30/03/2024
সাহাবীরা রাসূলকে দাফন করে আসলেন। যাকে না দেখে যাদের একদিনও কাটতো না, এবার তাঁকে ছাড়া কিভাবে তাঁদের বাকি জীবন কাটবে?
বিলাল (রাদিয়াল্লাহু আনহু) তো কেঁদে কেঁদে বলেন, “ইশ! আমি যদি জন্মগ্রহণ না করতাম, ইশ! আমার মা যদি আমাকে জন্ম না দিতেন, তাহলে তো আজকের দিনটি আমাকে দেখতে হতে না!”
কবি হাসসান ইবনে সাবিতেরও (রাদিয়াল্লাহু আনহু) একই কথা-
“হায়! আমার যদি জন্মই না হতো!
আপনাকে ছেড়ে আমি কি করে বাস করবো মদীনায়।”
রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দাফন করে সাহাবীরা যখন ফিরেন, তখন রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মেয়ে ফাতিমা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) আবেগভরা কণ্ঠে আনাস ইবনে মালিককে (রাদিয়াল্লাহু আনহু) জিজ্ঞেস করলেন, “ও আনাস! রাসূলকে মাটি চাপা দিয়ে আসা তোমরা কিভাবে বরদাশত করলে?” [সহীহ বুখারীঃ ৪৪৬২]
আনাস (রাঃ) হয়তো ফাতিমাকে (রাঃ) সেই জবাব দিতে পারেননি। তিনি নিজেই ছিলেন শোকবিহবল। এই প্রশ্নের জবাব দেন কবি হাসসান ইবনে সাবিত তাঁর কবিতায়।
“হাতেরা তাঁর উপর ঢেলে দিচ্ছিলো মাটি, চোখেরা অশ্রুধারা
যখন সেথায় হচ্ছিলেন সমাহিত মহা-সৌভাগ্যবান ব্যক্তি
তারা লুকিয়ে রাখলো সহনশীলতা, জ্ঞান সুষমা ও অনুকম্পা
যে রাতে ঢেলে দিলো তাঁর উপর মাটি, বিছালো না বিছানা।”
আনাস (রাঃ) সারাক্ষণ রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পেছনে ছায়ার মতো ঘুরতেন। সেই আনাসকে (রাঃ) ছায়াদানকারী মানুষটি এখন নেই! যেদিন তিনি রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রথম দেখেন এবং যেদিন তিনি রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শেষবার দেখেন, এই দুই দিনের তুলনা করে তিনি বলেন, “রাসূল যেদিন হিজরত করে মদীনায় প্রবেশ করেন, সেদিন সেখানকার প্রতিটি জিনিস আলোকিত হয়ে যায়। আর যেদিন তিনি মৃত্যুবরণ করেন, সেদিন আবার সেখানকার প্রত্যেক বস্তু অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায়। তাঁর দাফন শেষ করে হাতের ধূলা না ঝাড়তেই আমাদের মনে পরিবর্তন এসে গেলো (যেন ঈমানের জোর কমে গেলো)।” [জামে আত-তিরমিজিঃ ৩৬১৮]
যিনি ছিলের রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মুয়াজ্জিন, সেই বিলাল (রাঃ) তো রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইন্তেকালের পর আজান দেওয়াই বন্ধ করে দিলেন। আগে আজানের সময় যেই না তিনি ‘আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ’ তে পৌঁছতেন, তখন ফিরে রাসূলকে (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখতেন। রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)