
28/07/2023
অসমাপ্ত ভালোবাসা।
আসা করি গল্পটি ভালো লাগবে।
সামিয়া: কি হলো আজকে ও লেট তুমি।
সাকিব: চরি, প্লিজ ক্ষমা করে দাও, রাস্তায় যে জাম তাই একটু লেট হয়ে গেছে।
সামিয়া: একটু। ১ ঘন্টা লেট।
সাকিব: আচ্চা, সরি বললাম তো, আর লেট করবো না।
সামিয়া: লাস্ট টাইম তোমাকে মাফ করলাম।থিক আচে, এখন কিছু অর্ডার দাও।
সাকিব: কি খাবে বলো।
সামিয়া: কফি।
সাকিব : ওকে।আমি গিয়ে নিয়ে আসছি, তুমি এখানে বসো।..... এইনাও তোমার কফি।
।।।।।।:::::::
।।।।।।::::::::
সামিয়া ও সাকিব একে অপরকে খুব ভালোবাসে। তাদের পরিচয় কলেজ লাইফ থেকে। কফি খাওয়ার পরে দুজনে ভারসীতিতে চলে গেল।
।।।।।।:::::::
।।।।।।:::::::
সাকিব: ক্লাস শেষে দুজনে একসাথে বাসায় যাব।
ওকে
সামিয়া : ওকে, ঠিক আছে।
সাকিব একে একে সব ক্লাস শেষ করে, বাইরে এসে দেখে সামিয়া আগে এসে বসে আছে।
সামিয়া: সাকিব কালকে তোমাকে আমার বাড়িতে যেতে হবে বাবার সাথে দেখা করতে তোমার মনে আছে।
সাকিব: হ্যাঁ, আমার মনে আছে।
সামিয়া: কালকে ঠিক বিকাল ৪:০০ টা বাজে চলে আসবে। আমার বাবা সময়ের প্রতি অনেক streets।
সাকিব : ঠিক আছে চলে আসবো। তুমি এত টেনশন নিও নাতো।
পরের দিন সাকিব ঠিক সময় মত সামিয়ার বাড়িতে চলে গেল । (ভয়ে ভয়ে) সাকিব কলিং বেল চাপ দিল।
সামিয়া এসে দরজাটা খুললো। খুলে দেখলো সাকিব এসেছে।
সাকিব : কেমন আছো সামিয়া।
সামিয়া : ভালো, তোমাকে এত নার্ভাস কেন লাগছে।
সাকিব : না তেমন কিছু না। আজ প্রথম তোমার বাবার সাথে দেখা করতে আসলাম তো তাই একটু নার্ভাস লাগছে।
সামিয়া : ভিতরে আছো। কিছু হবে না। ভয় পেয়ো না।
সাকিব : আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল কেমন আছেন।
আঙ্কেল : আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো বাবা।
শাকিব : জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আঙ্কেল । আন্টি আপনি কেমন আছেন।
আন্টি : ভালো আছি বাবা। তুমি কেমন আছো।
শাকিব : জি ভালো।
আঙ্কেল : তোমার নাম কি বাবা?
শাকিব : জি আমার নাম শাকিব।
আঙ্কেল : তুমি আর সামিয়া একই ভার্সিটিতে পড়ো?
শাকিব : জি।
আঙ্কেল : তোমাদের সম্পর্ক কত দিনের?
শাকিব : তিন বছর।
আঙ্কেল : রান্না করতে জান?
শাকিব : আসলে একবার ইউটিউব থেকে দেখে রান্না করার ট্রাই করেছিলাম।
আঙ্কেল : তারমানে তুমি রান্না করতে জানো না।
শাকিব : না আঙ্কেল।
আন্টি : আরে কি আজেবাজে প্রশ্ন করছো।
আঙ্কেল : তোমাকে যখন প্রথম দেখতে গিয়েছিলাম তোমার বাবা ও আমাকে সেম প্রশ্ন করেছিল (হাসতে হাসতে বললেন)।
আন্টি : সামিয়া তুমি শাকিবকে পুরো বাড়ি ঘুরিয়ে দেখাও।
সামিয়া : ঠিক আছে মা।
তারপর সামিয়া সাকিবকে নিয়ে পুরো বাড়ি ঘোড়াটা লাগলো। সামিয়া সাকিব ও তার পরিবার ড্রয়িং রুমে বসে অনেক্ষন গল্প করে, তারপর শাকিব উঠে বলে।
শাকিব : আঙ্কেল তাহলে আমি এখন আসি।
আঙ্কেল : ঠিক আছে বাবা ভালো থেকো। তোমার সাথে কথা বলে আমার খুব ভালো লাগলো।
শাকিব : আমারও খুব ভালো লেগেছে। আসি আন্টি।
আন্টি : ভালো থেকো, তোমার বাবা মাকে বলবে আমাদের বাড়িতে এসে বিয়ের কথা বলার জন্য।
শাকিব : ঠিক আছে আন্টি। আসি বাই বাই আন্টি।
শাকিব সামিয়ার বাসা থেকে বেড়িয়ে বাসায় চলে গেল।তাদের ভালোবাসা আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।শাকিবের পরিবার সামিয়ার পরিবারের সাথে কথা বলে তাদের দুজনের বিয়ে থিক করে। তাদের দুজনের গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার পর বিয়ে দিবে বলে থিক করে।দুই পরিবার খুব খুশি তাদের নিয়ে।
এ-ই খুশির মধ্যে, কালবৈশাখী জর আসতে চলেছে।
সামিয়া : শাকিব দুই দিন পরে আমার বান্ধবীর বিয়ে। আমাদের দুজনকে ইনভাইট করেছে।
শাকিব : সরি আমি যেতে পারবো না।
সাকিব : কেন? কেন যেতে পারবে না?
শাকিব : কারন তুমি জান বিয়ে বাড়িতে লোকজনের ঝামেলা ভালো লাগে না।
সামিয়া : প্লিজ চলনা। আমার একমাত্র বেস্ট ফ্রেন্ড এর বিয়ে, আমাদের দুজনকে ইনভাইট করেছে, না গেলে ও আবার কষ্ট পাবে। প্লিজ চলো।
শাকিব : ঠিক আছে যাব। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকতে পারবো না।
সামিয়া : ওকে।
দুই দিন পর শাকিব ও সামিয়া বিয়েতে যাওয়ার জন্য রেডি হল। সামিয়া এতো সুন্দর হয়ে সেজেছে যে শাকিব সামিয়াকে দেখে তার দিকে এক নজরে চেয়ে আছে। সামিয়া সাকিবের এমন চাহনিতে খুব লজ্জা পেল।তারপর সামিয়া ও সাকিব বিয়েতে যাওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দিল।কিছুক্ষন পর তারা দুজন বিয়েতে পৌছে গেল।
সামিয়া : শাকিব চলো স্তেজে যাই।
শাকিব : চলো।
সামিয়া : Congress. কেমন আচো প্রিয় বান্ধবী। দুলাভাই আপনি কেমন আছেন।
বান্ধবী : হুম ভালো আছি তুমি কেমন আছো।
সামিয়া : হুম ভালো।
সামিয়া ও শাকিব বড় কনের সঙ্গে অনেকক্ষণ গল্প করার পর দুজন খেতে চলে যায়। দুজন খাওয়া দাওয়া শেষ করতে করতে অনেকটা লেট হয়ে যায়।দুজন বিয়ে বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে বাইকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলো।বাড়ি যাওয়ার সময় হঠাৎ করে কিছু লোক তাদের বাইকের উপর হামলা করল। সামিয়া ও শাকিবের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বললো।
লোক : তোদের কাছে যা যা কিছু আছে সব আমাদেরকে দিয়ে দে।
শাকিব : ( ভয়ে ভয়ে) প্লিজ আমাদের কিছু করবেন না, আমরা সবকিছু দিয়ে দিচ্ছি। সামিয়া তোমার কাছে যা যা আছে সবকিছু দিয়ে দাও।
সামিয়া : (কান্না জরিত কন্ঠে) এই নিন, সবকিছু নিয়ে যান, আমাদেরকে ছেড়ে দেন প্লিজ।
লোক : সব দে, তোর বউ তো খুব সুন্দরী, এ-ই সবাই এ-ই সালারে দর আমি ওর বউকে একটু আদর করি।
এ-ই বলে লোকটি সামিয়ার গায়ে হাত বোলাতে লাগলো। শাকিব এসব দেখে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করতে না পেরে, সবার সাথে মারামারি করতে লাগলো।শাকিবের সাথে লোগ গুলো না পেরে হঠাৎ একজন লোক শাকিবের বুকে গুলি করে দেয়।সঙ্গে সঙ্গে শাকিবের নিথর দেহ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
সামিয়া শাকিব বলে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়।লোক গুলো সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
পরের দিন যখন সামিয়া চোখ খুলল তখন সে নিজেকে হাসপাতালে পেল। সামিয়ার মা বাবা ও শাকিবের মা বাবা সবাই ওর বেডের কাছে বসে আছে। চোখ খুলে শাকিবকে না দেখতে পেয়ে সবাইকে জিজ্ঞেস করলো।
সামিয়া : শাকিব কোথায়? (চিৎকার করে বললো)শাকিব কোথায়? মা শাকিব কোথায়?
মা : শাকিব আর এ-ই পৃথিবীতে নেই।
সামিয়া : নাাাাাাাা এ হতে পারে না শাকিব আমাকে একা ছেরে যেতে পারে না।
শাকিব, শাকিব,
সমাপ্ত..........
গল্পের লেখক : ইমাম হোসাইন
গল্পটি কেমন লাগলো কমেন্ট করে জানাবেন।
ভালো লাগলে একটা লাইক দিবেন এবং আমার এ-ই গ্রপে জয়েন হয়ে আমার সঙ্গে থাকিন
।।।।।।।।।ধন্যবাদ।।।।।।।।