10/03/2024
বর্তমানে অনলাইনে কাজের অন্যতম একটি উপায় হল কন্টেন্ট রাইটিং। কন্টেন্ট রাইটিং এর চাহিদা বর্তমানে ব্যাপক। ঘরে বসে যে কেউ চাইলে এই দক্ষতা অর্জন করতে পারে যায়, একি ভাবে এর দ্বারা আয়ও করা যায়।
ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সাথে সাথে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজও দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে সেই সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইনে কাজ করার সুযোগ। কারো অধীনস্থ নয়, বরং নিজেই শিখে ফেলতে পারেন এই কন্টেন্ট রাইটিং। লেখা লেখি যদি হয় আপনার শখের হয়ে থাকে, তাহলে তো কথাই নেই! খুব সহজে এর মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
প্রথমে আপনি কি বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট লিখতে চাইছেন সে বিষয় সম্পর্কে আপনার সাধারণ জ্ঞান থাকা জরুরী। উদাহরণস্বরূপ-
✪ স্ক্রিপ্ট রাইটিং,
✪ এড এন্ড প্রোমো রাইটিং,
✪ সোশাল মিডিয়া পোস্ট রাইটিং,
✪ ইমেইল রাইটিং,
✪ ব্লগ রাইটিং,
✪ কপিরাইটিং ইত্যাদি।
প্রতিটি কন্টেন্টের গঠন প্রকৃতি ভিন্ন রকমের হয়। তাই শেখা ও লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই এই সকল আলাদা করতে হবে। আপনি চাইলেই একদিনে সবকিছু শিখে ফেলতে পারবেন না, আবার একইসাথে অনেকগুলো ফরমেট নিয়ে গভীর সাগরে হাবুডুবুও খেয়েও লাভ নেই। সুতরাং প্রতিটি বিষয়ের ক্ষেত্রে ভাল জ্ঞান রাখা জরুরী।
🛑 কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়-
আপনি যখন একবার কন্টেন্ট এর ধরণ নির্বাচন করবেন তখন কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনার দুটো উপায় আছে- পেইড রিসোর্স এবং ফ্রি রিসোর্স।
ফ্রি রিসোসের সবচেয়ে বড় জগৎ হলো অনলাইন বা ইন্টারন্টে মাধ্যম। এটি শেখার জন্য একটি চমৎকার পদ্ধতি। আপনার শেখার আগ্রহ থাকলে এখান থেকে আপনার রিসোর্স এর অভাব হবে না। কন্টেন্ট রাইটিং শেখার জন্য ফ্রি কোর্স আপনি ইন্টারনেটে পাবেন। ইন্টারনেট এ বিষয়ে আপনাকে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি যেই টাইপ এর কন্টেন্ট রাইটিং শিখতে চাচ্ছেন তা গুগলে সার্চ দিলেই অনেক টিউটোরিয়াল আপনার সামনে চলে আসবে। সঠিকভাবে চেষ্টা করলে এই ফ্রি রিসোর্সগুলো আপনার কাজে আসবে।
পেইড রিসোর্স ঃ
আপনি যখন টাকা দিয়ে কোনো রিসোর্স এর সাহায্য নেবেন তখন সেটা পেইড রিসোর্স হবে। পেইড রিসোর্স এর সুবিধা তুলনামূলক ভাবে ফ্রি রিসোর্স থেকে বেশী। পেইড কোর্স আপনি অনলাইন কিংবা অফলাইনেও করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হলেও ফ্রি রিসোসের চেয়ে বেশী আস্থা যোগ্য।
কন্টেন্ট রাইটিং শেখার কিছু টিপস জেনে রাখুনঃ
ব্যাকরণ, শব্দ ও বাক্যের সঠিক প্রয়োগ, শব্দভান্ডার এর ব্যবহার এগুলোর দিকে খেয়াল রাখুন। এসব দিকে খেয়াল রাখার জন্য বইপত্র এবং ইন্টারনেট এর সাহায্য নিন। লিখতে থাকুন। শুরুতেই কোনো লেখাকে চূড়ান্ত নির্ধারণ না করে বারবার আপনার লেখাকে সম্পাদন করুন। প্রচুর রিসার্চ বা গবেষণা করুন। এক্ষেত্রেও বই এর পাশাপাশি ইন্টারনেট আপনার বন্ধু। প্রতিনিয়ত নিজের লেখা নিয়ে গবেষণা করুন। লেখার ধরণ পাল্টাতে থাকুন। হেডিং এবং সাবহেডিং এর ব্যবহার শিখুন। বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করুন। সর্বোপরি অনুশীলন আপনাকে এই বিষয়ে দক্ষ করে তুলবে।
দিনদিন ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতার সাথে সাথে সোস্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন ওয়েবে কন্টেন্ট তৈরি করার জন্য এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।
যদি আপনি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনযোগ সহকারে পড়েন তাহলে আমার বিশ্বাস কন্টেন্ট রাইটিং- নিয়ে আপনি যথেষ্ট তথ্য পেয়েছেন। এরপরও যদি আপনার কোনো সমস্যা হয় বা কোনো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করুন। চেস্টা করবো যতটা সম্ভব আপনার সমস্যার সমাধান করার। এই পোস্টটি আপনার ওয়ালে শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের জানতে সাহায্য করবেন।