FK's Collection & creativity

29/08/2025

সপ্তাহ ঘুরে আবারো জুমু'আ উপস্থিত আমাদের সামনে।

রমাদান পরবর্তী দ্বাবিংশ তম জুমু'আ আজ। এখন চোখের পলকেই যেন সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। মনে হয় এইতো সেদিন গত সপ্তাহের জুমু'আ ছিলো।
এভাবেই যে আমাদের হায়াতের দিনগুলোও ফুরিয়ে আসছে খুব সহজেই। আর আমরা ধাবিত হচ্ছি মৃত্যুর দিকে। কিন্তু আমরা কি প্রস্তুত?

তাই এই জুমু'আটাকেও কাজে লাগাতে ভুলে যাই না যেন ইনশাআল্লাহ।

গুনাহ মাফের আরও একটি বড় সুযোগ আমাদের সামনে।
কিছু কাজ যেন কোনো ভাবেই ছুটে না যায় ইনশাআল্লাহ -

- সূরা কাহাফ তিলাওয়াত

◾আবু সাইদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "যে ব্যক্তি জুমু'আর দিন সূরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তা'আলা এক জুমু'আ থেকে পরবর্তী জুমু'আ পর্যন্ত তার জন্য নূরের আলো দ্বারা আলোকিত করে রাখবেন।"
[বাইহাকী, হাদিস: ৬০৬]

- দুরুদ (কমপক্ষে ১০০০ বার)

◾হযরত আনাস রা. বলেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
যে আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে এবং দশটি দরজা বুলন্দ হবে।
[সুনানে নাসায়ী ১/১৪৫; মুসনাদে আহমদ ৩/১০২; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২/৪৩]

- ইস্তেগফার (কমপক্ষে ১০০০ বার)

◾দুরুদ ও ইস্তেগফারের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখবো শুধু সংখ্যা গণনার উদ্দেশ্যেই যেন পড়া না হয়। প্রতিটা ইস্তেগফার প্রতিটা দুরুদ যেন একদম অন্তর থেকে হয়। বেশি সংখ্যক দুরুদ, ইস্তেগফার পড়ার থেকে দুরুদ ইস্তেগফারের মান ভালো হওয়া জরুরী। যা আমাদের অধিক কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ।

- সাদাকাহ

(শুধু টাকাপয়সা দান করলেই যে সাদাকাহ করা হবে ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়৷ একটি ভালো কথাও সাদাকাহর অন্তর্ভুক্ত। উপকারী ইলম অন্যের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়াও সাদাকাহ।)

- গুনাহ থেকে বিরত থাকা

(একদিকে নানা আমলে সারাদিন মশগুল থাকলাম অপরদিকে গুনাহ থেকেও বিরত থাকলাম না৷ তাহলে দিনশেষে ফুটা বালতিতে পানি রাখলে যেমন তা বালতিতে আটকে থাকে না তেমন অবস্থাই হতে পারে আমাদের আমলের ক্ষেত্রেও আল্লহুম্মাগফিরলি)

- দৈনন্দিন কাজে যথাসম্ভব সুন্নাহ পালনের চেষ্টা করা

(উত্তমরূপে গোসল, খুশবু ব্যবহার, মিসওয়াক করা, খাওয়া, ঘুম, গোসল, জামাকাপড় পরিধান, বাথরুমে যাওয়া আসার ক্ষেত্রে সুন্নাহ পালন করা ইত্যাদি)

- আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়ে দু'আ করা (নিজের জন্য + অন্যের জন্যও)

দু'আ কবুলের আরও একটি বড় সুযোগ হতে পারে আজ আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়। অন্যের জন্যও মন প্রাণ দিয়ে দু'আ করবো আমরা, ঠিক যেমনটা নিজের বেলায় করি! মুমিন তো নিজের জন্য যা পছন্দ করে নিজের অপর ভাইয়ের জন্যও তাই পছন্দ করে তাইনা?
আর অন্যের জন্য দু'আ করলে ফেরেশতারাও আমাদের জন্য দু'আ করবে৷ কি দারুন না ব্যাপারটা?

সবচেয়ে বড় কথা আমাদের মা'জলুম ভাই বোনদের জন্য দু'আ কর‍তে কোনোভাবেই যেন ভুলে না যাই। আর জা'লিমের জন্য বদদু'আ অবশ্যই অবশ্যই যেন করি ইনশাআল্লাহ।

—নুসরাত জাহান

নাহজ-Nahj

29/08/2025

21/08/2025

ফুলের সৌন্দর্য চোখকে শান্তি দেয়, আর ইমানের সৌন্দর্য হৃদয়কে শান্তি দেয়।

15/08/2025

সূরা আল-বাকারার রুকইয়া সম্পর্কিত ঘটনাবলী

-শাইখ খালিদ আল-হিবশি

১. স্বামীর ফিরে আসা

একজন নারী আমাকে ফোন করলেন এবং বললেন:
“আমার স্বামী বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে, আর এখনো ফিরে আসেনি। আমরা জানি না সে কোথায়। শাইখ, আমার স্বামীকে ফিরিয়ে দিন!”

আমি বললাম, “আমি জাদুকর নই, জিন নিয়ে কাজ করি না। আমি কীভাবে জানবো সে কোথায়? আপনি আল্লাহর উপর ভরসা করুন এবং বেশি বেশি দুআ করুন।”

তিনি বললেন, “আমাকে শেখান, আমি কী করবো?”

আমি বললাম, “অনেক বেশি নামাজ পড়ুন ও সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত করুন। যেমন বলুন—
‘হে আল্লাহ! সূরা আল-বাকারা আমার স্বামীর ফিরে আসার মাধ্যম হোক। তুমি এর দ্বারা আমাকে বরকত দাও।’
অথবা যেকোনো ভালো দুআ আপনি করতে পারেন।”

কিছুদিন পর তিনি আবার ফোন করে বললেন,
“আল্লাহ আপনাকে পুরস্কার দিন। আমি তিন দিন ধরে সূরা আল-বাকারা পড়েছি, আর হঠাৎ করেই আমার স্বামী দরজায় কড়া নাড়ে — সে ফিরে এসেছে, আলহামদুলিল্লাহ।”

---

২. মাইগ্রেন থেকে আরোগ্য লাভ

একজন নারী দীর্ঘ ২০ বছর ধরে মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন। তিনি অনেক চিকিৎসা নিয়েছেন, এমনকি জার্মানি পর্যন্ত গিয়েছিলেন—কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

আমি তার উপর রুকইয়া পড়া শুরু করলাম। হিংসা ও বদনজরের লক্ষণ দেখা দিল।

আমি সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরে তিনি চলে গেলেন।

কিছুদিন পর তিনি খুব খুশি হয়ে ফিরে এসে বললেন:
“ওয়াল্লাহি! আমি প্রতিদিন সূরা আল-বাকারা তিনবার করে পড়তাম, আর সপ্তাহে একদিন ১০ বার করে পড়তাম।
একদিন হঠাৎ মাথার ভেতরে একটা বিস্ফোরণ আর ভয়ের চিৎকার শুনি। তারপরই হালকা লাগতে শুরু করে।
সেই দিন থেকে আর কোনো মাইগ্রেন হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ।”

---

৩. জাদু (সিহর) দূরীকরণে সূরা আল-বাকারার শক্তি

একজন রুগী খুব তীব্র কালো জাদুর শিকার হয়েছিলেন। তিনি বহু দরজায় সাহায্যের জন্য গিয়েছিলেন, কিন্তু ছিলেন অত্যন্ত কঠিন এক কেস।

তাকে এক খ্রিস্টান মারিদ — এক দুষ্ট, উড়ন্ত শয়তান আক্রমণ করেছিল।

তাকে পরীক্ষা করে আমরা বললাম, “সূরা আল-বাকারা পড়ুন।”
তিনি বললেন, “আমি তো প্রতিদিনই পড়ি।”
আমি বললাম, “আরো বেশি করে পড়ুন — প্রচুর পরিমাণে।”

তিনি প্রতিদিন ৭ বার সূরা আল-বাকারা পড়তে শুরু করলেন। পাশাপাশি রুকইয়ার তেল ও পানি ব্যবহার করলেন।

শয়তান আর সহ্য করতে পারল না, আর জাদু ভেঙে যেতে লাগলো।

তিনি স্বপ্নে দেখলেন শয়তান আত্মহত্যা করছে।

পরদিন সকালে তার পেট থেকে ধাতব টুকরা ও অজানা বস্তু বের হতে শুরু করল — যা ছিল গিলে খাওয়া জাদু।

---

৪. সন্তানের ফিরে আসা

ফজরের সময় একজন পাকিস্তানি মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়া অবস্থায় আমার কাছে এলেন।

তিনি বললেন, “আমার ছেলে, আমার ছেলে...”

আমি জিজ্ঞেস করলাম, “কি হয়েছে?”

তিনি বললেন, “আমার পরিবার পাকিস্তানে। আমার ১৬ বছরের ছেলে চার দিন আগে বাসা থেকে বের হয়েছিল, কিন্তু এখনো ফেরেনি। আমি আপনার কাছে সাহায্যের জন্য এসেছি।”

আমি বললাম, “আমি আপনার ও আপনার সন্তানের জন্য দুআ করবো। আপনি আল্লাহর কাছে ফিরে আসুন, সূরা আল-বাকারা পড়ুন এবং দুআ করুন যেন আল্লাহ তাঁকে আপনাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন।”

ছয় দিন পর তিনি সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত করছিলেন, আর ছেলেটি ফিরে এলো।
আলহামদুলিল্লাহ।

---

৫. পেটে পাথর ও বস্তু পাওয়া গিয়েছিল মেয়েটির

একজন ১৭ বছর বয়সী মেয়ে বহুবার জাদুর শিকার হয়েছিল।

আমি তাকে বললাম, “প্রতিদিন সূরা আল-বাকারা সাতবার করে পড়ো, আর অন্যান্য চিকিৎসাও চালিয়ে যাও।”

আমি তাকে বলেছিলাম, “শয়তান এই সূরা সহ্য করতে পারবে না। কিভাবে সে এমন একটি শক্তিশালী সূরার মুখোমুখি হবে?”

চিকিৎসা শুরু করার পর, জাদুর বস্তু তার পেট থেকে মুখ দিয়ে বের হতে লাগল।

কাঠ, প্লাস্টিক, ও পাথরের টুকরো একটু একটু করে বেরিয়ে এলো।

বেশ ব্যথা ও কষ্টের পর, আল্লাহ তাকে আরোগ্য দান করলেন।

এটা ছিল এক চরম লড়াই যাদুকরদের বিরুদ্ধে। এতে ধৈর্য ও নিয়মিততা অপরিহার্য।

সূরা আল-বাকারা — সত্যিই একটি শক্তিশালী অস্ত্র।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই সূরার মাধ্যমে উপকার দান করুন।
আমীন।

~sukun life...

10/08/2025

নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ১৫ টি কৌশল :
১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে।
২. দিনে ম্যক্সিমাম তিনবার খাবার অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবারের মাঝখানে হাবিজাবি খাবার- যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবে না। ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল এগুলো খাওয়া যায়।
৩. প্রতিবেলা খাবার সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন লস আছে? বলা কি আবশ্যক? উত্তর না হলে; ওই কথা বলার দরকার নাই।
৫. সকাল সন্ধ্যার জিকির-আযকার পাঠ করুন।
৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন।
৭. প্রতিদিন নিয়মত কুরআন পড়ার অভ্যাস করুন। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা - যেকোন পরিমাণ।
৮. ঘুমের পরিমাণ কমাতে হবে।
৯. ফজরের পরে কিছুক্ষণ ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। আর কিছু না পারলে ১৫-২০ মিনিট জগিং করে এসে গোসল করে ইশরাকের সালাত পড়ার অভ্যাস করা।
১০. দৃষ্টি অবনত রাখুন। না পারলে ওইসব জায়গা এড়িয়ে চলার সর্বাত্মক চেষ্টা করতে হবে।
১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়া) কম ব্যবহার করা।
১২. প্রতিদিন হিফজের একটা টার্গেট নেয়া। এটা প্রতিদিন এক আয়াতও হতে পারে৷ কিন্তু টার্গেট পুরা করতে হবে। এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৩. বিশেষকরে রাতে ভরপেট খাওয়া পরিহার করতে হবে৷
১৪. রাতে ঘুমানোর পূর্বে অযু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আসতাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকুন।
১৫. নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন। ইনশাআল্লাহ, রাব্বে কারিম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দিবেন।
মহান আল্লাহ তা‘আলা লেখার প্রতিটি কথার উপর আমাদের সবাইকে এবং সাথে আমাকেও আমল করার তাওফিক দান করুক।
আমিন

©

09/08/2025

Restock 🥰

03/08/2025

আপনার রাতের নামাজের কথা কেউকে বলতে যাবেন না।
কোরআন পড়ার কথা কেউকে বলবেন না।।
কেউকে বলবেন না যে আপনি প্রতিদিন কতটুকু কোরআন মুখস্থ করেন..
আপনার নিত্যদিনের ইবাদত সম্পর্কে কাউকে বলবেন না,নিজ থেকে গিয়ে।
মাসে কয় দিন রোজা রাখেন এটাও কেউকে বলতে যাবেন না।
কাউকে বলবেন না আল্লাহ তাআলা কে আপনি প্রতিদিন কতটুকু স্মরণ করেন..
কেউ কে খুব আপন ভেবে বলতে যাবেন না,আপনার দুয়া কবুলের গল্পগুলো...
"বদনজর সত্য" আমার এই কথা টা বিশ্বাস করুন, ইনশাআল্লাহ। এছাড়াও ইবাদত-আমলে রিয়া হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো রয়েছেই।
যদি বদনজর লাগে তাহলে এটা যে আপনার কি পরিমান ক্ষতি করবে তা বুঝতে পারবেন না, যতক্ষণ না সেটার সম্মুখীন হচ্ছেন ততক্ষন ।
প্লীজ ইবাদত গোপনে করার চেষ্টা করুন ইনশাআল্লাহ,এটার স্বাদ আলাদা।
সোশ্যাল মিডিয়া তে প্রকাশ করা থেকে হাজার গুণ দূরে থাকুন,সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি দাওয়াতের নিয়তে প্রকাশ করতে চান তবে নিজের বিষয়টা গোপন রেখে আমলের কথাটা উল্লেখ করুন ইনশাআল্লাহ।

রিয়া এক মারাত্মক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে,,
সাথে বদনজর ও,, আমরা তো এখন কেউ কারো ভালো সহ্যই করতে পারি না (হা হা)..
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বদনজর,রিয়া ও সকল ধরনের খারাপি থেকে আফিয়াতের সাথে হেফাজত করুক এবং আমাদের সকল ইবাদত ইখলাসের সহিত করার তাওফিক দান করুক, আমাদের ইবাদত কবুল করুক, আমিন।

(আমার কথা তারাই বুঝবে, শুধুমাত্র যারা এটা অভিজ্ঞতা করেছে, এবং এটা অবশ্যই আমার জন্য রিমাইন্ডার)

- সুমাইয়া বিনতে ইমাম

02/08/2025

যারা রিজক্বে বরকত চায় তাদের উচিত দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া ও ফজরের পর আর না ঘুমানো, কাজে লেগে যাওয়া। অনেক আলেমদের মতে, ফজরের পর থেকে সূর্যোদয়ের পূর্ব সময় পর্যন্ত মূহুর্তটুকু হচ্ছে রিজক্বের বরকতের সময়। ফেরেশতারা তখন রিজক্বের তাকদীর বাস্তবায়নের কাজে বের হন। কেউ কেউ বলেন, তখন রিজক্ব বণ্টন করা হয়। এছাড়াও রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
"يَجْتَمِعُ مَلَائِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلَائِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ"
অর্থাৎ, রাতের ফেরেশতা ও দিনের ফেরেশতা ফজরের সালাতের সময় একত্রিত হয়।
অর্থাৎ ফজরের মূহুর্তটুকু হচ্ছে অত্যন্ত স্পেশাল। পড়াশোনা বা যেকোনো কাজেই সফলতা লাভের যথোপযুক্ত সময়। এজন্যই ফজরের নিস্তব্ধ নির্মল মূহুর্তে নামাজে খুশুখুযু ধরে রাখা যায় বেশি। যেকোনো আমলেও একাগ্রতা ধরে রাখার জন্য পারফেক্ট সময় এটা।
যেকারণে রাসূলুল্লাহ ﷺ দু'আও করতেন যে,
"হে আল্লাহ! আমার উম্মতের সকালের সময়টিকে বরকতময় করে দাও।"
এই দু'আর হক্ব আদায়েই সাহাবায়ে কেরামগণ ফজরের নামাজ আদায়ের পরই কাজে বের হয়ে যেতেন। ফলস্বরূপ, তাদের ব্যবসায়ে অঢেল বারাকাহ লাভ করেছেন। ইতিহাসের পাতায় যা সমুজ্জ্বলে লিখিত আছে। যা এই উম্মতের জন্য শিক্ষা।
~সংগৃহীত

30/07/2025