হিদায়াহ্-Hidayah

হিদায়াহ্-Hidayah দ্বীনের খেদমতই হোক জীবনের প্রধান লক্ষ...
**********************
টেলিগ্রামে আমাদের পোস্টগুলো পেতে চ্যানেলে জয়েন করুনঃ
https://t.me/Hidayaahctg

আলহামদুলিল্লাহ্

কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবে না
[সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]

07/10/2025

আমাদের প্রিয় মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - লোহার আংটি মোহরানায় বিয়ে দিয়ে ছিলো..তাও লোহার আংটি ভদ্রলোকের ছিলো...

আর আমাদের সমাজে গোল্ড না হলে ,ক্লাবে আয়োজন না হলে,চায়নিজ রেস্টুরেন্টে না হলে বিয়ে দিবে না,১০/১৫লক্ষ টাকা মোহরানা না হলে বিয়ে দিবে না...

আফসোস এই সমাজের জন্য।💔

19/09/2025

আমার নানা মারা গেছেন গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে শুক্রবার রাতে। মারা যাওয়ার ৩ দিন আগে থেকে তাঁর কোনো সেন্স ছিল না।
বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর, নানার শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে, কিন্তু উল্টো দিকে তাঁর সেন্স অনেকটাই ফিরে আসে। তিনি ডাকলে সাড়া দিচ্ছিলেন, ঠোঁট ও হাতের আঙুল নাড়াচ্ছিলেন।

ইন্তেকালের অল্প সময় আগে আমার ছোট ভাই কালিমার তালকিন দেন। নানা ভাই সঙ্গে সঙ্গেই ঠোঁট নাড়াতে থাকেন। স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল, নানা সেই তালকিন অনুযায়ী কালিমা পড়ছেন। ইন্তেকালের আগ মুহূর্তে তাঁর চোখ দিয়ে কয়েক ফোঁটা পানি গড়িয়ে পড়ে, যা অনেক আলেমরাই ভালো মৃত্যুর আলামত বলেছেন।
পরের দিন জুমার পর নানার জানাজা এবং দাফন হয়।

আমার নানার ইমিডিয়েট ছোট ভাই কয়েক বছর আগে মারা যান। ইন্তেকালের দিন সকালে হঠাৎই তাঁর চাশতের নামাজ পড়ার ইচ্ছা হয়। ঘরেও পড়তে পারতেন চাইলে, কিন্তু তিনি সেদিন চলে গেলেন মসজিদে। প্রথম রাকাত শেষ করে দ্বিতীয় রাকাতের সিজদা দিয়ে আর উঠলেন না। সিজদা অবস্থায় আল্লাহ তাঁকে নিয়ে গেলেন।

আজ নানা–দের কবর জিয়ারতের সময় বারবার একটি কথাই মনে হচ্ছিল—এই মানুষগুলো তো কোনো আলেম ছিলেন না, কোনো বিখ্যাত কেউ ছিলেন না, অনেক আমলদার ছিলেন এমনও না। অথচ তাঁদের মৃত্যু গুলো কত সুন্দর ভাবে হলো। হ্যাঁ, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন, হালাল–হারাম বেছে চলতেন, অযথা কারো সঙ্গে রেষারেষিতে ঝগড়া বিবাদে যেতেন না।

এই সমস্ত ঘটনাগুলো আমাদের মতো গুনাহগারদের মনে এক আশা জন্ম দেয় যে, আল্লাহর সামনে উপস্থাপন করার মতো অনেক আমল তো নেই, তারপরও যদি আল্লাহ কোনো একটি উসিলায় মাফ করে দেন, তাঁর প্রিয় করে দুনিয়া থেকে নেন, তাঁকে প্রশ্ন করার মতো তো কেউ নেই।

বাচ্চারা খাতার মধ্যে আঁকাবাঁকা উল্টো পাল্টা নানা কিছু লিখে নিয়ে এসে বলে, আব্বু/আম্মু! দেখো আমি কত সুন্দর লিখেছি। বাবা মাও তার সাথে সাথে বলেন, সত্যিই তো বাবা! অনেক সুন্দর হয়েছে!

আমাদের আমলগুলোও তো এমন। আমাদেরও মনে হয়, কত ভাল ভাল কাজ করেছি। কত সাওয়াব কামিয়েছি। কিন্তু আল্লাহ তো ঠিকই জানেন, আমাদের আমলের প্রকৃত অবস্থা। তিনি যদি পাকড়াও করেন, আমরা কেউ বাঁচতে পারবো না।

আল্লাহ! আমাদের সাথে সেই ছোট বাচ্চার মতোই মুআমালা করো। মাফ পাওয়ার যোগ্য না হলেও মাফ করে দিও। আমাদের মৃত্যু যেন তোমার অসন্তুষ্টির সঙ্গে না হয়, ইয়া আল্লাহ।
Credit: Brother Rizwanul Kabir

09/09/2025

পাশে থাকলে পাশে পাবেন, ১০ সেকেন্ড ব্যাক টু ব্যাক, ইত্যাদি যে ধরনের কমেন্ট ফেসবুকে এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে এগুলো দেখে আমরা কেউ হয়তো মজা পাচ্ছি, কেউ বিরক্ত হচ্ছি, সবাই অনেক কিছুই হচ্ছি। কিন্তু তাদের কাছে বিষয়টা খুবই সিরিয়াস৷ এবং এটার একটা বিশাল ফেসবুক কমিউনিটি গড়ে উঠেছে। সকল শ্রেণীর মানুষ এসবে যুক্ত৷

আমি অবাক হয়েছি সেদিন দেখে আমার পরিচিত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের স্ত্রী এইসব করছেন। উনি নাকি মনিটাইজেশন পেয়েছেন। ঘরে বসে সফল হবেন৷ ইনকাম করবেন। দিন রাত ফেসবুকে কার কত ফলোয়ার হলো, কে কত k সেলিব্রেট করছে এসব নিয়ে পোস্ট। তারা সবাই মিলে কাকে নাকি ভালোবাসা দেয়, স্টার আদান প্রদান করে, লাইভ করে, অযথাই রান্নাঘরে যায় আসে। মোবাইল পাশে রেখে আলমারি পরিস্কার করে। আরও নানান কিছু৷

ফেসবুক আপনাকে একটা ইনকামের পথ করে দিচ্ছে এটা সত্য। অনেক পথহীন, বেকার না খেয়ে থাকা মানুষের জীবনে ফেসবুক একটা আয় নিয়ে এসেছে৷ তারা এগুলো করছে। কিছু টাকা পয়সা পাচ্ছে৷ এতে আমি খারাপ কিছু দেখি না৷ দুনিয়াতে কেউই তো আর তাদের হেল্প করবে না। তাদের আয়ের পথ তাদের ই বের করতে হবে। জীবন সংগ্রামে অন্তত টিকে থাকুক৷

কিন্তু আমার কথা হচ্ছে অন্যসব শ্রেণী নিয়ে। ফেসবুক একটা ইনকাম গেইম দিয়ে আমাদের নিয়ে খেলছে। তারা আপনাকে নামমাত্র একটা ইনকাম দেখিয়ে, বিজ্ঞাপন দাতাদর কাছ থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে৷ ফেসবুক চায় দুনিয়ার সব মানুষ ফেসবুকের প্লাটফর্ম চলে আসুক। তারা আপনাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছে। এবং এই টাকার পরিমান এবং পাওয়ার স্ট্রাটেজিটা তারা এমন ভাবে সাজিয়েছে যেখানে কিছু সংখ্যক মানুষকেই তারা নিজেরাই রিচ দিয়ে সেলিব্রিটি টাইপের একটা কিছু বানিয়ে দিবে। তার ইনকাম বাড়িয়ে দিবে৷ এরপর বাকী সবাইকে এই মধু দেখিয়ে কন্টেন্ট বানাতে উদ্ভুদ্ধ করবে৷

আপনি ভাববেন এরা পেরেছে, আমিও পারব। কিন্তু আপনি পারবেন কি পারবেন না সেটা তো নির্ধারন করবে ফেসবুক! ফেসবুক ই সব এলগ্যারিদম সেট করে নিজেদের ইচ্ছেমতো একেক জনের আইডিতে। সুতরাং কাকে কত টাকা দিলে ফেসবুকের আয় বেশি হয় সেটা হিসাব করেই মনিটাইজেশনের টাকার এলগ্যারিদম বদল করে৷ বহু লোক চেষ্টা করতে করতে এক সময় হাল ছেড়ে ভালো হয়ে গেছে। আবার কেউ কেউ শুরু করেই অনেক কিছু পেয়ে গেছে। এগুলো হচ্ছে ফেসবুকের স্ট্রেটেজি৷ কিছু মানুষকে তারা বিজ্ঞাপন হিসেবে ব্যাবহার করছে৷

ফেসবুক আগে একজনকে ১০০ টাকা দিতো। এখন ১০০ টাকা ই ১০০ জনকে ১ টাকা করে ভাগ করে দিচ্ছে। এতে মানুষ টাকার লোভে পড়ছে। ফেসবুকে দেদারসে ভিডিও আপলোড হচ্ছে। ফেসবুক চায় ভিডিও। আর যত ভিডিও তত বিজ্ঞাপন আয়। কিন্তু আপনাকে দিচ্ছে সেই ১ টাকাই। আপনি এক সময় গিয়ে দেখবেন যে টাকা পেয়েছেন সেটা দিয়ে বড়জোর বন্ধুবান্ধব নিয়ে একবেলা রেস্টুরেন্টে খাওয়া যায়৷ জীবন চালানো যায় না। অথচ জীবনের মুল্যবান কাজের সময় এবং পেশা, ব্যাক্তিত্ব সব কিছু ভুলে কিছু মানুষ এগুলোতে নেমে গেছে।

গ্রামের বেকার যুবক থেকে শুরু করে, রিক্সাওয়ালা, সবজিওয়ালা, গৃহি/নী, চোর বা/টপার, সন্ত্রাসী, ভিক্ষুক, অশি/ক্ষিত, বে*, মাওলানা, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, আর্মি, কর্পোরেট জগৎ, সাংস্কৃতিক জগৎ, হাবিযাবি সব জগৎ, নেই এই দলে? সবাই ঝুকছে এসবে!!! যাদের মেধা বলতে কিছুই নেই তারা শরীর খুলে দিচ্ছে। এক কথায় ভিডিও আপলোড হলেই হলো।

মানুষ ফেসবুকের জগৎ এ আটকে যাচ্ছে। একটা নিজের জীবন যে তার আছে সেটার উপভোগ ভুলে যাচ্ছে। সারাদিন যা ই করছে সব ফেসবুকে আপলোড দেবার চিন্তা থেকে করছে। তার জগৎ এখন ফেসবুকের দখলে। এভাবে পুরো পৃথিবীকে ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে নিবে। পুরো ভারচুয়াল জগতের সব আয় ফেসবুকের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। ফেসবুকের বাইরে আর কিছুই থাকবে না।

আপনি আপনার সুন্দর একটা জীবন আর উপভোগ করতে পারলেন না। ভারচুয়ালের ফাঁদে পা দিয়ে এই চক্রে ঘুরতেই থাকবেন সারাক্ষণ ।

ইনশাআল্লাহ্ 🤲
08/09/2025

ইনশাআল্লাহ্ 🤲

বাবার জানাযায় এসেছে বেচারা এডলফ খান। মেকাপ নষ্ট হবে বলে ঠিকঠাক কাঁদতেও পারছে না। জানায় কী পড়বে, সে জানে না। সালাম যে ফির...
29/08/2025

বাবার জানাযায় এসেছে বেচারা এডলফ খান। মেকাপ নষ্ট হবে বলে ঠিকঠাক কাঁদতেও পারছে না। জানায় কী পড়বে, সে জানে না। সালাম যে ফিরাতে, সে এটাও শেখেনি। সেই সন্তানকে মৃত্যু শয্যায় শায়িত বাবা বলছেন, ইট'স ইয়োর সাকসেস!

জানেন, সেই সাক্সেসটা কি? বাবার চোখে সেই সাক্সেসটা হচ্ছে বেডা হয়েও মাতারির মতো সেজে বিশ্বে আলোচিত হতে পারে। সফল মানুষের সমালোচনা তো হবেই। বাবা তাই সন্তানকে নসীহত করছেন, Never Give up!

আফসোস হয় এমন বাবার জন্য। আফসোস হয় এমন সন্তানের জন্য। আল্লাহ আমাদেরকে এমন না বানান। এমন না করুন তিনি আমাদের সন্তানদেরকে। আমীন। সুম্মা আমীন।

— শায়খ হাফিজ আল-মুনাদী

29/08/2025

হায়রে জীবন! যে বাবা সন্তানকে মানুষ করল, সেই সন্তানই বাবার জানাজা পড়তে জানে না।

Boy's can feel the peace 🕊️ দুনিয়ার কোলাহল থেকে অনেক দূরের এক প্রশান্তির জায়গায়! 📸 Nasier Sayeem
18/08/2025

Boy's can feel the peace 🕊️

দুনিয়ার কোলাহল থেকে অনেক দূরের এক প্রশান্তির জায়গায়!

📸 Nasier Sayeem

জীবনে স‍্যাটেল হওয়া বলতে কিছু নেই। স‍্যাটেল জীবন একটা মানসিক আত্মতৃপ্তির ধারণা। কিংবা সামাজিকভাবে প্রচলিত এক মরিচিকা।  জ...
14/08/2025

জীবনে স‍্যাটেল হওয়া বলতে কিছু নেই। স‍্যাটেল জীবন একটা মানসিক আত্মতৃপ্তির ধারণা। কিংবা সামাজিকভাবে প্রচলিত এক মরিচিকা।

জীবন তো বৃক্ষ না, যে এক জায়গায় স‍্যাটেল হয়ে থাকবে! এমনকি বৃক্ষও তো স‍্যাটেল না। বৃক্ষ এক জায়গায় স্থির—কিন্তু সেও বেড়ে উঠে। ঋতুর সাথে বদলায়।

জীবন তো কোন বিশাল পাথর নয়। স্থির হয়ে থাকবে এক জায়গায়। জীবন গতিশীল। ডাইনামিক। ডাইনামিক জীবন কখনোই স‍্যাটেল হতে পারে না।

মানুষের জীবন স‍্যাটেল হওয়ার জন‍্য না। এটাই সত‍্য।

মানুষ বিয়ে করলেই স‍্যাটেল হয়ে যায় না। মানুষ চাকরি পেলে স‍্যাটেল হয়ে যায় না। বাড়ি কিনলেই স‍্যাটেল হয়ে যায় না। গাড়ি কিনলেই স‍্যাটেল হয়ে যায় না।

রাজা বাদশারাও তো স‍্যাটেল হতে পারে না। তাদের কি কম থাকে? সিংহাসন হারায় না তারা?
একজন প্রধানমন্ত্রীকে আপনি কি বলবেন? —তিনি স‍্যাটেল না? তার জীবনে টাকা-পয়সা, ক্ষমতা কিসের অভাব? অথচ সেই প্রধানমন্ত্রীও তো ক্ষমতা হারায়।

মানুষের জীবনে স‍্যাটেল বলতে কিছু নাই। মানুষের জীবন হলো নদীর স্রোতের মতো। প্রবাহমান জল। গতিশীল। চলতেই থাকবে—আমৃত‍্যু। এখানে সবাই দৌঁড়ের উপর আছে।

অনেকে বিয়ে না করলে মনে করে স‍্যাটেল হতে পারছে না। আবার অনেকে বিয়ে করে, বিচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত মনে করে, স‍্যাটেল হতে পারছে না।

এক সময় মনে হবে একটা চাকরি না থাকলে জীবন স‍্যাটেল হচ্ছে না। আবার চাকরি পাওয়ার পর মনে হবে—এই চাকরের জীবন ভালো লাগে না।

জীবনে যখন পকেটে ১০০ টাকা ছিলো, তখনো সমস‍্যা ছিলো। যখন চাইলেই এক লক্ষ টাকা নির্দ্বিধায় খরচ করতে পারি, তখনো জীবন সমস‍্যাহীন না।

একসময় মনে হবে একটা বাড়ি না থাকলে জীবনটা স‍্যাটেল হচ্ছে না। বাড়ি কেনার পর দেখবেন কতো ঝামেলা বাড়ে! কতো চিন্তা বাড়ে। আজ এদিকে নষ্ট হবে তো, কাল সেদিক নষ্ট হবে! মনে হবে বাড়ি বেচে ভাড়া থাকি।

মানুষের জীবনে যতো থাকে, ততো তার জীবন ঝামেলাপূর্ণ হয়। মানুষ যতো বেশি আশা করবে, ততোই তাকে দহন করতে হয়। ততোই তাকে চিন্তা করতে হয়। ততোই তার সমস‍্যা বাড়তে থাকে। মানুষের বেশি থাকা মানে কিন্তু স‍্যাটেল হওয়া না। কিংবা কম থাকলেই সেটাকে আনস‍্যাটেল ভাবারও কারণ নাই।

জীবন গতিময়। এখানে স‍্যাটেল বলতে কিছু নেই। আছে শুধু বেঁচে থাকার নিরন্তর চেষ্টা। সংগ্রাম। জীবনকে প্রবাহিত করার অদম‍্য নেশা।

আছে সৎ ও সুন্দর আনন্দ। মায়া, দরদ আর ভালোবাসা।
…………….
©️RAUFUL ALAM

13/07/2025

"আমি ঠিক নেই..." — সেই নীরব চিৎকারের জবাব

নামাজে মন বসে না।দুআ করতে গিয়ে কান্না আসে না।
মনে হয় কুরআনের দিকে তাকানোরও যোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছি। মনে হয়—সবকিছু এলোমেলো, আমি তো আর আগের আমি নই।

---
এক বোন ইনবক্সে লিখেছেন:

> ❝সব কিছু অদ্ভুত অস্থির। মনে হয় কিছুতেই শান্তি নেই।ফরজ নামাজ কোনোমতে হচ্ছে, তাহাজ্জুদের নামই নেই...কুরআন খুলি, কিন্তু মন বসে না।ইচ্ছা আছে, চেষ্টা করি—but কিছুই চালিয়ে যেতে পারি না।একসময়ের স্বপ্নগুলো এখন শুরু করতেই ভয় লাগে।সময় গেছে অলসতায়, সুযোগ গেছে অবহেলায়—এখন নিজেকেই মনে হয় ব্যর্থ, ভাঙা,একেবারে শেষ হয়ে যাওয়া এক মানুষ।❞

---
সম্মানিত বোন,আপনি জানেন কি? এই অনুভূতি গোনাহ নয়। বরং ইবাদতের ক্লান্তির মধ্যেও একজন মুমিনের হৃদয় আল্লাহর সান্নিধ্য চায়।এটাই ঈমানের আলামত।এই ‘ভাঙা লাগা’; আসলে আপনার রূহের চিৎকার, রবের দিকে ফিরে যাবার ডাক।

---
আপনি একা নন।অনেকের জন্য পরিচিত এই অস্থিরতার গলি।এটি চিরস্থায়ী নয়,এখন থেকেই নতুন আলো ফুটতে পারে।

আল্লাহর দিকে ফেরা শুরু হোক এখান থেকেই
◼️ প্রথম ধাপ: ক্লান্ত হৃদয়ের কান্না দিয়ে শুরু করুন। বলুন: "ইয়া আল্লাহ... আমি ফিরে আসতে চাই। আমি জানি না কীভাবে, কিন্তু তুমিই জানো—আমি তোমার দিকেই ফিরতে চাই।"

মন বসুক বা না বসুক, আল্লাহ জানেন আপনি ফিরে আসছেন।
◼️ দ্বিতীয় ধাপ: ফরজ নামাজ টিকিয়ে রাখুন—এটাই স্তম্ভ।

➤ এখন শুধু আজকের জন্য দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করুন।

➤ মন চায় না, সমস্যা নেই।দেহ নিয়ে যান, মন আসবে।
◼️ তৃতীয় ধাপ: কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন ছোট ছোট আয়াত থেকে শুরু করে।

➤ প্রতিদিন চেষ্টা করুন অন্তত এক আয়াত পড়তে।অনুবাদসহ ভাবুন:
“আল্লাহ এই আয়াতের মাধ্যমে আমার জন্য কী বলছেন।”

➤ মন মতো যতটুকু পারেন পড়ুন, চাপ না নিয়ে। কখনও এক আয়াতই হয়তো হৃদয় বদলে দিতে পারে।

মুফতী আমিনী (রাহ.) বলতেন:
“অতি পেরেশানিতে বেশি বেশি তিলাওয়াত করো, না পারলে কোনো হিফজখানায় গিয়ে কানটা পেতে শোনো! আল্লাহ সকল পেরেশানি দূর করে দেবেন।”
— গাজী ইয়াকুব ভাইয়ের টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত

◼️ চতুর্থ ধাপ: যিকির হোক আপন-ভাষা।
➤ “আস্তাগফিরুল্লাহ”, “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”।ফাঁকে-ফাঁকে হৃদয় থেকে বলুন।

➤ মোবাইলে ওয়ালপেপার করুন। রিমাইন্ডার সেট করুন।নিজেই দেখবেন, হৃদয়ের ভেতর পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে।

---
হতাশা কাটাতে অন্তরের ৩টি জরুরি ট্রেনিং:

1️⃣ নিজেকে ‘ব্যর্থ’ বলা বন্ধ করুন।

➤ আপনি হারেননি, আপনি লড়াই করছেন।

➤ বলুন: “আমি শেখার পথে আছি, আর আমার এই চেষ্টাটুকুই আল্লাহর কাছে অমূল্য।”

2️⃣ আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে ‘সিদ্ধ’ হতে হয় না।

➤ ক্লান্ত, এলোমেলো, পাপভারে ভারী—এই অবস্থাতেই ডাকুন রবকে।

➤ আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"কেউ যখন আমাকে ডাকে আমি তার ডাক শুনি।"[সূরা বাকারাহ, আয়াত:১৮৬]

3️⃣ "বড় কিছু" নয়, শুধু একটা ছোট পদক্ষেপ নিন।

➤ দুই আয়াত কুরআন, দুই রাকাআত তাহাজ্জুদ, ৫ মিনিট হাঁটা…

➤ ছোট কাজে ধারাবাহিকতা = আত্মার পুনর্জাগরণ।

---
আপনি একা নন…

☑️ আল্লাহ আপনাকে ভুলে যাননি। বরং এই ভাঙা আপনিই আল্লাহর প্রিয়।

☑️ ভালো মানুষদের সান্নিধ্য নিন। পেশাদার কাউন্সেলিং প্রয়োজন হলে দ্বিধা করবেন না।

☑️ আপনার কাছের কোনো ক্লান্ত হৃদয়ের জন্যও দুআ করুন।হয়তো আপনার দুআয় তার মুক্তি লেখা আছে।

---
এখনো সময় আছে... এখনো আপনি ফিরে যেতে পারেন

আল্লাহ তায়ালা বলেন:
"তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, জেনে রেখ আল্লাহর রহমত থেকে কেবল তারাই নিরাশ হয়, যারা কাফের।"
[সূরা ইউসুফ, আয়াত:৮৭]

কুরআনে আল্লাহ বলেছেন: "নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
[সুরা ইনশিরাহ:আয়াত, ৬]

---
⬤ এটাই হয়তো আপনার ফিরে আসার সময়… এক কদম এগোন, আল্লাহ তো প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন— তিনি দৌড়ে আসেন।

---
▪️ শেয়ার করুন সেই মানুষটির জন্য, যিনি হয়তো আজ রাতেই আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে চায়,শুধু একটু সাহস খুঁজছে…একটা ডাক, একটা সান্ত্বনা,আর একজন — যে বলে, “তুমি একা নও।”

---
©️Hikmah

16/06/2025

বিশ্বকে একদিকে বিজি রেখে গোপনে ইরানে হা/মলা অব্যাহত রেখেছে ই/জরাইল ।।
মিডিয়া শুধু ইরানের ই/জরাইলে হা/মলার খবরটায় প্রকাশ করছে , এদিকে ই/রান শেষ হয়ে যাচ্ছে ।

যদি ও বাংলাদেশের মিডিয়া বিশ্লেষণ করলে মনে হবে
যু /দ্ধে ইরান এগিয়ে। বাস্তবতা হলো ইরানের মেরুদণ্ড ভেঙ্গে গেছে। - ডিফেন্স স্পোর্টস 📌

অপরদিকে বিশ্ব মিডিয়া বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে,
আজকে ই/জরায়েল প্রায় ৫০টি যু/দ্ধবিমান নিয়ে ইরানের উপর সর্বাত্মক হা/মলা চালিয়েছে।

ইতোপূর্বে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, রেভ্যুলুশনারি গার্ড কমান্ডার হোসেইন সালামি এবং ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছে। আজ নতুন করে ১৪ জন বিজ্ঞানী রহস্যজনক গাড়ি বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন।
সামরিক স্থাপনা, তেল শোধনাগার, বিমানবন্দর ধ্বংসপ্রাপ্ত, বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং ইরানের প্রতিরক্ষা দুর্বল হয়ে পড়েছে।

এখনই সময় প্রশ্ন তোলার
ইরান কি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে?
"আয়াতুল্লাহ খোমেনি অধ্যায়" কি শেষের পথে?
এবার কি মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল?
আমেরিকার পছন্দের একটি "দালাল " সরকার কি ইরা/নে বসানো হবে?
এই যু/দ্ধ শুধু ই/জরায়েল-ইরানের নয়। এটি পক্সি যু/দ্ধ। মূলত পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে আমেরিকা ও তার মিত্ররা।

এই যু/দ্ধ শুধু বো/মা-গু/*লির নয়। এটি আধিপত্যের, আদর্শের এবং ভূ-রাজনৈতিক দখলের লড়াই।

ইরানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমার এই বিশ্লেষণ সত্যি না হোক। যু/দ্ধে ইরান জিতুক। প/শ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে লড়াই করুক ইরান। খোমেনি অধ্যায় শেষ না হোক তার আর ও অনেক কাজ বাকি।

16/06/2025

ইরানের আধুনিক মিসাইল এ্যাটাক 😍

ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি হয়েছে।আগে সাধারণত এই অ...
16/06/2025

ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি হয়েছে।

আগে সাধারণত এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-উপস্থিতিই ছিল প্রধান। কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের রণতরী USS Nimitz সরে যাওয়ার কারণে, দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন নৌ-শক্তি কমে গেছে। এর সুযোগে চীন নিজস্ব আরও রণতরী মোতায়েন করে সংখ্যায় এগিয়ে গেছে।

এই অবস্থাকে বিশ্লেষকরা তাইওয়ান ঘিরে চীনের সামরিক কৌশলের অংশ হিসেবে দেখছেন।

সোর্স: জিও ওয়াচ

Address

Chittagong
3000

Telephone

+8801400818191

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হিদায়াহ্-Hidayah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share