবনার বিভিন্ন স্তরের বিশ্লেষণে তা আছে।

বিজ্ঞানের সব থেকে যে আধুনিক একটা থিওরী সুপারষ্ট্রিঙ্গ থিওরী। একেবারে নতুন একটি মডেল, একদম রিসেন্টলি বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক অবজার্ভেশানের ওপর ভিত্তি করে এটা গড়ে উঠছে।

যা আমরা বুদ্ধ ধম্ম দর্শনে পাই।

বুদ্ধ দেশিত দর্শন সর্ব যুগের জন্য আধুনিক ও এক বিশাল বিজ্ঞান ও বাস্তব ভিত্তিক দর্শন। বুদ্ধ ধম্ম ঈশ্বর নির্ভর ধর্ম নয়। বুদ্ধ ধম্ম জ্ঞান ও বিজ্ঞান ভিত্তিক দর্শন।
সুতরাং একক ধর্ম দেশনার নামে ভুল ধর্ম ব্যাখ্যা দেয়া ঠিক নয়। ২০২৩ সালের আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক প্রজন্মের জন্য যা হতে পারে বিরাগের কারণ। বুদ্ধ সর্ব কালের সর্ব যুগের একজন জ্ঞানী।

মনোপুব্বং গমা ধম্মা, মনো সেট্ঠা মনোমযা,,
মনসা চে পসন্নেনা ভাসতি বা করোতি বা,
ততো নং সুখ মন্বেতি ছায়া বা অনপাযেনি।।

মন ধর্ম সমূহের পূর্ব্বগামী, মন ইহাদের প্রধান, ইহারা মনোময় বা মনের দ্বারা গঠিত, যদি কেহ দোষমুক্ত মনে কোন কথা বলে কিংবা কাজ সুখ তাহার অনুগামী হয়।

মহা সতিপট্ঠান সুত্তের আলোকে মহান তথাগত বুদ্ধ
চার প্রকারের দর্শনের কথা বলেছেন,,
১/ কায়ানুদর্শন
২/ বেদনানুদর্শন,,
৩/ চিত্তানুদর্শন,,
৫/ ধর্মানুদর্শন,,
এই প্রকরনে বুদ্ধের ধ্যান পদ্ধতির মহাসতিপট্ঠান সুত্তে
২১ প্রকার ধ্যানচর্চার বিষয়ে খুবই চমৎকার আলোচনা রয়েছে।

অতি সম্প্রতি থাইল্যান্ডের বিখ্যাত ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির মনের বিষয়ে গবেষনায় ধর্ম কলেজে, আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত গবেষনায় মানুষের উন্নত মনের অবস্থা গবেষণা করা হয়েছে। উদ্দেশ্য হল ধারণার বাইরে জ্ঞানের অভিজ্ঞতায় যাওয়া। প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে, মানসিক প্রক্রিয়াগুলির একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ বোঝার এবং প্রত্যেকের মধ্যে অন্তর্নিহিত অসাধারণ ক্ষমতা বোঝা। তাই ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্টরা এবং চাংমাই ইউনিভার্সিটির সাথে গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছে।

আজ ১২\০৮\২০২৩ ইং তাং জাতীয় দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার উপ সম্পাদকীয় কলামে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধ, "আমেরিকা ও মিত্রদের ঔ...
11/08/2023

আজ ১২\০৮\২০২৩ ইং তাং জাতীয় দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার উপ সম্পাদকীয় কলামে প্রকাশিত আমার প্রবন্ধ, "আমেরিকা ও মিত্রদের ঔপনিবেশিক মানসিকতা এবং বাংলাদেশ"

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when PALI BOOKS Society posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to PALI BOOKS Society:

Share

Category